পরের কারণে স্বার্থ
দিয়া বলি
এ জীবন মন সকলি দাও।
তার মত সুখ কোথাও কি
আছে?
আপনার কথা ভুলিয়া যাও।
পরের কারণে মরণেও সুখ,
সুখ সুখ করি কেঁদো না
আর;
যতই কাঁদিবে ততই
ভাবিবে
ততই বাড়িবে হৃদয়-ভার।
আপনারে লয়ে বিব্রত
রহিতে
আসে নাই কেহ অবনী পরে,
সকলের তরে সকলে আমরা
প্রত্যেকে আমরা পরের
তরে।
সারমর্ম: কেবল নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকার জন্য এ পৃথিবীতে মানুষের আগমন ঘটেনি। অপরের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করার মধ্যেই জীবনের প্রকৃত সার্থকতা নিহিত। অন্যের কল্যাণসাধনে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েই মানুষ প্রকৃত সুখ খুঁজে পায়। তাই নিজের কল্যাণ নয় পরের কল্যাণসাধনে মনোনিবেশ করতে হবে।
পরের মুখে শেখা বুলি
পাখির মত কেন বলিস?
পরের ভঙ্গি নকল করে
নটের মত কেন চলিস?
তোর নিজস্ব সর্বাঙ্গে
তোর দিলেন ধাতা আপন হাতে,
মুছে সেটুকু বাজে হলি,
গৌরব কি বাড়ল তাতে?
আপনারে যে ভেঙ্গে চুরে
গড়তে চায় পরের ছাঁচে
অলীক, ফাঁকি, মেকি সে
জন নামটা তার কদিন বাঁচে?
পরের চুরি ছেড়ে দিয়ে
আপন মাঝে ডুবে যা রে,
খাঁটি ধন যা সেথায়
পাবি, আর কোথাও পাবি না রে।
সারমর্ম: অন্যের
অনুকরণ না করে নিজের মধ্যে যে সুপ্ত প্রতিভা আছে তা বিকশিত করার মাধ্যমেই গৌরব
বৃদ্ধি পায়। তাই নিজের মেধা ও বুদ্ধি দিয়ে স্বাভাবিক গুণাবলীর বিকাশ ঘটানোর মধ্যেই
যথাযথ মর্যাদা নিহিত।
No comments:
Post a Comment