চলমান কথা

গত ১১ মে, ২০২০ আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের অনলাইন পরীক্ষার শুভ উদ্বোধন করেন প্রকৌশলী এ এম এম সাজ্জাদুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এপিএসসিএল।

স্বপ্নের পদ্মা সেতু; স্বপ্ন হলো সত্যি। স্বপ্নের পদ্মা সেতুর সাথে স্বপ্ন যাবে বাড়ি।

Wednesday, May 12, 2021

# তোমাদের এলাকার একটি রাস্তা সংস্কারের জন্যে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সংবাদপত্রে প্রকাশরে উপযোগী একটি পত্র রচনা কর।

২০ র্মাচ, ২০১৭ খৃ:
সম্পাদক,
দৈনিক ইত্তফোক,
১, রামকৃষ্ণ মিশন রোড,
ঢাকা-১২০৩।

বিষয়: নিচের পত্রখানা চিঠিপত্র কলামে প্রকাশরে আবদেন।

জনাব,
আপনার সম্পাদতি বহুল প্রচলতি দৈনিক ইত্তফোক পত্রকিার সংশ্লষ্টি বিভাগে নিম্নোক্ত পত্রটি প্রকাশ করে জনসাধারণের উপকারে অবদান রাখার জন্যে অনুরোধ জানাচ্ছি।

নিবেদক-
মো: মোহায়মিন
ডহরপাড়া, বরশিাল।

রাস্তা সংস্কার জরুরী
বিনীত নিবেদন এই যে, আমরা গুঠিয়া ইউনিয়নের ডহরপাড়া গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা । আমরা অত্র এলাকার যে রাস্তা আছে তা পঞ্চগ্রাম হয়ে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে এসে লেগেছে। রাস্তাটির মুখ পূর্বে প্রস্থ ছিল ৩৬ ফিট যা এখন বর্তমানে ১৮ ফিট আছে, বর্তমানে উক্ত রাস্তায় এ্যামবুলেন্স, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি এবং মালবহনের গাড়ি চলাচল করা সম্ভব হচ্ছে না । এ জন্য এলাকাবাসি চলাচলের ক্ষেত্রে নানাবিদ সমস্যার সম্মখীন হচ্ছে। তাছাড়া পুরো রাস্তা জুরে খানা-খন্দে ভরা। আর বৃষ্টি হলে তো কোনো কথাই নেই। তখন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। প্রায় সময় নানাবিদ দুর্ঘটনা ঘটে।


অতএব, বিনীত প্রার্থনা এই যে, গুঠিয়া ইউনিয়নের ডহরপাড়া গ্রামের আওতা ভুক্ত রাস্তাটি যানবহন চলাচলের জন্য প্রশস্থ করণে জনাবের মর্জি হয় এবং সমস্যাটি অতি দ্রুত সু-সম্পন্ন এবং দুর্ভোগ লাঘব ঘটাতে মাননীয় নির্বাহী কর্মকর্তার সু-দৃষ্টি একান্ত কামনা করছি। 
 

নিবেদক-
মো: মোহায়মিন
ডহরপাড়া, বরিশাল।

প্রেরক
গ্রাম: ডহরপাড়া
পো: ডহরপাড়া
উপজেলা: উজিরপুর,
জেলা: বরিশাল।

ঢাক টিকেট
প্রাপক,
সম্পাদক,
দৈনিক ইত্তেফাক,
১, রামকৃষ্ণ মিশন রোড,
ঢাকা-১২০৩।

 জরিমানা মওকুফের জন্য প্রধান শিক্ষকের কাছে আবেদন।

 

৮ নভেম্বর ২০২০
প্রধান শিক্ষক
সাকোয়া উচ্চ বিদ্যালয়, সাকোয়া।
মাধ্যম: শ্রেণীশিক্ষক।
 
বিষয়: জরিমানা মওকুফের জন্য আবেদন।
 
মহোদয়,
 
বিনীত নিবেদন এই যে, আমি আপনার বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর একজন নিয়মিত ছাত্র। আমি সাধারণত প্রতি মাসের বেতন প্রতি মাসের নির্ধারিত তারিখেই পরিশোধ করে থাকি। কিন্তু এ মাসে বাড়িতে একটু আর্থিক অনটন পড়ে। ফলে নির্দিষ্ট তারিখে বেতন পরিশোধ করতে পারিনি। আমি আজকে বেতন পরিশোধ করতে চাই কিন্তু এই সময়ে আমার পক্ষে জরিমানা দেওয়া কষ্টকর।
 
অতএব, বিনীত নবেদন এই যে, সহৃদয় বিবেচনার মাধ্যমে জরিমানা মওকুফ করে আমার বেতন পরিশোধ করার অনুমতি দিয়ে বাধিত করবেন।
 
নিবেদক-
ওসমান গণি
শ্রেণি: ১০ম
রোল: ০২

 বিতর্ক ক্লাব গঠনের অনুমতি চেয়ে প্রধান শিক্ষকের নিকট একখানা আবেদন পত্র লেখ।


প্রধান শিক্ষক,
বিনয়পুর উচ্চ বিদ্যালয়,
দেবীগঞ্জ, পঞ্চগড় ।

বিষয়:বিতর্ক ক্লাব গঠনের অনুমতির জন্য আবেদন

জনাব,
যথাবিহীত সম্মানপূর্বক নিবেদন এই যে, আমরা আপনার বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্র। আমাদের বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীরা অলসভাবে তাদের অবসর সময় কাটাচ্ছে। সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের সুযোগ নেই বললেই চলে। এ ক্ষেত্রে সহশিক্ষা কার্মসূচি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আমরা মনে করি। নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য নিয়মিত বক্তৃতা বা যুক্তি-তর্ক করা শিক্ষার্থীদের মননশীল মেধা বিকাশ করবে বলে আমাদের বিশ্বাস। এমতাবস্তায় সকলের মেধাবিকাশের জন্যে আমাদের বিদ্যালয়ে একটি বিতর্ক ক্লাব গঠন করা প্রয়োজন।

অতএব, জনাবের নিকট প্রার্থনা, বিতর্ক ক্লাব গঠনের অনুমতি দানে বাধিত করবেন।


নিবেদক-
আপনার একান্ত অনুগত ছাত্র
হৃদয় চন্দ্র সরকার
শ্রেণি:৭ম রোল:০১

 #   তোমার এলাকায় দাতব্য চিকিৎসালয় স্হাপনের আবেদন জানিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদনপত্র লেখ।

 

জেলা প্রশাসক,
অমুক জেলা
বাংলাদেশ।
 
বিষয়: দাতব্য চিকিৎসালয় স্হাপনের আবেদন পত্র।
 
বরিশাল জেলার উজিরপুর একটি ঐতিহ্যবাহী থানাi GKwU MÖgv Wnicvov এই MÖv‡g GKwU evRvi, GKwU cÖv_wgK we`¨vjq, GKwU gva¨wgK we`¨vjq I GKwU gv`ªvmv i‡q‡Q| কিন্তু AZ¨šÍ `yt‡Li welq GB †h, G MÖv‡g, GgbwK Av‡kcv‡ki 7/8 MÖv‡g †Kv‡bv fv‡jv Wv³vi ev wPwKrmvjq †bB| fvj Wv³v‡ii mÜv‡b 40 wK‡jvwgUvi `~‡i †ivMx wb‡Z †M‡j †ivMxi Ae¯’v †kvPbxq n‡q c‡o| d‡j Mixe RbmvaviY‡K ¯’vbxq evRv‡ii nvZz‡o Wv³vi‡`i AcwPwKrmvi wbg©g wkKv‡i cwiYZ n‡”Q| ZvB G MÖv‡g GKwU miKvix `vZe¨ wPwKrmvjq ¯’vcb AZ¨vek¨K n‡q c‡o‡Q| G-e¨vcv‡i h_vh_ KZ…©c‡ÿi wbKU K‡qKevi Av‡e`b Kiv n‡jI Zv‡Z †Kv‡bv mvov cvIqv hvq wb| 
 
AZGe, mswkøó KZ©„c‡ÿi Kv‡Q AvKzj Av‡e`b, Avgv‡`i MÖv‡g GKwU `vZe¨ wkÿvjq ¯’vcb K‡i AÎ MÖv‡gi Rbmvavi‡Yi wPwKrmv †mev wbwðZ Ki‡Z gwR© nq|
 
নিবেদক-
এলাকাবাসীর পক্ষে-
মো: মোহায়মিন
ডহরপাড়া, বরিশাল।

  তোমার এলাকায় দাতব্য চিকিৎসালয় স্হাপনের আবেদন জানিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদনপত্র লেখ।

 

জেলা প্রশাসক,
অমুক জেলা
বাংলাদেশ।
 
বিষয়: দাতব্য চিকিৎসালয় স্হাপনের আবেদন পত্র।
 
জনাব,

সবিনয় নিবেদন এই যে আমি অমুক জেলার অমুক এলাকার কামুক ইউনিয়নের একজন বাসিন্দা।আমাদের এলাকায় ২টি বিদ্যালয়, ১ টি মহাবিদ্যালয়,১টি মসজিদ ও ১টি মন্দির আছে।কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে প্রায় ২৫০০০ মানুষের এই এলাকায় কোন দাতব্য চিকিৎসালয় নাই।দাঁতের ব্যাথায় এই এলাকার বাচ্চা থেকে বৃদ্ধ সকলে ব্যাফক কষ্ট পায়।বাড়ির মহিলারা দাঁতের সুড়সুড়ানিতে আক্রান্ত হয়ে পরিবারে অশান্তি করে এবং রান্না-বান্না হতে বিরত থাকে।এর ফলে পারিবারিক শান্তি বিনষ্ট হয়।বাড়ির কর্তারা মানবেতর জীবন কাটাতে বাধ্য হয়।ইতিফূর্বে আমি দাতব্য চিকিৎসালয় স্হাপনের আবেদন করলে জেলা প্রশাসন বিনামূল্যে অন্যান্য রোগের চিকিৎসার ব্যবস্হা করেছে। কিন্তু আমরা চাই একটা দাতব্য মানে দাঁতের চিকিৎসালয়।
 
অতএব বিনীত নিবেদন এই যে আমার এলাকায় একখান দাতব্য চিকিৎসালয় গড়ে তুলতে আফনার যেনু আজ্ঞা হয়।
 

নিবেদক-
                               
মো: মামুন হোসেন
গ্রাম+পো: ধামসর,
উপজেলা: উজিরপুর           
জেলা: বরিশাল।

শিক্ষা জীবনের শেষ দিনের অবস্থা জানিয়ে বন্ধুকে পত্র লিখ।


মিরপুর, ঢাকা।
০৮ মে, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ

 ক,

কেমন আছো? আশা করি ভালো আছো।আজ আমার মনটা ভালো নেই। দু-ঘণ্টা হল কলেজ থেকে ফিরেছি।  তুমি তো জান আজ আমাদের কলেজ-জীবনের শেষ দিন, বিদায়ের দিন।বেদনায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে মন।তাই আমার মনে হল তোমার কাছে দু-কলম লিখতে পারলে আমার বেদনাহত হৃদয় কিছুটা হলেও শীতল হবে।  

গতকালই আমাদের ফরম পূরণের শেষ দিন অতিবাহিত হয়েছে। আজ আমাদের বিদায়ের দিন। কলেজের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। আজ আর কারো মনে কোনো আনন্দ নেই, নেই কোনো চঞ্চলতা, সবার চোখে মুখে একটা বিষণ্নতার ছাপ। চারদিকে যেন বিদায়ের সকরূণ ঘণ্টা বাজছে,  ঘণ্টাধ্বনির মতো সে ধ্বনি আকাশে-বাতাসে প্রতিফলিত হয়ে আমার হৃদয়কে ক্ষত-বিক্ষত করতে লাগল। মনে হল সবচেয়ে বেশি কষ্ট বোধহয় আমিই পাচ্ছি। আসলে এ কষ্ট এবং দুঃখ কাউকে বোঝানো কিংবা বলা যায় না বলেই এর তীব্রতা ও দহন এত বেশী। আমাদের সবাইকে ফুলের মালা পরিয়ে সূচনা হল বিদায়ের! প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্য দিয়ে অনেক বক্তব্য রেখে আমাদের প্রতি তাদের প্রত্যাশা ব্যক্ত করল। বিদায়ী ছাত্রদের পক্ষ থেকে আমি বক্তব্য রাখলাম। কিন্তু  এতটাই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম যে বিদায়ের এই দিনে কিছু বলা আমার জন্যে ছিল একেবারেই অসম্ভব। দুচোখের জল বাধা মানল না। আমাদের সবার জন্য দোয়া চেয়ে আমার বক্তব্য শেষ করতে হল। তারপর সভাপতির ভাষণে বক্তব্য রাখলেন আমাদের পরম শ্রদ্ধাভাজন অধ্যক্ষ। তিনি আমাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করে চলার পথের পাথেয় সম্পর্কে নানা উপদেশ দিলেন। সবশেষে আমাদের সবাইকে উপহার হিসেবে একটি করে বই দেয়া হল। এরপর সঙ্গীতানুষ্ঠান। বিদায়ের গানে বেদনার সুর বেজে উঠতেই আমাদের কলেজ জীবনের শেষ দিনের মুহূর্তগুলো হৃদয়পটে ছবির মতো আটকে গেল। এ স্মৃতি কখনোই ভোলার নয়।  

আজ আর নয়। আমার জন্যে দোয়া করবে। বাসার সবার প্রতি স্নেহ ও সালাম রইল।

 

ইতি
নূসরাত

    

প্রেরক,
   নূসরাত
   গ্রা:+পো: ডহড়পাড়া
   উপজেলা: উজিরপুর
   জেলা: বরিশাল।

ঢাক টিকেট

 প্রাপক,                              
মামুন হোসেন
গ্রাম+পো: ধামসর,
উপজেলা: উজিরপুর           
জেলা: বরিশাল।
     

Tuesday, May 11, 2021

 সংবাদপত্র পাঠের প্রয়োজনীয়তা জানিয়ে ছোট বোনের কাছে একটি চিঠি লিখ।



আশকোনা,ঢাকা।
১৫.০৬.২০১৩

স্নেহের লাব্বি,

আমার অনেক স্নেহ ও ভালোবাসা নিও। আশা করি তুমি ভালো আছ। সেদিন তোমার একটি চিঠি পেয়েছি। সেখানে তোমার পড়াশুনার ব্যস্ততার কথাই ফুটে উঠেছে। তুমি নাকি দৈনিক সংবাদপত্র গুলোতেও ভালো চোখ বুলাতে পারছ না। ব্যাপারটা সত্যি না কথার কথা তা জানি না। তবে যদি সত্যি হয়, তবে সেটা খুবই দুঃখের এবং খারাপ। কারণ, তোমার মনে আছে যে ছোট বয়স থেকেই তোমাকে সংবাদপত্র পাঠে আমি উত্সাহিত করে আসছি। সংবাদপত্র পাঠ করা শিক্ষার একটি অঙ্গ। শিক্ষাই হচ্ছে জাতির মেরুদন্ড। প্রতিদিন পৃথিবীর খবরাখবর প্রকাশ করেই সংবাদপত্র শুধু এর দায়িত্ব শেষ করে না, বরং মানুষের প্রয়োজনীয়তা ও চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে সংবাদপত্রসমূহ তাদের কলরব বৃদ্ধি করে চলছে। এ যুগের শিক্ষা এ সভ্যতা সংবাদপত্র পাঠ ছাড়া অপূর্ণ থেকে যায়। বিশ্বের রাজনীতি, সমাজনীতি, অর্থনীতি, বিজ্ঞান, বাণিজ্য, সাহিত্য-সংস্কৃতি, খেলাধুলা. আমোদ-প্রমোদ, ছাত্রদের পাঠ্যপুস্তকের আলোচনা, স্বাধীন মত ব্যক্ত করার সুযোগ-আজকাল সবই আছে সংবাদপত্রে। পৃথিবীর দুস্থ মানুষ যেখানে প্রতিকারহীন শক্তির দাপটে অশ্রুবর্ষণ করে, সংবাদপত্র সেখানে তার নির্ভীক বাণী প্রকাশ করে। চলমান বিশ্বের নিত্যতার সাথে সম্পর্কীত না হলে ইতিহাস, দর্শন সবই যেন অচল হয়ে পড়ে। কারণ, পৃথিবী একস্থানে দাঁড়িয়ে নেই। সে প্রতিনিয়ত স্থান পরিবর্তন করে এগিয়ে চলছে, অপর পক্ষে আমাদের পাঠ্যপুস্তকসমূহ কমপক্ষে একটি বা দু'টি বছরের জন্য সামাজিক বিষয়ে স্থির হয়ে আছে। পাঠ্যপুস্তকের অধীন জ্ঞানকে বদ্ধ পুকুর থেকে তুলে এনে সংবাদপত্রের চলমান জ্ঞানের ধারায় মিশিয়ে না দিতে পারলে সে-শিক্ষা গতি পাবে না। তোমার কাছে আমার অনুরোধ রইল সময় করে নিয়ে প্রতিদিন অবশ্যই তুমি সংবাদপত্রে একবার চোখ বুলিয়ে নিবে। শিক্ষার অন্যান্য বিষয়ের সাথে সংবাদপত্রেরও একটা স্থান করে নিবে। এতে বরং তোমার ক্ষতির চেয়ে উপকারই হবে বেশি। আশা করি আমার কথা গুলো তুমি স্মরণ রাখার চেষ্টা করবে এবং পালন করতে উদ্বুদ্ধ হবে।

পরিশেষে তোমাকে জানাতে চাই, খোদার কৃপায় আমরা বাড়ির সকলেই ভালো আছি। বাড়ির জন্য কোনো দুশ্চিন্তা করো না। নিজের শরীরের প্রতি যত্ন নিবে এবং লেখা পড়ার প্রতি মনোযোগী হবে। এই বলে আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।


ইতি

তোমার বড় বোন
মাহফুজা খানম


   প্রেরক,
   নূসরাত
   গ্রা:+পো: ডহড়পাড়া
   উপজেলা: উজিরপুর
জেলাবরিশাল।

 ঢাক টিকিট

প্রাপক,                               
মামুন হোসেন
গ্রাম+পো: ধামসর,
উপজেলা: উজিরপুর           
জেলা: বরিশাল।
    

# মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ প্রাণী। জগতের অন্যান্য প্রাণীর সহিত মানুষের পার্থক্যের কারণ- মানুষ বিবেক ও বুদ্ধির অধিকারী। এই বিবেক, বুদ্ধি ও জ্ঞান নাই বলিয়া আর সকল প্রাণী মানুষ অপেক্ষা নিকৃষ্ট। জ্ঞান ও মনুষ্যত্বের উৎকর্ষ সাধন করিয়া মানুষ জগতের বুকে অক্ষয় কীর্তি স্থাপন করিয়াছে, জগতের কল্যাণ সাধন করিতেছে; পশুবল ও অর্থবল মানুষকে বড় বা মহৎ করিতে পারে না। মানুষ হয় জ্ঞান ও মনুষ্যত্বের বিকাশে। জ্ঞান ও মনুষ্যত্বের প্রকৃত বিকাশে জাতির জীবন উন্নত হয়। প্রকৃত মানুষই জাতীয় জীবনের প্রতিষ্ঠা ও উন্নয়ন আনয়নে সক্ষম।

সারাংশ: বিবেক, বুদ্ধি ও জ্ঞান মানুষকে অন্য প্রাণী থেকে পৃথক করে তাকে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছে। জ্ঞান ও মনুষ্যত্ববোধের মাধ্যমে মানুষ সভ্যতার বিকাশ ঘটিয়ে জগতের কল্যাণসাধন করছে। জাতীয় উন্নতির জন্যও এই জ্ঞান ও মনুষ্যত্ববোধই প্রয়োজন, অর্থবল বা পেশীশক্তি নয়।


# ছাত্রজীবন আমাদের ভবিষ্যৎ-জীবনের বীজ বপনের সময়। এ সময় যে যেমন বীজ বপন করবে, ভবিষ্যৎ-জীবনে সে সেরূপ ফল ভোগ করবে। এ সময় যদি আমরা নিষ্ঠার সঙ্গে জ্ঞানের অনুশীলন করে যাই তবে ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাময় হবে। আর যদি হেলায় সময় কাটিয়ে দেই, তাহলে জীবনের মহৎ উদ্দেশ্য ব্যর্থ হতে বাধ্য। যে শিক্ষা জীবন ও জীবিকার পথে কল্যাণকর, যে শিক্ষা মানুষকে উন্নত চরিত্রের অধিকারী করে, তাই সর্বোৎকৃষ্ট শিক্ষা। ছাত্রদের জীবন গঠনে শিক্ষকসমাজ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তাঁদের সুষ্ঠু পরিচালনার মধ্যে দিয়েই ছাত্রদের জীবন গঠিত হয় এবং উন্মুক্ত হয় মহত্তর সম্ভাবনার পথ।

সারাংশ: আমাদের ভবিষ্যৎ জীবনের সাফল্য-ব্যর্থতা ছাত্রজীবনের ওপরই নির্ভর করে। জীবন, জীবিকা এবং উন্নত চরিত্র গঠনের পক্ষে সহায়ক এমন শিক্ষাই ছাত্রদেরকে প্রদান করা উচিত। আর এ পথে শিক্ষার্থীদের পরিচালনা করে তাদের কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছানোর পথ তৈরি করে দেওয়ার দায়িত্ব শিক্ষকসমাজের।

 আমার একার সুখ, সুখ নহে ভাই
সকলের সুখ সখা, সুখ শুধু তাই।
আমার একার আলো সে যে অন্ধকার,
যদি না সবারে অংশ দিতে আমি পাই।
সকলের সাথে বন্ধু, সকলের সাথে,
যাইব কাহারে বলো, ফেলিয়া পশ্চাতে।
একসাথে বাঁচি আর একসাথে মরি,
এসো বন্ধু, এ জীবন সুমধুর করি।


সারমর্ম: আত্মসুখ প্রকৃত সুখ নয়, প্রকৃত সুখ সমষ্টিগত। কেননা মানবকুল একে অন্যের সাথে আত্মার বন্ধনে আবদ্ধ। তাই সমষ্টিগতভাবে পরস্পরের সান্নিধ্যে জীবনকে সুখময় করে তোলার মধ্যেই মানবজীবনের প্রকৃত সুখ নিহিত।

বিশ্বের যা-কিছু মহান সৃষ্টি চির-কল্যাণকর
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।
বিশ্বে যা-কিছু এল পাপ-তাপ বেদনা অশ্রুবারি
অর্ধেক তার আনিয়াছে নর, অর্ধেক তার নারী।
জগতের যত বড় বড় জয় বড় বড় অভিযান
মাতা ভগ্নী ও বধূদের ত্যাগে হইয়াছে মহীয়ান।
কোন রণে কত খুন দিল নর, লেখা আছে ইতিহাসে,
কত নারী দিল সিঁথির সিঁদুর, লেখা নাই তার পাশে।
কত মাতা দিল হৃদয় উপড়ি কত বোন দিল সেবা,
বীরের স্মৃতি-স্তম্ভের গায়ে লিখিয়া রেখেছে কেবা?
কোনো কালে একা হয়নি কো জয়ী পুরুষের তরবারি,
প্রেরণা দিয়াছে, শক্তি দিয়াছে বিজয়-লক্ষ্মী নারী।

 

সারমর্ম: মানবসভ্যতা নির্মাণে নারী ও পুরুষের সমান অবদান রয়েছে। কিন্তু ইতিহাসে নারীদের তুলনায় পুরুষের কথা বেশি লেখা হয়েছে। পুরুষশাসিত সমাজে নারীকে তার কর্ম-স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এখন দিন এসেছে সম-অধিকারের। নারী-পুরুষ সবাইকে সুন্দর ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।