চলমান কথা

গত ১১ মে, ২০২০ আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের অনলাইন পরীক্ষার শুভ উদ্বোধন করেন প্রকৌশলী এ এম এম সাজ্জাদুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এপিএসসিএল।

স্বপ্নের পদ্মা সেতু; স্বপ্ন হলো সত্যি। স্বপ্নের পদ্মা সেতুর সাথে স্বপ্ন যাবে বাড়ি।

Monday, August 9, 2021

 ১. নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দা।

 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ও ভাষা আন্দোলনে যারা জীবন দিয়েছেন তাঁরা এদেশের সূর্যসন্তান। জাতি আজীবন তাঁদের অবদানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে। তাঁরা মরেনি, মরবে না; তাঁরা চিরঞ্জীব, অমর।

ক. জেলে পাড়ার সব চেয়ে সাহসী লোকটার নাম কী? 
খ. ‘একটা নতুন পৃথিবী সৃষ্টি হতে চলেছে’বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?    
গ. উদ্দীপকটি ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’কবিতার কোন দিকটি মনে করিয়ে দেয়? ব্যাখ্যা কর।     
ঘ. “উদ্দীপক ও ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’কবিতা উভয়ের মূল সুর এক ও অভিন্ন”-উক্তিটি বিশ্লেষণ কর।        

২. নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দা।

প্রায় চার ঘণ্টা ধরে প্রহরারত অবস্থান পাঁচজন মুক্তিযোদ্ধা। তারা রাস্তার ধারে ঝোপের আড়ালে অবস্থান নিয়েছে। তারা সর্তক হয়ে পুল পাহারা দিচ্ছে। কারণ এ পুল দিয়েই পাশের গ্রামে যাবে পাক হানাদাররা। তবে পাঁচজনই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ যে হানাদাররা ঐ গ্রামে যাবে না, গেলে যাবে জাহান্নামে। কারণ পুলের নিচে বোমা পুঁতে রেখেছে তারা। হানাদাররা পুলে ওঠা মাত্রই পুলটিকে উড়িয়ে দেবে তারা।

ক. হরিদাসীর সিঁথির সিদুর মুছে গেল কেন? 
খ. জলপাই রঙের ট্যাঙ্ককে কবি দানব বলেছেন কেন?    
গ. উদ্দীপকের সাথে ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’কবিতার সাদৃশ্য আলোচনা কর।     
ঘ. “সাধারণ জনগণের অংশগ্রহণেই সংঘটিত হয়েছিল স্বাধীনতা যুদ্ধ।” উদ্দীপক ও কবিতাটির আলোকে উক্তিটি বিশ্লেষণ কর।    

৩. নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দা।

শাহাদত সাহেব একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং পেশায় স্কুলশিক্ষক। মুক্তিযুদ্ধে তিনি তার বাবা-মাকে হারিয়েছেন। তিনি অবসরে গ্রামের চায়ের স্টলে বসে নতুন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের কাছে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করেন; বলতে থাকেন পাকিস্তানিদের নির্মম অত্যাচারের কথা, বাঙালির আত্মত্যাগ ও অসীম বীরত্বের কথা।

ক. স্বাধীনতার জন্য কার কপাল ভাঙল? 
খ. ‘খাণ্ডবদাহন’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?    
গ. উদ্দীপকের বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাদত সাহেবের আত্মত্যাগের সূত্র ধরে ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’কবিতায় ফুটে ওঠা মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির আত্মত্যাগের বর্ণনা দাও।   
ঘ. উদ্দীপকের বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাদত সাহেবের মতো দৃঢ়চেতা আত্মবিশ্বাসী মানুষদের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের ফলেই হয়তো কবি ‘এই বাংলায় তোমাকে আসতেই হবে, হে স্বাধীনতা’এর মতো আত্মপ্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।-উক্তিটি বিশ্লেষণ কর।    

 ১. নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দা।

দারিদ্র্যের কারণে নিলু বেশি পড়াশুনা করতে পারেনি। এসএসসি পাস করে সে একটি হাসপাতালে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে কাজ করছে। কাজের প্রতি তার দায়িত্বশীলতা দেখে প্রতিষ্ঠানের প্রায় সবাই তার প্রসংশা কারে। তবে মাঝে মধ্যে কারও কটু কথা শুনলে তার মনে খুব দুঃখ লাগে। সে মর্মাহত হয়।                                             

ক. মমতাদি গল্পটি কোন গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত?           
খ. মমতাদি লেখকের বাড়িতে কাজ নিয়েছিল কেন? বুঝিয়ে লেখ।  
গ. উদ্দীপকের নিলু ‘মমতাদি’ গল্পের মমতাদি চরিত্রের সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি ব্যাখ্যা কর।  
ঘ. “উদ্দীপকের বিষয়বস্তু ‘মমতাদি’ গল্পের সম্পূর্ণ ভাবকে ধারণ করে না।”-যুক্তিসহকারে উক্তিটি বিশ্লেষণ কর।

২. নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দা।

আয়-রোজগারবিহীন সংসারে শেফালীর খুব কষ্টে দিন কাটে। শেফালী অন্যের বাড়িতে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেয়। উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সুমী রহমানের বাড়িতে সে ঝিয়ের কাজ নেয়। শেফালী পরম যত্নে ছোট বাচ্চাদের দেখাশোনা করে এবং অন্যান্য দায়িত্ব পালন করে। শেফালীদের সংসারে অনেক কষ্ট থাকলেও সে তাদের অভাব-অনাটনের কথা সুমী রহমানকে বলে না। সুমীর অবস্থা রহমান তা বুঝতে পেরে শেফালীকে মাসিক বেতন বাড়িয়ে দেয়।                                             

ক. মমতাদির ঘরে কিসের দীনতা ছিল?           
খ. মমতাদি পর্দা ঠেলে বাইরে এসেছে কেন? বুঝিয়ে লেখ।  
গ. উদ্দীপকের নিলু ‘মমতাদি’ গল্পের মমতাদি চরিত্রের সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি ব্যাখ্যা কর।  
ঘ. “উদ্দীপকের বিষয়বস্তু ‘মমতাদি’ গল্পের সম্পূর্ণ ভাবকে ধারণ করে না।”-যুক্তিসহকারে উক্তিটি বিশ্লেষণ কর।

৩. নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দা।

রাবেয়া একটি অনাথ শিশুদের আশ্রয়কেন্দ্রে চাকরি করে। সে তার নিয়মিত দায়িত্বের পাশাপাশি আশ্রয়কেন্দ্রের শিশুদের সাথে অত্যন্ত সুন্দর ব্যবহার করে এবং তাদের সাথে মমত্বের সম্পর্ক গড়ে তোলে। তাই আশ্রয়কেন্দ্রের শিশুরা তাকে খুব ভালোবাসে। কিন্তু অসুস্থতার কারণে একদিন কাজে যোগ দিতে না পারায় আশ্রয়কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক তাকে তিরস্কার করে।

ক. মমতাদি গল্পটি কোন গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত?           
খ. লেখক মমতাদিকে ‘ছায়াময়ী মানবী’বলেছেন কেন?
গ. উদ্দীপকের রাবেয়া চরিত্রে ‘মমতাদি’ গল্পের মমতাদি কোন গুণটি প্রকাশ পেয়েছে? ব্যাখ্যা কর।   
ঘ. “উদ্দীপকের আশ্রয়কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক ‘মমতাদি’ গল্পের কথকের প্রত্যাশিত চরিত্রের বিপরীত।”-যুক্তিসহকারে উক্তিটি বিশ্লেষণ কর।

Friday, August 6, 2021

সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

 উদ্দীপকটি পড় এবং নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।

একই পরিবারের মকবুল, আবুল, সুরত সবাই বেশ পরিশ্রমী। নিজেদের জমি না থাকায় অন্যের জমি বর্গাচাষ করে, লাকড়ি কাটে, মাঝিগিরি করে, কখনো কখনো অন্যের বাড়িতে কামলা খেটে জীবিকা নির্বাহ করে। তাদের স্ত্রীরাও বসে নেই। ভাগ্যের উন্নতির জন্য পাতা দিয়ে পাটি বোনে, বাড়ির আঙ্গিনায় মরিচ, লাউ, কুমড়া ফলায়, বিল থেকে শাপলা তুলে বাজারে বিক্রি করে। কোনো রকমে জীবন চলে যাচ্ছে তাদের।

ক. দুর্গার বয়স কত?
খ. বামুন হিসেবে বাস করার প্রস্তাবে হরিহর রাজি হলো না কেন?
গ. উদ্দীপকে ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের ফুটে ওঠা দিকটি ব্যাখ্যা করো।
ঘ. “উদ্দীপকে ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের মুলভাবকে কতটুকু ধারণ করে।”- যুক্তিসহ বুঝিয়ে লেখো।
 
ক. দুর্গার বয়স কত?
 
দুর্গার বয়স দশ-এগার বছর।
 
খ. বামুন হিসেবে বাস করার প্রস্তাবে হরিহর রাজি হলো না কেন?
 
প্রবল আত্মসম্মানবোধের কারণে হরিহর বামুন হিসেবে বাস করার প্রস্তাবে রাজি হলো না।
 
হরিহরকে দশঘরায় সদগোপ সম্প্রদায়ের এক লোক একেবারে তাদের গাঁয়ে চলে এসে বামুন হিসেবে সপরিবারে বসবাস করার প্রস্তাব দেয়। আর্থিক দুরবস্থা সত্তে¡ও হরিহর প্রস্তাবটিতে সরাসরি সম্মতি দেয় নি। কারণ এতে সদগোপ সম্প্রদায়ের লোকেরা হরিহরের দারিদ্র্যের বিষয়টি টের পেয়ে যাবে। অধিকিন্তু হরিহরের অনেক ধার-দেনা ছিল। আবাস পরিবর্তনের সংবাদ শুনে পাওনাদাররা এসে তার কাছে টাকা চাইবে। এসব কারণে আত্মসম্মানবোধের জন্য হরিহর বামুন হিসেবে বাস করার প্রস্তাবে হরিহর রাজি হলো না। 
 
গ. উদ্দীপকে ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের ফুটে ওঠা দিকটি ব্যাখ্যা করো।
 
উদ্দীপকে ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পে বর্ণিত হরিহর-সর্বজয়া দম্পতির জীবিকা নির্বাহের দিকটি ফুটে উঠেছে।
 
‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের হরিহর নিজ গ্রামের অন্নদা রায়ের বাড়িতে গোমস্তার কাজ করে। পাশাপাশি সে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে পৌরহিত্য করে, দীক্ষা দয়ে। বিনিময়ে যা পায় তা দিয়েই সংসার চালায়। তার স্ত্রী সর্বজয়াও নিজ হাতে সংসারের যাবতীয় কাজ করে।
 
উদ্দীপকে বর্ণিত মকবুল, আবুল, সুরতের নিজস্ব জমি নেই। জীবিকার তাগিদে তারা অন্যের জমি বর্গাচাষ করে, কেউ লাকড়ি কাটে, অন্যের নৌকায় মাঝিগিরি করে, আবার মাঝে মাঝে কামলা খাটে। পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকে, পাটি বোনে বাড়ির আঙিনায় বিভিন্ন সবজি ফলায়, শাপলা তুলে বাজারে বিক্রি করে। দেখা যাচ্ছে, ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের হরিহর-সর্বজয়ার মতো উদ্দীপকের মকবুল-আবুল-সুরত এবং তাদের স্ত্রীরা বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করে।
 
 
ঘ. “উদ্দীপকে ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের মুলভাবকে কতটুকু ধারণ করে?”- যুক্তিসহ বুঝিয়ে লেখো।
 
উদ্দীপকে ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের মুলভাবকে ধারণ করে না।
 
উদ্দীপকে কেবল জীবিকা নির্বাহের দিকটি উঠে আসায় তা ‘আম-আঁটির ভেঁপু গল্পের মুলভাবকে আংশিক ধারণ করতে পেরেছে।
 
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পটি প্রকৃতিঘনিষ্ট দুই ভাই-বোনের আনন্দঘন জীবনকে ঘিরে আবর্তিত। হতদরিদ্র পরিবারে জন্ম নিলেও অপু ও দুর্গার শৈশবে দারিদ্র্যের কষ্ট প্রধান হয়ে উঠেনি। গ্রামীণ ফলফলাদি আহারের আনন্দ এবং বিচিত্র বিষয় নিয়ে তাদের বিস্ময় ও কৌতুহল গল্পটির উপজীব্য। পাশাপাশি এতে জীবিকার তাগিদে হরিহর-সর্বজয়ার জীবন-সংগ্রামের দিকটিও উঠে এসেছে।
 
উদ্দীপকে জীবন-সংগ্রামে নিয়োজিত কিছু মানুষের কথা বর্ণিত হয়েছে, যারা দুমঠো খাবারের জন্য অন্যের জমি বর্গাচাষ করে, লাকড়ি কাটে, মাঝিগিরি করে, কিংবা কামলা খাটে। অবস্থার উন্নতিকল্পে তাদের স্ত্রীরাও নানারকম কাজে নিয়োজিত থেকে দিন কাটায়।
 
‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পে হরিহর-সর্বজয়ার জীবন-সংগ্রাম ছাড়াও অপু-দুর্গার আনন্দঘন শৈশবের কথা বর্ণিত হয়েছে, যা আমাদের চিরায়ত শৈশবকেই স্মরণ করিয়ে দেয়। আবার, সর্বজয়ার মধ্যে শাশ্বত মাতৃরূপ প্রকাশ পেয়েছে। অন্যদিকে উদ্দীপকে কেবল মকবুল, আবুল, সুরত এবং তাদের স্ত্রীদের জীবন সংগ্রামের দিকটিই ফুটে উঠেছে। কাজেই বলা যায়, উদ্দীপকটি ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের আংশিক প্রতিফলিত রূপ।