# শিক্ষা জীবনের শেষ দিনের অবস্থা জানিয়ে বন্ধুকে পত্র লিখ।
মিরপুর, ঢাকা।
০৮ মে, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ
কেমন আছো? আশা করি ভালো আছো।আজ আমার মনটা ভালো নেই। দু-ঘণ্টা হল কলেজ থেকে ফিরেছি। তুমি তো জান আজ আমাদের কলেজ-জীবনের শেষ দিন, বিদায়ের দিন।বেদনায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে মন।তাই আমার মনে হল তোমার কাছে দু-কলম লিখতে পারলে আমার বেদনাহত হৃদয় কিছুটা হলেও শীতল হবে।
গতকালই আমাদের ফরম পূরণের শেষ দিন অতিবাহিত হয়েছে। আজ আমাদের বিদায়ের দিন। কলেজের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। আজ আর কারো মনে কোনো আনন্দ নেই, নেই কোনো চঞ্চলতা, সবার চোখে মুখে একটা বিষণ্নতার ছাপ। চারদিকে যেন বিদায়ের সকরূণ ঘণ্টা বাজছে, ঘণ্টাধ্বনির মতো সে ধ্বনি আকাশে-বাতাসে প্রতিফলিত হয়ে আমার হৃদয়কে ক্ষত-বিক্ষত করতে লাগল। মনে হল সবচেয়ে বেশি কষ্ট বোধহয় আমিই পাচ্ছি। আসলে এ কষ্ট এবং দুঃখ কাউকে বোঝানো কিংবা বলা যায় না বলেই এর তীব্রতা ও দহন এত বেশী। আমাদের সবাইকে ফুলের মালা পরিয়ে সূচনা হল বিদায়ের! প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্য দিয়ে অনেক বক্তব্য রেখে আমাদের প্রতি তাদের প্রত্যাশা ব্যক্ত করল। বিদায়ী ছাত্রদের পক্ষ থেকে আমি বক্তব্য রাখলাম। কিন্তু এতটাই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম যে বিদায়ের এই দিনে কিছু বলা আমার জন্যে ছিল একেবারেই অসম্ভব। দুচোখের জল বাধা মানল না। আমাদের সবার জন্য দোয়া চেয়ে আমার বক্তব্য শেষ করতে হল। তারপর সভাপতির ভাষণে বক্তব্য রাখলেন আমাদের পরম শ্রদ্ধাভাজন অধ্যক্ষ। তিনি আমাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করে চলার পথের পাথেয় সম্পর্কে নানা উপদেশ দিলেন। সবশেষে আমাদের সবাইকে উপহার হিসেবে একটি করে বই দেয়া হল। এরপর সঙ্গীতানুষ্ঠান। বিদায়ের গানে বেদনার সুর বেজে উঠতেই আমাদের কলেজ জীবনের শেষ দিনের মুহূর্তগুলো হৃদয়পটে ছবির মতো আটকে গেল। এ স্মৃতি কখনোই ভোলার নয়।
আজ আর নয়। আমার জন্যে
দোয়া করবে। বাসার সবার প্রতি স্নেহ ও সালাম রইল।
ইতি
নূসরাত
প্রেরক,
|
ঢাক টিকেট প্রাপক,
|