চলমান কথা

গত ১১ মে, ২০২০ আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের অনলাইন পরীক্ষার শুভ উদ্বোধন করেন প্রকৌশলী এ এম এম সাজ্জাদুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এপিএসসিএল।

স্বপ্নের পদ্মা সেতু; স্বপ্ন হলো সত্যি। স্বপ্নের পদ্মা সেতুর সাথে স্বপ্ন যাবে বাড়ি।

Sunday, September 20, 2020

 তুমিই শুধু তুমি

- সৈয়দ শামসুল হক---সংকলিত 


তোমার দেহে লতিয়ে ওঠা ঘন সবুজ শাড়ি।

কপালে ওই টকটকে লাল টিপ।

আমি কি আর তোমাকে ছেড়ে

কোথাও যেতে পারি?

তুমি আমার পতাকা, আমার কৃষির বদ্বীপ।


করতলের স্বপ্ন-আমন ধানের গন্ধ তুমি

তুমি আমার চিত্রকলার তুলি।

পদ্য লেখার ছন্দ তুমিসকল শব্দভুমি।

সন্তানের মুখে প্রথম বুলি।


বুকে তোমার দুধের নদী সংখ্যা তেরো শত।

পাহাড় থেকে সমতলে যে নামি


নতুন চরের মতো তোমার চিবুক জাগ্রত

তুমি আমার, প্রেমে তোমার আমি।


এমন তুমি রেখেছ ঘিরেএমন করে সব

যেদিকে যাইতুমিই শুধুতুমি!

অন্ধকারেও নিঃশ্বাসে পাই তোমার অনুভব,

ভোরের প্রথম আলোতেও তো তুমি!

 

এখন মধ্যরাত

-সৈয়দ শামসুল হক---সংকলিত


এখন মধ্যরাত।

তখন দুপুরে রাজপথে ছিলো মানুষের পদপাত।

মিছিলে মিছিলে টলমল ছিলো সারাদিন রাজধানী।

এখন কেবল জননকূল ছল বুড়িগঙ্গার পানি

শান্ত নীরব

নিদ্রিত সব।

ওই একজন জানালায় রাখে তার বিনিদ্র হাত

ছিলো একদিন তার

উজ্জ্বল দিন, ছিলো যৌবন ছিলো বহু চাইবার।

সারা রাত চষে ফিরেছে শহর খুঁজেছে সে ভালোবাসা।

পেতেছে সে হাত জীবনের কাছে ছিলো তারও প্রত্যাশা পাওয়া না পাওয়ার

প্রশ্নে হাওয়ার

বাষ্পরুদ্ধ কণ্ঠে এখন সারারাত হাহাকার।


পথে ওড়ে ধুলো, ছাই ওড়ে শুধু পথে যে আগুন ছিলো

একদা সে জ্বেলে ছিলো।

হৃদয়ে এখন সৌধের ভাঙা টুকরো আছাড় খায়।

আলো নিভে যায়, নিভে যায় আলো একে একে জানালায়।

থেমে যায় গান

তারপরও প্রাণ

বাঁশিটির মতো বেজে চলে যেন সবই আছে সবই ছিলো।

 একেই বুঝি মানুষ বলে

- সৈয়দ শামসুল হক-সংকলিত 


নষ্ট জলে পা ধুয়েছো এখন উপায় কি?

আচ্ছাদিত বুকের বোঁটা চুমোয় কেটেছি।

কথার কোলে ইচ্ছেগুলো বাৎসায়নের রতি,

মানে এবং অন্য মানে দুটোই জেনেছি।

নষ্ট জলে ধুইয়ে দেবে কখন আমার গা,

তোমার দিকে হাঁটবে কখন আমার দুটো পা?

সেই দিকে মন পড়েই আছে, দিন তো হলো শেষ;

তোমার মধ্যে পবিত্রতার একটি মহাদেশ

এবং এক জলের ধারা দেখতে পেয়েছি-

একেই বুঝি মানুষ বলে, ভালোবেসেছি।

 

সৈয়দ শামসুল হক (জন্ম ২৭ ডিসেম্বর, ১৯৩৫) একজন বিখ্যাত বাংলাদেশী সাহিত্যিক। তিনি কুড়িগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। কবিতা, উপন্যাস, নাটক, ছোটগল্প তথা সাহিত্যের সকল শাখায় সাবলীল পদচারণার জন্য তাঁকে 'সব্যসাচী লেখক' বলা হয়। সৈয়দ শামসুল হক মাত্র ২৯ বছর বয়সে বাংলা একাডেমী পুরস্কার পান। বাংলা একাডেমী পুরস্কার পাওয়া সাহিত্যিকদের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে কম বয়সে এ পুরস্কার লাভ করেছেন।


সংক্ষিপ্ত জীবনীঃ
সৈয়দ শামসুল হক সৈয়দ সিদ্দিক হুসাইন ও হালিমা খাতুন দম্পতির আট সন্তানের প্রথম সন্তান। পিতা সৈয়দ সিদ্দিক হুসাইন পেশায় ছিলেন হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার। তিনি ডাক্তারি চর্চা করতেন। এক ছেলে ও এক মেয়ের গর্বিত জনক জনাব হক ব্যক্তিজীবনে প্রথিতযশা লেখিকা ডাঃ আনোয়ারা সৈয়দ হকের স্বামী। সৈয়দ শামসুল হকের ভাষ্য অনুযায়ী তাঁর রচিত প্রথম পদ তিনি লিখেছিলেন এগারো-বারো বছর বয়সে। টাইফয়েডে শয্যাশায়ী কবি তাঁর বাড়ীর রান্নাঘরের পাশে সজনে গাছে একটি লাল টুকটুকে পাখি দেখে দুলাইনের একটি পদ "আমার ঘরে জানালার পাশে গাছ রহিয়াছে/ তাহার উপরে দুটি লাল পাখি বসিয়া আছে।" রচনা করেন। এরপর ১৯৪৯-৫০ সালের দিকে ম্যাট্রিক পরীক্ষার পরে ব্যক্তিগত খাতায় ২০০টির মতো কবিতা রচনা করেন। সৈয়দ শামসুল হকের প্রথম লেখা প্রকাশিত হয় ১৯৫১ সালের মে মাসে। ফজলে লোহানী সম্পাদিত
‘’অগত্যা’’ পত্রিকায়। সেখানে উদয়াস্ত নামে তাঁর একটি গল্প ছাপা হয়।

সাহিত্যিক সৈয়দ শামসুল হকের শিক্ষাজীবন শুরু হয় কুড়িগ্রাম মাইনর স্কুলে। সেখানে তিনি ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত পড়ালেখা করেন। এরপর তিনি ভর্তি হন কুড়িগ্রাম হাই ইংলিশ স্কুলে। এরপর ১৯৫০ সালে গণিতে লেটার মার্কস নিয়ে সৈয়দ শামসুল হক ম্যাট্রিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।

সৈয়দ শামসুল হকের পিতার ইচ্ছা ছিলো তাঁকে তিনি ডাক্তারী পড়াবেন। পিতার এরকম দাবি এড়াতে তিনি ১৯৫১ সালে বম্বে পালিয়ে যান। সেখানে তিনি বছরখানেকের বেশী এক সিনেমা প্রডাকশ হাউসে সহকারী হিসেবে কাজ করেন। এরপর ১৯৫২ সালে তিনি দেশে ফিরে এসে জগন্নাথ কলেজে নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী মানবিক শাখায় ভর্তি হন। কলেজ পাসের পর ১৯৫৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হন। পরবর্তীতে স্নাতক পাসের আগেই ১৯৫৬ সালে সেখান থেকে পড়াশোনা অসমাপ্ত রেখে বেরিয়ে আসেন। এর কিছুদিন পর তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘‘দেয়ালের দেশ’’ প্রকাশিত হয় ।

কাব্যগ্রন্থ:
একদা এক রাজ্যে (১৯৬১)
বিরতিহীন উৎসব (১৯৬৯)
বৈশাখে রচিত পংক্তিমালা (১৯৭০)
প্রতিধ্বনিগণ (১৯৭৩)
অপর পুরুষ (১৯৭৮)
পরাণের গহীন ভিতর (১৯৮০)
নিজস্ব বিষয় (১৯৮২)
রজ্জুপথে চলেছি (১৯৮৮)
বেজান শহরের জন্য কোরাস (১৯৮৯)
এক আশ্চর্য সংগমের স্মৃতি (১৯৮৯)
অগ্নি ও জলের কবিতা (১৯৮৯)
কাননে কাননে তোমারই সন্ধানে (১৯৯০)
আমি জন্মগ্রহণ করিনি (১৯৯০)
তোরাপের ভাই (১৯৯০)
শ্রেষ্ঠ কবিতা (১৯৯০)
রাজনৈতিক কবিতা (১৯৯১)
নাভিমূলে ভস্মাধার
কবিতা সংগ্রহ
প্রেমের কবিতা
ধ্বংস্তূপে কবি ও নগর (২০০৯)

পুরস্কার:
বাংলা একাডেমী পুরস্কার, ১৯৬৬
আদমজী সাহিত্য পুরস্কার, ১৯৬৯
অলক্ত স্বর্ণপদক ১৯৮২
আলাওল সাহিত্য পুরস্কার, ১৯৮৩
কবিতালাপ পুরস্কার ১৯৮৩
লেখিকা সংঘ সাহিত্য পদক, ১৯৮৩
একুশে পদক,১৯৮৪
জেবুন্নেসা-মাহবুবউল্লাহ স্বর্ণপদক ১৯৮৫
পদাবলী কবিতা পুরস্কার,১৯৮৭
নাসিরুদ্দীন স্বর্ণপদক, ১৯৯০
টেনাশিনাস পদক, ১৯৯০
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, চিত্রনাট্য, সংলাপ ও গীতিকার
মযহারুল ইসলাম কবিতা পুরস্কার ২০১১

Friday, September 18, 2020

দশম শ্রেণি বাংলা সৃজনশীল প্রশ্ন


 ১. নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দা। 

কার জামাটা ময়লা হয়েছে, কে চা খাবে, কখন খালাআম্মাকে ওষুধ খাওয়াতে হবে-প্রায় সব কাজ একা সামলায় দশ বছরের ফুলি। বাড়িরর সকলের প্রতি তার সমান দায়িত্ব। বাইরের কোনো মানুষ দেখে বুঝতেই পারবে না যে সে এ বাড়িরর কাজের মেয়ে। বাড়ির সবাই তাকে অনেক আদর-যত্নে রেখেছে। ফুলির সামান্য সর্দি-জ্বরে সবাই অস্থির হয়ে ওঠে। ফুলি নিজেকে খুব ভাগ্যবতী মনে করে।


ক. রানারের কাজ কী?   

খ. রানার সূর্য ওঠাকে ভয় পায় কেন?

গ.  উদ্দীপকের ‘ফুলি’ ও ‘রানার’ কবিতার রানারের সাদৃশ্য কাথায়? ব্যাখ্যা কর। 

ঘ. “উদ্দীপকের বাড়ির লোকজন যেন ‘রানার’ কবিতার কবির চেতনারই ধারক।”- উক্তিটির যথার্থতা নিরূপণ কর।


২. নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দা। 

আমি যেন সেই বাতিওয়ালা,

সে সন্ধ্যায় রাজপথে-পথে বাতি জ্বালিয়ে ফেরে

অথচ নিজের ঘরে নেই যার বাতি জ্বালার সামাথ্য, 

ডনজের ঘরে জমে থাকে দুঃসহ অন্ধকার।


ক. রানার কী পিছনে ফেলে সামনে চলে?   

খ.‘জীবনের সব রাত্রিকে ওরা কিনেছে অল্প দামে’-কথাটি বুঝিয়ে লেখ।

গ.  উদ্দীপকটি  ‘রানার’ কবিতার কোন দিক থেকে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর। 

ঘ. “উদ্দীপকে ‘রানার’ কবিতার একটি বিশেষ দিকের প্রতিফলন ঘটেছে, সম্পূর্ণ বিষয় নয়।”-উক্তিটির যথার্থতা প্রমান কর।


Monday, September 14, 2020

Saturday, September 12, 2020

 #  একটি ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শনের বর্ণনা দিয়ে বন্ধুর নিকট একটি পত্র লেখ।

 

১২ জুলাই, ২০১৮ খ্রি.

উজিরপুর, বরিশাল।

 

প্রিয় মামুন,

প্রথমে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা নিও। গতকাল তোমার যে চিঠিখানা পেয়েছি তার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ।গতকাল তোমার চিঠি পেয়ে জানতে পারলাম তুমি ভালো আছ। আমিও তোমাদের দোয়ায় ভালো আছি।গত কাল গিয়েছিলাম জাতীয় স্মৃতিসৌধ দর্শন করতে। এ সৌধের সৌন্দর্য তোমকে না জানাতে পারলে ভাল লাহছে না।

রাজধানী ঢাকা থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে নির্মিত হয়েছে এই জাতীয় স্মৃতিসৌধ।১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ভিত্তিপ্রস্তর করেছিলেন। এই স্মৃতিসৌধের নকশা তৈরি করেছিলেন স্থপতি সৈয়দ মইনুল হোসেন। এর উচ্চতা ১০০ ফুট। স্মৃতিসৌধের ফলক সংখ্যা ৭। এই ৭ সংখ্যাটি বিভিন্ন দৃষ্টিকোন থেকে অত্যন্ত তাৎপর্যময় ও অর্থবহ। এই নকশা স্থপতি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সাতটি পর্যায়কে ত্রিভুজাকৃতি মিনারের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধে শহিদ সাতজন বীরশ্রেষ্টের স্মৃতি এতে স্মরণকরা হয়েছে। সাত সংখ্যার সাথে মিল রেখে স্মৃতিসৌধটির সাতটি ফলক গড়ে উঠেছেঅপূর্ব শিল্পকর্ম। স্মৃতিসৌধের মিনারপ্রাঙ্গণের আয়তন ১৩০Í১৩০ ফুট। এ স্মৃতিসৌধটির নির্মাণ কাজ মোটামুটি শেষ হয়েছে ১৯৮২ সালের জুন মাসে। তবে এর মূল ভবনের কাজ শেষ হলেও চারপাশের সম্প্রসারণের কাজ এখনো অব্যাহত রয়েছে। এর পুরো আঙ্গিনায় রয়েছে অসংখ্য বিচিত্র বর্ণের ফুলের গাছ আর ডানপাশেই রয়েছে একচি সুন্দর লেক। এক কথায় এর সৌন্দর্য নয়ন মুগ্ধ করে।

আজ আর না। তুমি ঢাকা এলে অবশ্যই স্মৃতিসৌধ দেখে যাবে। সময় পেলেই আমাকে চিঠি লেখো। ভালো থেকো। তোমার পিতা-মাতাকে শ্রদ্ধা ও ছোট ভাই-বোনদেরকে স্নেহ জানাবে।তোমার সার্বিক মঙ্গল কামনা করি।


ইতি

তোমার প্রিয়,

মুমতারিন মালিহা

 

  প্রেরক,

   মুমতারিন মালিহা

   গ্রা:+পো: ডহড়পাড়া

   উপজেলা: উজিরপুর

   জেলা: বরিশাল।  ডাক টিকিট

ডাক টকিটি

 প্রাপক,                               

মামুন হোসেন

গ্রাম+পো: ধামসর,

উপজেলা: উজিরপুর            

জেলা: বরিশাল।   

 #  বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ পালনের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে বন্ধুর কাছে একখানা চিঠি লেখ।

 

১২ জুলাই, ২০১৮ খ্রি.

উজিরপুর, বরিশাল।


প্রিয় মামুন,

প্রথমে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা নিও। গতকাল তোমার যে চিঠিখানা পেয়েছি তার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ।গতকাল তোমার চিঠি পেয়ে জানতে পারলাম তুমি ভালো আছ। আমিও তোমাদের দোয়ায় ভালো আছি।তুমি ‘বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ পালন’-এর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জানতে চেয়েছ। আজ সে সম্পর্কে লিখছি।

দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বনজ সম্পদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্যে দেশের মোট ভূমির কমপক্ষে শতকরা ২৫ ভাগ বনভূমি থাকা প্রয়োজন। কিন্তু সে তুলনায় আমাদের বনভূমির পরিমাণ খুবই কম। তাই অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিও জন্যে সব সম্পদেও উন্নয়নের মাধ্যমে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখা দরকার। নানা কারণে দেশের বনভূমি ক্রমেই উজাড় হয়ে যাচ্ছে। দেশের জনসংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধিজনিত কারণে অনেক বনভূমি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। ফলে পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট হচ্ছে। এজন্য বৃক্ষরোপণের প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষ নানাভাবে বৃক্ষের ওপর নির্ভশীল। বৃক্ষ অক্রিজেন দিয়ে আমাদের জীবন রক্ষা করে। বৃক্ষের কাঠ আমাদেও একটি বড় ধরনের আয়ের উৎস। গৃহনির্মাণ, নিত্যপ্রয়োজনীয় আসবাবপত্র তৈরি থেকে শুরু করে বৃক্ষ মানবজীবনে কত প্রয়োজন মেটায় তা বলে শেষ করা যাবে না। বৃক্ষের অভাবে অনাবৃষ্টি দেখা দেয়, দেখা দেয় নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের ভয়াবহতা। এজন্য ‘বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ পালন’ অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে। এ ধরনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বৃক্ষরোপণের ক্ষেত্রে আগহ সৃষ্টি হয় এবং মানুষের মধ্যে সচেতনতা আসে। এজন্য ‘বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ পালন’-এর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। প্রতিটি মানুষের প্রতিবছর কমপক্ষে একটি করে বৃক্ষরোপণ করা উচিত।

আজ আর না। সময় পেলেই আমাকে চিঠি লেখো। ভালো থেকো। তোমার পিতা-মাতাকে শ্রদ্ধা ও ছোট ভাই-বোনদেরকে স্নেহ জানাবে।তোমার সার্বিক মঙ্গল কামনা করি।

 

ইতি

তোমার প্রিয়,

মুমতারিন মালিহা 

 

  প্রেরক,

   মুমতারিন মালিহা

   গ্রা:+পো: ডহড়পাড়া

   উপজেলা: উজিরপুর

   জেলা: বরিশাল।  ডাক টিকিট

ডাক টকিটি

 প্রাপক,                                

মামুন হোসেন

গ্রাম+পো: ধামসর,

উপজেলা: উজিরপুর           

জেলা: বরিশাল।

# তোমার দেখা একটি বিজ্ঞান মেলার বর্ণনা করে প্রবাসী বন্ধুর কাছে একখানা চিঠি লেখ।

 

১২ জুলাই, ২০১৮ খ্রি.

উজিরপুর, বরিশাল।


প্রিয় মামুন,

প্রথমে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা নিও। গতকাল তোমার যে চিঠিখানা পেয়েছি তার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ।গতকাল তোমার চিঠি পেয়ে জানতে পারলাম তুমি ভালো আছ। আমিও তোমাদের দোয়ায় ভালো আছি।তোমাকে একটি আনন্দের খবর দেয়ার জন্য মনটা খুব উৎসুক ছিল। এটাই বড় কথা যে, শেষ পর্যন্ত তোমাকে লিখতে পারছি।

গত ২৫ মে, ২০১৮ তারিখে আমাদের বিদ্যালয় মাঠে বিজ্ঞান মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এ দিনটি আমার কাছে একটি আনন্দ ও গৌরবের দিন। দিনটি আমার জীবনে স্মৃতি হয়ে থাকবে। আমরা এ আনন্দঘন দিনটির একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ তোমার কাছে তুলে ধরছি।

বিজ্ঞান মেলার শোভাবর্ধনের জন্য স্কুল মাঠটি নান রকম সাজে সজ্জিত করা হয়েছিল। স্কুলের প্রবেশ দ্বারটি নানা রকম ফুল দিয়ে খুবই সুন্দরভাবে সাজানো হয়। সকাল দশটা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত ঐ অনুষ্ঠান চলছিল। নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী বিভিন্ন স্কুলের প্রতিযোগীগণ তাদের তৈরি প্রদর্শনী নিয়ে নিজ নিজ স্টলে বসে পড়ে। আমাদের স্কুলও উক্ত মেলায় অংশগ্রহণ করেছিল। আমরা সরু তারদিয়ে টিলিফোন বানিয়েছিলাম এবং ইঁদুর মারার কল বানিয়েছিলাম। দুটো প্রদর্শনী সবার কাছে সমাদৃত হয়েছিল। এছাড়া দর্শকবৃন্দ অত্যন্ত আগ্রহের সাথে প্রত্যেকটি স্টল ঘুরে দেখেন। বিজ্ঞানের কৃতিত্ব দেখে আনন্দ লাভ করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এপিএসসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলৗ এএমএম সাজ্জাদুর রহমান। তিনি সবগুলো স্টল ঘুরে দেখেন এবং আমাদেরকে উৎসাহিত করেন। মেলা শেষে ফলাফল ঘোষণা করেন আমাদের প্রধান শিক্ষক মহোদয়। আমাদের টিলিফোন যন্ত্রটি ২য় হয়ে ৫০০০ হাজার টাকার সম্মান বয়ে আনে।

আজ আর না। সময় পেলেই আমাকে চিঠি লেখো। ভালো থেকো। তোমার পিতা-মাতাকে শ্রদ্ধা ও ছোট ভাই-বোনদেরকে স্নেহ জানাবে।

 

ইতি

তোমার প্রিয়,

মুমতারিন মালিহা

BY AIR MAIL

 

FROM,

MUMTARIN SHAMIHA

VILL+PO : DHAHARPARA

UJIRPUR, BARISHAL

STAMP

TO,

MAMUN

BOX NO: 5428

USA

#  ছাত্রজীবনে শিক্ষামূলক সফরের গুরুত্ব বর্ণনা করে বন্ধুর কাছে একখানা চিঠি লেখ।

 

১২ জুলাই, ২০১৮ খ্রি.

উজিরপুর, বরিশাল।


প্রিয় মামুন,

প্রথমে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা নিও। গতকাল তোমার যে চিঠিখানা পেয়েছি তার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ।গতকাল তোমার চিঠি পেয়ে জানতে পারলাম তুমি ভালো আছ। আমিও তোমাদের দোয়ায় ভালো আছি।

আজ আমি তোমাকে আমার জীবনের একটি চমৎকার অভিজ্ঞতার কথা বলছি। একথা তোমার অজানা নয় যে, ছাত্রজীবন শিক্ষা লাভের সময়। তবে এ শিক্ষা লাভ শুধু পাঠ্যপুস্তকগত নয়। এর বাইরেও অনেক কিছু জানার আছে। কবি বলেছেন, “গ্রন্থগত বিদ্যা আর পরহস্তে ধন, নহে বিদ্যা নহে ধন হলে প্রয়োজন।” এজন্য ছাত্রজীবনে শিক্ষামূলক ভ্রমণ খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটি আমাদের ধরা-বাঁধা একগুঁয়ে ঝীবনকে একটি নতুন মাত্রা দান করে শিক্ষামূলক ভ্রমণের মাধ্যমে আমরা বিাভন্ন ঐতিহাসিক স্থান অথবা কােনো  প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত স্থান ঘুরে দেখার সুযোগ পাই। এসব স্থান সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য ও তত্ত্ব জানতে পারি। এ ভ্রমণ আমাদেও জ্ঞানের ভাণ্ডারকে আরও সম্প্রসারিত করে। আমরা বাইরের জগৎ সম্পর্কে প্রায়োগিক জ্ঞান অর্জন করতে পারি। এটা আমাদের জ্ঞান-পিপাসা মেটাতে সহায়তা করে। সেই সঙ্গে ভূগোলের জ্ঞানলাভসহ দেশের ভূপ্রকৃতি, সম্পদ, মানুষ ও জীবনযাপন প্রণালির ছবি কত সহজে দেখা যায়। বইয়ের পাতায় তা কোনোদিন খুঁজে পাওয়া যায় না। আর ভ্রমণে আছে দেশ এবং তার মানুষকে জানার সুযোগ। তাই ছাত্রজীবনে শিক্ষামূলক ভ্রমণের উপকারিতা অনস্বীকার্য।

আজ আর না। সময় পেলেই আমাকে চিঠি লেখো। ভালো থেকো। তোমার পিতা-মাতাকে শ্রদ্ধা ও ছোট ভাই-বোনদেরকে স্নেহ জানাবে।

 

ইতি

তোমার প্রিয়,

মুমতারিন মালিহা

 

প্রেরক,

মুমতারিন মালিহা

গ্রা:+পো: ডহড়পাড়া

উপজেলা: উজিরপুর

জেলা: বরিশাল।  

ডাক টকিটি


প্রাপক,
                               

মামুন হোসেন

গ্রাম+পো: ধামসর,

উপজেলা: উজিরপুর           

জেলা: বরিশাল।