চলমান কথা

গত ১১ মে, ২০২০ আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের অনলাইন পরীক্ষার শুভ উদ্বোধন করেন প্রকৌশলী এ এম এম সাজ্জাদুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এপিএসসিএল।

স্বপ্নের পদ্মা সেতু; স্বপ্ন হলো সত্যি। স্বপ্নের পদ্মা সেতুর সাথে স্বপ্ন যাবে বাড়ি।

Saturday, June 27, 2020

                            দুই বিঘা জমি

১। নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
দেশের উন্নয়ন অব্যাহত আছে। প্রতিবছর প্রৃবদ্ধিও হার বাড়ছে। উন্নয়ন হতে হবে কৃষকবান্ধব। সমাজকাঠামোর বৈষম্য বজায় রেখে উন্নয়ন অব্যাহত রাখলে প্রকৃত সুফল মিলবে না। সমাজকাঠামোর বিদ্যমান বৈষম্য কমিয়ে আনা এখন সাধারণ কৃষকের অধিকার প্রতিষ্ঠাই হোক উন্নয়নের মূলমন্ত্র। 

ক. ‘পারিষদ’ কারা?
খ. উপেন সন্ন্যাসী বেশে ঘুরে বেড়াতে লাগল কেন?
গ. উদ্দীপকের প্রতিফলিত মনোভাবে ‘দুই বিঘা জমি’ কবিতার যে দিকটি ফুটে উঠেছে, তা ব্যাখ্যা কর।     ঘ. “উদ্দীপকের সমাজ কাঠামো ‘দুই বিঘা জমি’ কবিতার বাবু সাহেব সৃষ্টির সহায়ক।”-মন্তব্যটির যথার্থতা মূল্যায়ন কর। 
     


২। নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।                                                                                              
 
নদীভাঙনে সর্বস্বান্ত মানুষ।


ক. এ জগতে কে বেশি চায়?
খ. উপেন কেন দুই বিঘা জমিকে ‘মরিবার মত ঠাঁই’ বলল?
গ. ‘দুই বিঘা জমি’ কবিতার কোন দিকটির সাথে উদ্দীপকের সাদৃশ্যপূর্ণ রয়েছে? বর্ণনা কর।  
ঘ. “সাদৃশ্য থাকলেও উদ্দীপক এবং ‘দুই বিঘা জমি’ কবিতার প্রেক্ষাপট এক নয়।’’-মন্তব্যটি যাচাই কর। 

৩। নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
পলাশপুর একটি আদর্শ গ্রাম। গ্রামের ধনবান সাবু মিয়ার বাড়ির পাশে বাস করে রিকশাচালক দবির মিয়া। দবিরের মেয়ের বিয়ের খরচ মেটাতে বসত ভিটা বিক্রি করতে সাবু মিয়ার কাছে যায়। সব কথা শুনে সাবু মিয়া বলেন, তোমার শেষ আশ্রয়টুকু হারানোর দরকার নেই। মেয়ের বিয়ের টাকা আমি দিব। এ কথা শুনে দবির মিয়ার চোখে জল আসে। 

ক. ‘দুই বিঘা জমি’ কবিতার উৎস কি?
খ. জমিদার উপেনের জমি নিতে চায় কেন?
গ. উদ্দীপকের সাবু মিয়ার মানসিকতার সাথে ‘দুই বিঘা জমি’ কবিতার জমিদারের মানসিকতার বৈসাদৃশ নির্ণয় কর।
ঘ. “জমিদার যদি সাবু মিয়ার মতো হতেন তবে ‘দুই বিঘা জমি’ কবিতার চিত্র ভিন্ন হতে পারতো”-বিশ্লেষণ কর।


সুখী মানুষ

১। নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
    অংশ-১: ‘ভাঙা কুঁড়েঘর, ছেঁড়া কাঁথা
               তবুও এখানে আমার শান্তি গাঁথা।
    অংশ-২: ‘যার নেই-তারে যদি দাও
               পাবে দ্বিগুণ ফিরে 
               নিজের শুধু ভাব যদি দুঃখ থাকবে ঘিরে।

ক. কবিরাজ কোন কঠিন কাজটি করতে বলেছিলেন?
খ. ‘মনের মধ্যে অশান্তি থাকলে ওষুধে কাজ হয় না’-কথাটি বুঝিয়ে বল।
গ. উদ্দীপকের অংশ-১ এ ‘সুখী মানুষ’ নাটিকার কোন চরিত্রের প্রতিফলন ঘটেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে অংশ-২ এ ‘সুখী মানুষ’ নাটিকার মোড়লের জন্য কতটা শিক্ষণীয় তা মূল্যায়ন কর।

২। নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
    স্তবক-১: আমি গেন জগতে হারিয়ে যেতে চাই, 
               যেথায় গভীর নিশুতে রাতে 
               জীর্ণ বেড়ার ঘরে 
               নির্ভাবনায় মানুষেরা ঘুমিয়ে থাকে ভাই।
    স্তবক-২: স্বার্থমগ্ন যেজন বিমুখ বৃহৎ জগৎ হতে, 
               সে কখনো শেখেনি বাঁচিতে।

ক. নাড়ী পরীক্ষা কী?
খ. ‘একটা কঠিন কাজ করতে হবে’-বুঝিয়ে লেখো।
গ. উদ্দীপকের স্তবক-১ এর ভাবনায় ‘সুখী মানুষ’ নাটিকার যে চরিত্রের মনোভাবের মিল রয়েছে তার বর্ণনা কর।
ঘ. “উদ্দীপকের স্তবক-২ এ মনোভাবে ‘সুখী মানুষ’ নাটিকার মোড়লের চরিত্রের প্রতিফলন ঘটেছে”-মন্তব্যটি মূল্যায়ন কর।

Friday, June 26, 2020

বাংলা কবিতার ছন্দ

# ছন্দ কাকে বলে? ছন্দ কত প্রকার ও কী কী? প্রত্যেক প্রকারের উদাহরণ সহ আলোচনা করা হল।

ছন্দ: কাব্যের রসঘন ও শ্রুতিমধুর বাক্যে সুশৃঙ্খল ধ্বনিবিন্যাসের ফলে যে সৌন্দর্য সৃষ্টি হয় তাকে ছন্দ বলে। (বাঙলা ছন্দ: জীবেন্দ্র সিংহরায়)

ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে, ‘বাক্যস্থিত পদগুলিকে যেভাবে সাজাইলে বাক্যটি শ্রুতিমধুর হয় ও তার মধ্যে ভাবগত, ধ্বনিগত সুষমা উপলব্ধ হয়, পদ সাজাইবার সেই পদ্ধতিকে ছন্দ বলে।

অর্থাৎ, কবি তার কবিতার ধ্বনিগুলোকে যে সুশৃঙ্খল বিন্যাসে বিন্যস্ত করে তাতে এক বিশেষ ধ্বনিসুষমা দান করেন, যার ফলে কবিতাটি পড়ার সময় পাঠক এক ধরনের ধ্বনিমাধুর্য উপভোগ করেন, ধ্বনির সেই সুশৃঙ্খল বিন্যাসকেই ছন্দ বলা হয়।

বাংলা ছন্দ মূলত ৩ প্রকার।

স্বরবৃত্ত ছন্দ: এ ছন্দটি ছড়ায় খুব বেশি ব্যবহৃত হয় বলে এটাকে ছড়ার ছন্দও বলা হয়। এতে সবসময় ৪ মাত্রার মূল পর্ব থাকে। বদ্ধস্বর ও মুক্তস্বর উভয়েই ১ মাত্রা হিসাবে গোনা হয়।

যে কবিতার মূল পর্ব সর্বদা ৪ মাত্রার হয়, তাকে স্বরবৃত্ত ছন্দ বলে। যেমন:
রাখাল ছেলে রাখাল ছেলে বারেক ফিরে চাও॥ ৪+৪+৪+২
বাঁকা গায়ের পথটি বেয়ে কোথায় চলে যাও?॥ ৪+৪+৪+২
–রাখাল ছেলে-জসীম উদদীন।

মাত্রাবৃত্ত ছন্দ: মূল পর্ব ৪, ৫, ৬ বা ৭ মাত্রার হয়। এই ছন্দে বদ্ধস্বর ২ মাত্রা এবং মুক্তস্বর ১ মাত্রা হিসাবে গণনা করা হয়। অর্থাৎ, অক্ষরের শেষে স্বরধ্বনি থাকলে ১ মাত্রা, আর অক্ষরের শেষে ব্যঞ্জনধ্বনি থাকলে, এমনকি ‘য়’ থাকলেও, ২ মাত্রা ধরা হয়।
যে কবিতার মূল পর্ব ৪, ৫, ৬ বা ৭ মাত্রার হয়, তাকে মাত্রাবৃত্ত ছন্দ বলে। যেমন:
এইখানে তোর দাদির কবর ডালিম-গাছের তলে ৬+৬+৬+২
তিরিশ বছর ভিজায়ে রেখেছি দুই নয়নের জলে ৬+৬+৬+২ –কবর-জসীমউদদীন।

অক্ষরবৃত্ত ছন্দ: মূল পর্ব ৮ বা ১০ মাত্রার হয়। মুক্তস্বর, অর্থাৎ, অক্ষরের শেষে স্বরধ্বনি থাকলে ১ মাত্রা ধরা হয়। অক্ষরের শেষে ব্যঞ্জন ধ্বনি আছে, এমন অক্ষর শব্দের শেষে থাকলে ২ মাত্রা, আর শব্দের শুরুতে বা মাঝে থাকলে ১ মাত্রা গোনা হয়। তবে দুই বর্ণ বিশিষ্ট কোনো শব্দ বদ্ধস্বর হলে তা দুই মাত্রা ধরা হবে।
যে কবিতার মূল পর্ব ৮ বা ১০ মাত্রার হয়, তাকে অক্ষরবৃত্ত ছন্দ বলে। যেমন:
সতত, হে নদ তুমি পড় মোর মনে   8+6
সতত তোমার কথা ভাবি এ বিরলে 8+6
কপোতাক্ষ নদ-মাইকেল মধুসূদন দত্ত।

বাংলা কবিতা

কবিতা বোঝার বিষয়টি নির্ভর করে শব্দার্থ, সঠিক উচ্চারণ, কবিতা আবৃত্তির খুঁটিনাটি বিষয় ও ভাষাজ্ঞানের ওপর। তাই কবিতা কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক নিয়ে এখানে আলোচনা করব যেন কবিতা সম্পর্কে একটা স্পষ্ট ধারণা তৈরি হয়।

ছন্দ: কাব্যের রসঘন ও শ্রুতিমধুর বাক্যে সুশৃঙ্খল ধ্বনিবিন্যাসের ফলে যে সৌন্দর্য সৃষ্টি হয় তাকে ছন্দ বলে। (বাঙলা ছন্দ: জীবেন্দ্র সিংহরায়)
 ছন্দ কাকে বলে?

ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে, ‘বাক্যস্থিত পদগুলিকে যেভাবে সাজাইলে বাক্যটি শ্রুতিমধুর হয় ও তার মধ্যে ভাবগত, ধ্বনিগত সুষমা উপলব্ধ হয়, পদ সাজাইবার সেই পদ্ধতিকে ছন্দ বলে।

অর্থাৎ, কবি তার কবিতার ধ্বনিগুলোকে যে সুশৃঙ্খল বিন্যাসে বিন্যস্ত করে তাতে এক বিশেষ ধ্বনিসুষমা দান করেন, যার ফলে কবিতাটি পড়ার সময় পাঠক এক ধরনের ধ্বনিমাধুর্য উপভোগ করেন, ধ্বনির সেই সুশৃঙ্খল বিন্যাসকেই ছন্দ বলা হয়।
  
অক্ষর: (বাগযন্ত্রের) স্বল্পতম প্রয়াসে বা এক ঝোঁকে শব্দের যে অংশটুকু উচ্চারিত হয়, তাকে অক্ষর বা দল বলে। এই অক্ষর অনেকটাই ইংরেজি Syllable-র মত। যেমন-

শর্বরী- শর, বো, রী- ৩ অক্ষর
চিরজীবী- চি, রো, জী, বী- ৪ অক্ষর
কুঞ্জ- কুন, জো- ২ অক্ষর

যতি বা ছন্দ-যতি: কোন বাক্য পড়ার সময় শ্বাসগ্রহণের সুবিধার জন্য নির্দিষ্ট সময়ে অন্তর অন্তর যে উচ্চারণ বিরতি নেয়া হয়, তাকে ছন্দ-যতি বা শ্বাস-যতি বলে।

যতি মূলত ২ প্রকার- হ্রস্ব যতি ও দীর্ঘ যতি। অল্পক্ষণ বিরতির জন্য সাধারণত বাক্য বা পদের মাঝখানে হ্রস্ব যতি দেওয়া হয়। আর বেশিক্ষণ বিরতির জন্য, সাধারণত বাক্য বা পদের শেষে দীর্ঘ যতি ব্যবহৃত হয়।
পর্ব: বাক্য বা পদের হ্রস্ব যতি হতে আরেক হ্রস্ব যতি পর্যন্ত অংশকে পর্ব বলে। যেমন:
একলা ছিলেমকয়োর ধারে নিমের ছায়া তলে

কলস নিয়েসবাই তখনপাড়ায় গেছে চলে ॥ --রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
প্রতি চরণে ৪ টি করে পর্ব আছে।

মাত্রা: একটি অক্ষর উচ্চারণে যে সময় প্রয়োজন হয়, তাকে মাত্রা বলে।

শ্বাষাঘাত: বাংলা কবিতা পাঠ করার সময় পর্বের প্রথম অক্ষরের উপর একটা আলাদা জোড় দিয়ে পড়তে হয়। এই অতিরিক্ত জোড় দিয়ে পাঠ বা আবৃত্তি করাকেই শ্বাসাঘাত বলে। যেমন:

আমরা আছি হাজার বছর ঘুমের ঘোরের গাঁয়ে
আমরা ভেসে বেড়াই স্রোতের শেওলা ঘেরা নায়ে॥--রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
চরণ: পূর্ণযতি দ্বারা আলাদা করা অংশকে চরণ বলে।
পদ: আর চরণের মধ্যযতি দিয়ে পৃথক করা অংশগুলোকে পদ বলে। যেমন:
তরুতলে আছিএকেলা পড়িয়া দলিত পত্রশয়নে
তোমাতে আমাতেরত ছিনু যবেকাননে কুসুমচয়নে॥--রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
স্তবক: কতগুলো চরণ মিলে একটি ভাব প্রকাশ পেলে তাকে স্তবক বলে

মিল: একাধিক পদ, পর্ব বা চরণের শেষে একই রকম ধ্বনি বা ধ্বনিগুচ্ছের ব্যবহারকে মিল বলে। পদের শেষের মিলকে অন্তমিল বলে। যেমন:
যত চাও তত লও তরণী-পরে
আর আছে-আর নাই, দিয়েছি ভরে ॥--রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ঝর্ণার গান

১. নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দা।

                                                       ঝর্ণার সৌন্দর্যের সীমা নেই।


ক. ঝর্ণা কার বোল সাধে?  
খ. ‘সুন্দরের তৃষ্ণা যার আমরা ধাই তার আশেই’-বুঝিয়ে বল।   
গ. ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার সঙ্গে উদ্দীপকের পার্থক্য দেখাও। 
ঘ. “উক্ত পার্থক্য থাকা সত্তে¡ও ঝরনার সৌন্দর্যই ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার মূল সুর।”-স্বীকার কর কি? তোমার মতের পক্ষে যুক্তি দেখাও।

২. নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দা।

ঝর্ণা, ঝর্ণা, সুন্দরী ঝর্ণা
তরলিত চন্দ্রিকা! চন্দন বর্ণা।
অঞ্চল সিঞ্চিত গৈরিকে স্বর্ণে
গিরি-মল্লিকা দোলে কুন্তলে কর্ণে
তনু ভরি ‘যৌবন’ তাপসী অপর্ণা।

ক. বিজন দেশে কী নেই?  
খ. ‘চকোর চায় চন্দ্রিমায়’-কথাটি বুঝিয়ে বল।   
গ. উদ্দীপক ও ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার আলোকে ঝরনার সৌন্দর্য ব্যাখ্যা কর। 
ঘ. উদ্দীপক ও ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার বক্তব্যকে কতটুকু ধারণ করে? যৌক্তিক বিশ্লেষণ কর।

৩. নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দা।

শুকুর মিয়া একজন কৃষক এবং এলাকায় লোককবি হিসেবে পরিচিত। তিনি কাজের অবসরে পুঁথি ও আঞ্চলিক গান রচনা করেন। সারাদিনের কাজ শেষে প্রতিদিন সন্ধ্যাবেলা তিনি বাড়ির আঙিনায়া বসে পুঁথি পাঠ করেন। তার এই আসরে অনেকের সমাগম ঘটে। কেবল দিতে তিনি নতনু নতুন গান ও পুঁথি লেখেন।

ক. ছন্দেও রাজা বলা হয় কাকে?  
খ. ঝর্ণা কীভাবে ছুটে চলে বর্ণনা কর?   
গ. উদ্দীপকের শুকুর মিয়ার কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার বেসাদৃশ্য কতটুকু? ব্যাখ্যা কর। 
ঘ. “মানুষকে আনন্দ দেওয়ার বেলায় নতুন সৃষ্টির ক্ষেত্রে উদ্দীপকের শুকুর মিয়া ও ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার ঝরনা যেন একে অন্যের পরিপূরক।”- বক্তব্যের যৌক্তিক বিশ্লেষণ কর।


জুতা-আবিষ্কার

১. নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দা।

মিস্ত্রি, কামার, শিল্প, দরজি এরা কি সত্যই নি¤œস্তরের লোক? অশিক্ষিত বলেই কি সভ্য সমাজে এদের স্থান নেই। যা বলে অবহেলা করছ তা কতখানি জ্ঞান, চিন্তা ও সাধনার ফল তা কি ভেবে দেখেছ?

ক. ‘জুতা-আবিষ্কার’ কবিতার চরণ সংখ্যা কত?  
খ. চামার-কুলপতিকে মন্ত্রী কেন সূলে চড়াতে চাইলেন?  
গ. উদ্দীপকটি ‘জুতা-আবিষ্কার’ কবিতার কোন দিকটির ইঙ্গিতবাহী? ব্যাখ্যা কর। 
ঘ. “উক্ত দিকটি ‘জুতা-আবিষ্কার’ কবিতার সমগ্র ভাবের প্রকাশক”-মন্তবটির সাথে তুমি একমত? তোমার মতের পক্ষে যুক্তি দেখাও।

২. নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দা।   

সামান্য তবু তবু তুচ্ছ নই 
ভেবো না মানুষ হই। 
সবার মাঝে মেধা আছে 
লুকিয়ে তুমি খুঁজবে পাছে। 
আকাশ পানে দেখব তবে 
কিছু নাহি হারিয়ে যাবে। 
মানুষ আছে মানুষ মাঝে 
আমারই পাবে তার সাজে।

ক. ‘মহী’ শব্দের অর্থ কী?
খ. রান্নাঘরে হাড়িচড়া বন্ধ হলো কেন? 
গ. উদ্দীপকের কবিতাংশের সাথে ‘জুতা আবিষ্কার’ কবিতার সাদৃশ্যগত দিকটি তুলে ধর।
ঘ. ‘সমাজের সাধারণ মানুষেরাই অনেক গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সমাধান করে’ -উদ্দীপক ও ‘জুতা আবিষ্কার’ কবিতার আলোকে -উক্তিটি বিশ্লেষণ কর। 

৩. নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দা।   

আছে যত কৃষক ভব মাঝে
অসাধ্য তারা করে সাধন দধীচি সাজে।
তারা-ই মোদের অন্ন তুলে দেয় মুখে
তুচ্ছ তবু থাকে যেন সদা সুখে।
করে না মোদের অন্নের সমাধান
আছে যত জ্ঞানী আর পূণ্যবান।

ক. ‘মহী’ শব্দের অর্থ কী?    
খ. রান্নাঘরে হাড়িচড়া বন্ধ হলো কেন?                                                                            
গ. উদ্দীপকের কবিতাংশের সাথে ‘জুতা আবিষ্কার’ কবিতার সাদৃশ্যগত দিকটি তুলে ধর।    
ঘ. ‘সমাজের সাধারণ মানুষেরাই অনেক গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সমাধান করে’ -উদ্দীপক ও ‘জুতা আবিষ্কার’ কবিতার আলোকে -উক্তিটি বিশ্লেষণ কর।   


      পল্লীসাহিত্য

১. নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দা।
i.  বিশ হাত করি ফাঁক,
     আম কাঁঠাল পুঁতে রাখ।
 ii. গাছগাছালি ঘন রোবে না,
     গাছ হবে তার ফল হবে না।

ক. মনসুর বয়াতি কে? 
খ. প্রবাদ-প্রবচন বলতে কী বোঝ? ব্যাখ্যা কর। 
গ. উদ্দীপকটিতে ‘পল্লীসাহিত্য’ প্রবন্ধের কোন দিকটির ইঙ্গিত রয়েছে? 
ঘ. “উদ্দীপকে ‘পল্লীসাহিত্য’ প্রবন্ধে প্রকাশিত পল্লীসাহিত্যের বিপুল সম্পদের একটি মাত্র বিষয় তুলে ধরেছে।”-বিশ্লেষণ কর। 
   
২. নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দা।
  র) আরশিতে মুখ দেখা 
 রর) এক গাছের ছাল 
      অন্য গাছে লাগে না। 
 ররর) এক পয়সা নেই থলিতে 
       লাফিয়ে বেড়ায় গলিতে।

ক. প্রতœতাত্তি¡ক অর্থ কী? 
খ. বাংলা সাহিত্যের নামে যে সাহিত্য চলছে তা কেমন সাহিত্য? 
গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘পল্লীসাহিত্য প্রবন্ধের কোন দিকটির সাদৃশ্য রয়েছে?     
ঘ. “উদ্দীপকটি ‘পল্লীসাহিত্য’ প্রবন্ধের সম্পূর্ণ ভাবকে ধারণ করে না।”-বিশ্লেষণ কর।

৩. নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দা। 
করিম সাহেব আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত। তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা উংরেজি, হিন্দি গান ও সিনেমার প্রতি আকৃষ্ট। তার ধারণা পাশ্চাত্য সাহিত্য-সংস্কৃতির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে না পারলে বেশি দূর আগানো যাবে না। অন্যদিকে তার বন্ধু সালাম সাহেব উচ্চ শিক্ষিত হওয়া সত্তে¡ও দেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি হৃদয়ে লালন করেন। পল্লিগীতি, ভাটিয়ালি, ভাওয়াইয়া, লালনগীতি তাঁর প্রিয় গান। ব্যক্তিগত লাইব্রেরিতে মৈয়মনসিংহ গীতিকা, পুঁথি ও রূপকথার গল্পসহ বাংলা ভাষায় বিভিন্ন বই সংগ্রহ করেছেন।

ক. প্রবাদ বাক্য কাকে বলে? 
খ. পল্লিসাহিত্যের সংক্ষরণ করা প্রয়োজন কেন?
গ. উদ্দীপকের করিম সাহেবের মানসিকতায় ‘পল্লীসাহিত্য’ কোন মনোভাবের প্রকাশ পেয়েছে? ব্যাখ্যা কর।     
ঘ. “সালাম সাহেবের মনোভাব যেন ‘পল্লীসাহিত্য’ প্রবন্ধের লেখকের চাওয়ারই প্রতিফলন।”-উক্তিটির যথার্থতা নিরূপণ কর।


আবার আসিব ফিরে

১। নিচের উদ্দীপকটি পড় ও প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
    বাংলার তরু বাংলার ফল
    বাংলার পুষ্প বাংলার কমল
    মাঠে ঘাটে পথে তটিনী সৈকতে 
    যে দেখে সে আপন হারা।

ক.  ‘আবার আসিব ফিরে’ কাবতাটি কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে?
খ.  কবি বাংলাদেশকে ‘নবান্নের দেশ’ বলেছেন কেন?
গ.  উদ্দীপকটি ‘আবার আসিব ফিরে’ কবিতাটির সঙ্গে যেদিক থেকে সাদৃশ্যপূর্ণ তা ব্যাখ্যা কর। 
ঘ.  সাদৃশ থাকলেও উদ্দীপকটিতে ‘আবার আসিব ফিরে’ কবিতার আকাঙ্খা প্রকাশ পায় নি।- বক্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।    

২। নিচের উদ্দীপকটি পড় ও প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
দৃশ্যকল্প-১: বিস্তৃত মাঠে পাকা ধান। কৃষকের মুখে ফসলের হাসি। ক‘দিন কৃষকের ঘরে আনন্দ উৎসব হবে। উৎসবে   
                   মেতে উঠবে বাংলার প্রতিটি ঘর। এ যেন চিরায়ত বাংলার অতি পরিচিত চেনা রূপ।
দৃশ্যকল্প-২:      গোধূলি লগনে জগদীশে স্মরে 
                   বিদায় লইব জনমের তরে 
                   লুকাইব আমি সন্ধ্যার আঁধারে 
                   বাংলা মায়ের ক্রোড়ে।  

ক. সুর্দশন কী?
খ. ‘বাংলার সবুজ করুণ ডাঙা’ বলতে কী বোজানো হয়েছে?
গ. দৃশ্যকল্প-১ এ সাথে ‘আবার আসিব ফিরে’ কবিতার কোন দিকটির সাদৃশ্য রয়েছে? ব্যাখ্যা কর। 
ঘ. দৃশ্যকল্প-২ এর মূলভাব এবং ‘আবার আসিব ফিরে’ কবিতার কবির মূলভাব অভিন্ন।-মন্তব্যটির যথার্থতা মূল্যায়ন কর।


অতিথির স্মৃতি

১। নিচের উদ্দীপকটি পড় ও প্রশ্নগুলোর উত্তর দা।
গফুরের প্রিয় গরু মহেশ। মহেশকে সে সন্তানের মত ভালবাসত, সে প্রায় সময় মহেশের সাথে কথা বলত। নিজে না খেয়ে মহেশকে খাওয়াত। মহেশ আজ বেঁচে নেই কিন্তু গফুর তাকে ভুলতে পারে নি।

ক. ভজন শুরু হয় কখন?
খ. মালি-বৌ অতিথিকে তাড়িয়ে দিত কেন?
গ. উদ্দীপকে ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের যে দিকটি বিদ্যমান তা ব্যাখ্যা কর?
ঘ. উদ্দীপকে‘অতিথির স্মৃতি’গল্পের খণ্ডিত চিত্র প্রকাশ পেয়েছে- ‘অতিথির স্মৃতি’গল্পের আলোকে বিশ্লেষণ কর।

২। নিচের উদ্দীপকটি পড় ও প্রশ্নগুলোর উত্তর দা।
রতন অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাস্তার পাশে কেটি গর্তে একটি বিড়ালছানাকে আটকে থাকতে দেখে রিকশাওয়ালার সাহায্যে সে বিড়ালটিকে উদ্ধার করে পরিষ্কার করে বাড়ি নিয়ে আসে। খুব অল্প সময়ে বিড়ালটি তাদেও পরিবারের একজন হয়ে ওঠে।

ক. বেরিবেরির আসামি কারা?
খ. দরিদ্র ঘরের মেয়েটিকে দেখে লেখকের দুঃখ হতো কেন? 
গ. রতনের মধ্যে ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের কোন দিকটি বিদ্যমান তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘জীবনের প্রতি ভালোবাসা মানবমনের এক পরম অনুভূতি’ উদ্দীপক ও ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের আলোকে উক্তিটির যথার্থতা বিশ্লেষণ কর।

৩। নিচের উদ্দীপকটি পড় ও প্রশ্নগুলোর উত্তর দা।
বাদল সাহেব ডায়াবেটিস রোগী। ডাক্তারের পরামর্শে প্রতিদিন বিকালে হাঁটতে বের হন। হাঁটতে গিয়ে দেখেন তার মত অনেকেই হাঁটতে বের হয়েছেন। যারা হাঁটতে বের হয়েছে তার মধ্যে বেশিরভাগই স্থ’ূলকায়। একটু হাঁটলেই হাপিয়ে যায়। তার পরেও প্রাণপণ চেষ্টা করে সবাই হাঁটে। একদিন বাদল সাহেব দেখতে পান একটি বিড়ালছানা অসুস্থ অবস্থায় রাস্তার পাশে পড়ে আছে। তিনি বিড়ালছানাটিকে বাড়িতে নিয়ে যান এবং যতœ করে সুস্থ করে তোলেন।

ক. কী দেখে লেখকের সত্যিকারের ভাবনা ঘুচে গেল? 
খ. লেখকের কেন বাড়ি যাওয়ার আগ্রহ খুঁজে পেল না?
গ. উদ্দীপকে উল্লেখিত রোকদের হাঁটার প্রাণপণ চেষ্টা ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের কোন দিকটিকে নির্দেশ করে?-ব্যাখ্যা কর।                                
ঘ. উদ্দীপকে বাদল সাহেবের প্রাণীর প্রতি মমত্ববোধে ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের লেখকের মমত্ববোধের পূর্ণাঙ্গ রূপ ফুটে উঠেছে কী? যথার্থতা বিশ্লেষণ কর।


 মানবধর্ম

 ১। নিচের উদ্দীপকটি পড় ও প্রশ্নগুলোর উত্তর দা।
     শুনহ মানুষ ভাই
     সবার উপরে মানুষ সত্য 
     তাহার উপরে নাই।

ক. লালন শাহ্ কী ধরনের কবি?
খ. কবি মানুষকে জাত-ধর্ম নিয়ে বাড়া বাড়ি করতে নিষেধ করেছেন?
গ. উদ্দীপকে ‘মানবধর্ম’ কবিতার যে দিকটি ফুটে উঠেছে, তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উদ্দীপকে ফুটে ওঠা দিকটিতে ‘মানবধর্ম’ কবিতার সম্পূর্ণ বিষয় প্রকাশ পায় নি।”-বিশ্লেষণ কর।

২।  নিচের উদ্দীপকটি পড় ও প্রশ্নগুলোর উত্তর দা।                                                                                         

মুসলিম

খ্রিস্টান
মানবধর্ম
হিন্দু

বৌদ্ধ

ক. জগৎজুড়ে লোকে কী নিয়ে গৌরব করে?    
খ. মানবধর্ম বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা কর। 
গ. উদ্দীপকটি ‘মানবধর্ম’ কবিতার ‘মানবধর্ম’ কবিতার সাথে কীভাবে সংগতিপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।  
ঘ. “উদ্দীপকে ‘মানবধর্ম’ কবিতার মূলভাব সম্পূর্ণরূপে ফুটে উঠেছে।” - মূল্যায়ন কর।  

৩। নিচের উদ্দীপকটি পড় ও প্রশ্নগুলোর উত্তর দা।
   দৃশ্যকল্প-১: গাহি সাম্যের গান-যেখানে আসিয়া এক হয়ে গেছে, সব কাধা-ব্যবধান
                 যেখানে মিশছে হিন্দু-বৌদ্ধ-মুসলিম-খ্রিশ্চান।
   দৃশ্যকল্প-২: নহে আশরাফ যার আছে শুধু বংশ পরিচয়
                 সেই আশরাফ জীবন যার পূর্ণ কর্মময়।

ক. লালন শাহ্ কার শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন?
খ. ‘যাওয়া কিংবা আসার বেলায়’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
গ. দৃশ্যকল্প-১ এর ভাবার্থ ‘মানবধর্ম’ কবিতার সাথে কীভাবে সংগতিপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. দৃশ্যকল্প-২ এর বিষয়বস্তু যেন কবির প্রত্যাশাকে পূরণ করেছে-বিশ্লেষণ কর।













১১ অক্টোবর, ২০১৯ বিছনাকান্দি, সিলেট


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান-২০০২, আমি ও আমার বন্ধুরা

ভবিষ্যৎ প্রজন্ম
বাসার ছাদে
খেলার মাঠে
জীবন

-মো: সবুজ হাওলাদার
২৫ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার, ২০২০


জীবন মানে ভাবতে জানা
জীবন মানে কাঁদতে জানা।
মানুষের সুখে-দঃখে, মিলে মিশে থাকা।
নিজের আলোয় আলোকিত কর জগৎ তোমার
ভালো হবে জানি বিশ্ব মাঝার।
তাতেই সুখ, আনন্দ অপার
ভবানন্দে আছে আলো আর কত কালো
তা লয়ে থাকতে হবে ভালো।

ভাই বন্ধু বল কে কার?
কর্ম না থাকিলে সব কিছু পার।
তোমার যা আছে ভালো তা দাও বিলিয়ে বিশ্ব মাঝে
তোমার স্মৃতি রবে জানা
থাকবে না তাতে কোনো মানা।
জীবন মানে হার না মানা।
হার জিতে কিছু নাহি যায় আসে না;
তবুও আমাদের করতে মানা 
যা মিথ্যা জানা অজানা।

জীবন মানে হাসতে জানা।
পরের সুখে কাঁদতে মানা।
সবার দুঃখে হাত বাড়িয়ে
যাও সবার আগে এগিয়ে
দেখবে মানুষ আসছে কত
তোমার সুখে, দুঃখে যত।
মানবের তরে মানবের জন্ম
এ সত্য মানবে তোমার মর্ম
তোমার কর্মে শান্তি আসুক 
ভব মাঝে মানুষ বাঁচুক।
জীবনের জয়গানে বদলে দিব সমাজটাকে
কাঁদবে না কেউ আমার পাশে 
সবার জীবব উঠবে হেসে।

জীবন জানি একটি মাত্র
করতে হবে কর্ম নিত্য
আমার কর্ম আনবে বয়ে
সুখের খবর আর আনন্দ নিয়ে
মানবের সাথে থাকব জিয়ে।
জীবন মানে হাসি-কাঁন্না, 
আনন্দ-বেদনা; এই নিয়ে বেঁচে থাকা।

সুখ সুখ করে কাঁদিস না মন।
দুঃখ রবে সারাটা জীবন।
অপরের সুখে সুখি হও তুমি
সবাই তোমায় দেবে চুমি।
আলো আঁধার থাকে পাশাপাশি
তাকেই আমরা ভালো বাসি।
তবে দুঃখ আর রবে না মনে
জীবন হবে সুখী সবার সনে। 

জীবন মানে উদারতা 
থাকতে হবে মানবতা
মানবের তরে মানব জনম সার
 আপদে-বিপদে পাশে থাকতে পার।
পারি যেন স্মরণ করি
কেহ আমার পর নারি।

আমি তো চলে যাব; যেতই হবে
কিছু নাহি কেহ সঙ্গে নিবে,
থাকবে আমার কর্ম যত 
ভালো কিংবা মন্দ কত,
মানবের মাঝে বেঁচে রবে
অনন্তকাল ধরে ভবে।
যা আছে কর্ম মম; তা গ্রহণ কর 
মানুষের হৃদে ফুল ফুটে 
হাসব আমি জগৎ পুটে  
জীবন মানে বেঁচে থাকা।
মানব হৃদয়কোণে চিত্র আঁকা।
স্মরণে বিস্মরণে ভালো রাখা
 থাকে যেন সবার স্বপ্নে মন্ত্রমাখা।
সবার তরে যেন পারি জীবন দিতে
মৃত্যুটাকে হাসি মুখে রবণ করে নিতে।


মহাকালের বীণায় আজি বাজে জানি
সকলকে আজ নিতে হবে মানি
আমি শুধু কেবল জানি
রাঁধার পরে খাওয়া আর খাওয়ার পরে রাঁধা
এই চক্রে আমাদের সকলের জীবন বাঁধা।


কত স্মৃতি

-মো: সবুজ হাওলাদার
১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০০১
ডহরপাড়া, বরিশাল।

ছোট বেলার যত কথা
মনে পড়ে আধা আধা
বাঁশ বাগানে ঘিরে থাকা
মোদের ছোট্ট কুঁড়ে ঘরে
কত হাসি আনন্দ বেদনা
আর মিলে মিশে থাকা।

কত গান কত স্মৃতি 
মনের মধ্যে ধরে রাখি।
পুকুর পাড় আম বাগান
কত ফুল স্মৃতি মাখান।

পুবের হাওয়া বইত যখন
শাখায় শাখায় ফুটত তখন
কদম ফুলের বাহারি রূপ
ছড়িয়ে দিত কত অপরূপ।
প্রকৃতি তোমার রূপের বাহার চারদিকে
মনের মাঝে উঠে ডেকে
কত স্মৃতি সুখে-দুঃখে
গাছের ডালে পাখি ডাকে
দূর আকাশের মুক্তি পানে।
মুক্তি মনের না আসিলে 
মানবেরে ভালো না বাসিলে
মানবের পাশে না থাকিলে 
কেমন করে পাবিরে মন মিলতে 
পরমাত্মার সনে মহা মিলনে।

গাছে ঘেরা পাঠশালা, বটতলা
কবে জানি কোন শুভক্ষণে
ভর্তি হলাম পাঠশালা কাননে।
মনে নেই কার সনে; 
কবে কোন লগনে
জানতে গিয়েছিলাম অনেক অজানাকে
জেনেছি কত মনে আছে যত; 
আলো অন্ধকারের বিচিত্র খেলা 
রহস্য ঘেরা মন-দোলা আমার পৃথ্বী 
আছে জানা অজানা যত কীর্তি। 

পাঠশালা সে তো পাঠশালা নয় 
যেন গাছে ঘেরা ঘর 
নেই নেই আছে শুধু
গাছের ঘর আর কত মধু
ছায়া ঘেরা শ্যামল পাড়া
পাঠশালা মোরা গাছে মোড়া
আম জাম চালতা আর বেত ফল
খেতাম শুধু যা পেতাম।
ছেলের দল ছোট ছোট
বাগান বাড়ি  ঘুরে বেড়াতাম
যখন যা খেতে পেতাম।
খেতাম আর মনে হত মধু আর মধু।
বাগানের ফল আমড়া আর আম
কাউকে-ই কখনো না চিনিতাম।
ছোট ছিলাম হয়তো তাই
কেউ কোনো দিন কটু; কথা বলে নাই
সালাম জানাই তোমায় কাকী
পেয়ারা নিতাম দিয়ে ফাকি।
কখনো জানি দাওনি গালি
আম পেরেছি ঢিলটি মারি।

আমার গুরু মহামতি আফসার; 
দিত কত ভুল-ভ্রান্তি মাপ ছাড়।
বলতে যখন পড় বই, 
মানুষ হতে হবে তাই। 
অনেক বড় হবে জানি
তাই সেদিন তোমার কথা শুনি 
পড়েছি কত আলোয় ভরা বই জানি 
চলেছি জীবনের জয়গানে; 
নতুন খবরেরিআহ্বানে 
বড় হয়েছি, মানুষ হব বলে
সবার মাঝে আলো দেব মেলে।
মনে আশা কত ভালোবাসা
সবারে রাখিব সুখে এই সত্য মেনে
আলোর মশাল ছড়িয়ে দিতে 
তোমার শিক্ষা নিয়েছি আপন মনে। 
হয়ত পেরেছি বা পারিনি 
তবু আশা কখনো ছাড়িনি।
জ্বালিয়ে রেখেছি মনের আলো 
মানব যত বাসব ভালো 
মানব মাঝে থাকি যেন বাঁচি 
যত দিন এই পৃথিবীতে আছি। 
এই নিয়ে সুখে বেঁচে থাকা খাসা
কত স্মৃতি আর কত আশা।

Wednesday, June 24, 2020

দ্বিতীয় শ্রেণির ১০.০৬.২০-০৮.০৭.২০ তারিখ পর্যন্ত পড়া ও বাড়ির কাজ

সম্মানিত অভিভাবক নিচের সময়সূচি অনুযায়ী আপনার সন্তানের পড়ালেখা নিজ দায়িত্বে পড়ানোর এবং বাসার খাতায় লেখানোর জন্য অনুরোধ করা হল।

        বি.দ্র. তারিখ অনুযায়ী বাড়ির কাজগুলো   স্কুল খুললে চেক করা হবে।
       বিষয় অনুযায়ী আলাদা আলাদা খাতায় তারিখের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে  লিখে রাখবে।



প্রথম শ্রেণির পাঠ্যসূচি
তারিখ
বিষয়
পাঠ্যাংশ
বাড়ির কাজের তারিখ
খাতায় লিখবে
10.06.20
বাংলা
বাক্য গঠন কর: ষাঁড়, রং, সবুজ, হলুদ, আষাঢ়, পায়রা, উৎসব, চাঁদ, সিংহ, শরৎ, ঝমঝম, তিমি, ঢাক, নদী, পুতুল
10.06.20
খাতায় লিখবে
12.06.20
ইংরেজি
২১-৩০ পৃ: প্রতিটি শব্দ এবং বাক্যগুলো ইংরেজি থেকে বাংলা ও বাংলা থেকে ইংরেজি করবে।
12.06.20
খাতায় লিখবে
14.06.20
গণিত
৫৪ পৃষ্ঠার অঙ্ক করবে 
14.06.20
খাতায় লিখবে
16.06.20
বাংলা
বাক্য গঠন কর:  ময়ূর, নূপুর, আকাশ, কৃষক, মৃগেল, বৈশাখ, বৈকাল, মাঝি, সৈকত, ঢোল, মৌচাক, নৌকা, দাদিমা, চশমা, মহানবী
16.06.20
খাতায় লিখবে
18.06.20
ইংরেজি
৩১-৪০ পৃ: প্রতিটি শব্দ এবং বাক্যগুলো ইংরেজি থেকে বাংলা ও বাংলা থেকে ইংরেজি করবে। 
18.06.20
 খাতায় লিখবে
20.06.20
গণিত
৬৫ পৃষ্ঠার ছোট থেকে বড় এবং বড় থেকে ছোট পড়বে
20.06.20
খাতায় লিখবে
২2.06.20
বাংলা
১. ধ্বনি কাকে বলে? ধ্বনি কত প্রকার ও কী কী?
২. স্বরধ্বনি ও ব্যঞ্জনধ্বনি কাকে বলে উদাহরণসহ লেখ।
২2.06.20
খাতায় লিখবে
24.06.20
ইংরেজি
১. বাক্য গঠন কর: Hen, Open, Close, Show, Window, Door, Book, Bag, Goat, Kite.
২. Word কাকে বলে?
৩. Syllable কাকে বলে?
24.06.20
খাতায় লিখবে
26.0৬.20
গণিত
৬৬-৬৭ পৃষ্ঠার অঙ্ক করবে
26.0৬.20
খাতায় লিখবে
28.০৬.20
বাংলা
১. বর্ণ কাকে বলে? উদাহরণসহ লেখ।
২. প্রথম সাময়িকের জন্য লিখে দেওয়া সবগুলো বিপরীত শব্দ।
 28.০৬.20
খাতায় লিখবে
30.০৬.20
ইংরেজি
১. বাক্য গঠন কর: Lamp, Draw, Moon, Take, Play, Ox, Crow, Pond, Tree, Plant
২. Vowel কাকে বলে? Vowel কয়টি ও কী কী
৩. Consonant কাকে বলে? Consonant কয়টি ও কী কী?
30.০৬.20
খাতায় লিখবে
02.07.20
গণিত
৬৮-৬৯ পৃষ্ঠার অঙ্ক করবে
02.07.20
খাতায় লিখবে
04.07.20
বাংলা
অনুচ্ছেদ: বিড়াল
04.07.20
খাতায় লিখবে
06.07.20
ইংরেজি
My Garden
06.07.20
খাতায় লিখবে
08.07.20
গণিত
৭০-৭১ পৃষ্ঠার অঙ্ক করবে
08.07.20
খাতায় লিখবে