চলমান কথা

গত ১১ মে, ২০২০ আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের অনলাইন পরীক্ষার শুভ উদ্বোধন করেন প্রকৌশলী এ এম এম সাজ্জাদুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এপিএসসিএল।

স্বপ্নের পদ্মা সেতু; স্বপ্ন হলো সত্যি। স্বপ্নের পদ্মা সেতুর সাথে স্বপ্ন যাবে বাড়ি।

Tuesday, May 4, 2021

ভাব-সম্প্রসারণ

 স্বদেশের উপকারে নাই যার মন। কে বলে মানুষ তারে? পশু সেইজন।

মূলভাব: স্বদেশ বা মাতৃভূমি জননীর মতো। স্বদেশকে ভালোবাসা সবারই কর্তব্য হওয়া উচিত। আমাদের উচিত মাতৃভূমির উপকারে নিজেদের বিলিয়ে দেওয়া। নিজ স্বার্থ ত্যাগ করে স্বদেশকে নিজ মায়ের মতো ভালোবাসার নামই হচ্ছে স্বদেশপ্রেম।

সম্প্রসারিত ভাব: সৃষ্টিকুলের শ্রেষ্ঠ প্রাণী হলো মানবজাতি। মানুষের এ শ্রেষ্ঠত্ব কোনো স্বতঃসিদ্ধ বিষয় নয়। মানুষকে বিভিন্ন প্রকার মানবীয় গুণ ও সদাচারের মাধ্যমে এ শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে হয়। মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব নির্ধারক গুণগুলোর মধ্যে স্বদেশপ্রেম অন্যতম। স্বদেশকে ভালোবেসেই একজন মানুষ সম্মানিত ও পরিতৃপ্ত হতে পারেন। পৃথিবীর ইতিহাসে যেসব ক্ষণজন্মা মহাপুরুষ জন্মগ্রহণ করেছেন তারা তাদের সমস্ত মেধা ও ক্ষমতা উৎসর্গ করেছেন স্বদেশের কল্যাণে। তারা তাদের জীবনের চেয়েও মাতৃভূমিকে বেশি ভালোবেসেছেন। স্বদেশের উপকার করার অনেক উপায় আছে। একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক দেশের যে কোনো বিপদকালে নিজের প্রাণ পর্যন্ত উৎসর্গ করতে প্রস্তুত থাকেন। দেশের জন্য আত্মদানের ইতিহাস বাঙালি জাতির অনেক পুরনো। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দেশপ্রেমিক বাঙালিরা ১৮৫৭, ১৯৫২, ১৯৬২, ১৯৬৯ ও ১৯৭১ সালে বুকের তাজা রক্ত দিয়েছেন। 

দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষাই কেবল নয় দেশের সেবা করার আরও অনেক উপায় রয়েছে। নিরলস পরিশ্রম জাতীয় উৎপাদন বৃদ্ধি করা, সামাজিক প্রগতিতে অবদান রাখা, ব্যক্তিগত জীবনে সততার চর্চা করা স্বদেশপ্রেমের পরিচায়ক। বিদেশের মাটিতে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে প্রয়ােজনীয় ভূমিকা পালনও দেশসেবার পর্যায়ভুক্ত। গণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ, জনহিতকর কাজে ভূমিকা পালন, পরিবেশ সুরক্ষা করা, শিক্ষা বিস্তার, জনমত গঠন- এসবও আজকের দিনে দেশসেবার অন্যতম পন্থা। কিন্তু যারা কুঁড়ে, অসদাচারী, দুর্বৃত্ত তারা দেশের অকৃতজ্ঞ সন্তান। যেসব মানুষের কর্ণকুহরে দেশমাতৃকার আকুতি পৌছায় না, যারা শ্রম ও সাধনায় দেশের কল্যাণ করে না, তারা পশুর চেয়েও নীচ। 

মন্তব্য: দেশমাতৃকার সংকটে যিনি আত্মোৎসর্গ করেন, তিনিই প্রকৃত দেশপ্রেমিক। অন্যদিকে, দেশের প্রতি যারা মমতাহীন, দায়িত্বহীন, তারা পশুর সমান। এজন্যই আমাদের উচিত দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হওয়া।

ভাব-সম্প্রসারণ

 #  স্পষ্টভাষী শত্রু নির্বাক মিত্র অপেক্ষা ভালো।
অথবা, স্পষ্টভাষী শত্রু নির্বাক বন্ধু অপেক্ষা ভালো
অথবা, অন্তরে অনিষ্ট চিন্তা মখেতে মিষ্টতা, তার চেয়ে ঢের ভালো প্রকাশ্যে শক্রতা।

মূলভাব: মানুষের ভুল-ত্রুটি ধরিয়ে দেওয়া প্রকৃত বন্ধুর কাজ। অথচ নির্বাক বন্ধু এ থেকে বিরত থাকে আর স্পষ্টবাদী শত্রু ভুলত্রুটি ধরিয়ে দিয়ে প্রকৃত বন্ধুর মতোই কাজ করে।

সম্প্রসারিত ভাব: প্রতিটি মানুষেরই শত্রু-মিত্র উভয়ই আছে। শত্রুরা মানুষের অনিষ্ট সাধনে লিপ্ত থাকে, আর মিত্র বুদ্ধি, পরামর্শ ও শক্তি দিয়ে সাহায্য করে। মনীষীরা বলে থাকেন মিত্র হচ্ছে ছায়াদানকারী বৃক্ষের মতো, যার ওপর একজন মানুষ অনেকাংশে নির্ভরশীল থাকে। এক্ষেত্রে মিত্রের কাজ শুধু আশ্রয় বা সমর্থন দান নয়, ভুল-ত্রুটিও ধরিয়ে দেওয়া। আসলে ভুল করাটা মানুষের এ জন্য স্বাভাবিক। মানুষমাত্রই ভুল করে থাকে। মানুষের ভুলটা যদি ধরিয়ে দেওয়া হয় তাহলে সে সংশোধন হওয়ার সুযোগ পায়। পক্ষান্তরে, ভুল ধরিয়ে না দিলে সে বারবার ভুল করতে থাকে। তাই যারা প্রকৃত বন্ধু তারা ভুল-ত্রুটি ধরিয়ে দেয়। কিন্তু অনেক বন্ধু আছে যারা বন্ধুর ভুল-ত্রুটি ধরিয়ে না দিয়ে নির্বাক থাকে।

তাছাড়া জীবন চলার পথে মানুষকে অসংখ্য কাজ করতে হয়। আর কাজ করতে গেলে, সকল মানুষের পক্ষে সকল কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। অনিচ্ছাকৃতভাবে হলেও অনেক ভুল-ত্রুটি সংঘটিত হয়ে যায়। এক্ষেত্রে প্রকৃত বন্ধুর কাজ সংঘটিত ভুল-ত্রুটিগুলো ধরিয়ে দেওয়া। কিন্তু নির্বাক বন্ধুরা তা করে মৌনতা করে। একে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তার কাজের ভালো-মন্দ কোনোটাই জানতে পারে না। ফলে সংশোধনও হতে পারে । কিন্তু স্পষ্টবাদী শত্রু নির্বাক বন্ধুর মতো কখনই নির্বাক থাকে না। বরং শত্রুতার জন্য হলেও ভুল-ত্রুটিগুলো ধরিয়ে দেয়। এতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তার কৃতকর্ম সংশোধন করার সুযোগ পায়।

তাছাড়া স্পষ্টবাদী শত্রুর কথা মাথায় রেখে প্রত্যেকেই তাদের কাজ-কর্ম যথাসাধ্য ত্রুটিমুক্তভাবে সম্পন্ন করতে সচেষ্ট থাকে। এতেও কাজের গুণগত মান বৃদ্ধি পায়। আর এজন্যই মনীষীরা নির্বাক বন্ধুর চেয়ে স্পষ্টবাদী শত্ৰকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন।

মন্তব্য: শত্রুর শত্রুতার আশঙ্কায় মানুষ সবসময় সচেতন থাকে। এতে কল্যাণ বৈ অকল্যাণ হয় না। কিন্তু বন্ধু যদি বন্ধুর গঠনমূলক সমালোচনা থেকে বিরত থাকে, তাহলে সীমাহীন অকল্যাণ সাধিত হয়।

ভাব-সম্প্রসারণ

  শৈবাল দিঘিরে বলে উচ্চ করি শির, লিখে রেখ এক ফোঁটা দিলেম শিশির।

মূলভাব: এ ধরায় কিছু লােক আছে, যারা উপকারীর উপকার স্বীকার করে না। বরং তারা সামান্য উপকার করতে পারলেই দম্ভভরে তা প্রচার করে বেড়ায়। 

সম্প্রসারিত ভাব: সম্প্রসারিত ভাব: দিঘির অগাধ জলরাশিতে শৈবালের অবস্থান। এই শৈবালের উপর জমেছে ভােরের শিশির। শিশিরের ক্ষুদ্র ফোঁটা গড়িয়ে পড়েছে দিঘির অগাধ জলে। এই সামান্য শিশির-ফোটাকে শৈবাল দিঘির প্রতি তার মহৎ দান বলে গণ্য করছে। অথচ দিঘির বিশাল জলরাশির কাছে এক ফোঁটা শিশির অতি তুচ্ছ। দিঘির জলেই যার অস্তিত্ব, সেই দিঘির প্রতি শৈবালের এমন দম্ভোক্তি সত্যি হীনম্মন্যতার পরিচায়ক। 

শৈবালের মতো মানবসমাজেও এমন অনেক অকৃতজ্ঞ লোকে আছে, যারা পরের দয়াদাক্ষিণ্য দুহাতে গ্রহণ করে কিন্তু সামান্য উপকার করতে পারলেই মনে করে আমি মহৎ কিছু করে ফেলেছি। প্রকৃতপক্ষে যিনি মহৎএবং যথার্থ পরোপকারী তিনি অপরের উপকার করে কখনো দম্ভ প্রকাশ করেন না। নিছক আত্মপ্রচারের জন্য নয়, বরং নিঃস্বার্থভাবেই তিনি পরের উপকার করেন। এজন্য তার মনে কোনো অহংকার জন্ম নেয় না। অহংকার জন্ম নিলে মহতেরা মহৎ কাজ করতেন না। 

মন্তব্য: মন্তব্য: প্রতিদানের প্রত্যাশা নয়, মানবকল্যাণের জন্য নিঃস্বার্থভাবে পরের উপকার করাই মহৎপ্রাণ ব্যক্তির কাজ। সুতরাং উপকারভোগীদের উচিত উপকারকারীর কথা স্মরণ রাখা। 

ভাব-সম্প্রসারণ

  নানান দেশের নানান ভাষা বিনা স্বদেশি ভাষা পুরে কি আশা?

মূলভাব:মানুষ জন্মের পরে মায়ের কাছ থেকে যে ভাষায় কথা বলতে শিখে সে ভাষাই তার মাতৃভাষা বা স্বদেশি ভাষা। স্বদেশি ভাষায় মনের ভাব যত সহজে প্রকাশ করা যায়, অন্য কোন ভাষায় তা সম্ভব নয়।

সম্প্রসারিত ভাব:বর্তমান পৃথিবীতে বিভিন্ন জাতি-গুষ্ঠির লোকের বসবাস করে। এদের কথাবার্তা, চালচলন, আচার-ব্যবহার একেক রকম। ভাষার ক্ষেত্রেও বিভিন্ন দেশের লোক বিভিন্ন ভাষায় কথা বলে। আমরা বাঙালি, বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন দেশে আমাদের বসবাস। এদেশের প্রতিটি মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলে। সুতরাং বাংলা এদেশের স্বদেশি ভাষা। বাংলা ভাষায় কথা বলে এদেশের মানুষ সবচেয়ে বেশি তৃপ্তি পায়। পৃথিবীর এক দেশের মানুষের সাথে অন্য দেশের মানুষের চেহারার যেমন পার্থক্য রয়েছে, তেমনই ভাষারও অনেক পার্থক্য রয়েছে।

চেহারার বৈচিত্র্যের মতো পৃথিবীতে রয়েছে নানা জাতির মানুষের নানা ভাষা। একেক দেশের মানুষ একেক ভাষায় কথা বলে। মানুষ যে দেশে জন্মগ্রহণ করে এবং মাতাপিতা যে ভাষা ব্যবহার করে, সেটাই তার স্বদেশি ভাষা। স্বদেশি ভাষার মাধ্যমেই মানুষ জ্ঞানের যাবতীয় বিষয় সবচেয়ে বেশি উপলব্ধি করতে এবং প্রকাশে সক্ষম। এমন অনেকে আছেন যারা স্বদেশি ভাষার সাথে অন্য ভাষাও আয়ত্ত করে থাকে। কিন্তু অন্য ভাষার কোন কিছু বুঝতে হলেও তা কেবল স্বদেশি ভাষার মাধ্যমেই বুঝতে হয়। কাজকর্মের সুবিধার্থে ক্ষেত্রবিশেষে স্বদেশি ভাষার বাইরে অন্য একাধিক ভাষায় কথা বললেও স্বদেশি ভাষায় কথা বলে মানুষ যত আত্মতৃপ্তি লাভ করে অন্য ভাষায় কথা বলে তা পায় না। তাছাড়া স্বদেশি ভাষাকে উপেক্ষা করে কেউ কোনোদিন তার প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে পারে না। মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। মূলত স্বদেশি ভাষা ভিন্ন অন্য ভাষায় কোন  আত্মতৃপ্তি পাওয়া যায় না। যারা দেশ ছেড়ে বিদেশে থাকে, বিদেশি ভাষায় কথা বলতে বাধ্য হলেও তাদের আত্মতৃপ্তি ঘটে স্বদেশি ভাষাভাষী মানুষের সাথে কথা বলেই। তাছাড়া। আত্মবিকাশে স্বদেশি ভাষার কোন বিকল্প নেই। মিল্টন পাহাড়ি ঝরনার কলধ্বনিতে স্বদেশি ভাষার সুর শুনতে পেতেন। স্বদেশি ভাষা মানবজীবনে, জাতীয় জীবনে অতি গুরুত্বপূর্ণ বলেই বাঙালিরা স্বদেশি ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছে।

মন্তব্য:স্বদেশি ভাষা পরিহার করে কোন ব্যক্তি বা জাতির পক্ষে সাফল্য অর্জন করা সম্ভব নয়। তাই প্রত্যেকেরই উচিত, স্বদেশি ভাষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া।

  প্রাণ থাকলেই প্রাণী হয়, কিন্তু মন না থাকলে মানুষ হয় না।

মূলভাব: পরম করুণাময় স্রষ্টা পৃথিবীতে অসংখ্য প্রাণী সৃষ্টি করেছেন। তার মধ্যে মানুষও একটি সৃষ্টি। মানুষের প্রাণ আছে। সে হিসেবে মানুষও প্রাণী। কিন্তু মানুষই একমাত্র প্রাণী যাদের মন আছে। এ মন আছে বলেই মানুষ সৃষ্টির সেরা প্রাণী। 

সম্প্রসারিত ভাব: পৃথিবীতে প্রাণের অধিকারী অনেক প্রাণীর মধ্যে একমাত্র মানুষেরই মন আছে। আর মন আছে বলেই মানুষ তার হৃদয়বৃত্তির বিকাশ ঘটাতে পারে। এ হৃদয়বৃত্তির বিকাশের ক্ষেত্রেও মানুষভেদে ব্যাপক তারতম্য ঘটে। কেউ কেউ বিদ্যার্জন করে হৃদয়বৃত্তির প্রসার ঘটিয়ে জনকল্যাণে অক্ষয় কীর্তি স্থাপনে চিরস্মরণীয় ও বরণীয় হয়ে ওঠেন। কেউ কেউ অপার বিদ্যার্জন করেও হৃদয়বৃত্তির বিকাশ ঘটাতে ব্যর্থ হয়ে নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। তাদের দ্বারা সমাজ, দেশ ও জাতির কোনো কল্যাণ সাধিত হয় না। ফলে তারা মানুষ হয়ে পুরোপুরি মানুষ হিসেবে পরিচিতি লাভ করতে পারে না। তারা অনেকটা প্রাণী সদৃশ। 

তাছাড়া মানুষ ছাড়া পৃথিবীতে অন্য যেসব প্রাণী আছে সেগুলো প্রাকৃতিক নিয়মে জন্মগ্রহণ করে। প্রাকৃতিক নিয়মে পূর্ণতা লাভ করে। এ পূর্ণতা লাভে তাদের নিজেদের কোনো কৃতিত্ব নেই। কিন্তু মানুষের বেলায় সম্পূর্ণ বিপরীত। মানুষের প্রাণ আছে এটাই তার একমাত্র পরিচয় নয়। মানুষের প্রকৃত পরিচয় হলো তার মন আছে। মন আছে বলেই তার মধ্যে সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা, প্রেম-ভালােবাসা সৃষ্টি হয়। তাছাড়া একমাত্র মনের কারণেই মানুষের মধ্যে বিবেকবোধের সৃষ্টি হয়। এ বিবেকবোধ মানুষকে ন্যায়-অন্যায় বুঝতে সহায়তা করে, যা অন্যান্য প্রাণীর মধ্যে চিন্তাও করা যায় না। তবে সমাজে এমন অনেক মানুষ আছে যাদের মন বিবেক থাকলেই তারা তা কাজে লাগায় না। 

খেয়েপরে বেঁচে থাকাতেই তাদের আনন্দ। মানুষ হিসেবে খাওয়াপরাও ছাড়াও আরও দায়িত্ব-কর্তব্য আছে তারা তা মানতেই চায় না। এরা মানুষ হয়েও, আসলে প্রাণী। এসব মানুষ সদৃশ প্রাণীদের বুঝতেই মনীষীরা আলোচ্য ভাবটির অবতারণা করেছেন।

মন্তব্য:মানুষ হিসাবে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রাখার জন্য সকলেরই উচিত মানবিক গুণাবলি অর্জন এবং চিন্তা-চেতনার উন্নতি সাধন করে যথাযথ মানুষ হিসাবে নিজেকে গড়ে তোলা।

Wednesday, April 21, 2021

সকাল শোয় সকাল ওঠে
তার কড়ি না বৈদ্য লুটে।

-খনার বচন।

অর্থ: যে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যায় ও তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠে তার রোগ বালাই হয় না।



Monday, April 19, 2021

ইচ্ছে ছিলো - হেলাল হাফিজ

ইচ্ছে ছিলো তোমাকে সম্রাজ্ঞী করে সাম্রাজ্য বাড়াবো
ইচ্ছে ছিলো তোমাকেই সুখের পতাকা করে
শান্তির কপোত করে হৃদয়ে উড়াবো ।


ইচ্ছে ছিলো সুনিপুণ মেকআপ-ম্যানের মতো
সূর্যালোকে কেবল সাজাবো, তিমিরের সারাবেলা
পৌরুষের প্রেম দিয়ে তোমাকে বাজাবো, আহা তুমুল বাজাবো ।


ইচ্ছে ছিলো নদীর বক্ষ থেকে জলে জলে শব্দ তুলে
রাখবো তোমার দুই লাজুক চঞ্চুতে,
জন্মাবধি আমার শীতল চোখ
তাপ নেবে তোমার দু'চোখে ।


ইচ্ছে ছিলো রাজা হবো
তোমাকে সম্রাজ্ঞী করে সাম্রাজ্য বাড়াবো,
আজ দেখি রাজ্য আছে
             রাজা আছে
             ইচ্ছে আছে,
শুধু তুমি অন্য ঘরে ।