চলমান কথা

গত ১১ মে, ২০২০ আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের অনলাইন পরীক্ষার শুভ উদ্বোধন করেন প্রকৌশলী এ এম এম সাজ্জাদুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এপিএসসিএল।

স্বপ্নের পদ্মা সেতু; স্বপ্ন হলো সত্যি। স্বপ্নের পদ্মা সেতুর সাথে স্বপ্ন যাবে বাড়ি।

Showing posts with label নবম-দশম শ্রেণি: টিঠিপত্র. Show all posts
Showing posts with label নবম-দশম শ্রেণি: টিঠিপত্র. Show all posts

Wednesday, May 12, 2021

শিক্ষা জীবনের শেষ দিনের অবস্থা জানিয়ে বন্ধুকে পত্র লিখ।


মিরপুর, ঢাকা।
০৮ মে, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ

 ক,

কেমন আছো? আশা করি ভালো আছো।আজ আমার মনটা ভালো নেই। দু-ঘণ্টা হল কলেজ থেকে ফিরেছি।  তুমি তো জান আজ আমাদের কলেজ-জীবনের শেষ দিন, বিদায়ের দিন।বেদনায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে মন।তাই আমার মনে হল তোমার কাছে দু-কলম লিখতে পারলে আমার বেদনাহত হৃদয় কিছুটা হলেও শীতল হবে।  

গতকালই আমাদের ফরম পূরণের শেষ দিন অতিবাহিত হয়েছে। আজ আমাদের বিদায়ের দিন। কলেজের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। আজ আর কারো মনে কোনো আনন্দ নেই, নেই কোনো চঞ্চলতা, সবার চোখে মুখে একটা বিষণ্নতার ছাপ। চারদিকে যেন বিদায়ের সকরূণ ঘণ্টা বাজছে,  ঘণ্টাধ্বনির মতো সে ধ্বনি আকাশে-বাতাসে প্রতিফলিত হয়ে আমার হৃদয়কে ক্ষত-বিক্ষত করতে লাগল। মনে হল সবচেয়ে বেশি কষ্ট বোধহয় আমিই পাচ্ছি। আসলে এ কষ্ট এবং দুঃখ কাউকে বোঝানো কিংবা বলা যায় না বলেই এর তীব্রতা ও দহন এত বেশী। আমাদের সবাইকে ফুলের মালা পরিয়ে সূচনা হল বিদায়ের! প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্য দিয়ে অনেক বক্তব্য রেখে আমাদের প্রতি তাদের প্রত্যাশা ব্যক্ত করল। বিদায়ী ছাত্রদের পক্ষ থেকে আমি বক্তব্য রাখলাম। কিন্তু  এতটাই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম যে বিদায়ের এই দিনে কিছু বলা আমার জন্যে ছিল একেবারেই অসম্ভব। দুচোখের জল বাধা মানল না। আমাদের সবার জন্য দোয়া চেয়ে আমার বক্তব্য শেষ করতে হল। তারপর সভাপতির ভাষণে বক্তব্য রাখলেন আমাদের পরম শ্রদ্ধাভাজন অধ্যক্ষ। তিনি আমাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করে চলার পথের পাথেয় সম্পর্কে নানা উপদেশ দিলেন। সবশেষে আমাদের সবাইকে উপহার হিসেবে একটি করে বই দেয়া হল। এরপর সঙ্গীতানুষ্ঠান। বিদায়ের গানে বেদনার সুর বেজে উঠতেই আমাদের কলেজ জীবনের শেষ দিনের মুহূর্তগুলো হৃদয়পটে ছবির মতো আটকে গেল। এ স্মৃতি কখনোই ভোলার নয়।  

আজ আর নয়। আমার জন্যে দোয়া করবে। বাসার সবার প্রতি স্নেহ ও সালাম রইল।

 

ইতি
নূসরাত

    

প্রেরক,
   নূসরাত
   গ্রা:+পো: ডহড়পাড়া
   উপজেলা: উজিরপুর
   জেলা: বরিশাল।

ঢাক টিকেট

 প্রাপক,                              
মামুন হোসেন
গ্রাম+পো: ধামসর,
উপজেলা: উজিরপুর           
জেলা: বরিশাল।
     

Tuesday, May 11, 2021

 সংবাদপত্র পাঠের প্রয়োজনীয়তা জানিয়ে ছোট বোনের কাছে একটি চিঠি লিখ।



আশকোনা,ঢাকা।
১৫.০৬.২০১৩

স্নেহের লাব্বি,

আমার অনেক স্নেহ ও ভালোবাসা নিও। আশা করি তুমি ভালো আছ। সেদিন তোমার একটি চিঠি পেয়েছি। সেখানে তোমার পড়াশুনার ব্যস্ততার কথাই ফুটে উঠেছে। তুমি নাকি দৈনিক সংবাদপত্র গুলোতেও ভালো চোখ বুলাতে পারছ না। ব্যাপারটা সত্যি না কথার কথা তা জানি না। তবে যদি সত্যি হয়, তবে সেটা খুবই দুঃখের এবং খারাপ। কারণ, তোমার মনে আছে যে ছোট বয়স থেকেই তোমাকে সংবাদপত্র পাঠে আমি উত্সাহিত করে আসছি। সংবাদপত্র পাঠ করা শিক্ষার একটি অঙ্গ। শিক্ষাই হচ্ছে জাতির মেরুদন্ড। প্রতিদিন পৃথিবীর খবরাখবর প্রকাশ করেই সংবাদপত্র শুধু এর দায়িত্ব শেষ করে না, বরং মানুষের প্রয়োজনীয়তা ও চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে সংবাদপত্রসমূহ তাদের কলরব বৃদ্ধি করে চলছে। এ যুগের শিক্ষা এ সভ্যতা সংবাদপত্র পাঠ ছাড়া অপূর্ণ থেকে যায়। বিশ্বের রাজনীতি, সমাজনীতি, অর্থনীতি, বিজ্ঞান, বাণিজ্য, সাহিত্য-সংস্কৃতি, খেলাধুলা. আমোদ-প্রমোদ, ছাত্রদের পাঠ্যপুস্তকের আলোচনা, স্বাধীন মত ব্যক্ত করার সুযোগ-আজকাল সবই আছে সংবাদপত্রে। পৃথিবীর দুস্থ মানুষ যেখানে প্রতিকারহীন শক্তির দাপটে অশ্রুবর্ষণ করে, সংবাদপত্র সেখানে তার নির্ভীক বাণী প্রকাশ করে। চলমান বিশ্বের নিত্যতার সাথে সম্পর্কীত না হলে ইতিহাস, দর্শন সবই যেন অচল হয়ে পড়ে। কারণ, পৃথিবী একস্থানে দাঁড়িয়ে নেই। সে প্রতিনিয়ত স্থান পরিবর্তন করে এগিয়ে চলছে, অপর পক্ষে আমাদের পাঠ্যপুস্তকসমূহ কমপক্ষে একটি বা দু'টি বছরের জন্য সামাজিক বিষয়ে স্থির হয়ে আছে। পাঠ্যপুস্তকের অধীন জ্ঞানকে বদ্ধ পুকুর থেকে তুলে এনে সংবাদপত্রের চলমান জ্ঞানের ধারায় মিশিয়ে না দিতে পারলে সে-শিক্ষা গতি পাবে না। তোমার কাছে আমার অনুরোধ রইল সময় করে নিয়ে প্রতিদিন অবশ্যই তুমি সংবাদপত্রে একবার চোখ বুলিয়ে নিবে। শিক্ষার অন্যান্য বিষয়ের সাথে সংবাদপত্রেরও একটা স্থান করে নিবে। এতে বরং তোমার ক্ষতির চেয়ে উপকারই হবে বেশি। আশা করি আমার কথা গুলো তুমি স্মরণ রাখার চেষ্টা করবে এবং পালন করতে উদ্বুদ্ধ হবে।

পরিশেষে তোমাকে জানাতে চাই, খোদার কৃপায় আমরা বাড়ির সকলেই ভালো আছি। বাড়ির জন্য কোনো দুশ্চিন্তা করো না। নিজের শরীরের প্রতি যত্ন নিবে এবং লেখা পড়ার প্রতি মনোযোগী হবে। এই বলে আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।


ইতি

তোমার বড় বোন
মাহফুজা খানম


   প্রেরক,
   নূসরাত
   গ্রা:+পো: ডহড়পাড়া
   উপজেলা: উজিরপুর
জেলাবরিশাল।

 ঢাক টিকিট

প্রাপক,                               
মামুন হোসেন
গ্রাম+পো: ধামসর,
উপজেলা: উজিরপুর           
জেলা: বরিশাল।
    

Saturday, September 12, 2020

 #  একটি ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শনের বর্ণনা দিয়ে বন্ধুর নিকট একটি পত্র লেখ।

 

১২ জুলাই, ২০১৮ খ্রি.

উজিরপুর, বরিশাল।

 

প্রিয় মামুন,

প্রথমে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা নিও। গতকাল তোমার যে চিঠিখানা পেয়েছি তার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ।গতকাল তোমার চিঠি পেয়ে জানতে পারলাম তুমি ভালো আছ। আমিও তোমাদের দোয়ায় ভালো আছি।গত কাল গিয়েছিলাম জাতীয় স্মৃতিসৌধ দর্শন করতে। এ সৌধের সৌন্দর্য তোমকে না জানাতে পারলে ভাল লাহছে না।

রাজধানী ঢাকা থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে নির্মিত হয়েছে এই জাতীয় স্মৃতিসৌধ।১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ভিত্তিপ্রস্তর করেছিলেন। এই স্মৃতিসৌধের নকশা তৈরি করেছিলেন স্থপতি সৈয়দ মইনুল হোসেন। এর উচ্চতা ১০০ ফুট। স্মৃতিসৌধের ফলক সংখ্যা ৭। এই ৭ সংখ্যাটি বিভিন্ন দৃষ্টিকোন থেকে অত্যন্ত তাৎপর্যময় ও অর্থবহ। এই নকশা স্থপতি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সাতটি পর্যায়কে ত্রিভুজাকৃতি মিনারের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধে শহিদ সাতজন বীরশ্রেষ্টের স্মৃতি এতে স্মরণকরা হয়েছে। সাত সংখ্যার সাথে মিল রেখে স্মৃতিসৌধটির সাতটি ফলক গড়ে উঠেছেঅপূর্ব শিল্পকর্ম। স্মৃতিসৌধের মিনারপ্রাঙ্গণের আয়তন ১৩০Í১৩০ ফুট। এ স্মৃতিসৌধটির নির্মাণ কাজ মোটামুটি শেষ হয়েছে ১৯৮২ সালের জুন মাসে। তবে এর মূল ভবনের কাজ শেষ হলেও চারপাশের সম্প্রসারণের কাজ এখনো অব্যাহত রয়েছে। এর পুরো আঙ্গিনায় রয়েছে অসংখ্য বিচিত্র বর্ণের ফুলের গাছ আর ডানপাশেই রয়েছে একচি সুন্দর লেক। এক কথায় এর সৌন্দর্য নয়ন মুগ্ধ করে।

আজ আর না। তুমি ঢাকা এলে অবশ্যই স্মৃতিসৌধ দেখে যাবে। সময় পেলেই আমাকে চিঠি লেখো। ভালো থেকো। তোমার পিতা-মাতাকে শ্রদ্ধা ও ছোট ভাই-বোনদেরকে স্নেহ জানাবে।তোমার সার্বিক মঙ্গল কামনা করি।


ইতি

তোমার প্রিয়,

মুমতারিন মালিহা

 

  প্রেরক,

   মুমতারিন মালিহা

   গ্রা:+পো: ডহড়পাড়া

   উপজেলা: উজিরপুর

   জেলা: বরিশাল।  ডাক টিকিট

ডাক টকিটি

 প্রাপক,                               

মামুন হোসেন

গ্রাম+পো: ধামসর,

উপজেলা: উজিরপুর            

জেলা: বরিশাল।   

 #  বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ পালনের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে বন্ধুর কাছে একখানা চিঠি লেখ।

 

১২ জুলাই, ২০১৮ খ্রি.

উজিরপুর, বরিশাল।


প্রিয় মামুন,

প্রথমে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা নিও। গতকাল তোমার যে চিঠিখানা পেয়েছি তার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ।গতকাল তোমার চিঠি পেয়ে জানতে পারলাম তুমি ভালো আছ। আমিও তোমাদের দোয়ায় ভালো আছি।তুমি ‘বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ পালন’-এর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জানতে চেয়েছ। আজ সে সম্পর্কে লিখছি।

দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বনজ সম্পদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্যে দেশের মোট ভূমির কমপক্ষে শতকরা ২৫ ভাগ বনভূমি থাকা প্রয়োজন। কিন্তু সে তুলনায় আমাদের বনভূমির পরিমাণ খুবই কম। তাই অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিও জন্যে সব সম্পদেও উন্নয়নের মাধ্যমে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখা দরকার। নানা কারণে দেশের বনভূমি ক্রমেই উজাড় হয়ে যাচ্ছে। দেশের জনসংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধিজনিত কারণে অনেক বনভূমি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। ফলে পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট হচ্ছে। এজন্য বৃক্ষরোপণের প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষ নানাভাবে বৃক্ষের ওপর নির্ভশীল। বৃক্ষ অক্রিজেন দিয়ে আমাদের জীবন রক্ষা করে। বৃক্ষের কাঠ আমাদেও একটি বড় ধরনের আয়ের উৎস। গৃহনির্মাণ, নিত্যপ্রয়োজনীয় আসবাবপত্র তৈরি থেকে শুরু করে বৃক্ষ মানবজীবনে কত প্রয়োজন মেটায় তা বলে শেষ করা যাবে না। বৃক্ষের অভাবে অনাবৃষ্টি দেখা দেয়, দেখা দেয় নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের ভয়াবহতা। এজন্য ‘বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ পালন’ অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে। এ ধরনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বৃক্ষরোপণের ক্ষেত্রে আগহ সৃষ্টি হয় এবং মানুষের মধ্যে সচেতনতা আসে। এজন্য ‘বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ পালন’-এর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। প্রতিটি মানুষের প্রতিবছর কমপক্ষে একটি করে বৃক্ষরোপণ করা উচিত।

আজ আর না। সময় পেলেই আমাকে চিঠি লেখো। ভালো থেকো। তোমার পিতা-মাতাকে শ্রদ্ধা ও ছোট ভাই-বোনদেরকে স্নেহ জানাবে।তোমার সার্বিক মঙ্গল কামনা করি।

 

ইতি

তোমার প্রিয়,

মুমতারিন মালিহা 

 

  প্রেরক,

   মুমতারিন মালিহা

   গ্রা:+পো: ডহড়পাড়া

   উপজেলা: উজিরপুর

   জেলা: বরিশাল।  ডাক টিকিট

ডাক টকিটি

 প্রাপক,                                

মামুন হোসেন

গ্রাম+পো: ধামসর,

উপজেলা: উজিরপুর           

জেলা: বরিশাল।

# তোমার দেখা একটি বিজ্ঞান মেলার বর্ণনা করে প্রবাসী বন্ধুর কাছে একখানা চিঠি লেখ।

 

১২ জুলাই, ২০১৮ খ্রি.

উজিরপুর, বরিশাল।


প্রিয় মামুন,

প্রথমে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা নিও। গতকাল তোমার যে চিঠিখানা পেয়েছি তার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ।গতকাল তোমার চিঠি পেয়ে জানতে পারলাম তুমি ভালো আছ। আমিও তোমাদের দোয়ায় ভালো আছি।তোমাকে একটি আনন্দের খবর দেয়ার জন্য মনটা খুব উৎসুক ছিল। এটাই বড় কথা যে, শেষ পর্যন্ত তোমাকে লিখতে পারছি।

গত ২৫ মে, ২০১৮ তারিখে আমাদের বিদ্যালয় মাঠে বিজ্ঞান মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এ দিনটি আমার কাছে একটি আনন্দ ও গৌরবের দিন। দিনটি আমার জীবনে স্মৃতি হয়ে থাকবে। আমরা এ আনন্দঘন দিনটির একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ তোমার কাছে তুলে ধরছি।

বিজ্ঞান মেলার শোভাবর্ধনের জন্য স্কুল মাঠটি নান রকম সাজে সজ্জিত করা হয়েছিল। স্কুলের প্রবেশ দ্বারটি নানা রকম ফুল দিয়ে খুবই সুন্দরভাবে সাজানো হয়। সকাল দশটা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত ঐ অনুষ্ঠান চলছিল। নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী বিভিন্ন স্কুলের প্রতিযোগীগণ তাদের তৈরি প্রদর্শনী নিয়ে নিজ নিজ স্টলে বসে পড়ে। আমাদের স্কুলও উক্ত মেলায় অংশগ্রহণ করেছিল। আমরা সরু তারদিয়ে টিলিফোন বানিয়েছিলাম এবং ইঁদুর মারার কল বানিয়েছিলাম। দুটো প্রদর্শনী সবার কাছে সমাদৃত হয়েছিল। এছাড়া দর্শকবৃন্দ অত্যন্ত আগ্রহের সাথে প্রত্যেকটি স্টল ঘুরে দেখেন। বিজ্ঞানের কৃতিত্ব দেখে আনন্দ লাভ করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এপিএসসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলৗ এএমএম সাজ্জাদুর রহমান। তিনি সবগুলো স্টল ঘুরে দেখেন এবং আমাদেরকে উৎসাহিত করেন। মেলা শেষে ফলাফল ঘোষণা করেন আমাদের প্রধান শিক্ষক মহোদয়। আমাদের টিলিফোন যন্ত্রটি ২য় হয়ে ৫০০০ হাজার টাকার সম্মান বয়ে আনে।

আজ আর না। সময় পেলেই আমাকে চিঠি লেখো। ভালো থেকো। তোমার পিতা-মাতাকে শ্রদ্ধা ও ছোট ভাই-বোনদেরকে স্নেহ জানাবে।

 

ইতি

তোমার প্রিয়,

মুমতারিন মালিহা

BY AIR MAIL

 

FROM,

MUMTARIN SHAMIHA

VILL+PO : DHAHARPARA

UJIRPUR, BARISHAL

STAMP

TO,

MAMUN

BOX NO: 5428

USA

#  ছাত্রজীবনে শিক্ষামূলক সফরের গুরুত্ব বর্ণনা করে বন্ধুর কাছে একখানা চিঠি লেখ।

 

১২ জুলাই, ২০১৮ খ্রি.

উজিরপুর, বরিশাল।


প্রিয় মামুন,

প্রথমে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা নিও। গতকাল তোমার যে চিঠিখানা পেয়েছি তার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ।গতকাল তোমার চিঠি পেয়ে জানতে পারলাম তুমি ভালো আছ। আমিও তোমাদের দোয়ায় ভালো আছি।

আজ আমি তোমাকে আমার জীবনের একটি চমৎকার অভিজ্ঞতার কথা বলছি। একথা তোমার অজানা নয় যে, ছাত্রজীবন শিক্ষা লাভের সময়। তবে এ শিক্ষা লাভ শুধু পাঠ্যপুস্তকগত নয়। এর বাইরেও অনেক কিছু জানার আছে। কবি বলেছেন, “গ্রন্থগত বিদ্যা আর পরহস্তে ধন, নহে বিদ্যা নহে ধন হলে প্রয়োজন।” এজন্য ছাত্রজীবনে শিক্ষামূলক ভ্রমণ খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটি আমাদের ধরা-বাঁধা একগুঁয়ে ঝীবনকে একটি নতুন মাত্রা দান করে শিক্ষামূলক ভ্রমণের মাধ্যমে আমরা বিাভন্ন ঐতিহাসিক স্থান অথবা কােনো  প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত স্থান ঘুরে দেখার সুযোগ পাই। এসব স্থান সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য ও তত্ত্ব জানতে পারি। এ ভ্রমণ আমাদেও জ্ঞানের ভাণ্ডারকে আরও সম্প্রসারিত করে। আমরা বাইরের জগৎ সম্পর্কে প্রায়োগিক জ্ঞান অর্জন করতে পারি। এটা আমাদের জ্ঞান-পিপাসা মেটাতে সহায়তা করে। সেই সঙ্গে ভূগোলের জ্ঞানলাভসহ দেশের ভূপ্রকৃতি, সম্পদ, মানুষ ও জীবনযাপন প্রণালির ছবি কত সহজে দেখা যায়। বইয়ের পাতায় তা কোনোদিন খুঁজে পাওয়া যায় না। আর ভ্রমণে আছে দেশ এবং তার মানুষকে জানার সুযোগ। তাই ছাত্রজীবনে শিক্ষামূলক ভ্রমণের উপকারিতা অনস্বীকার্য।

আজ আর না। সময় পেলেই আমাকে চিঠি লেখো। ভালো থেকো। তোমার পিতা-মাতাকে শ্রদ্ধা ও ছোট ভাই-বোনদেরকে স্নেহ জানাবে।

 

ইতি

তোমার প্রিয়,

মুমতারিন মালিহা

 

প্রেরক,

মুমতারিন মালিহা

গ্রা:+পো: ডহড়পাড়া

উপজেলা: উজিরপুর

জেলা: বরিশাল।  

ডাক টকিটি


প্রাপক,
                               

মামুন হোসেন

গ্রাম+পো: ধামসর,

উপজেলা: উজিরপুর           

জেলা: বরিশাল।    

 #  একটি বই মেলার বর্ণনা দিয়ে তোমার প্রবাসী বন্ধুর কাছে একটি পত্র লেখ।


১২ জুলাই, ২০১৮খ্রি.

উজিরপুর, বরিশাল।


প্রিয় মামুন,

প্রথমে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা নিও। গতকাল তোমার যে চিঠিখানা পেয়েছি তার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ।গতকাল তোমার চিঠি পেয়ে জানতে পারলাম তুমি ভালো আছ। আমিও তোমার দোয়ায় ভালো আছি।

আনন্দের ভাষায় অনুভূতি ব্যক্ত করতে না পারলেও এবারের একুশে বইমেলায় আমার যে অনুভূতি তো তোমাকে না জানালে যে আমি স্বস্তি পা”িছ না। প্রতিবছর মতো যথারীতি ১ ফেব্রুয়ারি বিকালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনী ভাষণের মাধ্যমে মেলার কার্যক্রম শুরু হয়েছে এক ঝাঁক সাদা কবুতর উড়িয়ে তিনি বইমেলার উদ্বোধন করলেন।

উদ্বোধন শেষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রধান প্রধান কিছু স্টল ঘুরে দেখলেন। প্রথম দিনে মেলা তেমন জমে ওঠে নি। দ্বিতীয় দিন থেকে মেলায় প্রচুর লোক আসতে থাকে। এবারের মেলায় প্রায় সাড়ে তিনশ স্টল ছিল। প্রত্যেকই কিছু কিছু নতুন বহিঃপ্রকাশ করেছে। শিশু ও কিশোরদের বই ও সিডির কয়েকটি স্টল ছিল। সব স্টলেই মোটামুটি বিক্রি হয়েছে।

প্রতি বছরের মতো এবারও বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ মেলা চত্বরে বিকালে বাংলা সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ভাষাভিত্তিক আলোচনা অনুষ্ঠান এবং সন্ধায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন রেখেছিল। মেলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল খুবই সুশৃঙ্খল। র‌্যাব সমস্যদের তৎপরতা ছিল প্রষংসনীয়। তবে গেটে লাইন ধওে লোক প্রবেশের ফলে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অনেক সময় লেগেছে মেলার ভিতরে ঢুকতে। অনেকে ধৈর্য হারিয়ে ফিরে গেছে। তারপরেও বলা যায়, সার্বিকভাবে এবারের একুশে বইমেলা বেশ প্রাণবন্ত ও উৎসবমুখর হয়ে উঠেছিল লেখক, পাঠক, দর্শকের সমাগম। প্রতিদিন নতুন বাই এসেছে মেলায়। প্রতিদিনই কোনো না কোনো টিভি চ্যানেল থেকে সংবাদ প্রতিনিধি এসেছে। মেলার অনেক স্টল ঘুরে আমি বেশকিছু নতুন বই কিনেছি। তোমার জন্যও একটা নতুন বই কিনেছি। একরাশ আনন্দ নিয়ে চলে এসেছি বাসায।

আজ আর না। সময় পেলেই আমাকে চিঠি লেখো। ভালো থেকো।

 

ইতি

তোমার প্রিয়

 

BY AIR MAIL

 

FROM,

MUMTARIN SHAMIHA

VILL+PO : DHAHARPARA

UJIRPUR, BARISHAL

STAMP

TO,

MAMUN

BOX NO: 5428

USA.

# এস এস সি পরীক্ষার পর অবসর সময় কীভাবে কাটাবে তা জানিয়ে বন্ধুর নিকট পত্র লেখ।


২২. ১০. ২০১৭

উজিরপুর, বরিশাল।


প্রিয় মামুন,

প্রথমে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা নিও। গতকাল তোমার যে চিঠিখানা পেয়েছি তার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ।গতকাল তোমার চিঠি পেয়ে জানতে পারলাম তুমি ভালো আছ। আমিও তোমার দোয়ায় ভালো আছি।

এস এস সি পরীক্ষার পর আমি কীভাবে সময় কাটাব তা তুমি জানতে চেয়েছ। সে বিষয়ে আমি তোমাকে সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিচ্ছি। আগামী মাসে আমাদের পরীক্ষা শেষ হবে। পরীক্ষা শেষে আমি থাকব সম্পূর্ণ মুক্ত। আমার চাচা থাকেন চাঁদপুর। তিনি আমাকে সেখানে গিয়ে কিছুদিন কাটানোর জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তাদের বাড়ির পাশে আছে একটি নদী। আমরা সারাদিন ঐ নদীতে মাছ ধরব, সাঁতার কাটব। সাঁতার কাটা আমার পছন্দের খেলাগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি। এই খেলার জন্য অনেক পুরস্কারও পেয়েছি আমি। তারপর বিকেল বেলায় ঘুরে বেড়াব মেঘনা নদীর তীরে। নদীর প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করে আমি আনন্দ লাভ করব। এরপর আমি আমার গ্রামের বাড়ি চলে যাব এবং পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পূর্ব পর্যন্ত থাকব।

আমি ভালই আছি। তুমি কীভাবে তোমার পরীক্ষার পর সময় কাটাতে চাও তা অনুগ্রহ করে জানাবে। তোমার পিতা-মাতাকে শ্রদ্ধা ও ছোট ভাই-বোনদেরকে স্নেহ জানাবে।

 

ইতি

তোমার প্রিয়,

মোহায়মিন

 

 

 প্রেরক,

 মো:মোহায়মিন

 গ্রা:+পো: ডহড়পাড়া

 উপজেলা: উজিরপুর

 জেলা: বরিশাল।       

ডাক টকিটি

প্রাপক,                               

মামুন হোসেন

গ্রাম+পো: ধামসর,

উপজেলা: উজিরপুর           

জেলা: বরিশাল।    

# তোমার জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার প্রস্তুতি জানিয়ে পিতা/ মাতার নিকট পত্র লেখ।


২২. ১০. ২০১৮

উজিরপুর, বরিশাল।


শ্রদ্ধেয় বাবা,

প্রথমে আমার সালাম রইল। গতকাল তোমার চিঠি পেয়ে জানতে পারলাম তুমি ভালো আছ। আমিও তোমার দোয়ায় ভালো আছি।

আমার জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছ। আমার পরীক্ষা প্রায় সমাগত। পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া প্রায় শেষ। তবুও পরীক্ষা যত কাছে আসছে পরীক্ষাভীতি ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ের পাঠ চুড়ান্ত হয়ে গেছে। বিজ্ঞানসহ অন্যান্য বিষয়ের প্রস্তুতিও প্রায় শেষ। গণিতের প্রস্তুতিও সমাধা হয়েছে, তবে পুরো নম্ভর পাওয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণও যথেষ্ট সাহায্য-সহযোগিতা করছেন। এবার আল্লাহর রহমত ও তোমাদের আর্শীবাদই সহায়ক। তবে আমি বিশ্বাস করি পরীক্ষায় আমি ভালো ফলাফল করতে পারব।

বিশেষ আর কী লিখব। মার কাছে আমার সালাম জানাবে। আমার জন্য দোয়া করিও। আমি যাতে সুস্থ ও ভালোমনে পরীক্ষা দিতে পারি।


ইতি

আপনার আদরের

মুনিরা।

 

 

প্রেরক,

মো: মুনিরা

গ্রা:+পো: ডহড়পাড়া

উপজেলা: উজিরপুর

জেলা: বরিশাল।

ডাক টকিটি

 প্রাপক,       

মামুন হোসেন

গ্রাম+পো: ধামসর,

উপজেলা: উজিরপুর         

জেলা: বরিশাল।    

 #  জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার পর অবসর সময় কীভাবে কাটাবে তা জানিয়ে বন্ধুর নিকট পত্র লেখ।


২২. ১০. ২০১৮

উজিরপুর, বরিশাল।


প্রিয় মামুন,

প্রথমে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা নিও। গতকাল তোমার যে চিঠিখানা পেয়েছি তার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ।গতকাল তোমার চিঠি পেয়ে জানতে পারলাম তুমি ভালো আছ। আমিও তোমার দোয়ায় ভালো আছি।

জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার পর আমি কীভাবে সময় কাটাব তা তুমি জানতে চেয়েছ। সে বিষয়ে আমি তোমাকে সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিচ্ছি। আগামী মাসে আমাদের পরীক্ষা শেষ হবে। পরীক্ষা শেষে আমি থাকব সম্পূর্ণ মুক্ত। আমার চাচা থাকেন চাঁদপুর। তিনি আমাকে সেখানে গিয়ে কিছুদিন কাটানোর জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তাদের বাড়ির পাশে আছে একটি নদী। আমরা সারাদিন ঐ নদীতে মাছ ধরব, সাঁতার কাটব। সাঁতার কাটা আমার পছন্দের খেলাগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি। এই খেলার জন্য অনেক পুরস্কারও পেয়েছি আমি। তারপর বিকেল বেলায় ঘুরে বেড়াব মেঘনা নদীর তীরে। নদীর প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করে আমি আনন্দ লাভ করব। এরপর আমি আমার গ্রামের বাড়ি চলে যাব এবং পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পূর্ব পর্যন্ত থাকব।

আমি ভালই আছি। তুমি কীভাবে তোমার পরীক্ষার পর সময় কাটাতে চাও তা অনুগ্রহ করে জানাবে। তোমার পিতা-মাতাকে শ্রদ্ধা ও ছোট ভাই-বোনদেরকে স্নেহ জানাবে।


ইতি

তোমার প্রিয়,

মোহায়মিন


প্রেরক,

মো:মোহায়মিন

গ্রা:+পো: ডহড়পাড়া

উপজেলা: উজিরপুর

জেলা: বরিশাল।     

ডাক টকিটি

 প্রাপক,                               

মামুন হোসেন

গ্রাম+পো: ধামসর,

উপজেলা: উজিরপুর           

জেলা: বরিশাল।    

#  তোমার কোনো বন্ধুর মাতৃবিয়োগে তাকে সান্ত্বনা দিয়ে একখানা চিঠি লেখ।

 

তাং ১২/০৬/২০১৮

উজিরপুর, বরিশাল।


প্রিয় মামুন,

আমার আন্তরিক সমবেদনা আর শুভকামনা তোমাকে। অনেক দিন ধরে ভাবছিলাম তোমাকে চিঠি লিখবো। চিঠি লেখার আগেই তোমার চিঠি পড়ে মনটা খারাপ হয়ে গেল।

তোমার চিঠি পড়ে জানতে পেলাম তোমার পরম স্নেহময় মা পৃথিবীতে আর বেঁচে নেই। কথাটা নির্মম হলেও আমাকে বিশ্বাস করতে হল। পৃথিবীতে কেউ স্থায়ী হয় না। সবাইকেই প্রকৃতির অমোঘ নির্দেশে চলে যেতে হয়। কিন্তু কখনো ধারনাই করতে পারি নি যে, তাঁর মত এমন হাসি-খুশি, প্রাণবন্ত সুস্থ মানুষটি হঠাৎ এভাবে সবাইকে শোক-সাগরে ভাসিয়ে দিয়ে চিরতরে চলে যাবেন। তাঁর মত জ্ঞানগর্ভ শিক্ষিকা এবং নিবেদিতপ্রাণের মৃত্যুতে আমাদের তথা সমাজের অপূরণীয় ক্ষতি হলো। তোমার মায়ের মত আদর্শ মানুষ আজকাল সমাজে বিরল। তাই তুমি তোমার মায়ের মৃত্যুতে যে বিয়োগ যন্ত্রণা ভোগ করছ তা শুধু তোমার একার নয়। তাঁর সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যারা যুক্ত ছিল এ বেদনা তাদের সবার। অসহ্য বেদনার মধ্যেও তোমাকে শক্ত হতে হবে, ভেঙ্গে পড়লে চলবে না। তাঁর আদর্শকে সমুন্নত রাখার দায়িত্ব এখন তোমার। মহান সৃষ্টিকর্তা তোমার মাকে জান্নাতবাসী করুন এবং তোমার মনের শত দুঃখ-বেদনার অবসান করুন।

তোমার বাবাকে আমার সালাম এবং ছোট বাই-বোনদেরকে অকুণ্ঠ শুভাশীষ দিও। আল্লাহ তোমাদের সবাইকে ধৈর্য ধারণের শক্তি দিন-এ প্রার্থনা আমার।


ইতি

তোমার প্রীতিধন্য

মো: মোহায়মিন 

 

প্রেরক,

মো:মোহায়মিন

গ্রা:+পো: ডহড়পাড়া

উপজেলা: উজিরপুর

জেলা: বরিশাল।     

ডাক টকিটি

প্রাপক,                                

মামুন হোসেন

গ্রাম+পো: ধামসর,

উপজেলা: উজিরপুর           

জেলা: বরিশাল।    

 #  কম্পিউটার শিক্ষার গুরুত্ব বর্ণনা করে তোমার ছোট বোন বনানীকে একটি চিঠি লেখ।

অথবা, তোমার নাম মালিহা। তোমার বোন সামিহা ঢাকায় থাকে। কম্পিউটার শিক্ষার গুরুত্ব বর্ণনা করে তোমার ছোট বোন বনানীকে একটি চিঠি লেখ।


২২. ১০. ২০১৮

উজিরপুর, বরিশাল।


প্রিয় সামিহা,

প্রথমে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা নিও। গতকাল তোমার যে চিঠিখানা পেয়েছি তার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ।গতকাল তোমার চিঠি পেয়ে জানতে পারলাম তুমি ভালো আছ।আমিও তোমার দোয়ায় ভালো আছি।তোমার চিঠিতে জানতে পারলাম যে, পড়াশুনার পাশাপাশি তুমি কম্পিউটার শিখছ।

বাবা আমাকে একটি কম্পিউটার কিনে দিয়েছেন। বর্তমান যুগ হচ্ছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগ। মানবকল্যাণে বিজ্ঞানের যেসব বিস্ময়কর অবদান রয়েছে তার মধ্যে কম্পিউটার অন্যতম। আসলে এটা যে কত বড় অবদান তা কম্পিউটার ব্যবহার করে বুঝতে পারলাম। আর এখন আমার মনে হ”েছ কম্পিউটর শিক্ষা আমাদের সবার জন্য জরুরি। কম্পিউটার জানা থাকলে তুমি সবকিছু সহজেই সমাধান করতে পারবে। এটি তথ্য গহণ, নির্দেশ পালন ও সংরক্ষণ করে অতি অল্প সময়ের মধ্যে অগণিত সমস্যার সমাধান দিতে পারে। এ ছাড়া ই-মেইলের মাধ্যমে বিশ্বেও যেকোনো সময়ে চিঠি পাঠানো সম্ভব।

তাই বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় কম্পিউটার শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। আমাদের প্রত্যেকেরও উচিৎ অন্যান্য বিষয়ের সাথে কম্পিউটার শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া। আগামী দিনের পৃথিবী হবে সম্পূর্ন রূপে কম্পিউটারের অধীন।

আজ আর না। ভালো থেকো। বাবা ও মাকে আমার সালাম জানিও।

ইতি

তোমার প্রিয়,

মালিহা

 

 

     প্রেরক,

মালিহা

গ্রা:+পো: ডহড়পাড়া

উপজেলা: উজিরপুর

জেলা: বরিশাল।         

ডাক টকিটি

 প্রাপক,                               

সামিহা

গ্রাম+পো: ধামসর,

উপজেলা: উজিরপুর           

জেলা: বরিশাল।    


 #  মনে করো, তোমার ছোট ভাই মুগ্ধ ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। ‘পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন ব্যক্তি তথা জাতির জন্য হুমকিস্বরূপ’ এই মর্মে একখানা চিঠি লেখ।

১২ জুলাই, ২০১৮ খ্রি.

উজিরপুর, বরিশাল।


প্রিয় মুগ্ধ,

আমার আন্তরিক সমবেদনা আর শুভকামনা তোমাকে। অনেক দিন ধরে ভাবছিলাম তোমাকে চিঠি লিখবো। চিঠি লেখার আগেই তোমার চিঠি পেলাম। তুমি ও বাড়ির সবাই ভালো আছ জেনে খুশি হলাম।

চিঠিতে জানতে পারলাম আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে তোমার পরীক্ষা শুরু হবে। তোমার পড়াশুনা নিশ্চয়ই ভালোভাবে চলছে? মনোযোগ দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলো পড়ো এবং বারবার লেখো। নিজের ভুলগুলো নিজেই সংশোধন কর। এতে তোমার হাতের লেখা যেমন সুন্দর হবে, তেমনি লেখায় বানান ভুলও কমে যাবে। ফলে পরীক্ষার খাতায় বেশি নস্বর পাবে।

আজকাল অনেক শিক্ষার্থীই ক্লাসে মনোযোগ দিয়ে শিক্ষকদের কথা শোনে না। বাড়িতেও ঠিকমত পড়ালেখা করে না। প্রতিদিনের পড়া ও বাড়ির কাজ নিয়মিত পড়ে না। নিয়মিত লেখার অনুশীলন করে না। তারা পরীক্ষার হলে গিয়ে নকল করে। কেউ কেউ নকল করে ভালোভাবে পাসও করে যায়। কিন্তু প্রকৃত শিক্ষা তাদের হয় না। ছাত্ররা দেশ ও জাতির আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। আগামীতে তারাই দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেবে। তাই পরিশ্রম ও সাধনার মাধ্যমে তাদের নিজেকে সব দিক দিয়ে উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে হবে। পরীক্ষায় নকল করা একটি সামাজিক ব্যাধি। এই ব্যাধি জাতিকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়। নকলের মতো অন্যায় ও দুর্নীতি বা পাপের ওপর ভিত্তি করে জীবনে কখনোই সাফল্য লাভ করা যায় না।

আশা করি, তুমি শিক্ষকদের উপদেশ মতো পড়াশুনার প্রতি গভীর মনংসংযোগ করবে। মানুষের মতো মানুষ হয়ে আমাদের পরিবার ও দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে। তোমার কৃতিত্ব ও গৌরব কামনা করি। ভালো থেকো। বাবা ও মাকে আমার সালাম জানিও।

 

ইতি

তোমার প্রীতিধন্য

মো: মোহায়মিন


 

প্রেরক,

মো:মোহায়মিন

গ্রা:+পো: ডহড়পাড়া

উপজেলা: উজিরপুর

জেলা: বরিশাল।  

ডাক টকিটি

প্রাপক,                                

মুগ্ধ

গ্রাম+পো: ধামসর,

উপজেলা: উজিরপুর           

জেলা: বরিশাল।    

 #  তোমার কোনো বন্ধুর মাতৃবিয়োগে তাকে সান্ত্বনা দিয়ে একখানা চিঠি লেখ।

অথবা, মনে করো, তোমার নাম দিপা/দীপন। তোমার বন্ধুর নাম আবির/কাবির। সে রাজশাহী থাকে।তোমার কোনো বন্ধুর মাতৃবিয়োগে তাকে সান্ত্বনা দিয়ে একখানা চিঠি লেখ।

১২ জুলাই, ২০১৮ খ্রি.

উজিরপুর, বরিশাল।


প্রিয় আবির/কাবির,

আমার আন্তরিক সমবেদনা আর শুভকামনা তোমাকে। অনেক দিন ধরে ভাবছিলাম তোমাকে চিঠি লিখবো। চিঠি লেখার আগেই তোমার চিঠি পড়ে মনটা খারাপ হয়ে গেল।

তোমার চিঠি পড়ে জানতে পেলাম তোমার পরম স্নেহময় মা পৃথিবীতে আর বেঁচে নেই। কথাটা নির্মম হলেও আমাকে বিশ্বাস করতে হল। পৃথিবীতে কেউ স্থায়ী হয় না। সবাইকেই প্রকৃতির অমোঘ নির্দেশে চলে যেতে হয়। কিন্তু কখনো ধারনাই করতে পারি নি যে, তাঁর মত এমন হাসি-খুশি, প্রাণবন্ত সুস্থ মানুষটি হঠাৎ এভাবে সবাইকে শোক-সাগরে ভাসিয়ে দিয়ে চিরতরে চলে যাবেন। তাঁর মত জ্ঞানগর্ভ শিক্ষিকা এবং নিবেদিতপ্রাণের মৃত্যুতে আমাদের তথা সমাজের অপূরণীয় ক্ষতি হলো। তোমার মায়ের মত আদর্শ মানুষ আজকাল সমাজে বিরল। তাই তুমি তোমার মায়ের মৃত্যুতে যে বিয়োগ যন্ত্রণা ভোগ করছ তা শুধু তোমার একার নয়। তাঁর সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যারা যুক্ত ছিল এ বেদনা তাদের সবার। অসহ্য বেদনার মধ্যেও তোমাকে শক্ত হতে হবে, ভেঙ্গে পড়লে চলবে না। তাঁর আদর্শকে সমুন্নত রাখার দায়িত্ব এখন তোমার। মহান সৃষ্টিকর্তা তোমার মাকে জান্নাতবাসী করুন এবং তোমার মনের শত দুঃখ-বেদনার অবসান করুন।

তোমার বাবাকে আমার সালাম এবং ছোট বাই-বোনদেরকে অকুণ্ঠ শুভাশীষ দিও। আল্লাহ তোমাদের সবাইকে ধৈর্য ধারণের শক্তি দিন-এ প্রার্থনা আমার।


ইতি

তোমার প্রীতিধন্য

দিপা/দীপন

 

প্ররেক,

দীপন

গ্রা:+পো: ডহড়পাড়া

উপজলো: উজরিপুর

জলো: বরশিাল।    

ডাক টকিটি

প্রাপক,                               

মামুন হোসনে

গ্রাম+পো: ধামসর,

উপজলো: পঞ্চগাঁও       

জলো: রাজশাহী