# একটি ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শনের বর্ণনা দিয়ে বন্ধুর
নিকট একটি পত্র লেখ।
১২ জুলাই, ২০১৮ খ্রি.
উজিরপুর, বরিশাল।
প্রিয় মামুন,
প্রথমে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা নিও। গতকাল তোমার যে
চিঠিখানা পেয়েছি তার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ।গতকাল তোমার চিঠি পেয়ে জানতে পারলাম তুমি
ভালো আছ। আমিও তোমাদের দোয়ায় ভালো আছি।গত কাল গিয়েছিলাম জাতীয় স্মৃতিসৌধ দর্শন করতে।
এ সৌধের সৌন্দর্য তোমকে না জানাতে পারলে ভাল লাহছে না।
রাজধানী ঢাকা থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে ঢাকা-আরিচা
মহাসড়কের পাশে নির্মিত হয়েছে এই জাতীয় স্মৃতিসৌধ।১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর জাতির জনক
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ভিত্তিপ্রস্তর করেছিলেন। এই স্মৃতিসৌধের নকশা তৈরি
করেছিলেন স্থপতি সৈয়দ মইনুল হোসেন। এর উচ্চতা ১০০ ফুট। স্মৃতিসৌধের ফলক সংখ্যা ৭। এই ৭ সংখ্যাটি বিভিন্ন দৃষ্টিকোন
থেকে অত্যন্ত তাৎপর্যময় ও অর্থবহ। এই নকশার স্থপতি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সাতটি পর্যায়কে
ত্রিভুজাকৃতি মিনারের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধে শহিদ সাতজন বীরশ্রেষ্টের
স্মৃতি এতে স্মরণকরা হয়েছে। সাত সংখ্যার সাথে মিল রেখে স্মৃতিসৌধটির সাতটি ফলক গড়ে
উঠেছেঅপূর্ব শিল্পকর্ম। স্মৃতিসৌধের মিনারপ্রাঙ্গণের আয়তন ১৩০Í১৩০ ফুট। এ স্মৃতিসৌধটির
নির্মাণ কাজ মোটামুটি শেষ হয়েছে ১৯৮২ সালের জুন মাসে। তবে এর মূল ভবনের কাজ শেষ হলেও
চারপাশের সম্প্রসারণের কাজ এখনো অব্যাহত রয়েছে। এর পুরো আঙ্গিনায় রয়েছে অসংখ্য বিচিত্র
বর্ণের ফুলের গাছ আর ডানপাশেই রয়েছে একচি সুন্দর লেক। এক কথায় এর সৌন্দর্য নয়ন মুগ্ধ
করে।
আজ আর না। তুমি ঢাকা এলে অবশ্যই স্মৃতিসৌধ দেখে যাবে।
সময় পেলেই আমাকে চিঠি লেখো। ভালো থেকো। তোমার পিতা-মাতাকে শ্রদ্ধা ও ছোট ভাই-বোনদেরকে
স্নেহ জানাবে।তোমার সার্বিক মঙ্গল কামনা করি।
ইতি
তোমার প্রিয়,
মুমতারিন মালিহা
প্রেরক,
দিপা/দীপন
গ্রা:+পো: ডহড়পাড়া
উপজেলা: উজিরপুর
জেলা: বরিশাল। ডাক টিকিট
|
ডাক টিকিট
প্রাপক,
আবির/কাবির
গ্রাম+পো: ধামসর,
উপজেলা: উজিরপুর
জেলা: বরিশাল।
|