চলমান কথা

গত ১১ মে, ২০২০ আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের অনলাইন পরীক্ষার শুভ উদ্বোধন করেন প্রকৌশলী এ এম এম সাজ্জাদুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এপিএসসিএল।

স্বপ্নের পদ্মা সেতু; স্বপ্ন হলো সত্যি। স্বপ্নের পদ্মা সেতুর সাথে স্বপ্ন যাবে বাড়ি।

Friday, August 7, 2020

 

কোথায় স্বর্গ, কোথায় নরক, কে বলে তা বহুদূর?
মানুষের মাঝে স্বর্গ-নরক, মানুষেতে সুরাসুর।
রিপুর তাড়নে যখনই মোদের বিবেক পায় গো লয়,
আত্মগ্লানির নরক অনলে তখনই পুড়িতে হয়।
প্রীতি ও প্রেমের পুণ্য বাঁধনে যবে মিলি পরস্পরে,
স্বর্গ আসিয়া দাঁড়ায় তখন আমাদেরই কুঁড়েঘরে।

সারমর্ম: স্বর্গ ও নরক দূরে কোথাও নয়, মানুষের মাঝেই বিদ্যমান। নিজের কর্মফলের মধ্য দিয়ে মানুষ স্বর্গ ও নরকের ফল ভোগ করে। যারা বিবেকবর্জিত অন্যায় করে বেড়ায় তারা পৃথিবীতেই নরক যন্ত্রণার ফল ভোগ করে। পক্ষান্তরে যারা হিংসা-বিদ্বেষ, লোভ-লালসা ত্যাগ করে সবার সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখে তারা পৃথিবীতেই স্বর্গ সুখ লাভ করে।

 

ক্ষমা যেথা ক্ষীণ দুর্বলতা,
হে রুদ্র, নিষ্ঠুর যেন হতে পারি তথা।
তোমার আদেশ, যেন রসনায় মম
সত্য বাক্য জ্বলি উঠে খর খড়গ সম।
তোমার বিচারাসনে লয়ে নিজ স্থান।
অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে
তব ঘৃণা তারে যেন তৃণসম দহে।

সারমর্ম: ক্ষমা মহৎ গুণ হলেও তা যেন সত্য প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বাধাপ্রাপ্ত না হয়। যদি হয় তাহলে সেখানে দুর্বলতা প্রকাশ পায়। এজন্য অন্যায়কারীকে প্রশ্রয় না দেওয়াই উত্তম। কেননা, অন্যায়কারী এবং অন্যায় সহ্যকারী দুজনেই সমান অপরাধী।

Thursday, August 6, 2020

সেইদিন এই মাঠ

 ১. নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দা।

মাঠে চাষা গান গাচ্ছে। জেলেডিঙ্গি ভেসে চলেছে। বেলা যাচ্ছে, রৌদ্র ক্রমেই বেড়ে উঠেছে, ঘাটে কেউ স্নান করছে, কেউ জল নিয়ে যাচ্ছে-এমনি করে এই শান্তিময়ী নদীর দুই তীরে গ্রামের মধ্যে, গাছের ছায়ায়, শত শত বছর গুনগুন শব্দ করতে করতে ছুটে চলেছে।                                                   


ক. কোন ফুল শিশিরের জলে ভিজবে?   

খ. সেই দিন এই মাঠ স্তব্ধ হবে না কেন?         

গ. ‘সেই দিন এই মাঠ’ কবিতাটির সাথে উদ্দীপকের বৈসাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি তুলে ধর। 

ঘ.  “উদ্দীপক ও ‘সেই দিন এই মাঠ’ কবিতাটিতে প্রকৃতির চিরকালীন সৌন্দর্যকেই বোধের এক বিস্ময়কর শক্তিতে 

উপস্থাপন করা হয়েছে।”- মন্তব্যটি তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর। 


২. নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দা।   

পৃথিবীতে সভ্যতার ধ্বংশ আর বিনির্মাণ চলে পাশাপাশি। মানুষ মরে যায়, রেখে যায় মানবতা। মানুষের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে কোনোকিছু থেমে থাকে না। বস্তুত মানুষের মৃত্যু আছে কিন্তু রহস্যময় প্রকৃতির সৌন্দর্য়ের মৃত্যু নেই; মৃত্যু নেই মানুষের স্বপ্নেরও। 


ক. জীবনানন্দের কবিতার মূল প্রেরণা কোনটি? 

খ. পৃথিবীর কোন গল্প চিরকাল বেঁচে রবে? বুঝিয়ে লেখো। 

গ. উদ্দীপকের সাথে ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতার সাদৃশ্যগত দিকগুলো তুলে ধর। 

ঘ. উদ্দীপক ও ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতার মূলভাব একই ধারায় উৎসারিত -উক্তিটি বিশ্লেষণ কর।   


৩. যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে,

বাইব না মোর খেয়া তরী এই ঘাটে

চুকিয়ে দেব বেচা কেনা, মিটিয়ে দেব লেনা দেনা

বন্ধ হবে আনাগোনা এই বাটে;

তখন আমায় নাইবা মনে রাখলে।


ক. নক্ষত্রের তলে কিসে স্বপ্ন দেখবে?

খ. পৃথিবীতে মানুষের শেষ পরিণতি বলতে কী বোঝ?

গ. উদ্দীপকের প্রথম দুই চরণ ‘সেই দিন এই মাঠ’ কবিতার কোন ভাবটি ধারণ করে?ব্যাখ্যা কর। 

ঘ. উদ্দীপকে কবিতার সমগ্র ভাবনা উপস্থিত আছে কী? তোমার মতের পক্ষে যুক্তি দাও।            


Tuesday, August 4, 2020





মদিনার অসাধারণ মসজিদ


মালয়শিয়ার ভাসমান মসজিদ

শেরপুরের বিখ্যাত মসজিদ







আমার গ্রামের গুঠিয়া বায়তুল আমান জামে মসজিদ

Thursday, July 30, 2020

আসিতেছে শুভ দিন

দিনে দিনে বহু বাড়িতেছে দেনা শুধিতে হইবে ঋণ।

হাতুড়ি, শাবল, গাঁইতি চালায়ে ভাঙিল যারা পাহাড়,

পাহাড়-কাটা সে পথের দুপাশে পড়িয়া যাদের হাড়,

তোমাদের সেবিতে হইল যাহারা মজুর,মুটে ও কুলি,

তোমারে বহিতে যারা পবিত্র অঙ্গে লাগাল ধূলি,

তারাই মানুষ, তারাই দেবতা, গাহি তাহাদের গান

তাদেরি ব্যথিত বক্ষে পা ফেলে আসে নব উত্থান।

 

সারমর্ম: দিনে দিনে শ্রমিকদের কঠোর পরিশ্রমের মধ্য দিয়েই গড়ে উঠেছে মানব সভ্যতা। কিন্তু এই শ্রমজীবী মানুষ শোষিত, বঞ্চিত, ও অবহেলিত। তবে শ্রমজীবী মানুষদের যারা শোষণ করছে তাদের দিন শেষ হয়ে আসছে। কেননা, শ্রমজীবীদের নব উত্থানের সূচনা আসন্ন।

সার্থক জনম আমার জন্মেছি এই দেশে

সার্থক জনম মাগো তোমায় ভালবেসে।

জানি না তোর ধন-রতন আছে কিনা রাণীর মতন

শুধু জানি আমার অঙ্গ জুড়ায় তোমার ছায়ায় এসে।

কোন বনেতে জানিনে ফুল গন্ধে এমন করে আকুল.

কোন গগনে উঠেরে চাঁদ এমন হাসি হেসে।

আঁখি মেলে তোমার আলো প্রথম আমার চোখ জুড়ালো,

ওই আলোতেই নয়ন রেখে মুদব নয়ন শেষে।


সারমর্ম: প্রতিটি মানুষের কাছেই তার জন্মভূমি অত্যন্ত প্রিয়। আমাদের জন্মভূমি বাংলাদেশের অপরূপ সৌন্দর্য, অসীম ঐশ্বর্য আমাদের চোখ জুড়ায়, মন ভোলায়। এই অপরূপ বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করে আমাদের জীবন ধন্য। তাই এদেশের মাটির স্নেহের স্পর্শেই আমরা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে চাই।

শৈশবে সদুপদেশ যাহার না রোচে,

জীবনে তাহার কভু মূর্খতা না ঘোচে।

চৈত্র মাসে চাষ দিয়া না বোনে বৈশাখে,

কবে সেই হৈমন্তিক ধান্য পেয়ে থাকে?

সময় ছাড়িয়া দিয়া করে পন্ড শ্রম,

ফল চাহে, সেও অতি নির্বোধ অধম।

খেয়াতরী চলে গেলে বসে থাকে তীরে।

কিসে পার হবে, তরী না আসিলে ফিরে?

 

সারমর্ম: জীবন গঠনের শ্রেষ্ঠ সময় হলো শৈশবকাল। এ সময় সদুপদেশ মেনে না চললে ভবিষ্যতে সাফল্য আসে না। সময়ের কাজ সময়ে করাও সফলতা অর্জনের অন্যতম চাবিকাঠি। সময়মত কোনো কাজ না করলে পরবর্তীতে অধিক পরিশ্রম করেও সে কাজে সাফল্য অর্জন করা যায়না।

 

সব সাধকের বড় সাধক আমার দেশের চাষা,

দেশ-মাতারই মুক্তিকামী দেশের সে যে আশা।

দধীচি কি তাহার চেয়ে সাধক ছিল বড়?

পুণ্য অত হবে না’ক সব করিলেও জড়।

মুক্তিকামী মহাসাধক, মুক্ত কর দেশ,

সবারই সে অন্ন যোগায়, নেইকো গর্ব লেশ।

ব্রত তাহার পরের হিত সুখ নাহি চায় নিজে

রৌদ্র-দাহে তপ্ত তনু শুকায় মেঘে ভিজে।

আমার দেশের মাটির ছেলে, করি নমস্কার,

তোমায় দেখে চূর্ণ হউক সকল অহংকার।

 

সারমর্ম: কৃষকরাই আমাদের দেশের প্রাণ। তাদের চেয়ে বড় সাধক আর কেউ নেই। রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে কঠোর পরিশ্রম করে তারা আমাদের অন্নের যোগান দেয়। তাদের উদ্দেশ্য দেশ ও দশের কল্যাণসাধন। শ্রম, সাধনা, আর ত্যাগ-তিতিক্ষার মহান আদর্শকে ধারণ করে সকলের ঊর্ধ্বে তাদের অবস্থান।


 বসুমতি, কেন তুমি তই কৃপণা?
কত খোঁড়াখুঁড়ি করি পাই শস্যকণা।
দিতে যদি হয় দে মা প্রসন্ন সহাস
 কেন এ মাথার ঘাম পায়েতে বহাস?
 বিনা চাষে শস্য দিলে কি তাহাতে ক্ষতি?
শুনিয়া ঈষৎ হাসি কহে বসুমতি
  আমার গৌরব তাতে সামান্যই বাড়ে,
তোমার গৌরব তাতে একেবারে ছাড়ে।

সারমর্ম: শ্রমলব্ধ সম্পদে গৌরব আছে, আছে আনন্দ আর শ্রমহীন প্রাপ্তিতে থাকে দুর্বলতা, থাকে অবসাদ। তাই সকলেরই উচিত পরিশ্রমের মাধ্যমে জীবিকা অর্জন করা। কারণ, পরের দান গ্রহণে কোনো আত্মতৃপ্তি নেই, শ্রমেই সত্যিকারের গৌরব।

   বহু দিন ধরে বহু ক্রোশ দূরে
   বহু ব্যয় করি বহু দেশ ঘুরে
  দেখিতে গিয়াছি পর্বতমালা
  দেখিতে গিয়াছি সিন্ধু।
  দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া
   ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া
  একটি ধানের শীষের উপরে
  একটি শিশির বিন্দু।

সারমর্ম: মানুষ বহু অর্থ ও সময় ব্যয় করে দূরের সৌন্দর্য উপভোগ করতে যায়। কিন্তু ঘরের কাছের সৌন্দর্যটুকু আর দেখা হয়ে ওঠে না। সৌন্দর্যের বিচিত্র সমারোহ মানুষের চারপাশে বিদ্যমান। তাই দূরে যাওয়ার আগে কাছের জিনিসও সবাইকে চিনতে জানতে হবে।