চলমান কথা

গত ১১ মে, ২০২০ আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের অনলাইন পরীক্ষার শুভ উদ্বোধন করেন প্রকৌশলী এ এম এম সাজ্জাদুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এপিএসসিএল।

স্বপ্নের পদ্মা সেতু; স্বপ্ন হলো সত্যি। স্বপ্নের পদ্মা সেতুর সাথে স্বপ্ন যাবে বাড়ি।

Wednesday, July 8, 2020

# তোমার কোনো বন্ধুর মাতৃবিয়োগে তাকে সান্ত্বনা দিয়ে একখানা চিঠি লেখ।
অথবা, মনে করো, তোমার নাম দিপা/দীপন। তোমার বন্ধুর নাম আবির/কাবির। সে রাজশাহী থাকে।তোমার কোনো বন্ধুর মাতৃবিয়োগে তাকে সান্ত্বনা দিয়ে একখানা চিঠি লেখ।

১২ জুলাই, ২০১৮ খ্রি.
উজিরপুর, বরিশাল।

প্রিয় আবির/কাবির,
আমার আন্তরিক সমবেদনা আর শুভকামনা তোমাকে। অনেক দিন ধরে ভাবছিলাম তোমাকে চিঠি লিখবো। চিঠি লেখার আগেই তোমার চিঠি পড়ে মনটা খারাপ হয়ে গেল।

তোমার চিঠি পড়ে জানতে পেলাম তোমার পরম স্নেহময় মা পৃথিবীতে আর বেঁচে নেই। কথাটা নির্মম হলেও আমাকে বিশ্বাস করতে হল। পৃথিবীতে কেউ স্থায়ী হয় না। সবাইকেই প্রকৃতির অমোঘ নির্দেশে চলে যেতে হয়। কিন্তু কখনো ধারনাই করতে পারি নি যে, তাঁর মত এমন হাসি-খুশি, প্রাণবন্ত সুস্থ মানুষটি হঠাৎ এভাবে সবাইকে শোক-সাগরে ভাসিয়ে দিয়ে চিরতরে চলে যাবেন। তাঁর মত জ্ঞানগর্ভ শিক্ষিকা এবং নিবেদিতপ্রাণের মৃত্যুতে আমাদের তথা সমাজের অপূরণীয় ক্ষতি হলো। তোমার মায়ের মত আদর্শ মানুষ আজকাল সমাজে বিরল। তাই তুমি তোমার মায়ের মৃত্যুতে যে বিয়োগ যন্ত্রণা ভোগ করছ তা শুধু তোমার একার নয়। তাঁর সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যারা যুক্ত ছিল এ বেদনা তাদের সবার। অসহ্য বেদনার মধ্যেও তোমাকে শক্ত হতে হবে, ভেঙ্গে পড়লে চলবে না। তাঁর আদর্শকে সমুন্নত রাখার দায়িত্ব এখন তোমার। মহান সৃষ্টিকর্তা তোমার মাকে জান্নাতবাসী করুন এবং তোমার মনের শত দুঃখ-বেদনার অবসান করুন।

তোমার বাবাকে আমার সালাম এবং ছোট বাই-বোনদেরকে অকুণ্ঠ শুভাশীষ দিও। আল্লাহ তোমাদের সবাইকে ধৈর্য ধারণের শক্তি দিন-এ প্রার্থনা আমার।

ইতি
তোমার প্রীতিধন্য
দিপা/দীপন
 

প্রেরক,
দিপা/দীপন
গ্রা:+পো: ডহড়পাড়া
উপজেলা: উজিরপুর
জেলা: বরিশাল।     ডাক টিকিট
                                        ডাক টিকিট
প্রাপক,                                
আবির/কাবির
গ্রাম+পো: ধামসর,
উপজেলা: উজিরপুর           
জেলা: বরিশাল।    

# বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ পালনের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে বন্ধুর কাছে একখানা চিঠি লেখ।

অথবা, মনে করো, তোমার নাম নিবিড়/প্রবীর। তোমার বন্ধুর নাম আবির/কাবির। সে খুলনা বসবাস করে। বৃক্ষরোপণের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে বন্ধুর কাছে একখানা চিঠি লেখ।
১২ জুলাই,২০১৮ খ্রি.
উজিরপুর, বরিশাল।

প্রিয় আবির/কাবির,
প্রথমে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা নিও। গতকাল তোমার যে চিঠিখানা পেয়েছি তার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ।গতকাল তোমার চিঠি পেয়ে জানতে পারলাম তুমি ভালো আছ। আমিও তোমাদের দোয়ায় ভালো আছি।তুমি বৃক্ষরোপণের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জানতে চেয়েছ। আজ সে সম্পর্কে লিখছি। 

তুমি তো জান, গাছ আমাদের পরম বন্ধু। আমরা শ্বাস-প্রশ্বাসে অক্সিজেন গ্রহণ করি, কার্বন-ডাই-অক্সাইড ত্যাগ করি। আর গাছ আমাদের প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সরবরাহ করে এবং বিষাক্ত কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষণ করে নেয়, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। কিন্তু মানুষ তার প্রয়োজনে প্রচুর গাছ কাটছে।ৎবন উজাড় হচ্ছে। তাতে প্রকৃতি ও পরিবেশের ভীষণ ক্ষতি হচ্ছে

দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বনজ সম্পদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্যে দেশের মোট ভূমির কমপক্ষে শতকরা ২৫ ভাগ বনভূমি থাকা প্রয়োজন। কিন্তু সে তুলনায় আমাদের বনভূমির পরিমাণ খুবই কম। তাই অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিও জন্যে সব সম্পদেও উন্নয়নের মাধ্যমে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখা দরকার। নানা কারণে দেশের বনভূমি ক্রমেই উজাড় হয়ে যাচ্ছে। দেশের জনসংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধিজনিত কারণে অনেক বনভূমি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। ফলে পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট হচ্ছে। এজন্য বৃক্ষরোপণের প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষ নানাভাবে বৃক্ষের ওপর নির্ভশীল। বৃক্ষ অক্রিজেন দিয়ে আমাদের জীবন রক্ষা করে। বৃক্ষের কাঠ আমাদেও একটি বড় ধরনের আয়ের উৎস। গৃহনির্মাণ, নিত্যপ্রয়োজনীয় আসবাবপত্র তৈরি থেকে শুরু করে বৃক্ষ মানবজীবনে কত প্রয়োজন মেটায় তা বলে শেষ করা যাবে না। বৃক্ষের অভাবে অনাবৃষ্টি দেখা দেয়, দেখা দেয় নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের ভয়াবহতা। বৃক্ষরোপণের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করে তোলতে হবে। মনে রাখতে হবে, গাছ বাঁচলে মানুষ বাঁচবে।

আজ আর না। সময় পেলেই আমাকে চিঠি লেখো। ভালো থেকো। তোমার পিতা-মাতাকে শ্রদ্ধা ও ছোট ভাই-বোনদেরকে স্নেহ জানাবে।তোমার সার্বিক মঙ্গল কামনা করি।

ইতি
তোমার প্রিয়,
নিবিড়/প্রবীর


 প্রেরক,
   নিবিড়/প্রবীর
   গ্রা:+পো: ডহড়পাড়া
   উপজেলা: উজিরপুর
   জেলা: বরিশাল।  ডাক টিকিট
                                         ডাক টিকিট
প্রাপক,                               
আবির/কাবির
গ্রাম+পো: ধামসর,
উপজেলা: উজিরপুর           
জেলা: বরিশাল।

# তোমার এলাকার বন্যার্তদের জন্য সাহায্য চেয়ে জেলা প্রশাসকের নিকট একটি আবেদনপত্র লেখ।

২০ মার্চ, ২০১৭ খৃঃ
জেলা প্রশাসক,
ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

বিষয়: বন্যার্তদের জন্য সাহায্য প্রসঙ্গে।

জনাব,
বরিশাল জেলার উজিরপুর থানার অন্তর্গত ডহরপাড়া গ্রাম এখন পানিতে ভাসছে। বন্যার সর্বনাশা করাল গ্রাস থেকে রক্ষা পায় নি আশেপাশের অন্যান্য গ্রামগুলো। এবারের বন্যা স্মরণকালের ইতিহাসে সবচেয়ে বয়াবহ বন্যা। অসহায় বন্যার্ত মানুষের জীবন এখন নানামুখী দুঃখ-দুর্দশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। প্রকৃতির নির্মম বৈরিতার মধ্যে দুর্গত মানবতা মানুষের সাহায্য কামনা করছে। সকলকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসতে আহ্বান জানাচ্ছি।

উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের অন্তত ষাটটি গ্রাম এখন সম্পূর্ণরূপে জলমগ্ন। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ঘরে ঘরে পানি প্রবেশ করেছে। ডুবে আছে তিন হাত পানির নিচে মানুষের বাসস্থান। ভেসে গেছে অসহায় কৃষকদের গরু-ছাগল, মাঠের ফসল ও সদ্য তোলা রবিশস্য। অনেকে ঘরের চালে, মাচার ওপর কিংবা উঁচু রাস্তার পাশে আশ্রয় নিয়েছে। তারা এখন অনাহারে-অর্ধহারে দিন কাটাচ্ছে। দুর্গত এলাকায় পানীয় জলের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বিশুদ্ধ খাবার পানির অভাবে দেখা দিয়েছে কলেরা, টাইফয়েড, আমাশয়সহ নানারকম পানিবাহিত রোগ। বন্যার পানিতে সবকিছু তলিয়ে যাওয়ায় ইতেমধ্যেই খাদ্য সংকট শুরু হয়েছে। এ অবস্থায় বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্যের প্রয়োজন। স্থানীয় সরকার-দলীয় সংসদ সদস্য নিজ উদ্যোগে কিছু ত্রাণ কর্যক্রম চালু করেছে। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। এমতাবস্থায় বন্যা দুর্গত মানুষদের রক্ষাকল্পে জররী ভিত্তিতে শুষ্ক খাবার, তৈরি খাবার ও পানি এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা না করলে বন্যা দুর্গতদের এ মরণ ছোবল থেকে রক্ষা করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।

অতএব, জনাবের নিকট বিনীত প্রার্থনা, উপর্যুক্ত বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে আশু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে বাধিত করবেন।

নিবেদক-
এলাকাবাসীর পক্ষের
মো: মোহায়মিন
গ্রাম: ক
পো: খ
উপজেলা: গ
জেলা: ঘ।
# আর্সেনিকমুক্ত পানি সরবরাহের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে পৌরসভার চেয়ারম্যানের নিকট আবেদনপত্র লেখ।

২৪ জানুয়ারি, ২০১৮ খৃ:
পৌর মেয়র, 
আশুগঞ্জ পৌরসভা,
আশুগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

বিষয়: আর্সেনিকমুক্ত পানি সরবরাহ প্রসঙ্গে ।

জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে, আমরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ পৌরসভার অধিবাসী। আপনি অবগত আছেন এ পৌরসভাটিতে প্রায় এক লক্ষ লোকের বসবাস; যা এর আয়তনের তুলনায় অনেক বেশি। বর্তমানে এ এলাকায় যে খাবার পানি ব্যবহৃত হয় তাতে আর্সেনিকের উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। কিছু টিউবয়েলের পানি আর্সেনিকমুক্ত, তবে তাতে পানি সরবরাহ নেই বললেই চলে। তাছাড়া আর্সেনিকযুক্ত টিউবয়েলগুলো এখনো চিহ্নিতও করা হয় নি। এমতাবস্থায় এলাকার মানুষ মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়বে বলে আমরা আশঙ্কা করছি। কিন্তু বিকল্প হিসেবে এখনো এলাকায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয় নি। ফলে পানিহীন অবস্থায় সাধারণ মানুষ অনেক কষ্টে জীবনযাপন করছে।

অতএব, জনাবের নিকট বিনীত প্রার্থনা, আমাদের এলাকায় আর্সেনিকমুক্ত বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করে আমাদের বাধিত করবেন।

নিবেদক-

বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের পক্ষে
মুমতারিন মালিহা
শুপতা ইসলাম

# বিদ্যালয়ে ক্যান্টিন স্থাপনের অনুরোধ জানিয়ে প্রধান শিক্ষকের নিকট আবেদনপত্র লেখ।

২৪ জানুয়ারি, ২০১৮ খৃ:
প্রধান শিক্ষক,
আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়,
আশুগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

বিষয়: বিদ্যালয়ে ক্যান্টিন স্থাপনের জন্যে আবেদন।

জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে, আমরা আপনার স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রী। আমাদের বিদ্যালয় অত্র অঞ্চলের নামকরা একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ বিদ্যালয়ে প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী নিয়মিত অধ্যনরত। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে, আমাদের বিদ্যালয়ে এখ নপর্যন্ত কোনো ক্যান্টিনের ব্যবষ্থা করা হয় নি। আমাদের ক্লাস সকাল আটটা থেকে বিকাল তিনটা পর্যন্ত হয়। তাছাড়া অনেক শিক্ষার্থী বেশ দূর থেকে আসে।তারা বিদ্যালয়ে দীর্ঘসময় অতিবাহিত করে। অথচ ওই সময়ে ক্ষুধার্ত থাকলেও কোনো কিছু কিনে খাওয়ার সুযোগ পায় না। আর বিদ্যালয়ের পাশে, রাস্তার ধারে যেসম দোকান আছে সেগুলোতে যেসব খাবার পাওয়া যায় তা অধিক মূল্যে ক্রয় করতে হয় এবং খাবারগুলো মানসম্মতও নয়। এরকম অব¯’ায় আমরা সব শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে ক্যান্টিন স্থাপনের আবেদন করছি।

অতএব, জনাবের নিকট বিনীত প্রার্থনা, আমাদের বিদ্যালয়ে ক্যান্টিন স্থাপনের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে বাধিত করবেন।

নিবেদক-
বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের পক্ষে
মুমতারিন মালিহা-৮ম-খ-০১
শুপতা ইসলাম-৮ম-খ-০২
# বিনা বেতনে অধ্যয়নের জন্য প্রধান শিক্ষকের নিকট আবেদনপত্র লেখ।

তারিখ: ২৪ জানুয়ারি, ২০১৮ খৃ:
প্রধান শিক্ষক,
আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়,
আশুগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
                          
বিষয়: বিনা বেতনে অধ্যয়ন প্রসঙ্গে।

জনাব,
সবিনয় নিবেদন এই যে, আমি আপনার বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর একজন নিয়মিত ছাত্রী। গত বার্ষিক পরীক্ষায় আমি প্রথম স্থান অধিকার করে অষ্টম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়েছি। আপনার সদয় অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, আমি অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের সন্তান। আমাদের ছয় সদস্যের পরিবারে বাবাই একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তিনি একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের সামান্য বেতনভোগী কেরানি। আমার বড় তিন ভাইবোন কলেজে ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করছেন। কিন্তু বাবার স্বল্প আয়ে সংসার চালানোই যেখানে অত্যন্ত কষ্টকর সেখানে চার ভাইবোনের লেখাপড়ার খরচ বহন করা তাঁর পক্ষে কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে পড়েছে।

অতএব, বিনীত প্রার্থনা এই যে, অনুগ্রহপূর্বক মানবিক বিবেচনায় আমাকে আপনার বিদ্যালয়ে বিনা বেতনে অধ্যয়ন করার সুযোগ দান করে আমার উচ্চতর শিক্ষালাভের পথ সুগম করতে আপনার একান্ত মর্জি কামনা করছি।

নিবেদক-
শুপতা ইসলাম
শ্রেণি: অষ্টম 
রোল নং ০১
শাখা: খ

Tuesday, July 7, 2020


মনে কর, তোমার বাবা একটি ব্যাংকে চাকরি করেন। সম্পতি তোমার বাবার বদরি হয়েছে। তাই তোমাকেও তার সাথে যেতে হবে। এ জন্য স্কুলের প্রধান শিক্ষকের নিকট ছাড়পত্র চেয়ে আবেদনপত্র লেখ।

২৪ জানুয়ারি, ২০১৮ খৃ:
প্রধান শিক্ষক,
আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়,
আশুগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

বিষয়: বিদ্যালয় হতে ছাড়পত্র পাওযার জন্য আবেদনপত্র।

জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে, আমি আপনার স্কুলের অষ্টম শ্রেণির একজন ছাত্র। আমার বাবা একজন ব্যাংক কর্মকর্তা। সম্প্রতি তাকে রাজশাহী শহরে বদলি করা হয়েছে। তাই আমার পরিবারের সবার সঙ্গে আমাকেও রাজশাহীতে যেতে হ”েছ। সেখানে নতুন করে ভর্তির জন্য এই বিদ্যালয়ের ছাড়পত্র প্রয়োজন।

অতএব, জনাবের নিকট বিনীত প্রার্থনা, আমাকে বিদ্যালয় ত্যাগের ছাড়পত্র দিয়ে বাধিত করবেন।

নিবেদক-

মুমতারিন মালিহা
শ্রেণি: অষ্টম
শাখা: খ
রোল: ০১

Monday, July 6, 2020


# তোমার এলাকার সাধারণ পাঠাগার স্থাপনের জন্য আর্থিক সাহায্য চেয়ে জেলা প্রকাশকের নিকট আবেদনপত্র লেখ।

২০ মার্চ, ২০১৮ খৃ:
জেলা প্রশাসক,
বরিশাল।

বিষয়: পাঠাগার স্থাপনের জন্য আবেদন।

জনাব,
সবিনয় নিবেদন এই যে, বরিশাল জেলার উজিরপুর থানার অন্তর্গত গুঠিয়া একটি বর্ধিষ্ণু ইউনিয়ন। অত্র এলাকায় বহু শিক্ষিত লোকের বাস। এখানে দুটি উচ্চ বিদ্যালয়, একটি মাদ্রাসা এবং তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। প্রতিবছর এসব বিদ্যালয়ে বহুসংখ্যক ছাত্রছাত্রী অধ্যয়ন করছে। এলাকায় সাহিত্য ও সংস্কৃতিবিষয়ক বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তবে এখন আমাদের কাছে যে অভাবটি প্রকট হয়ে উঠেছে, তা হল এখানে কোনো পাঠাগার নেই। এলাকার অধিবাসীদের পক্ষে নিজেদের অর্থে একটি পাঠাগার স্থাপন করা সম্ভব হচ্ছে না। যে ইউনিয়নরে প্রতিটি গ্রামে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে পড়েছে, সেখানে যে একটি পাঠাগারের বিশেষ প্রয়োজন এ কথা সর্বজনস্বীকৃত।

অতএব, জনাবের নিকট বিনীত নিবেদন এই যে, আমাদের ইউনিয়নের শিক্ষা-সংস্কৃতি তথা সামগ্রিক জীবনমান উন্নয়নের স্বার্থে এখানে একটি সাধারণ পাঠাগার স্থাপনের সুবন্দোবস্ত করে এলাকাবাসীকে বাধিত করবেন।

নিবেদক-
গুঠিয়া ইউনিয়নের অধিবাসীদের পক্ষে-
মো: কামাল হোসেন
মো: জামাল হোসেন

     #  বিনা বেতনে অধ্যয়নের জন্য প্রধান শিক্ষকের নিকট আবেদনপত্র লেখ।

তারিখ: ২৪ জানুয়ারি, ২০১৮ খৃ:
প্রধান শিক্ষক,
আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়,
আশুগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

বিষয়: বিনা বেতনে অধ্যয়ন প্রসঙ্গে।

জনাব,
সবিনয় নিবেদন এই যে, আমি আপনার বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর একজন নিয়মিত ছাত্রী। গত বার্ষিক পরীক্ষায় আমি প্রথম স্থান অধিকার করে অষ্টম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়েছি। আপনার সদয় অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, আমি অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের সন্তান। আমাদের ছয় সদস্যের পরিবারে বাবাই একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তিনি একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের সামান্য বেতনভোগী কেরানি। আমার বড় তিন ভাইবোন কলেজে ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করছেন। কিন্তু বাবার স্বল্প আয়ে সংসার চালানোই যেখানে অত্যন্ত কষ্টকর সেখানে চার ভাইবোনের লেখাপড়ার খরচ বহন করা তাঁর পক্ষে কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে পড়েছে।

অতএব, বিনীত প্রার্থনা এই যে, অনুগ্রহপূর্বক মানবিক বিবেচনায় আমাকে আপনার বিদ্যালয়ে বিনা বেতনে অধ্যয়ন করার সুযোগ দান করে আমার উচ্চতর শিক্ষালাভের পথ সুগম করতে আপনার একান্ত মর্জি কামনা করছি।

নিবেদিকা-
শুপতা ইসলাম
শ্রেণি: অষ্টম  
রোল নং ০১
শাখা: খ

# ছাত্রকল্যাণ দরিদ্র তহবিল থেকে আর্থিক সাহায্য চেয়ে প্রধান শিক্ষকের নিকট আবেদনপত্র লেখ।

২৪ জানুয়ারি, ২০১৮ খৃ:
প্রধান শিক্ষক,
আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়,
আশুগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

বিষয়: ছাত্রকল্যাণ তহবিল থেকে আর্থিক সাহায্যের আবেদন।

জনাব,
সবিনয় নিবেদন এই যে, আমি আপনার বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর একজন নিয়মিত ছাত্রী। গত বার্ষিক পরীক্ষায় আমি প্রথম স্থান অধিকার করে অষ্টম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়েছি। আপনার সদয় অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, আমি অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের সন্তান। আমাদের ছয় সদস্যের পরিবারে বাবাই একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তিনি একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের সামান্য বেতনভোগী কেরানি। পরিবারের ভরণপোষণ ছাড়াও আমাদের তিন ভাইয়ের লেখাপড়ার খরচ তাঁকেই চালাতে হচ্ছে। কয়েকদিন আগে হঠাৎ এক দুরারোগ্য ব্যাধিতে আমার বাবা আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। এমতবস্থায় এ বছর নতুন বই-পুস্তক ক্রয় করা আমার পক্ষে দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে।

অতএব, জনাবের নিকট আমার আকুল আবদেন এই যে, নতুন শিক্ষা বছরে বই পুস্তক ও খাতাপত্র কেনার জন্য আমাকে বিদ্যালয়ের দরিদ্র তহবিল হতে এককালীন কিছু অর্থ অনুদানের ব্যবস্থা করে বাধিত করবেন।

নিবেদিকা-
শুপতা ইসলাম
শ্রেণি: অষ্টম
রোল নং ০১
শাখা: খ