চলমান কথা

গত ১১ মে, ২০২০ আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের অনলাইন পরীক্ষার শুভ উদ্বোধন করেন প্রকৌশলী এ এম এম সাজ্জাদুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এপিএসসিএল।

স্বপ্নের পদ্মা সেতু; স্বপ্ন হলো সত্যি। স্বপ্নের পদ্মা সেতুর সাথে স্বপ্ন যাবে বাড়ি।

Wednesday, September 9, 2020

শিশু অধিকার

শিশুরাই জাতির ভবিষ্যত। তারা রাষ্ট্র ও সমাজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই তাদেরও কিছু অধিকার আছে। কিন্তু আমরা শিশুদের অধিকারের ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। জাতিসংঘের জেনেভা কনভেনশন শিশুদের কিছু মৌলিক অধিকার চিহ্নিত করেছে। কনভেনশন অনুযায়ী , শিশুদেরকে সকল প্রকার হুমকি থেকে রক্ষা করতে হবে। তাদের শরীরিক ও মানসিক বিকাশের সুযােগ দিতে হবে। শিশুদের চাওয়া-পাওয়া, পছন্দ ও অপছন্দের প্রতি সম্মান দেখাতে হবে। শিশুদেরকে পরম স্নেহ,ভালোবাসা ও মায়া-মমতায় গড়ে তুলতে হবে। তাদেরকে স্বাস্থকর পরিবেশে বড় হওয়ার সুযোগ দিতে হবে। তাদেরকে শারীরিকভাবে প্রহার বা নির্যাতন করা যাবে না। জাতিসংঘ সনদ অনুযায়ী, ১৮ বৎসর বয়সের নিচের ছেলেমেয়েদেরকে শিশু হিসেবে গণা করা হবে। শিশুদের সুস্থ মানসিক ও শারীরিক বিকাশের জন্য কঠোর শ্রমে নিয়োগ করা যাবে না। আমাদের দেশের শিশুরা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত। শিশু শ্রম বেআইনী হলেও আমাদের দেশে গরীব শিশুরা কঠোর পরিশ্রম করে। তারা তাদের বাবা-মার সাথে রাস্তার পাশে ইট ও পাথর ভাঙ্গে। তারা হােটেল রেস্তোরা, টেম্পুর হেলপার হিসেবে কাজ করে। অনেক শিশু ধনী ব্যক্তিদের বাসায় চাকর-চাকরাণী হিসেবে কাজ করে। অধিকন্তু, তাদেরকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়। শিশুরা অস্বাস্থকর পরিবেশে কাজ করতে বাধ্য হয়। দরিদ্র পরিবারের শিশুরা স্কুলে যায় না , আবার অনেকের ইচ্ছা থাকলেও পরিস্তিতির কারণে যেতে পারে না । বস্তুত, শিশুদের প্রতি আমাদের মানবিক আচরণ করতে হবে এবং তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না।

Friday, September 4, 2020

বিজ্ঞান মেলা

ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ের উপর ব্যবহারিক জ্ঞান প্রদান করার জন্য ও বিজ্ঞান বিষয়ে আগ্রহী করে তোলার জন্য যে মেলা অনুষ্ঠিত হয় তাকে বিজ্ঞান মেলা বলে। বিজ্ঞান মেলায় স্কুল ও কলেজের ছাত্রছাত্রীরা বৈজ্ঞানিক মডেল, চার্ট ও যন্ত্রপাতির প্রদর্শন করে। ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বিজ্ঞান বিষয়ে উৎসাহ সৃষ্টি করাই বিজ্ঞান মেলার লক্ষ্য। প্রতি বৎসর সরকার জাতীয় বিজ্ঞান সপ্তাহ পালন করে। এরই অংশ হিসেবে প্রতি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে স্কুল ও কলেজের ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণে বিজ্ঞান মেলা অনুষ্ঠিত হয়। বিজ্ঞান মেলায় বিভিন্ন স্কুল ও কলেজ ও বিজ্ঞান ক্লাব থেকে স্টল দেয়া হয়। এসব স্টলে বিজ্ঞানের বিস্ময় জিনিস সম্পর্কে দর্শকদের জ্ঞান দেয়া হয়। প্রতিটি স্টলে উপস্থিত দর্শকদের নিকট একজন ক্ষুদে বিজ্ঞানী তার প্রজেক্ট ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে দেয়। দর্শকবৃন্দ বিশেষ করে মেলার ভ্রমণরত শিশু-কিশোরেরা অতি উৎসাহ নিয়ে বিজ্ঞানের বিভিন্ন তত্ত্বের ব্যবহারিক প্রয়োগ দেখে। এটি তাদের কে বিজ্ঞান চর্চায় অনুপ্রাণিত করতে পারে । তাছাড়া সাধারণ মানুষের মধ্যেও বিজ্ঞান মেলা প্রচুর উৎসাহ ও কৌতূহল সৃষ্টি করে। তারা তাদের ঘরের ব্যবহার্য বিভিন্ন উকরণের কার্যাবলি দেখে মুগ্ধ হন। বিজ্ঞান মেলা ছাত্রছাত্রীদের দ্বারা হলেও এটি সকলের জন্য উন্মোক্ত থাকে। তাই বিজ্ঞান মেলায় প্রচুর লোকের জমায়েত হয়। এক কথায় বিজ্ঞান মেলা উৎসবের রূপ ধারণ করে। বিজ্ঞান মেলায় অংশগ্রহণকারীদেরকে সনদ দেয়া হয় এবং শ্রেষ্ঠ প্রজেক্টের জন্য আলাদা পুরস্কার প্রদান করা হয়। মেলা ছেলে মেয়েদের বিজ্ঞান শিক্ষায় আগ্রহী করে তোলে । বিজ্ঞান মেলা একই সাথে নিজের প্রতিভা তুলে ধরা ও অন্যকে বিজ্ঞান চর্চায় উত্সাহী করে তোলার মাধ্যম ।

 খাদ্যে ভেজাল

খাদ্যে ভেজাল দেশের একটি ভয়াবহ সমস্যা ও উদ্বেগের বিষয়। ভেজাল খাদ্য বলতে খাদ্য দ্রব্যের সাথে নিম্ন মানের ক্ষতিকর ও অপ্রয়ােজনীয় রাসায়নিক জিনিস মেশানাে বুঝায়। ভেজাল খাদ্য দ্রব্য জনযাস্বাস্থের জন্য মারাত্মক হুমকিযুপ। ভেজাল খাদ্যে আজ বাজার সয়লাভ হয়ে গেছে । মাছ, মাস, চিনি, লবণ, চাল, আটা, ঘি, মিষ্টি, ভোজ্য তৈল, ঔষধ সর্বত্রই ভেজাল। বাজারে প্রায় সকল খাদ্যদ্রব্য, মাছ, মাংস, ফলমূল (আপেল,আঙ্গুর ইত্যাদি, এমনকি কলাদেও) ও তরিতরকারি বিষাক্ত ফরমালিন, কার্বাইড এবং অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থ মেশানাে । ফল, শাক-সবজি ও বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রীর পচন রােধকল্পে ও এগুলাে সরক্ষণের জন্য অসাধু ব্যবসায়ীরা বিষাক্ত ফরমালিন, কার্বাইড ও অন্যান্য রাসায়নিক মেশায়। আবার কিছু কিছু ফলকে পাকানাের জন্য ও রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। এসব রাসায়নিক মিশ্রিত ভেজাল খাদ্য ও ফল মানবদেহ ও স্বাস্থের জন্য হুমকিস্বরুপ। মাছে ফরমালিন ব্যবহার করে মাছ তাজা রাখা হয়। ফাস্টফুড জাতীয় খাদ্যে ক্ষতিকর রাসায়নিক রং ও খাবার সুস্বাদু করার জন্য ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে ব্যবহার করা হয় । ভেজাল খাদ্য মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। ভেজাল খাদ্য খেয়ে মানুষ ক্রমে ক্রমে ক্যানসারসহ নানা দুরারােগ্য ব্যাধিতে ভুগে ও মৃত্যুমুখে পতিত হয়। খাদ্যে ভেজাল নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সরকারের বিভিন্ন দফতরের নিয়মিত বাজার মনিটরিং করতে হবে । কাজেই যে কোন মূল্যে খাদ্যে ভেজালের হাত থেকে আমাদের জাতিকে রক্ষা করতে হবে।