# বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ পালনের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে বন্ধুর কাছে একখানা চিঠি লেখ।
১২ জুলাই, ২০১৮ খ্রি.
উজিরপুর, বরিশাল।
প্রিয় মামুন,
প্রথমে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা নিও। গতকাল তোমার যে চিঠিখানা পেয়েছি তার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ।গতকাল তোমার চিঠি পেয়ে জানতে পারলাম তুমি ভালো আছ। আমিও তোমাদের দোয়ায় ভালো আছি।তুমি ‘বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ পালন’-এর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জানতে চেয়েছ। আজ সে সম্পর্কে লিখছি।
দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বনজ সম্পদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্যে দেশের মোট ভূমির কমপক্ষে শতকরা ২৫ ভাগ বনভূমি থাকা প্রয়োজন। কিন্তু সে তুলনায় আমাদের বনভূমির পরিমাণ খুবই কম। তাই অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিও জন্যে সব সম্পদেও উন্নয়নের মাধ্যমে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখা দরকার। নানা কারণে দেশের বনভূমি ক্রমেই উজাড় হয়ে যাচ্ছে। দেশের জনসংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধিজনিত কারণে অনেক বনভূমি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। ফলে পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট হচ্ছে। এজন্য বৃক্ষরোপণের প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষ নানাভাবে বৃক্ষের ওপর নির্ভশীল। বৃক্ষ অক্রিজেন দিয়ে আমাদের জীবন রক্ষা করে। বৃক্ষের কাঠ আমাদেও একটি বড় ধরনের আয়ের উৎস। গৃহনির্মাণ, নিত্যপ্রয়োজনীয় আসবাবপত্র তৈরি থেকে শুরু করে বৃক্ষ মানবজীবনে কত প্রয়োজন মেটায় তা বলে শেষ করা যাবে না। বৃক্ষের অভাবে অনাবৃষ্টি দেখা দেয়, দেখা দেয় নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের ভয়াবহতা। এজন্য ‘বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ পালন’ অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে। এ ধরনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বৃক্ষরোপণের ক্ষেত্রে আগহ সৃষ্টি হয় এবং মানুষের মধ্যে সচেতনতা আসে। এজন্য ‘বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ পালন’-এর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। প্রতিটি মানুষের প্রতিবছর কমপক্ষে একটি করে বৃক্ষরোপণ করা উচিত।
আজ আর না। সময় পেলেই আমাকে চিঠি লেখো। ভালো থেকো। তোমার পিতা-মাতাকে শ্রদ্ধা ও ছোট ভাই-বোনদেরকে স্নেহ জানাবে।তোমার সার্বিক মঙ্গল কামনা করি।
ইতি
তোমার প্রিয়,
মুমতারিন মালিহা
প্রেরক, মুমতারিন মালিহা গ্রা:+পো: ডহড়পাড়া উপজেলা: উজিরপুর জেলা: বরিশাল। ডাক টিকিট |
মামুন হোসেন গ্রাম+পো: ধামসর, উপজেলা: উজিরপুর জেলা: বরিশাল। |
No comments:
Post a Comment