অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রের বহুনির্বাচনী পরীক্ষা, রচনামূলক অংশের সকল বিষয়, সৃজনশীল প্রশ্ন, শিক্ষা, সাহিত্য, কবিতা ও স্বাস্থ্যবিধি
চলমান কথা
Showing posts with label আমার কবিতা. Show all posts
Showing posts with label আমার কবিতা. Show all posts
Tuesday, August 25, 2020
Wednesday, July 1, 2020
আমার দেশের কৃষক
-মো: সবুজ হাওলাদার
১ মার্চ, রবিবার, ২০২০
আমার দেশে আছে যত কৃষক রাজে
অসাধ্য তারা করে সাধন দধীচি সাজে
তারা-ই মোদের অন্ন তুলে দেয় মুখে
তুচ্ছ তবু থাকে যেন তারা সদা সুখে।
করে না মোদের কেহ অন্নের সমাধান
আছে যত জ্ঞানী-গুণী আর পূণ্যবান।
রোদে পুরে, জলে ভিজে করে সারাদিন কাজ
তবু ঘোচে না তাদের কখনো কপালের ভাজ।
দুঃখ তাদের নিত্য সঙ্গী; সে চিরচেনা আপন
রোগ শোক আর ক্ষুধা-দারিদ্র্যের সাথে দিন যাপন।
ঘরেতে অভাব ঘোর অন্ধকার মহাকাল নিজের জীবন
অন্যের মুখে অন্ন তুলে দিতে করে না কাল ক্ষেপণ।
সবাইকে বাঁচাতে সকলের তরে বিপন্ন করে নিজ প্রাণ
আশা মনে খাসা কখনো যদি আসে শুভক্ষণ।
অন্ধকারের পর আলো আসে জানি
সকল পাপ তাপ ধুয়ে মুছে নিতে
সকলকে সুখের সাগরে ভাসিয়ে দিতে
তুমিই লড়াকু সেনা;
জানে না কোনো হার মানা।
জানে না কোনো হার মানা।
কৃষক দেশের আশার আলো
বাসতে হবে তাদের ভালো
বাসতে হবে তাদের ভালো
দীর্ঘ রাতের অবসান হবে;
আলোয় আলোয় ভরে রবে
আলোয় আলোয় ভরে রবে
সকলের এ আশা কৃষককে ভালোবাসা
মাটি কর্ষণ করে গহীন অন্ধকারে
জাগাতে হবে প্রাণের জাগরণ
ধরার বুকে শস্যের স্ফূরণ।
ঘরেতে অন্ন বস্ত্র নেই খাবার
ঘাটে মাঠে বাটে আছে যাবার
যেতে হবে ফসলের মাঠে
চাষ করতে জমি দিনে রাতে
সারাদিনের হাড়-ভাঙা খাটুনি
এক বেলা পেট ভরা খাবার জোটেনি।
চিন্তার খাঁজ মোছে না ভাঁজ
নেই কোনো জীবনে সুখের খবর
আসে না কখনো চাঁদের বাসর
নেই আয়োজন জীবন সাজাবার
তবুও অপেক্ষা আনন্দ আসরের।
তারাই কৃষক, তারাই মানুষ বাসতে হবে ভালো
নিত্য আমাদের জীবনে ছড়ায় যারা আলো।
জাতির পিতা
-মো: সবুজ হাওলাদার
২৫ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার, ২০২০
মুজিব তুমি মোদের জাতির পিতা
তাইতো তুমি সবার নেতা।
উনিশ শত বিশে মুজিব জন্ম নিলে বঙ্গদেশে
তোমার জন্ম না হলে হতো না স্বাধীন দেশ।
তুমি খোকা থেকে হলে নেতা
এনে দিলে বাঙালি জাতির স্বাধীনতা।
মুজিব তুমি মোদের জাতির পিতা
তাইতো তুমি সবার নেতা।
তোমার নামে দিকে দিকে
ছড়ায় আলো রাতে-দিনে চারদিকে।
সেই আলোতে ভাসাতে মানুষের প্রাণ
করলে বরণ জেল-জীবন জেনে মরণ।
শিশুকালে ফুটালে যে ফুল
তার রঙে রাঙাবে বলে
মানুষেরে আপন করে নিলে খেলার ছলে।
মানবতার বীজ করে বপন
সবারে করলে তুমি আপন।
ভাষা আন্দোলন, কিংবা অধিকার আদায়
রাখিতে পারে নি দাবায়ে তোমায়
তোমায় নিল জেলে বাংলা নিবে কেড়ে
অবশেষে কী দেখা গেল?
একুশ হলো চেতনা; জন্ম নিল জাতীয়তা
এক হলো জনতা; আনতে হবে স্বাধীনতা।
নির্বাচন কিংবা স্বৈরশাসন
পথ হারা জনতাকে দিলে তুমি নির্দেশন।
তোমার আলোয় আলোকিত হয়ে
দেশ থেকে কেটে গেল সকল দুঃশাসন।
বাষট্টির গণশিক্ষা আন্দোলন
বাঙালিকে করেছিল জাগরণ।
ছিষট্টির ছয় দফা রচনা করেছিল বাঙালির আশা।
জেগে উঠেছিল বীর বাঙালি
অস্ত্র হাতে নিল তুলি।
মুখরিত মিছিলে নগর, গ্রাম
চলছে সর্বদা দুর্বার সংগ্রাম।
ঊনসত্তরের গণ অভ্যুত্থান
সাধারণ জনতার মহা জাগরণ।
শাসকবর্গের ভীত কেঁপে ওঠে
হিমালয় হতে সমুদ্র তটে।
সাত মার্চের ভাষণ; বিশ্বকে তুমি করলে শাসন।
এ ভাষণ শুধু ভাষণ নয় কবির মর্ম ছেড়া ক্রন্দন
কেঁদে ওঠে বাঙালির মন
ঘোষণা করলে শাসকবর্গের মৃত্যু শমন।
কবি, তোমার ভাষণে
সমুদ্রের উত্তাল জোয়ার যেমন
তেমন উদ্বেলিত হয়েছে জনতার মন।
কামার, কুমার জেলে যত
নারী-পুরুষ, ছেলে বুড়ো
অস্ত্র হাতে তোমার কথায়
মোরা যুদ্ধ করি শত্রু যেথায়।
পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে
সেখান থেকে স্বাধীনতাকে আনতে।
যুদ্ধ করেছি মরণ পণ
রাখতে হবে তোমার মান
মৃত্রুকে তুচ্ছ করে হয়েছি আগুয়ান।
আকাশ বাতাস পাতাল ফেরে
এসেছে বিজয় মহা রণে
চিরকাল তোমায় রাখি যেন মনে।
মুজিব তুমি মোদের জাতির পিতা
তাইতো তুমি সবার নেতা।
Friday, June 26, 2020
জীবন
-মো: সবুজ হাওলাদার
২৫ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার, ২০২০
জীবন মানে ভাবতে জানা
জীবন মানে কাঁদতে জানা।
মানুষের সুখে-দঃখে, মিলে মিশে থাকা।
নিজের আলোয় আলোকিত কর জগৎ তোমার
ভালো হবে জানি বিশ্ব মাঝার।
তাতেই সুখ, আনন্দ অপার
ভবানন্দে আছে আলো আর কত কালো
তা লয়ে থাকতে হবে ভালো।
ভাই বন্ধু বল কে কার?
কর্ম না থাকিলে সব কিছু পার।
তোমার যা আছে ভালো তা দাও বিলিয়ে বিশ্ব মাঝে
তোমার স্মৃতি রবে জানা
থাকবে না তাতে কোনো মানা।
জীবন মানে হার না মানা।
হার জিতে কিছু নাহি যায় আসে না;
তবুও আমাদের করতে মানা
যা মিথ্যা জানা অজানা।
জীবন মানে হাসতে জানা।
পরের সুখে কাঁদতে মানা।
সবার দুঃখে হাত বাড়িয়ে
যাও সবার আগে এগিয়ে
দেখবে মানুষ আসছে কত
তোমার সুখে, দুঃখে যত।
মানবের তরে মানবের জন্ম
এ সত্য মানবে তোমার মর্ম
তোমার কর্মে শান্তি আসুক
ভব মাঝে মানুষ বাঁচুক।
জীবনের জয়গানে বদলে দিব সমাজটাকে
কাঁদবে না কেউ আমার পাশে
সবার জীবব উঠবে হেসে।
জীবন জানি একটি মাত্র
করতে হবে কর্ম নিত্য
আমার কর্ম আনবে বয়ে
সুখের খবর আর আনন্দ নিয়ে
মানবের সাথে থাকব জিয়ে।
জীবন মানে হাসি-কাঁন্না,
আনন্দ-বেদনা; এই নিয়ে বেঁচে থাকা।
সুখ সুখ করে কাঁদিস না মন।
দুঃখ রবে সারাটা জীবন।
অপরের সুখে সুখি হও তুমি
সবাই তোমায় দেবে চুমি।
আলো আঁধার থাকে পাশাপাশি
তাকেই আমরা ভালো বাসি।
তবে দুঃখ আর রবে না মনে
জীবন হবে সুখী সবার সনে।
জীবন মানে উদারতা
থাকতে হবে মানবতা
মানবের তরে মানব জনম সার
আপদে-বিপদে পাশে থাকতে পার।
পারি যেন স্মরণ করি
কেহ আমার পর নারি।
আমি তো চলে যাব; যেতই হবে
কিছু নাহি কেহ সঙ্গে নিবে,
থাকবে আমার কর্ম যত
ভালো কিংবা মন্দ কত,
মানবের মাঝে বেঁচে রবে
অনন্তকাল ধরে ভবে।
যা আছে কর্ম মম; তা গ্রহণ কর
মানুষের হৃদে ফুল ফুটে
হাসব আমি জগৎ পুটে
জীবন মানে বেঁচে থাকা।
মানব হৃদয়কোণে চিত্র আঁকা।
স্মরণে বিস্মরণে ভালো রাখা
থাকে যেন সবার স্বপ্নে মন্ত্রমাখা।
সবার তরে যেন পারি জীবন দিতে
মৃত্যুটাকে হাসি মুখে রবণ করে নিতে।
মহাকালের বীণায় আজি বাজে জানি
সকলকে আজ নিতে হবে মানি
আমি শুধু কেবল জানি
রাঁধার পরে খাওয়া আর খাওয়ার পরে রাঁধা
এই চক্রে আমাদের সকলের জীবন বাঁধা।
কত স্মৃতি
-মো: সবুজ হাওলাদার
১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০০১
ডহরপাড়া, বরিশাল।
ছোট বেলার যত কথা
মনে পড়ে আধা আধা
বাঁশ বাগানে ঘিরে থাকা
মোদের ছোট্ট কুঁড়ে ঘরে
কত হাসি আনন্দ বেদনা
আর মিলে মিশে থাকা।
কত গান কত স্মৃতি
মনের মধ্যে ধরে রাখি।
পুকুর পাড় আম বাগান
কত ফুল স্মৃতি মাখান।
পুবের হাওয়া বইত যখন
শাখায় শাখায় ফুটত তখন
কদম ফুলের বাহারি রূপ
ছড়িয়ে দিত কত অপরূপ।
প্রকৃতি তোমার রূপের বাহার চারদিকে
মনের মাঝে উঠে ডেকে
কত স্মৃতি সুখে-দুঃখে
গাছের ডালে পাখি ডাকে
দূর আকাশের মুক্তি পানে।
মুক্তি মনের না আসিলে
মানবেরে ভালো না বাসিলে
মানবের পাশে না থাকিলে
কেমন করে পাবিরে মন মিলতে
পরমাত্মার সনে মহা মিলনে।
গাছে ঘেরা পাঠশালা, বটতলা
কবে জানি কোন শুভক্ষণে
ভর্তি হলাম পাঠশালা কাননে।
মনে নেই কার সনে;
কবে কোন লগনে
জানতে গিয়েছিলাম অনেক অজানাকে
জেনেছি কত মনে আছে যত;
আলো অন্ধকারের বিচিত্র খেলা
রহস্য ঘেরা মন-দোলা আমার পৃথ্বী
আছে জানা অজানা যত কীর্তি।
পাঠশালা সে তো পাঠশালা নয়
যেন গাছে ঘেরা ঘর
নেই নেই আছে শুধু
গাছের ঘর আর কত মধু
ছায়া ঘেরা শ্যামল পাড়া
পাঠশালা মোরা গাছে মোড়া
আম জাম চালতা আর বেত ফল
খেতাম শুধু যা পেতাম।
ছেলের দল ছোট ছোট
বাগান বাড়ি ঘুরে বেড়াতাম
যখন যা খেতে পেতাম।
খেতাম আর মনে হত মধু আর মধু।
বাগানের ফল আমড়া আর আম
কাউকে-ই কখনো না চিনিতাম।
ছোট ছিলাম হয়তো তাই
কেউ কোনো দিন কটু; কথা বলে নাই
সালাম জানাই তোমায় কাকী
পেয়ারা নিতাম দিয়ে ফাকি।
কখনো জানি দাওনি গালি
আম পেরেছি ঢিলটি মারি।
আমার গুরু মহামতি আফসার;
দিত কত ভুল-ভ্রান্তি মাপ ছাড়।
বলতে যখন পড় বই,
মানুষ হতে হবে তাই।
অনেক বড় হবে জানি
তাই সেদিন তোমার কথা শুনি
পড়েছি কত আলোয় ভরা বই জানি
চলেছি জীবনের জয়গানে;
নতুন খবরেরিআহ্বানে
বড় হয়েছি, মানুষ হব বলে
সবার মাঝে আলো দেব মেলে।
মনে আশা কত ভালোবাসা
সবারে রাখিব সুখে এই সত্য মেনে
আলোর মশাল ছড়িয়ে দিতে
তোমার শিক্ষা নিয়েছি আপন মনে।
হয়ত পেরেছি বা পারিনি
তবু আশা কখনো ছাড়িনি।
জ্বালিয়ে রেখেছি মনের আলো
মানব যত বাসব ভালো
মানব মাঝে থাকি যেন বাঁচি
যত দিন এই পৃথিবীতে আছি।
এই নিয়ে সুখে বেঁচে থাকা খাসা
কত স্মৃতি আর কত আশা।
Wednesday, June 24, 2020
ভালো থেকো বাবা
-মো: সবুজ হাওলাদার
১২ ফেব্রুয়ারি, বুধবার, ২০২০
ভালো থেকো বাবা
বাবা কেমন জানি আছ?
মনের মাঝে চিরকাল বাঁচ
আকাশ পানে তাকাই দেখি
তারা সাথে আছ মাখি।
যেথায় যাই যেমন কাজে
তোমার কথা মনে বাজে।
ভালো থেকো বাবা
জান বাবা, ভাবতে অবাক লাগে
কেমন করে পাড়ি দিতে সাগর-সংসারে।
কাজ নেই, নেই কোনো আশা
তবুও মনের মধ্যে জাল বোনা।
দুঃখের সাথে নিত্য লড়াই
অভাবের সাথে জয় পরাজয়।
এই বুঝি বাচাঁ মরা
কতগুলো ভাই বোন মোরা
কান্না হাসিতে তবুও একসাথে থাকা।
সকাল দুপুর সন্ধ্যা রাতে
মাঠে ঘাটে হাটে বাটে
যেতে সারা বেলা
কাজের মাঝে সারা বেলা থাকত মঝে
তবুও মোদের সবার জন্য আনত কত মজা।
মোয়া মুড়কি আখ পাটালি
যখন যেটা কিনত হেথা
আনত বয়ে অনাবিল আনন্দ আর কত স্মৃতি।
পকেটে টাকা নেই বাজারে হাটুরী
চাল চিনি তেল নুন আর মাছ তরকারী।
বাবা তুমি হাটে আনতে জানি হবে
বাজার সদায় জামা কাপড় চুরি শাড়ি
কেমন করে নিয়ে আসে জানতে নারি।
ভালো থেকো বাবা
সূর্যি মামা ওঠার আগে যেতে বাবা মাঠে
কাঁদা মেখে সারা গায়ে আসত বাড়ি খেতে।
আবার তুমি যেতে গোয়ালে দোহন করতে দুধ
থালা ভরে খেতাম মোরা পেট ভরে ক্ষুধ।
মিষ্টি পিঠা গুড় পাটালি
বানাত মা আঁখি মেলি।
ডালা ভরা পিঠা পুলি
বাবা খেত পেটটা ফুলি।
ভালো থেকো বাবা
যেথায় আছ যেমন আছ
সদা তুমি প্রাণমাঝে আছ যেন রূপ সায়রে
আকাশ হতে দেখ বাবা নীল পরীরা উড়ে আকাশ ফেরে
তোমান পানে চেয়ে থাকি মন উচাটনে।
বাবা ভালো থেকো তুমি।
ভাবনা
-মো: সবুজ হাওলাদার
২১ অক্টোবর, সোমবার, ২০১৯
সামান্য তুমি, তবু তুচ্ছ নই
ভেবো না মানুষ হই।
সবার মাঝে মেধা আছে
লুকিয়ে তুমি খুঁজবে পাছে।
আকাশ পানে দেখব তবে
কিছু নাহি হারিয়ে যাবে।
মানুষ আছে মানুষ মাঝে
আমারেই পাবে তার সাজে।
জগৎ জুড়ে সৃষ্টি করে
স্রষ্টা সবার হৃদয় কোণে।
যে ভাবে যেমন যবে
মনমাঝি তেমন হবে।
ফুল ফল শুকনো পাতা
আছে পড়ে যথা তথা।
তারই মাঝে আছে সুর
বিরহ বেদনা মধুর সুর।
আছে সুন্দর; আনন্দ কত?
সাগর নদী ভবে যত।
যথা যাবে ভব মাঝে
তারে পাবে তেমন সাজে।
Subscribe to:
Posts (Atom)