মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ প্রাণী। জগতের অন্যান্য প্রাণীর সহিত মানুষের পার্থক্যের কারণ-মানুষ বিবেক ও বুদ্ধির অধিকারী। এই বিবেক, বদ্ধি ও জ্ঞান নাই বলিয়া আর সকল প্রাণী মানুষ অপেক্ষা নিকৃষ্ট। জ্ঞান ও মনুষ্যেত্বের উৎকর্ষ সাধন করিয়া মানুষ জগতের বুকে অক্ষয় কীর্তিস্থাপন করিয়াছে, জগতের কল্যাণ সাধন করিতেছে; পশুবল ও অর্থবল মানুষকে বড় বা মহৎ করিতে পারে না। মানুষ বড় হয় জ্ঞান ও মনুষ্যত্বের বিকাশে। জ্ঞান ও মনুষ্যত্বের প্রকৃতি বিকাশে জাতির জীবন উন্নত হয়। প্রকৃত মানুষই জাতীয় জীবনের প্রতিষ্ঠা ও উন্নয়ন আনায়নে সক্ষম।
সারাংশ: বিবেক, বুদ্ধি ও জ্ঞান আছে বলেই মানুষ জগতের অন্যান্য প্রাণী থেকে শ্রেষ্ঠ। পেশিশক্তি ও অর্থবল মানুষকে মহৎ করে না; মনুষ্যত্ব দিয়েই মানুষ বড় হয়। জ্ঞানী মানুষ সর্বদা জাতীয় উন্নয়ন ও পৃথিবীর মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিবেদিত করে।
মানুষের মূল্য কোথায়? চরিত্রে, মনুষ্যত্বে, জ্ঞানে ও কর্মে। বস্তুত চরিত্রবলেই মানুষের জীবনের যা কিছু শ্রেষ্ঠ, তা বুঝতে হবে। চরিত্র ছাড়া মানুষের গৌরব করবার আর কিছুই নেই। মানুষের শ্রদ্ধা যদি মানুষের প্রাপ্য হয়, মানুষ যদি মানুষকে শ্রদ্ধা করে, সে শুধু চরিত্রের জন্যই। অন্য কোন কারণে মানুষের মাথা মানুষের সামনে নত করার দরকার নেই। জগতে যেসকল মহাপুরুষ জন্মগ্রহণ করেছেন, তাঁদের গৌরবের মূল এই চরিত্রশক্তি। তুমি চরিত্রবান লোক, এ কথার অর্থ এই নয় যে, তুমি লম্পট নও। তুমি সত্যবাদী, বিনয়ী এবং জ্ঞানের প্রতি শ্রদ্ধা পোষণ কর; তুিম পরদুঃখকাতর, ন্যায়বান এবং মানুষের ন্যায় স্বাধীনতাপ্রিয় চরিত্র মানে এই।
সারাংশ: মানুষের প্রকৃত মূল্য তার মনুষ্যত্ব, জ্ঞান, ও চরিত্রে। চরিত্রবলে মানুষ শ্রদ্ধা, বক্তি ও সম্মান অর্জন করতে পারে। পৃথিবীর সকল মানুষের শ্রেষ্ঠত্বের মূল চরিত্র। পরোপকারী, ন্যায়বান, সত্যবাদী, স্বাধীনতাপ্রিয় মানুষই চরিত্রবান।