চলমান কথা

গত ১১ মে, ২০২০ আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের অনলাইন পরীক্ষার শুভ উদ্বোধন করেন প্রকৌশলী এ এম এম সাজ্জাদুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এপিএসসিএল।

স্বপ্নের পদ্মা সেতু; স্বপ্ন হলো সত্যি। স্বপ্নের পদ্মা সেতুর সাথে স্বপ্ন যাবে বাড়ি।

Thursday, September 10, 2020

# তোমাদের গ্রামে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের জন্যে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সংবাদপত্রে প্রকাশের উপযোগী একটি পত্র রচনা কর।

 

২০ মার্চ, ২০১৭ খৃঃ

সম্পাদক,

দৈনিক ইত্তেফাক,

১, রামকৃষ্ণ মিশন রোড,

ঢাকা-১২০৩।

 

বিষয়: চিঠিপত্র কলামে নিচের সংবাদটি প্রকাশের আবেদন।

 

জনাব,

আপনার সম্পাদিত বহুল প্রচলিত দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার সংশ্লিষ্ট বিভাগে নিম্নোক্ত পত্রটি প্রকাশ করে জনসাধারণের উপকারে অবদান রাখার জন্যে অনুরোধ জানাচ্ছি।

 

নিবেদক-

মো: মোহায়মিন

ডহরপাড়া, বরিশাল।

প্রাথমিক বিদ্যালয় চাই

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার সোনারামপুর একটি জনবহুল ও অভিজাত এলাকা। এ গ্রামে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রায় পাঁচ হাজার লোক বাস করে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, এত লোকের আবাসস্থল হওয়া সত্ত্বেও এ গ্রামে কোনো বিদ্যালয় নেই। এ গ্রামের নিকটবর্তী বিদ্যালয়টি প্রায় দুই মাইল দূরে অবস্থিত চোট ছোট ছেলেমেয়েরদের পক্ষে এত দূরে গিয়ে লেখাপড়া করা কোনোভাবে সম্ভব নয়। বর্ষাকালে রাস্তাঘাটগুলো জলমগ্ন হয়ে পড়লে এ অসুবিধা আরও প্রকট আকার ধারণ করে। স্থানীয় জনগণ এ-ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে বার বার আবেদন করেও কোন ফল পায় নি।

 

অতএব, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আকুল আবেদন, আমাদের গ্রামে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করে অত্র গ্রামের জনসাধারণের ছেলেমেয়েদের সুশিক্ষার পথ সুগম করতে মর্জি হয়।

 

নিবেদক-

এলাকাবাসীর পক্ষে-

মো: মোহায়মিন

ডহরপাড়া, বরিশাল।


প্রেরক,

মো: মোহায়মিন

গ্রাম: ডহরপাড়া, 

পো: ডহরপাড়া, 

উপজেলা: উজিরপুর,

বরিশাল।

                                  ডাক টিকিট

প্রাপক,                          

সম্পাদক,

দৈনিক ইত্তেফাক,

১, রামকৃষ্ণ মিশন রোড,

ঢাকা-১২০৩। 

# মশার উপদ্রব নিবারণের জন্যে কর্তৃপক্ষের সহায়তা চেয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশের উপযোগী একটি পত্র রচনা কর।


২০ মার্চ, ২০১৭ খৃঃ

সম্পাদক,

দৈনিক ইত্তেফাক,

১, রামকৃষ্ণ মিশন রোড,

ঢাকা-১২০৩।


বিষয়: চিঠিপত্র কলামে নিচের সংবাদটি প্রকাশের আবেদন।


জনাব,

আপনার সম্পাদিত বহুল প্রচলিত দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার সংশ্লিষ্ট বিভাগে নিম্নোক্ত পত্রটি প্রকাশ করে জনসাধারণের উপকারে অবদান রাখার জন্যে অনুরোধ জানাচ্ছি।


নিবেদক-

মো: মোহায়মিন

ডহরপাড়া, বরিশাল।

মশার উপদ্রব থেকে মুক্তিচাই

আশুগঞ্জ উপজেলার সোনারামপুর একটি জনবহুল ও অভিজাত এলাকা। অথচ এখানকার রাস্তার অপরিছন্নতা ও ড্রেনের আবর্জনা থেকে জন্ম নিচ্ছে অসংখ্য মশা। তাই এ এলাকায় মশার উপদ্রব অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। মশার উপদ্রবে জনজীবন অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। দিন-রাত সব সময়ই মশার উপদ্রব। সন্ধ্যার অন্ধকার ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে মশকরাজি গুঞ্জনমুখর হয়ে ওঠে। মশার উপদ্রবে দিনেও স্বস্তিতে কাজ করা যায় না। ছাত্র-ছাত্রীর পড়াশোনাও মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। মশার কামড়ে ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গু জ্বওে আক্রান্ত হচ্ছে শত শত লোক। বিশেষ করে শিশুরা মশা বাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। মশানিধন অভিযানে তেমন কোন কাজ হয় নি। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে বার বার তাগিত দেয়ার পরও প্রয়োজনীয় কোনো ব্যবস্থা নেয় নি।


সুতরাং উপর্যুক্ত বিষয়সমূহ বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছি।


নিবেদক-

এলাকাবাসীর পক্ষে-

মো: মোহায়মিন

ডহরপাড়া, বরিশাল।

 

 প্রেরক,

 মো:মোহায়মিন

 গ্রা:+পো: ডহড়পাড়া

 উপজেলা: উজিরপুর

 জেলা: বরিশাল।

ডাক টিকিট

 প্রাপক,                               

 সম্পাদক,

 দৈনিক ইত্তেফাক,

 ১, রামকৃষ্ণ মিশন রোড,

 ঢাকা-১২০৩।

 সড়ক দুর্ঘটনা রোধকল্পে তোমার মতামত জানিয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশের উপযোগী একটি পত্র রচনা কর।


২০ মার্চ, ২০১৭ খৃ:

সম্পাদক,

দৈনিক ইত্তেফাক,

১, রামকৃষ্ণ মিশন রোড,

ঢাকা-১২০৩।


বিষয়: চিঠিপত্র কলামে নিচের সংবাদটি প্রকাশের আবেদন।


জনাব,

আপনার সম্পাদিত বহুল প্রচলিত দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার সংশ্লিষ্ট বিভাগে নিম্নোক্ত পত্রটি প্রকাশ করে জনসাধারণের উপকারে অবদান রাখার জন্যে অনুরোধ জানাচ্ছি।


নিবেদক-

মো: মোহায়মিন

ডহরপাড়া, বরিশাল।

নিরাপদ সড়ক চাই


অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার নামই দুর্ঘটনা। বিভিন্ন দুর্ঘটনার মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনা একটা নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার। এক পরিসংখ্যানে জানা গেছে বাংলাদেশে প্রতিদিন গড়ে তিন জন করে এক হাজারের উপওে লোক সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করে। আর চিরতরে পঙ্গু হচ্ছে তার পাঁচ থেকে সাত গুণ লোক।সড়ক দুর্ঘটনা অত্যন্ত হৃদয়বিদারক ও মর্মান্তিক। সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বয়স ও পেশার লোক। সড়ক দুর্ঘটনা আমাদের কাছ থেকে আত্মীয়-স্বজন, মেধাবী লোক, প্রিয় ব্যক্তিত্বকে কেড়ে নিলেও আমরা কেউসড়ক দুর্ঘটনা রোধে সচেষ্ট নই। অপর দিকে সড়ক দুর্ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টদের কর্মকাণ্ড দেখে মনে হয় যে, সড়ক দুর্ঘটনা স্বাভাবিক ব্যাপার এবং এটা ঘটবেই। জন্মিলে মরতে হবে এটা চিরন্তন সত্য। কিন্তু দুর্ঘটনায় অকাল মৃত্যু বড়ই অস্বাভাবিক এবং বেদনাদায়ক। তাই এ অস্বাভাবিক মৃত্যুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়া প্রয়োজন। এর সাথে সংশ্লষ্টরা চাইলে সড়ক দুর্ঘটনার মূল কারণ চালকদের বেপরোয়া গাড়ি চালানো, বিভিন্ন যান্ত্রিক ত্রুটি, ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই, ত্রুটিপূর্ণ রাস্তাঘাট, লাইসেন্সের কারচুপি ইত্যাদির প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখলে দুর্ঘটনার পরিমাণ অনেক কমাতে পারে। তাই নিরাপদ সড়কের জন্য নিম্নোক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করছি:


০১. চালকদের কারিগরি শিক্ষার সাথে নৈতিক শিক্ষা দিতে হবে।

০২. সঠিক পদ্ধতিতে লাইসেন্সে প্রদান করতে হবে।

০৩. রাস্তায় ট্রাফিক ও পুলিশ প্রশাসনের অসাধুতা রোধ করতে হবে।

০৪. ত্রুটিমুক্ত যানবাহন, চলাচল উপযোগী রাস্তা নিশ্চিত করতে হবে।

০৫. দুর্ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে।

০৬. অতিরিক্ত যাত্রী ও মাল বোঝাই বন্ধ করতে হবে।

০৭. রাস্তা সোজা ও প্রশস্ততা বৃদ্ধি করতে হবে।

০৮. রাস্তা পারাপারের নিয়ম মানতে হবে।

০৯. রাস্তা চলাচলে জনগণকে সচেতন হতে হবে।

১০. বিজ্ঞাপন বা প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে সচেতনতা বাড়াতে হবে।


সুতরাং উপর্যুক্ত সুপারিশসমূহ কার্যকর করলে সড়ক দুর্ঘটনা অনেকাংশে হ্রাস পাবে। তাই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যব¯’া গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছি।


নিবেদক-

এলাকাবাসীর পক্ষে-

মো: মোহায়মিন

ডহরপাড়া, বরিশাল।

 

 প্রেরক,

 মো:মোহায়মিন

 গ্রা:+পো: ডহড়পাড়া

 উপজেলা: উজিরপুর

 জেলা: বরিশাল।

ডাক টিকিট

 প্রাপক,                               

 সম্পাদক,

 দৈনিক ইত্তেফাক,

 ১, রামকৃষ্ণ মিশন রোড,

 ঢাকা-১২০৩।

 #  তোমার এলাকার কুটিরশিল্প স্থাপনের প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশের উপযোগী একটি পত্র লেখ।


২০ মার্চ, ২০১7 খৃ:

সম্পাদক,

দৈনিক ইত্তেফাক,

১, রামকৃষ্ণ মিশন রোড,

ঢাকা-১২০৩।


বিষয়: চিঠিপত্র কলামে নিচের সংবাদটি প্রকাশের আবেদন।


জনাব,

আপনার সম্পাদিত বহুল প্রচলিত “দৈনিক ইত্তেফাক” পত্রিকার সংশ্লিষ্ট বিভাগে নিম্নোক্ত পত্রটি প্রকাশ করে এলাকাবাসীর উপকারে অবদান রাখার জন্যে অনুরোধ জানাচ্ছি।


নিবেদক-

মো: মোহায়মিন

ডহরপাড়া, বরিশাল।

কুটির শিল্প স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা

বরিশাল জেলার উজিরপুর একটি ঐতিহ্যবাহী থানা। এই থানাটি সন্ধ্যা নদীর অববাহিকায় অবস্থিত। লোকসংখ্যা প্রায় ৩ লাখ। বর্তমানে এখানে বৃহৎ শিল্প গড়ে উঠেছে। কিন্তু বাংলার ঐতিহ্যবাহী কুটির শিল্প আজ লোপ পেতে বসেছে। এক কালে এ অঞ্চলে মাটির পাত্র তৈরি, তাঁত বোনা, কাঠের কাজ ইত্যাদি কুটির শিল্পের প্রচলন ও প্রসার ছিল। আজও সেসব কুটির শিল্পের কারিগরদের উত্তরসূরীরা আছে। কিন্তু প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে তারা তাদের পিতৃপুরুষের পেশাকে ত্যাগ করে অন্য পথে জীবিকার্জনের পথ খুঁজছে। এসব গ্রামীণ কারিগররা শিক্ষার আলোক থেকে বঞ্চিত। উপযুক্ত পৃষ্ঠপোষকতা পেলে তারা তাদের ঐতিহ্যবাহী পেশাকে আবার সচল করে তুলতে পারবে। বর্তমানে ক্রমবর্ধমান হারে জনসংখ্যা বাড়ছে। শিক্ষিত অশিক্ষিত বেকারের সংখ্যা অনেক। বৃহৎ শিল্পের যুগে কুটির শিল্প নগণ্য হতে পারে। কিন্তু এই কুটির শিল্পের পুনরুজ্জীবনের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। বিশেষ করে বেকারদের কর্মসংস্থান ও জীবিকা নির্বাহের উপায় হিসেবে হিসেবে কুটির শিল্প এক ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে। আমরা মনে করি সদাশয় সরকার রায়পুরা থানা অঞ্চলে কুটির শিল্পের প্রসারে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করে বেকার যুবক ও মহিলাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে এ অঞ্চলের কল্যাণ সাধনে এগিয়ে আসবেন।

তাই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছি।


নিবেদক-

এলাকাবাসীর পক্ষে-

মো: মোহায়মিন

ডহরপাড়া, বরিশাল।

 প্রেরক,

 মো:মোহায়মিন

 গ্রা:+পো: ডহড়পাড়া

 উপজেলা: উজিরপুর

 জেলা: বরিশাল।

ডাক টিকিট

 প্রাপক,                               

 সম্পাদক,

 দৈনিক ইত্তেফাক,

 ১, রামকৃষ্ণ মিশন রোড,

 ঢাকা-১২০৩।

#   বৃক্ষরোপণের প্রয়োজনীয়তা বর্ণনা করে জনমত গঠনের উদ্দেশ্যে সংবাদপত্রে প্রকাশের উপযোগী একটি পত্র লেখ।


২০ মার্চ, ২০১7 খৃ:

সম্পাদক,

দৈনিক ইত্তেফাক,

১, রামকৃষ্ণ মিশন রোড,

ঢাকা-১২০৩।


বিষয়: চিঠিপত্র কলামে নিচের সংবাদটি প্রকাশের আবেদন।


জনাব,

আপনার সম্পাদিত বহুল প্রচলিত "দৈনিক ইত্তেফাক" পত্রিকার সংশ্লিষ্ট বিভাগে নিম্নোক্ত পত্রটি প্রকাশ করে এলাকাবাসীর উপকারে অবদান রাখার জন্যে অনুরোধ জানাচ্ছি।

 

নিবেদক-

মো: মোহায়মিন

ডহরপাড়া, বরিশাল।

 

বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ পালন করুন

সারা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের জন্য প্রকৃতির ভারসাম্যহীনতা দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরিবেশ বিজ্ঞানীরা বলেছেন, বিশ্ব-প্রকৃতিতে যে বিপর্যয় ঘনিয়ে এসেছে তার অন্যতম কারণ নির্বিচারে বনভূমি উজার করা এবং বৃক্ষ নিধন। যেকোনো দেশের সুস্থ ও স্বাভাবিক পরিবেশের জন্য মোট ভূখণ্ডের অন্তত শতকরা ২৫ ভাগ বনভূমি থাকা প্রয়োজন। আমাদের দেশে কাগজে-কলমে তার অর্ধেক বনভূমি থাকলেও বাস্তবে রয়েছে অনেক কম। বনভূমি দেশকে পরিবেশ দূষণের হাত থেকে রক্ষা করে, এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন তরান্বিত করে। দেশের জলবায়ুর সমতা রক্ষা করে, জীবজগতের জন্য পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ অক্সিজেন সরবরাহ করে ও জ্বালানি কাঠের চাহিদা পূরণ করে। গৃহ ও জলযান নির্মাণ, আসবাপত্র ও যানবাহন তৈরি এমনকি বস্ত্র ও কাগজ তৈরিতেও বনভূমির অবদান অনস্বীকার্য। উপকূলের ভূমিক্ষয়, ঘনঘন বন্যা, ঝড়-জলোচ্ছ্বাস প্রভৃতি প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় বৃক্ষকে মূল শক্তিরূপে গ্রহণ করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প উপায় নেই। সরকার বৃক্ষ রোপণকে সামাজিক আন্দোলনে রূপদানের চেষ্টায় প্রতি বছর "বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ" পালন করছে। আমি মনে করি এটি একটি সময়োচিত উদ্যোগ, যার সাথে দেশের সচেতন নাগরিকদের ব্যাপকভাবে সম্পৃক্ত হবার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আমি দেশের প্রতিটি দায়িত্বশীল নাগরিককে এ সপ্তাহ পালনকে সফল করে তোলার ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য আবেদন জানাচ্ছি। আমি মনে করি, বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ উপলক্ষে সবাই যদি যার যার সাধ্যমত বৃক্ষরোপণ করি তাহলে আমাদের দেশটি আবার সবুজ-শ্যামলে ভরে উঠবে। আমরা আবারও মুক্ত বায়ুতে শ্বাস নিতে সক্ষম হব।

সুতরাং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছি।


নিবেদক-

মো: মোহায়মিন

ডহরপাড়া, বরিশাল।

 

 প্রেরক,

 মো:মোহায়মিন

 গ্রা:+পো: ডহড়পাড়া

 উপজেলা: উজিরপুর

 জেলা: বরিশাল।

ডাক টিকিট

 প্রাপক,                               

 সম্পাদক,

 দৈনিক ইত্তেফাক,

 ১, রামকৃষ্ণ মিশন রোড,

 ঢাকা-১২০৩।

 #   তোমার এলাকায় একটি ডাকঘর স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করে সংবাদপত্রে প্রকাশের উপযোগী একটি পত্র লেখ।


২০ মার্চ, ২০১7 খৃ:

সম্পাদক,

দৈনিক ইত্তেফাক,

১, রামকৃষ্ণ মিশন রোড,

ঢাকা-১২০৩।


বিষয়: চিঠিপত্র কলামে নিচের সংবাদটি প্রকাশের আবেদন।


জনাব,

আপনার সম্পাদিত বহুল প্রচলিত দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার সংশ্লিষ্ট বিভাগে নিম্নোক্ত পত্রটি প্রকাশ করে এলাকাবাসীর উপকারে অবদান রাখার জন্যে অনুরোধ জানাচ্ছি।


নিবেদক-

মো: মোহায়মিন

ডহরপাড়া, বরিশাল।

ডাকঘর চাই

বরিশাল জেলার অন্তরর্গত উজিরপুর থানার একটি বর্ধিষ্ণু গ্রাম ডহরপাড়া। এ গ্রামে লোকসংখ্যা প্রায় ১২ হাজার। এ গ্রামের অধিকাংশ লোকই শিক্ষিত। গ্রামের অনেক লোক দেশ-বিদেশে চাকরি ও ব্যবসা-বানিজ্যে নিয়োজিত। গ্রামটির কেন্দ্রস্থলে একটা বাজার আছে। বাজারের পাশে একটা মাধ্যমিক ও একটা প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশেই একটা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় রয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে, এখানে কোনো ডাকঘর নেই। এখান থেকে প্রায় দুই মাইল দূরে একটা ডাকঘর রয়েছে। সেখানকার একজন ডাকপিয়ন সপ্তাহে মাত্র একদিন জরুরি চিঠিপত্র বিলি করতে আসে। যাতায়াতের অসুবিধার কারণে ডাকপিয়ন প্রায়ই এখানে আসতে চান না। তাই অনেক প্রয়োজনীয় চিঠিপত্র, মানিঅর্ডার ইত্যাদি বুঝে পেতে জনগণের দুর্ভোগের শেষ নেই। অধিকাংশ ক্ষেত্রে নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে এসে প্রাপকের হাতে চিঠি পৌছায়। ক্ষেত্রবিশেষ জরুরি চিঠিপত্র খোয়াও যায়।


এমতবস্থায় ডাক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত আবেদন, অনতিবিলম্বে এখানে ডাকঘরের একটা শাখা স্থাপন করে জনগণের দুর্ভোগ লাগবে পদক্ষেপ নিবেন।


নিবেদক-

ডহরপাড়া গ্রামবাসীর পক্ষে

মো: মোহায়মিন

উজিরপুর, বরিশাল।

 প্রেরক,

মো:মোহায়মিন

গ্রা:+পো: ডহড়পাড়া

 উপজেলা: উজিরপুর

 জেলা: বরিশাল।

                                  ডাক টিকিট

প্রাপক,           

সম্পাদক,

 দৈনিক ইত্তেফাক,

 ১, রামকৃষ্ণ মিশন রোড,

 ঢাকা-১২০৩।


  ক্ষীন বন্যলতা এক অতি ক্ষুদ্রকায়

    বিশাল বটের তলে ভূমিতে লুটায়।

    বট বলে, ছায়াময় বাহু প্রসারিয়া

      আশ্রয় দিয়াছি তোমা করুণা করিয়া,

     নতুবা তপন-তাপে শুষ্ক হত দেহ

       লতা বলে, ফিরে লহ অযাচিত স্নেহ।

     তোমার করুণা মম হইয়াছে কাল,

       রৌদ্র বিনা হয়ে আছি বিশীর্ণ কঙ্কাল।


সারমর্ম: জগতে অর্থবিত্তের অধিকারী বড়রা সবসময় বিত্তহীন ছোটদের করুণা দেখায়। তারা ভুলে যায় যে, তারা আসলে শোষণ করে অধিকার হরণ করে ছোটদের দমিয়ে রাখে।                                               

নাগিনীরা দিকে দিকে ফেলিতেছে বিষাক্ত নিঃশ্বাস

                                                   শান্তির ললিত বাণী শোনাইবে ব্যর্থ পরিহাস

                                                     বিদায় নেবার আগে তাই ডাক দিয়ে যাই

                                                        দানবের সাথে যারা সংগ্রামের তরে

                                                              প্রস্তুত হতেছে ঘরে ঘরে।

সারমর্ম: জাতীয় জীবনে বর্তমানে নানা দুর্যোগের ঘনঘটা। চক্রান্তকারী বা অপশক্তির চক্রান্তে দেশ ও সমাজ বিপদগ্রস্ত। দেশ ও জাতিকে রক্ষা করার জন্যে এখন সবাইকে বলিষ্ঠ ও দৃপ্ত শপথ গ্রহণ করতে হবে।

এসেছে নতুন শিশু, তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান,

জীর্ণ পৃথিবীতে ব্যর্থ, মৃত আর ধ্বংসস্তূপ পিঠে

চলে যেতে হবে আমাদের।

চলে যাবো- তবু আজ যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ

প্রাণপণে পৃথিবীর সরাবো জঞ্জাল,

এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাবো আমি,

নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।

 

সারমর্ম: নতুন প্রজন্মের জন্য পুরাতন প্রজন্মকে স্থান ছেড়ে দিতে হবে। কিন্তু বর্তমান পৃথিবী নানা সংকটে জর্জরিত। তাই সুন্দর পৃথিবী গড়ে তোলার জন্য সকল জীর্ণতা, ব্যর্থতা, গ্লানি দূর করে দিয়ে নতুন প্রজন্মের জন্য সুন্দর আবাসস্থল গড়ে তুলতে হবে।

Wednesday, September 9, 2020

 # বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান ক্লাব গঠনের অনুমতি চেয়ে প্রধান শিক্ষকের নিকট আবেদনপত্র লেখ।


২৪ জানুয়ারি, ২০১৮ খৃ:

প্রধান শিক্ষক,

আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়,

আশুগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।


বিষয়: বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান ক্লাব গঠনের অনুমতি প্রদানের জন্য আবেদন।


জনাব,

বিনীত নিবেদন এই যে, আমরা আপনার স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রী। আসন্ন বিজ্ঞান সপ্তাহ উদ্যাপন নিয়ে আমাদের বিদ্যালয়ের  শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিশেষ উৎসাহ-উদ্বীপনা সৃষ্টি হয়েছে। তাই আমরা বিদ্যালয়ে একটি বিজ্ঞান ক্লাব গঠনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি। এতে বিজ্ঞান বিষয়ে আলোচনা, তথ্যাদি আদান-প্রদান এবং বিজ্ঞানচর্চার সুযোগ হবে। ছোট ছোট অনেক বিজ্ঞান প্রজেক্টও আমরা তৈরি করতে পারব। 


অতএব, জনাবের নিকট বিনীত প্রার্থনা, আমাদের বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান ক্লাব গঠনের অনুমতি দিয়ে আমাদেও উৎসাহিত করবেন।


নিবেদিকা-


বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের পক্ষে

মুমতারিন মালিহা-১০ম-খ-০১

শুপতা ইসলাম-১০ম-খ-০২

# তোমার এলাকার বন্যার্তদের জন্য সাহায্য চেয়ে জেলা প্রশাসকের নিকট একটি আবেদনপত্র লেখ।


২০ মার্চ, ২০১৭ খৃঃ

জেলা প্রশাসক,

ব্রাহ্মণবাড়িয়া।


বিষয়: বন্যার্তদের জন্য সাহায্য প্রসঙ্গে।


জনাব,

বরিশাল জেলার উজিরপুর থানার অন্তর্গত ডহরপাড়া গ্রাম এখন পানিতে ভাসছে। বন্যার সর্বনাশা করাল গ্রাস থেকে রক্ষা পায় নি আশেপাশের অন্যান্য গ্রামগুলো। এবারের বন্যা স্মরণকালের ইতিহাসে সবচেয়ে বয়াবহ বন্যা। অসহায় বন্যার্ত মানুষের জীবন এখন নানামুখী দুঃখ-দুর্দশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। প্রকৃতির নির্মম বৈরিতার মধ্যে দুর্গত মানবতা মানুষের সাহায্য কামনা করছে। সকলকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসতে আহ্বান জানাচ্ছি।


উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের অন্তত ষাটটি গ্রাম এখন সম্পূর্ণরূপে জলমগ্ন। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ঘরে ঘরে পানি প্রবেশ করেছে। ডুবে আছে তিন হাত পানির নিচে মানুষের বাসস্থান। ভেসে গেছে অসহায় কৃষকদের গরু-ছাগল, মাঠের ফসল ও সদ্য তোলা রবিশস্য। অনেকে ঘরের চালে, মাচার ওপর কিংবা উঁচু রাস্তার পাশে আশ্রয় নিয়েছে। তারা এখন অনাহারে-অর্ধহারে দিন কাটাচ্ছে। দুর্গত এলাকায় পানীয় জলের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বিশুদ্ধ খাবার পানির অভাবে দেখা দিয়েছে কলেরা, টাইফয়েড, আমাশয়সহ নানারকম পানিবাহিত রোগ। বন্যার পানিতে সবকিছু তলিয়ে যাওয়ায় ইতেমধ্যেই খাদ্য সংকট শুরু হয়েছে। এ অবস্থায় বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্যের প্রয়োজন। স্থানীয় সরকার-দলীয় সংসদ সদস্য নিজ উদ্যোগে কিছু ত্রাণ কর্যক্রম চালু করেছে। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। এমতাবস্থায় বন্যা দুর্গত মানুষদের রক্ষাকল্পে জররী ভিত্তিতে শুষ্ক খাবার, তৈরি খাবার ও পানি এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা না করলে বন্যা দুর্গতদের এ মরণ ছোবল থেকে রক্ষা করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।


অতএব, জনাবের নিকট বিনীত প্রার্থনা, উপর্যুক্ত বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে আশু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে বাধিত করবেন।


নিবেদক-

এলাকাবাসীর পক্ষের

মো: মোহায়মিন