# তোমার এলাকার কুটিরশিল্প স্থাপনের প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশের উপযোগী একটি পত্র লেখ।
২০ মার্চ, ২০১7 খৃ:
সম্পাদক,
দৈনিক ইত্তেফাক,
১, রামকৃষ্ণ মিশন রোড,
ঢাকা-১২০৩।
বিষয়: চিঠিপত্র কলামে নিচের সংবাদটি
প্রকাশের আবেদন।
জনাব,
আপনার সম্পাদিত বহুল প্রচলিত “দৈনিক
ইত্তেফাক” পত্রিকার সংশ্লিষ্ট বিভাগে নিম্নোক্ত পত্রটি প্রকাশ করে এলাকাবাসীর উপকারে
অবদান রাখার জন্যে অনুরোধ জানাচ্ছি।
নিবেদক-
মো: মোহায়মিন
ডহরপাড়া, বরিশাল।
কুটির
শিল্প স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা
বরিশাল জেলার উজিরপুর একটি ঐতিহ্যবাহী থানা। এই থানাটি সন্ধ্যা নদীর অববাহিকায় অবস্থিত। লোকসংখ্যা প্রায় ৩ লাখ। বর্তমানে এখানে বৃহৎ শিল্প গড়ে উঠেছে। কিন্তু বাংলার ঐতিহ্যবাহী কুটির শিল্প আজ লোপ পেতে বসেছে। এক কালে এ অঞ্চলে মাটির পাত্র তৈরি, তাঁত বোনা, কাঠের কাজ ইত্যাদি কুটির শিল্পের প্রচলন ও প্রসার ছিল। আজও সেসব কুটির শিল্পের কারিগরদের উত্তরসূরীরা আছে। কিন্তু প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে তারা তাদের পিতৃপুরুষের পেশাকে ত্যাগ করে অন্য পথে জীবিকার্জনের পথ খুঁজছে। এসব গ্রামীণ কারিগররা শিক্ষার আলোক থেকে বঞ্চিত। উপযুক্ত পৃষ্ঠপোষকতা পেলে তারা তাদের ঐতিহ্যবাহী পেশাকে আবার সচল করে তুলতে পারবে। বর্তমানে ক্রমবর্ধমান হারে জনসংখ্যা বাড়ছে। শিক্ষিত অশিক্ষিত বেকারের সংখ্যা অনেক। বৃহৎ শিল্পের যুগে কুটির শিল্প নগণ্য হতে পারে। কিন্তু এই কুটির শিল্পের পুনরুজ্জীবনের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। বিশেষ করে বেকারদের কর্মসংস্থান ও জীবিকা নির্বাহের উপায় হিসেবে হিসেবে কুটির শিল্প এক ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে। আমরা মনে করি সদাশয় সরকার রায়পুরা থানা অঞ্চলে কুটির শিল্পের প্রসারে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করে বেকার যুবক ও মহিলাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে এ অঞ্চলের কল্যাণ সাধনে এগিয়ে আসবেন।
তাই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছি।
নিবেদক-
এলাকাবাসীর পক্ষে-
মো: মোহায়মিন
ডহরপাড়া, বরিশাল।
প্রেরক, মো:মোহায়মিন গ্রা:+পো: ডহড়পাড়া উপজেলা: উজিরপুর জেলা: বরিশাল। |
প্রাপক, সম্পাদক, দৈনিক ইত্তেফাক, ১, রামকৃষ্ণ মিশন রোড, ঢাকা-১২০৩। |
No comments:
Post a Comment