চলমান কথা

গত ১১ মে, ২০২০ আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের অনলাইন পরীক্ষার শুভ উদ্বোধন করেন প্রকৌশলী এ এম এম সাজ্জাদুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এপিএসসিএল।

স্বপ্নের পদ্মা সেতু; স্বপ্ন হলো সত্যি। স্বপ্নের পদ্মা সেতুর সাথে স্বপ্ন যাবে বাড়ি।

Sunday, July 26, 2020

# বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণ ও এর প্রতিকার সম্বন্ধে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন রচনা কর।

প্রতিবেদনের প্রকৃতি : বিশেষ প্রতিবেদন/সংবাদ প্রতিবেদন
প্রতিবেদনের শিরোনাম : বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণ ও তার প্রতিকার
পতিবেদনের লক্ষ্য : বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণ খঁজে বের করা ও এর প্রতিকার
সরোজমিনে পরিদর্শন : এই বিষয়ে সংশিষ্টদের সাক্ষাৎকার
প্রস্তুতের সময় ও তারিখ  : রাত ৯টা, ১৮ জুন, ২০১৮ 
প্রতিবেদকের নাম : মুমতারিন মালিহা

বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণ ও তার প্রতিকার

বর্তমান সভ্যতা সর্বতোভাবে বিদ্যুৎনির্ভর হলেও বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সংকট অত্যন্ত প্রকট। এ তীব্র বিদ্যুৎ ঘাটতি এদেশের জনজীবনকে বিষিয়ে তুলেছে। প্রাত্যহিক জীবনযাপন থেকে শুরু করে শিল্পায়ন, কৃষি উৎপাদন, শিক্ষা প্রভৃতি ক্ষেত্রেই মানুষ দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দিনে ও রাতে একাধিরবার দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে। বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের মাত্রা এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে, বিদ্যুৎ সংযোগ যে আছে মাঝে মাঝে সেকথা ভুলে যেতে হয়। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণ নির্ণয় করে তার আশু সমাধান করা জরুরী হয়ে পড়েছে। 

অনুসন্ধানে বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের নিম্নলিখিত কারণগুলো ধরা পড়েছে-

১. দেশের বর্তমান চাহিদা অনুযায়ী বিদুৎ উৎপাদন প্রয়োজন প্রায় ৯০০০ মেগাওয়াট, কিন্তু গড়ে উৎপাদিত হচ্ছে মাত্র ৬০০০ মেগাওয়াট।

২. বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ার আনুপাতিক হারে যোগান বাড়ে নি গত পঁচিশ বছরে।
৩. আমলাতান্ত্রিক ও অস্থিতিশীল রাজনৈতিক কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোর কোনো সংস্কার হয় নি।
৪. বিদ্যুৎ উৎপাদনের ঘাটতি সারাদেশে সমভাবে বণ্টন করলে বিদ্যুৎ-বিভ্রাট কিছুটা হলেও কম হতো।
৫. জলবিদ্যুৎ ও তাপবিদ্যুৎ উৎপাদনে পর্যাপ্ত পরিমাণে কাঁচামালের যোগান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
৬. নতুন উৎপাদন কেন্দ্রস্থাপনের অর্থ, প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতির অভাব।
৭. সরকারের পরনির্ভরশীল মনোভাব।
৮. অবৈধ সংযোগ, সিস্টেম লস ও কৃচ্ছতার অভাব।
৯. রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও প্রশাসনিক জটিলতা।
১০. বৃহৎ বিদ্যুৎ কেন্দ্রস্থাপন না করা।
১১. অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিদ্যুৎ কেন্দ্রস্থাপন না করা।

বিদ্যুতের উৎপাদন বৃদ্ধি করে বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের পরিমাণ কমিয়ে আনা একটি সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের প্রতিকারকল্পে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করলে বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের পরিমাণ পর্যায়ক্রমে কমে আসবে বলে অনেকে মনে করেন।

১. প্রয়্রোজনীয় বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রস্থাপন ও পুরনো বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র সংস্কার করা।
২. অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা ও কৃচ্ছতা সাধনের মাধ্যমে অপচয় রোধ করা।
৩. উৎপাদিত বিদ্যুৎ সুষমভাবে বণ্টনের ব্যবস্থা করা।
৪. সেচ পাম্পগুলো দিনের বেলায় বন্ধ রেখে রাতের বেলায় চালানো।
৫. মার্কেট ও বিপনিবিতানগুলোতে আলোকসজ্জা কমিয়ে আনা।
৬. সৌর বিদ্যুৎখাতে সরকারি ভর্তুকি বাড়িয়ে দিয়ে এর ব্যবহার জনপ্রিয় করা।
৭. বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এনার্জি সেভিংস বাল্ব কম মূল্যে সাধারণ জনগণের মাঝে সরবরাহ করা।
৮. রাতের বেলা দোকানপাট ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা।
৯. বায়োগ্যাসের মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরকারি ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
১০. বৃহৎ বিদ্যুৎ কেন্দ্রস্থাপন করা।
১১. অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিদ্যুৎ কেন্দ্রস্থাপন করা।

উপর্যুক্ত ব্যবস্থাগুলো গ্রহণ করলে বিদ্যুৎ-বিভ্রাট অনেকাংশে কমে আসবে। গ্রাহকদের ভোগান্তি কমবে। কৃষিজ ও শিল্পজ উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। ফলে সামগ্রিকভাবে দেশ এগিয়ে যাবে আলোকিত ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে।

প্রতিবেদক-
মুমতারিন মালিহা
উজিরপুর, বরিশাল।

  
প্রেরক, 
মুমতারিন মালিহা 
গ্রাম + পো: ডহরপাড়া 
উপজেলা: উজিরপুর 
জেলা: বরিশাল।
 ডাক টিকিট
প্রাপক, 
সম্পাদক 
দৈনিক ইত্তেফাক, 
১, রামকৃষ্ণ মিশন রোড, 
ঢাকা-১২০৫।

No comments: