অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রের বহুনির্বাচনী পরীক্ষা, রচনামূলক অংশের সকল বিষয়, সৃজনশীল প্রশ্ন, শিক্ষা, সাহিত্য, কবিতা ও স্বাস্থ্যবিধি
চলমান কথা
Tuesday, May 18, 2021
# তোমার
এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন রচনা কর।
নিবেদক-
Saturday, May 15, 2021
শিশুশ্রম বন্ধের আবশ্যকতা তুলে ধরে পত্রিকায় প্রকাশের জন্যে একটি প্রতিবেদন রচনা কর।
প্রতিবেদকের নাম ও ঠিকানা :রিয়াজ রহমান, দক্ষিণ খান বাজার, ঢাকা।
প্রতিবেদন তৈরির সময় :১৮
মার্চ, ২০১৫ ইং, সকাল ১০:৪৫ ঘটিকা।
প্রতিবেদন
জমার তারিখ :২২ এপ্রিল, ২০১৫ ইং ।
শিশুশ্রম বন্ধ কর; সমৃদ্ধ জাতি গড়নিজস্ব
প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম। ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯: “সবচেয়ে
খেতে ভাল মানুষের রক্ত”- কবি
সুকান্ত ভট্টাচার্যের এই কথার বাস্তব চিত্র সমাজ, রাষ্ট্র তথা সমগ্র বিশ্বেই স্পষ্ট।
ফুলকলি’সম শিশুদের
শৈশব নিংড়ে নিংড়ে বর্তমান পুঁজিবাদী সমাজ প্রাচুর্যের পাহাড় গড়ছে, অথচ শৈশব একজন
মানুষের জীবন গঠনের প্রারম্ভ মুহূর্ত। নিজের বুদ্ধিমত্তা ও প্রতিভার খোজ মানুষ এ বয়সেই
পেয়ে থাকে।
শিশুদের
শ্রমবৃত্তিতে নিয়োগ প্রাচীনকাল থেকেই চলে আসছে। বর্তমানে যারা নিজেদেরকে সভ্য বলে দাবি
করে এবং পৃথিবীতে আদর্শের ঝান্ডা উড়ানোর প্রতিশ্রুতিবন্ধ হয়, তারাও শিশুদের শৈশব
নিয়ে অর্থের লোভে ছিনিমিনি খেলে। সারাদিন চৌদ্দ থেকে ষোলো ঘণ্টা পরিশ্রম করে শিশুরা
যে পারিশ্রমিক লাভ করে, তা দিয়ে সামান্য খাবারও জোটানো অসম্ভব হয়ে পড়ে। উপরন্তু
পরিশ্রমের সাথে সংযোগ হয় নানারূপ শারীরিক ও মানসিক লাঞ্ছনা। ফলে শ্রমজীবী শিশুদেরকে
মানবেতর জীবন-যাপন করতে হয়।
পোশাক
শিল্প, চামড়া শিল্প, নির্মাণ শিল্প, হোটেল, রেস্তোরা, যানবাহন ইত্যাদি খাতে শিশুরা
শ্রম বিক্রি করে থাকে। মূলত দরিদ্রতার কশাঘাতেই পিতামাতারা তাদের শিশুদেরকে শ্রমে নিয়োজিত
করেন। আর পুঁজিপতি ধনিক শ্রেণি এদের শ্রমকে সামান্য পারিশ্রমিকের বিনিময়ে ক্রয় করে।
শৈশবকালে
শিক্ষার আলো আহরণের বদলে কঠিন শ্রমে জড়িয়ে থাকা এসব শিশুর বুদ্ধির স্বাভাবিক বিকাশ
হয় না। শিক্ষার আলো বিবর্জিত পরিবেশে এরা অশিক্ষিত, গোঁড়া ও দুশ্চরিত্র হিসেবে বেড়ে
ওঠে। ফলে সমাজে সৃষ্টি হয় সন্ত্রাস, চুরি, ডাকাতির মতো নৃশংস ঘটনার সূত্রপাত এবং অশিক্ষিত
এ সমস্ত মানুষ তাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও শিক্ষার দিকে ধাবিত করে না।
আমাদের
সমাজ ও জাতিকে আলোকিত পথে পরিচালিত করতে হলে ও দেশে স্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে হলে
শিশুশ্রম বন্ধ করতে হবে। ধনিক শ্রেণির অধিক মুনাফা অর্জনের লোভকে সংযত করতে হবে এবং
পিতামাতাকে তাদের সন্তানের শিক্ষার ব্যাপারে যত্নবান হতে হবে। সমাজে দরিদ্র শ্রেণির
জন্য অবৈতনিক শিক্ষাব্যবস্থা চালু করতে হবে এবং এ ব্যাপারে সরকারকে বিভিন্ন নীতিমালা
বাস্তবায়নের মাধ্যমে পদক্ষেপ নিতে হবে। কারণ আজকের শিশুরাই আগামী দিনের জাতির ভবিষ্যৎ।
সুতরাং ভবিষ্যৎকে আলোকিত করতে চাইলে অভিভাবক, সমাজ ও সরকারকে সহানুভূতির হাত বাড়াতে
হবে এবং শিশুশ্রম বন্ধের মাধ্যমে তাদের ফিরিয়ে দিতে হবে শৈশবের আলোকিত আঙ্গিনা।
”গ”
প্রতিবেদক
তোমার বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন রচনা কর।
২৫.০৩.২০২১
প্রধান
শিক্ষক,
ফুলবাড়ীয়া
পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়,
ফুলবাড়ীয়া,
ময়মনসিংহ।
বিষয়:
বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ সম্পর্কে প্রতিবেদন।
জনাব,
আপনার
আদেশ (নং বা, স,/১৬.০৩.২০২১) অনুসারে আমি ফুলবাড়ীয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার
পরিবেশ সম্পর্কে সরেজমিনে অনুসন্ধান মূলক একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছি। অত্র বিদ্যালয়ের
শিক্ষার্থী,শিক্ষক, অবিভাবক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মতামতের ডিত্তিতে তৈরি প্রতিবেদন
নিচে উপম্থাপন করা হল-
1. শ্রেণিকক্ষের
স্থানের তুলনায় শিক্ষার্থীদের সংখ্যা অনেক বেশি। ফলে প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের সুষ্ঠু
তদারকি করা শিক্ষকের পক্ষে সম্ভব হয় না।
2. প্রয়োজনীয়
সংখ্যক ফ্যান না থাকায় গরমে ক্লাস করায় শিক্ষার্থীদের বেশ অসুবিধা হচ্ছে।
3. বিজ্ঞান
গবেষণাগারে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি না থাকায় বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞানের
জটিল বিষয়গুলো হাতে-কলমে শিখতে পারছেনা।
4. বিদ্যালয়
ম্যাগাজিন নিয়মিতভাবে প্রকাশ না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের সাহিত্যচর্চার বিকাশ হচ্ছে
না।
5. নিয়মিত
পাঠদানের পাশাপাশি সহশিক্ষার কর্মকাণ্ড নেই বললেই চলে। ফলে শিক্ষার্থীদের সুপ্ত প্রতিভা
ও মননশীলতার বিকাশ ধারুণভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
6. সাংস্কৃতিক
চর্চার ব্যবস্থা নেই। ফলে বাঙালির নিজস্ব ঐতিহ্য শিক্ষার্থীরা লালন করতে পারছে না বিধায়
তার বিরূপ প্রভাব তাদের আচরণে স্পষ্ট।
7. শিক্ষার্থী
বান্ধব পরিবেশ নেই। ফলে মেধার যথাযথ বিকাশ হচ্ছে না।
8. বর্ষাকালে
বিদ্যালয় মাঠে পানি জমে থাকায় শিক্ষার্থীদের চলাফেরা করতে ভীষণ অসুবিধা হচ্ছে।
9. কয়েকটি
বিষয়ের শিক্ষক স্বল্পতা রয়েছে, যার কারণে শিক্ষার্থীদের পাঠদান বিলম্বিত হচ্ছে।
10. শিক্ষার্থীরা
উৎসাহী হওয়া সত্ত্বেও খেলার পরিবেশ ও পৃষ্ঠপোষকতা নেই বললেই চলে। ফলে তাদের শারীরিক
ও মানসিক বিকাশ সঠিকভাবে হচ্ছে না।
11. বিদ্যালয়ের
মেয়ে শিক্ষার্থীরা প্রায়ই বহিরাগতদের দ্বারা লাঞ্ছিত ও কটূক্তির শিকার হয়। এজন্য
বহিরাগতদের প্রবেশাধিকার বন্ধ করতে হবে।
12. ছাত্র
রাজনীতির নামে বখাটে ও মাস্তানদের দ্বারা প্রায়ই মারামারি ও অম্বাভাবিক পরিবেশের সৃষ্টি
হয়।
13. বিদ্যালয়ে
পানীয় জলের সুব্যবস্থা নেই বললেই চলে। একটি টিউবওয়েল থাকলেও অধিকাংশ সময়ই তা নষ্ট
থাকে।
14. বিদ্যালয়
প্রাঙ্গণে একটি কেন্টিনের ব্যবস্থ্যা করা অতীব জরুরি।
সার্বিকভাবে
বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ খুবই নাজুক। উর্পযুক্ত বিষয় গুলোর সুষ্ঠু সমাধানে শিক্ষার
পরিবেশ নিশ্চিত হবে বলে আশা রাখি।
প্রতিবেদক-
মো: মোতাহার আলী
Thursday, May 13, 2021
তোমার বিদ্যালয়ে
বাংলা নববর্ষ বরণ অনুষ্ঠানের বর্ণনা দিয়ে প্রধান শিক্ষকের নিকট প্রতিবেদন রচনা কর।
১০ মে, ২০১৬
প্রধান
শিক্ষক
‘ক’ উচ্চ
বিদ্যালয়
ঢাকা-১২০৬
বিষয়: বাংলা
নববর্ষ বরণ উপলক্ষে বিদ্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানমালা প্রসঙ্গে প্রতিবেদন।
জনাব,
আপনার দ্বারা
আদিষ্ট হয়ে আমাদের বিদ্যালয়ে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে দিনব্যাপী আয়োজিত কর্মসূচি সম্পর্কে
নিম্নোক্ত বক্তব্য রাখছি।
v স্বল্পপরিসরে
আয়োজিত হলেও অনুষ্ঠানে ছিল সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও পরিচালনার ছাপ। প্রত্যেক শিক্ষক-শিক্ষিকা
ও শিক্ষার্থী বর্ষবরণ অনুষ্ঠানমালায় স্বতঃস্ফূর্ত ভূমিকা রাখে।
v উপস্থিত
সবার সাজসজ্জায় ফুটে ওঠে বাঙালি জাতির ঐতিহ্য। ছাত্র ও শিক্ষকরা পরেন লাল-সাদা পাঞ্জাবি
ও পায়জামা। আর ছাত্রী-শিক্ষিকারা পরেন ঐতিহ্যবাহী লাল পেড়ে সাদা শাড়ি আর খোঁপায় বেলি
ফুলের মালা।
v সকাল ৭টায়
বিদ্যালয় থেকে বের হয় শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীদের সুশৃঙ্খল বর্ণিল শোভাযাত্রা।
v সকাল ৭টা
৪৫ মিনিটে প্রধান শিক্ষকের নেতৃত্বে সূচনা ঘটে আলোচনা সভার। স্কুল মিলনায়তনে আয়োজিত
এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব কবি ও লেখক আসাদ চৌধুরী।
v শিক্ষক-শিক্ষিকা
ও ছাত্রছাত্রীদের পাশাপাশি সভায় উপস্থিত ছিলেন আমন্ত্রিত অভিভাবকরা।
v আলোচনা
শেষে ৯ ঘটিকায় আরম্ভ হয় মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সমবেত কণ্ঠে ‘এসো হে বৈশাখ,
এসো, এসো’ গেয়ে স্বাগত জানানো হয় নববর্ষকে।
v তারপর একে
একে পরিবেশিত হয় রোমাঞ্চকর কবিতা পাঠ, রবীন্দ্রসংগীত, নজরুলগীতি, নৃত্য ও নাটক।
v স্কুলমাঠে
আয়োজিত হয় দিনব্যাপী বৈশাখী মেলার। এই আনন্দময় মেলায় সবার চিত্তকর্ষণ করে পুতুলনাচ।
v এ ছাড়া
বাংলা ও বাঙালির ঐতিহ্যবাহী খাবার ‘পান্তা ইলিশ’ খাওয়ার ব্যবস্থা অনুষ্ঠানে নতুন মাত্রা
যোগ করে। প্রকৃতপক্ষে পুরো দিনটিতে পরিলক্ষিত হয় বাংলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য; সব কর্মকাণ্ডে
প্রতিফলিত হয় বাঙালি জাতির কৃষ্টি-সংস্কৃতি।
সার্বিক
বিবেচনায় নববর্ষ উপলক্ষে দিনব্যাপী আয়োজিত কর্মকাণ্ড সবাইকে আনন্দ দেয় ও মুগ্ধ করে।
এই আয়োজনের সমাপ্তি ঘটে বেশ সুশৃঙ্খল ও আনন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে।
প্রতিবেদকের
নাম ও ঠিকানা:
ফেরদৌসী
শারমিন
‘ক’ উচ্চ
বিদ্যালয়, ঢাকা-১২০৬
প্রতিবেদনের
শিরোনাম: বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানমালা
প্রতিবেদক
তৈরির সময়: সকাল ১০ ঘটিকা
তারিখ:
১০.০৫.২০১৬
Wednesday, May 12, 2021
# তোমাদের এলাকার একটি রাস্তা সংস্কারের
জন্যে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সংবাদপত্রে প্রকাশরে উপযোগী একটি পত্র রচনা কর।
২০ র্মাচ, ২০১৭ খৃ:
সম্পাদক,
দৈনিক ইত্তফোক,
১, রামকৃষ্ণ মিশন রোড,
ঢাকা-১২০৩।
বিষয়: নিচের পত্রখানা চিঠিপত্র কলামে প্রকাশরে আবদেন।
জনাব,
আপনার সম্পাদতি বহুল প্রচলতি দৈনিক ইত্তফোক পত্রকিার সংশ্লষ্টি বিভাগে নিম্নোক্ত পত্রটি প্রকাশ করে জনসাধারণের উপকারে
অবদান রাখার জন্যে অনুরোধ জানাচ্ছি।
নিবেদক-
মো: মোহায়মিন
ডহরপাড়া, বরশিাল।
রাস্তা সংস্কার জরুরীবিনীত নিবেদন এই যে, আমরা
গুঠিয়া ইউনিয়নের ডহরপাড়া গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা । আমরা অত্র এলাকার যে রাস্তা আছে
তা পঞ্চগ্রাম হয়ে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে এসে লেগেছে। রাস্তাটির মুখ পূর্বে প্রস্থ ছিল
৩৬ ফিট যা এখন বর্তমানে ১৮ ফিট আছে, বর্তমানে উক্ত রাস্তায় এ্যামবুলেন্স, ফায়ার সার্ভিসের
গাড়ি এবং মালবহনের গাড়ি চলাচল করা সম্ভব হচ্ছে না । এ জন্য এলাকাবাসি চলাচলের ক্ষেত্রে
নানাবিদ সমস্যার সম্মখীন হচ্ছে। তাছাড়া পুরো রাস্তা জুরে খানা-খন্দে ভরা। আর বৃষ্টি
হলে তো কোনো কথাই নেই। তখন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। প্রায় সময় নানাবিদ দুর্ঘটনা ঘটে।
অতএব, বিনীত প্রার্থনা
এই যে, গুঠিয়া ইউনিয়নের ডহরপাড়া গ্রামের আওতা ভুক্ত রাস্তাটি যানবহন চলাচলের জন্য প্রশস্থ
করণে জনাবের মর্জি হয় এবং সমস্যাটি অতি দ্রুত সু-সম্পন্ন এবং দুর্ভোগ লাঘব ঘটাতে মাননীয়
নির্বাহী কর্মকর্তার সু-দৃষ্টি একান্ত কামনা করছি।
নিবেদক-
মো: মোহায়মিন
ডহরপাড়া, বরিশাল।
প্রেরক
|
ঢাক টিকেট
প্রাপক,সম্পাদক, দৈনিক ইত্তেফাক, ১, রামকৃষ্ণ মিশন রোড, ঢাকা-১২০৩। |
জরিমানা মওকুফের জন্য প্রধান শিক্ষকের কাছে আবেদন।
৮ নভেম্বর ২০২০
প্রধান শিক্ষক
সাকোয়া উচ্চ বিদ্যালয়, সাকোয়া।
মাধ্যম: শ্রেণীশিক্ষক।
বিষয়: জরিমানা মওকুফের জন্য আবেদন।
মহোদয়,
বিনীত নিবেদন এই যে, আমি আপনার
বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর একজন নিয়মিত ছাত্র। আমি সাধারণত প্রতি মাসের বেতন প্রতি মাসের
নির্ধারিত তারিখেই পরিশোধ করে থাকি। কিন্তু এ মাসে বাড়িতে একটু আর্থিক অনটন পড়ে। ফলে
নির্দিষ্ট তারিখে বেতন পরিশোধ করতে পারিনি। আমি আজকে বেতন পরিশোধ করতে চাই কিন্তু এই
সময়ে আমার পক্ষে জরিমানা দেওয়া কষ্টকর।
অতএব, বিনীত নবেদন এই যে, সহৃদয় বিবেচনার
মাধ্যমে জরিমানা মওকুফ করে আমার বেতন পরিশোধ করার অনুমতি দিয়ে বাধিত করবেন।
নিবেদক-
ওসমান গণি
শ্রেণি: ১০ম
রোল: ০২
বিতর্ক ক্লাব গঠনের অনুমতি চেয়ে প্রধান শিক্ষকের নিকট একখানা আবেদন পত্র লেখ।
প্রধান শিক্ষক,
বিনয়পুর উচ্চ বিদ্যালয়,
দেবীগঞ্জ, পঞ্চগড় ।
বিষয়:বিতর্ক ক্লাব গঠনের অনুমতির জন্য আবেদন
জনাব,
যথাবিহীত সম্মানপূর্বক নিবেদন এই যে, আমরা আপনার বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্র। আমাদের
বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীরা অলসভাবে তাদের অবসর সময় কাটাচ্ছে। সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের সুযোগ
নেই বললেই চলে। এ ক্ষেত্রে সহশিক্ষা কার্মসূচি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আমরা মনে
করি। নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য নিয়মিত বক্তৃতা বা যুক্তি-তর্ক করা শিক্ষার্থীদের
মননশীল মেধা বিকাশ করবে বলে আমাদের বিশ্বাস। এমতাবস্তায় সকলের মেধাবিকাশের জন্যে আমাদের
বিদ্যালয়ে একটি বিতর্ক ক্লাব গঠন করা প্রয়োজন।
অতএব, জনাবের নিকট প্রার্থনা, বিতর্ক ক্লাব গঠনের অনুমতি দানে
বাধিত করবেন।
নিবেদক-
আপনার একান্ত অনুগত ছাত্র
হৃদয় চন্দ্র সরকার
শ্রেণি:৭ম রোল:০১
# তোমার এলাকায় দাতব্য চিকিৎসালয় স্হাপনের আবেদন জানিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদনপত্র লেখ।
জেলা প্রশাসক,
অমুক জেলা
বাংলাদেশ।
বিষয়: দাতব্য
চিকিৎসালয় স্হাপনের আবেদন পত্র।
বরিশাল জেলার উজিরপুর একটি ঐতিহ্যবাহী থানাi GKwU MÖgv Wnicvov। এই MÖv‡g GKwU evRvi, GKwU cÖv_wgK we`¨vjq, GKwU gva¨wgK
we`¨vjq I GKwU gv`ªvmv i‡q‡Q| কিন্তু AZ¨šÍ `yt‡Li welq GB †h, G
MÖv‡g, GgbwK Av‡kcv‡ki 7/8 MÖv‡g †Kv‡bv fv‡jv Wv³vi ev wPwKrmvjq †bB| fvj Wv³v‡ii
mÜv‡b 40 wK‡jvwgUvi `~‡i †ivMx wb‡Z †M‡j †ivMxi Ae¯’v †kvPbxq n‡q c‡o| d‡j Mixe
RbmvaviY‡K ¯’vbxq evRv‡ii nvZz‡o Wv³vi‡`i AcwPwKrmvi wbg©g wkKv‡i cwiYZ n‡”Q|
ZvB G MÖv‡g GKwU miKvix `vZe¨ wPwKrmvjq ¯’vcb AZ¨vek¨K n‡q c‡o‡Q| G-e¨vcv‡i
h_vh_ KZ…©c‡ÿi wbKU K‡qKevi Av‡e`b Kiv n‡jI Zv‡Z †Kv‡bv mvov cvIqv hvq wb|
AZGe, mswkøó KZ©„c‡ÿi Kv‡Q AvKzj
Av‡e`b, Avgv‡`i MÖv‡g GKwU `vZe¨ wkÿvjq ¯’vcb K‡i AÎ MÖv‡gi Rbmvavi‡Yi wPwKrmv
†mev wbwðZ Ki‡Z gwR© nq|
নিবেদক-
এলাকাবাসীর পক্ষে-
মো: মোহায়মিন
ডহরপাড়া, বরিশাল।
# তোমার এলাকায় দাতব্য চিকিৎসালয় স্হাপনের আবেদন জানিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদনপত্র লেখ।
জেলা প্রশাসক,
অমুক জেলা
বাংলাদেশ।
বিষয়: দাতব্য
চিকিৎসালয় স্হাপনের আবেদন পত্র।
জনাব,
সবিনয় নিবেদন
এই যে আমি অমুক জেলার অমুক এলাকার কামুক ইউনিয়নের একজন বাসিন্দা।আমাদের এলাকায় ২টি
বিদ্যালয়, ১ টি মহাবিদ্যালয়,১টি মসজিদ ও ১টি মন্দির আছে।কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে প্রায়
২৫০০০ মানুষের এই এলাকায় কোন দাতব্য চিকিৎসালয় নাই।দাঁতের ব্যাথায় এই এলাকার বাচ্চা
থেকে বৃদ্ধ সকলে ব্যাফক কষ্ট পায়।বাড়ির মহিলারা দাঁতের সুড়সুড়ানিতে আক্রান্ত হয়ে পরিবারে
অশান্তি করে এবং রান্না-বান্না হতে বিরত থাকে।এর ফলে পারিবারিক শান্তি বিনষ্ট হয়।বাড়ির
কর্তারা মানবেতর জীবন কাটাতে বাধ্য হয়।ইতিফূর্বে আমি দাতব্য চিকিৎসালয় স্হাপনের আবেদন
করলে জেলা প্রশাসন বিনামূল্যে অন্যান্য রোগের চিকিৎসার ব্যবস্হা করেছে। কিন্তু আমরা
চাই একটা দাতব্য মানে দাঁতের চিকিৎসালয়।
অতএব বিনীত
নিবেদন এই যে আমার এলাকায় একখান দাতব্য চিকিৎসালয় গড়ে তুলতে আফনার যেনু আজ্ঞা হয়।
নিবেদক-
মো: মামুন হোসেন
গ্রাম+পো: ধামসর,
উপজেলা: উজিরপুর
জেলা: বরিশাল।
# শিক্ষা জীবনের শেষ দিনের অবস্থা জানিয়ে বন্ধুকে পত্র লিখ।
মিরপুর, ঢাকা।
০৮ মে, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ
কেমন আছো? আশা করি ভালো আছো।আজ আমার মনটা ভালো নেই। দু-ঘণ্টা হল কলেজ থেকে ফিরেছি। তুমি তো জান আজ আমাদের কলেজ-জীবনের শেষ দিন, বিদায়ের দিন।বেদনায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে মন।তাই আমার মনে হল তোমার কাছে দু-কলম লিখতে পারলে আমার বেদনাহত হৃদয় কিছুটা হলেও শীতল হবে।
গতকালই আমাদের ফরম পূরণের শেষ দিন অতিবাহিত হয়েছে। আজ আমাদের বিদায়ের দিন। কলেজের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। আজ আর কারো মনে কোনো আনন্দ নেই, নেই কোনো চঞ্চলতা, সবার চোখে মুখে একটা বিষণ্নতার ছাপ। চারদিকে যেন বিদায়ের সকরূণ ঘণ্টা বাজছে, ঘণ্টাধ্বনির মতো সে ধ্বনি আকাশে-বাতাসে প্রতিফলিত হয়ে আমার হৃদয়কে ক্ষত-বিক্ষত করতে লাগল। মনে হল সবচেয়ে বেশি কষ্ট বোধহয় আমিই পাচ্ছি। আসলে এ কষ্ট এবং দুঃখ কাউকে বোঝানো কিংবা বলা যায় না বলেই এর তীব্রতা ও দহন এত বেশী। আমাদের সবাইকে ফুলের মালা পরিয়ে সূচনা হল বিদায়ের! প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্য দিয়ে অনেক বক্তব্য রেখে আমাদের প্রতি তাদের প্রত্যাশা ব্যক্ত করল। বিদায়ী ছাত্রদের পক্ষ থেকে আমি বক্তব্য রাখলাম। কিন্তু এতটাই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম যে বিদায়ের এই দিনে কিছু বলা আমার জন্যে ছিল একেবারেই অসম্ভব। দুচোখের জল বাধা মানল না। আমাদের সবার জন্য দোয়া চেয়ে আমার বক্তব্য শেষ করতে হল। তারপর সভাপতির ভাষণে বক্তব্য রাখলেন আমাদের পরম শ্রদ্ধাভাজন অধ্যক্ষ। তিনি আমাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করে চলার পথের পাথেয় সম্পর্কে নানা উপদেশ দিলেন। সবশেষে আমাদের সবাইকে উপহার হিসেবে একটি করে বই দেয়া হল। এরপর সঙ্গীতানুষ্ঠান। বিদায়ের গানে বেদনার সুর বেজে উঠতেই আমাদের কলেজ জীবনের শেষ দিনের মুহূর্তগুলো হৃদয়পটে ছবির মতো আটকে গেল। এ স্মৃতি কখনোই ভোলার নয়।
আজ আর নয়। আমার জন্যে
দোয়া করবে। বাসার সবার প্রতি স্নেহ ও সালাম রইল।
ইতি
নূসরাত
প্রেরক,
|
ঢাক টিকেট প্রাপক,
|