চলমান কথা

গত ১১ মে, ২০২০ আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের অনলাইন পরীক্ষার শুভ উদ্বোধন করেন প্রকৌশলী এ এম এম সাজ্জাদুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এপিএসসিএল।

স্বপ্নের পদ্মা সেতু; স্বপ্ন হলো সত্যি। স্বপ্নের পদ্মা সেতুর সাথে স্বপ্ন যাবে বাড়ি।

Showing posts with label নবম-দশম শ্রেণি: প্রতিবেদন. Show all posts
Showing posts with label নবম-দশম শ্রেণি: প্রতিবেদন. Show all posts

Friday, September 4, 2020

ডিস এন্টেনার সুফল ও কুফল সম্পর্কে পত্রিকায় প্রকাশের উপযোগী একটি প্রতিবেদন রচনা কর।


প্রতিবেদনের প্রকৃতি                : বিশেষ প্রতিবেদন/সংবাদ প্রতিবেদন

প্রতিবেদনের শিরোনাম            : ডিস এন্টেনার সুফল ও কুফল

সরোজমিনে পরিদর্শন              : এই বিষয়ে সংশিষ্টদের সাক্ষাৎকার

প্রস্তুতের সময় ও তারিখ           : রাত ৯টা, ১৮ জুন, ২০১৮

প্রতিবেদকের নাম                  : মুমতারিন মালিহা


ডিস এন্টেনার সুফল ও কুফল

আদি যুগে মানুষ ছিল নিয়তিনির্ভর। ক্রমান্বয়ে সভ্যতার বিকাশ ঘটে। মানুষ রিয়তি-নির্ভরতা কমিয়ে বুদ্ধিবৃত্তিকে কাজে লাগিয়ে বিশ্বকে বসবাসোপযোগী করেছে। যুক্তি ও বুদ্ধির দ্বারা নিয়তিকে অস্বীকার করে মেধা, পরিশ্রম, প্রজ্ঞা ও অধ্যবসায় দিয়ে প্রকৃতি নির্ভরতাকে কমিয়ে মানুষ নিজস্ব সবকীয়তা ও সৃষ্টির মাধ্যমে উৎকর্ষ সাধন করা সম্ভব তা বুঝতে পেরেছে। বিশ শতকে বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রা বেশি। এ শতকে আবিষ্কার হয়েছে কম্পিউটার, রোবট, ইন্টারনেট, স্যাটেলাইট অর্থাৎ ডিস এন্টেনা ইত্যাদি। বর্তমান মিডিয়ার জগতে বিপ্লব এনেছে ডিশ এন্টেনা। সমগ্র পৃথিবীকে হাতের মুঠোয় এনেছে এ প্রযুক্তি। ডিস এন্টেনা সুফলের পাশাপাশি কুফলও রয়েছে।

ডিস এন্টেনার সুফল: ডিস এন্টেনা পৃথিবীর একটি ব্যয়বহুল মিডিয়া মাধ্যম। কিন্তু এর মাধ্যমে অনেক সুফল পাওয়া যায় বলে এ মাধ্যমটি খুব প্রয়োজনীয় মাধ্যম হিসেবে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। সুফলসমূহ নিম্নরূপ:

১. ডিম এন্টেনা পৃথিবীকে ঘরের মধ্যে এনে দিয়েছে। পৃথিবীর সমগ্র দেশ, জাতির শিক্ষা, সংস্কৃতি সম্বন্ধে আমরা ঘরে বসেই জানতে পারি।

২. বিভিন্ন শিক্ষামূলকঅনুষ্ঠান দেখার মাধ্যমে আমাদের চেতনাকে আরও শাণিত ও প্রজ্ঞাসম্পন্ন করতে পারি।

৩. বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হওয়ার মাধ্যমে তাদের সংস্কৃতির ভালো দিকগুলোকে গ্রহণ করতে পারি।

৪. উন্নত দেশগুলোর জীবনযাত্রার মান বিচার করে আমাদেও জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি করতে পারি।

৫. পৃথিবীর চলমান ঘটনার সাথে সদা সংযুক্ত থাকতে পারি।

৬. পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের নতুন এবং ভালো আবিষ্কার গ্রহণ করে দেশের উন্নতি সাধন করতে পারি।

৭. ঘরে বসে পৃথিবীর সব দেশের বিস্তারিত সংবাদ জানা যায়।


ডিস এন্টেনার কুফল: ডিস এন্টেনার যেমন সুফল রয়েছে পাশাপাশি এর কুফলও কম নয়। নিচে কিছু কুফল তুলে ধরা হল-

১. ডিস এন্টেনার মাধ্যমে বিজাতীয় সংস্কৃতির প্রভাবে নিজস্ব সংস্কৃতি হুমকির মুখে পড়ে যাচ্ছে।

২. অপসংস্কৃতি ও অশ্লীল প্রদর্শনীর মাধ্যমে যুবসমাজ ধ্বংসের মুখে পতিত হচ্ছে।

৩. নৈতিক অবক্ষয় সমাজে বিপর্যয় ডেকে আনে।

৪. অপরাধপ্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

৫. নিজস্ব সংস্কৃতির প্রতি অবক্ষা দেখা দিচ্ছে।

৬. শিশুরা কার্টুনে আসক্ত হয়ে পচ্ছে।

সুতরাং উপর্যুক্ত বিষয়সমূহ বিবেচনা করে বলা যায় ডিস এন্টেনা কুফল থাকা সত্ত্বেও সুফল আছে অনেক। তাই মন্দ দিকগুলো বর্জন করে ভালো দিকগুলো গ্রহণ করতে পারলে এর সুফল আমরা পেতে পারি।


প্রতিবেদক-

মুমতারিন মালিহা

উজরিপুর, বরশিাল।

 

প্রেরক, 

মুমতারিন মালিহা 

গ্রাম + পো: ডহরপাড়া 

উপজেলা: উজিরপুর 

জেলা: বরিশাল।

                         ডাক টিকিট

প্রাপক, 

সম্পাদক 

দৈনিক ইত্তেফাক, 

১, রামকৃষ্ণ মিশন রোড, 

ঢাকা-১২০৫।

তোমার বিদ্যালয়ের লাইব্রেরি জরিপ করে প্রধান শিক্ষক বরাবরএকটি প্রতিবেদন লেখ।


১৯ জুন, ২০১৮ খ্রি.

প্রধান শিক্ষক,

আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়,

আশুগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।


বিষয়: আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের লাইব্রেরি সম্পর্কিত প্রতিবেদন।

সূত্র: আতাবিকেউবি/২০১৮/১৬০


জনাব,

আতাবিকেউবি/২০১৮/১৬০ নম্বর স্মারক অনুযায়ী আদিষ্ট হয়ে আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের লাইব্রেরি সরেজমিনে জরিপ করে সুপারিশমালাসহ একটি প্রতিবেদন আপনার সমীপে পেশ করলাম।

আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের লাইব্রেরি সংক্রান্ত প্রয়োজন

বিবরণ:

১. আজ থেকে প্রায় ৫০ বছর আগে আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। পরের বছর চেতনা নামে লাইওব্ররি গড়ে তোলা হয়।

২. লাইব্রেরিটি গড়ে তোলার পর একবার সংস্কার করা হয়েছিল। তারপর এত বছরেও আর এদিকে নজর দেয়া হয় নি।

৩. লাইব্রেরির আসবাবপত্রের অবস্থা খুবই করুণ। কয়েকটি বইয়ের তাক নষ্ট হয়ে গেছে কয়েকটি চেয়ারের হাতল ভেঙ্গে গেছে। শিক্ষার্থীদের বসার জন্য বেঞ্চ কয়েক বছর ধরে অকেজো হয়ে রয়েছে।

৪. লাইব্রেরিতে বইয়ের সংখ্যা শিক্ষার্থী অনুপাতে খুবই কম। গত পাঁচ ধরে নতুন বই কেনা হয় নি। অনেক বই নষ্ট হয়ে গেছে। বিদ্যালয়ের আর্থিক দুরাবস্থাই এর জন্য দায়ী।

৫. লাইব্রেরিটি পরিচালনায় অব্যবস্থাপনাও রয়েছে। অনেক শিক্ষক শিক্ষার্থী বহুদিন আগে বই নিয়ে তা ফেরত দেয় নি। ফলে তালিকা অনুযায়ী বই মিলানো যাচ্ছে না। লাইব্রেরিতে বইয়ের সংখ্যা দুই হাজার তিনশটি, যা শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।

৬. লাইব্রেরিতে বই সাজানো ও সংরক্ষণ পদ্ধতি আধুনিক নিয়ম অনুযায়ী করা হয় নি।


সুপারিশ:

১. জরুরিভিত্তিতে লাইব্রেরির যাবতীয় আসবাবপত্রসহ নতুন বই কিনতে হবে।

২. ছাত্র ও শিক্ষকের প্রয়োজন মেটাতে বিষয় অনুসারে প্রায় দুই লাখ টাকার বই কিনতে হবে।

৩. লাইব্রেরির জন্য একজন অভিজ্ঞ লাইব্রেরিয়ান নিয়োগ দেওয়া দরকার।

৪. সরকারি ও সেরকারি অনুদানের বই সংগ্রহ করতে হবে।

৫. বই লেনদেনে কঠোর হতে হবে।

৬.  লাইব্রেরিতে বই সাজানো ও সংরক্ষণ পদ্ধতি আধুনিক নিয়ম অনুযায়ী করতে হবে।

৭. লাইব্রেরি কার্ড ছাড়া বই লেনদেন করা যাবে না।


পরিশেষে বলা যায়, লাইব্রেরি কক্ষটি ছোট এবং সংস্কার প্রয়োজন। উপর্যুক্ত সুপারিশমালা অনুসারে অগ্রসর হলে, আশা করি লাইব্রেরিটি শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ অবস্থান রাখতে পারবে।


প্রতিবেদক-

মুমতারিন মালিহা

শ্রেণি: দশম

রোল: ০১

 

তোমার এলাকায় মশার উপদ্রব থেকে মুক্তি চেয়ে প্রতিবেদন রচনা কর।


প্রতিবেদনের প্রকৃতি                : বিশেষ প্রতিবেদন/সংবাদ প্রতিবেদন

প্রতিবেদনের শিরোনাম            : মশার উপদ্রব থেকে মুক্তি চাই

সরোজমিনে পরিদর্শন              : এই বিষয়ে সংশিষ্টদের সাক্ষাৎকার

প্রস্তুতের সময় ও তারিখ           : রাত ৯টা, ১৮ জুন, ২০১৮

প্রতিবেদকের নাম                  : মুমতারিন মালিহা


মশার উপদ্রব থেকে মুক্তিচাই

আশুগঞ্জ উপজেলার সোনারামপুর একটি জনবহুল ও অভিজাত এলাকা। অথচ এখানকার রাস্তার অপরিছন্নতা ও ড্রেনের আবর্জনা থেকে জন্ম নিচ্ছে অসংখ্য মশা। তাই এ এলাকায় মশার উপদ্রব অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। মশার উপদ্রবে জনজীবন অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। দিন-রাত সব সময়ই মশার উপদ্রব। সন্ধ্যার অন্ধকার ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে মশকরাজি গুঞ্জনমুখর হয়ে ওঠে। মশার উপদ্রবে দিনেও স্বস্তিতে কাজ করা যায় না। ছাত্র-ছাত্রীর পড়াশোনাও মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। মশার কামড়ে ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গু জ্বওে আক্রান্ত হচ্ছে শত শত লোক। বিশেষ করে শিশুরা মশা বাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। মশানিধন অভিযানে তেমন কোন কাজ হয় নি। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে বার বার তাগিত দেয়ার পরও প্রয়োজনীয় কোনো ব্যবস্থা নেয় নি।

সুতরাং উপর্যুক্ত বিষয়সমূহ বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছি।


প্রতিবেদক-

মুমতারিন মালিহা

উজরিপুর, বরশিাল। 

 

প্রেরক, 

মুমতারিন মালিহা 

গ্রাম + পো: ডহরপাড়া 

উপজেলা: উজিরপুর 

জেলা: বরিশাল।

                         ডাক টিকিট

প্রাপক, 

সম্পাদক 

দৈনিক ইত্তেফাক, 

১, রামকৃষ্ণ মিশন রোড, 

ঢাকা-১২০৫।

 তোমার এলাকায় বন্যায় ক্ষয়-ক্ষতির উল্লেখ করে সাহায্য চেয়ে প্রতিবেদন রচনা কর।


প্রতিবেদনের প্রকৃতি                : বিশেষ প্রতিবেদন/সংবাদ প্রতিবেদন

প্রতিবেদনের শিরোনাম            : বন্যার্তদের জন্য সাহায্য চাই

সরোজমিনে পরিদর্শন              : এই বিষয়ে সংশিষ্টদের সাক্ষাৎকার

প্রস্তুতের সময় ও তারিখ           : রাত ৯টা, ১৮ জুন, ২০১৮

প্রতিবেদকের নাম                  : মুমতারিন মালিহা

বন্যার্তদের জন্য সাহায্য চাই

বরিশাল জেলার উজিরপুর থানার অন্তর্গত ডহরপাড়া গ্রাম এখন পানিতে ভাসছে। বন্যার সর্বনাশা করাল গ্রাস থেকে রক্ষা পায় নি আশেপাশের অন্যান্য গ্রামগুলো। এবারের বন্যা স্মরণকালের ইতিহাসে সবচেয়ে বয়াবহ বন্যা। অসহায় বন্যার্ত মানুষের জীবন এখন নানামুখী দুঃখ-দুর্দশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। প্রকৃতির নির্মম বৈরিতার মধ্যে দুর্গত মানবতা মানুষের সাহায্য কামনা করছে। সকলকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসতে আহ্বান জানাচ্ছি।

উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের অন্তত ষাটটি গ্রাম এখন সম্পূর্ণরূপে জলমগ্ন। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ঘরে ঘরে পানি প্রবেশ করেছে। ডুবে আছে তিন হাত পানির নিচে মানুষের বাসস্থান। ভেসে গেছে অসহায় কৃষকদের গরু-ছাগল, মাঠের ফসল ও সদ্য তোলা রবিশস্য। অনেকে ঘরের চালে, মাচার ওপর কিংবা উঁচু রাস্তার পাশে আশ্রয় নিয়েছে। তারা এখন অনাহারে-অর্ধহারে দিন কাটাচ্ছে। দুর্গত এলাকায় পানীয় জলের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বিশুদ্ধ খাবার পানির অভাবে দেখা দিয়েছে কলেরা, টাইফয়েড, আমাশয়সহ নানারকম পানিবাহিত রোগ। বন্যার পানিতে সবকিছু তলিয়ে যাওয়ায় ইতেমধ্যেই খাদ্য সংকট শুরু হয়েছে। এ অবস্থায় বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্যের প্রয়োজন। স্থানীয় সরকার-দলীয় সংসদ সদস্য নিজ উদ্যোগে কিছু ত্রাণ কর্যক্রম চালু করেছে। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। এমতাবস্থায় বন্যা দুর্গত মানুষদের রক্ষাকল্পে জররী ভিত্তিতে শুষ্ক খাবার, তৈরি খাবার ও পানি এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা না করলে বন্যা দুর্গতদের এ মরণ ছোবল থেকে রক্ষা করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।

উপরিউক্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, এ ব্যপারে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু দৃষ্টি কামনা করছি।

প্রতিবেদক-

মুমতারিন মালিহা

উজিরপুর, বরিশাল।

 

প্রেরক, 

মুমতারিন মালিহা 

গ্রাম + পো: ডহরপাড়া 

উপজেলা: উজিরপুর 

জেলা: বরিশাল।

                         ডাক টিকিট

প্রাপক, 

সম্পাদক 

দৈনিক ইত্তেফাক, 

১, রামকৃষ্ণ মিশন রোড, 

ঢাকা-১২০৫।

‘দুর্নীতি ও তার প্রতিকার’ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন রচনা কর।

প্রতিবেদনের প্রকৃতি                : বিশেষ প্রতিবেদন/সংবাদ প্রতিবেদন

প্রতিবেদনের শিরোনাম            : দুর্নীতি ও তার প্রতিকার

সরোজমিনে পরিদর্শন              : এই বিষয়ে সংশিষ্টদের সাক্ষাৎকার

প্র¯‘তের সময় ও তারিখ           : রাত ৯টা, ১৮ জুন, ২০১৮

প্রতিবেদকের নাম                  : মুমতারিন মালিহা


দুর্নীতি ও তার প্রতিকার

ঊাংলাদেশ নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত তৃতীয় বিশ্বের একটি অন্যতম দরিদ্র দেশ। এদেশে অনেক সমস্যার মধ্যে অন্যতম প্রধান সমস্যা দুর্নীতি। সমাজ জীবনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে বিস্তার লাভ করেছে দুর্নীতির কালো থাবা। ফলে ভেঙে পড়েছে দেশের আর্থসামাজিক অবস্থা। দুর্নীতির কারণেই স্বাধীনতার ৪৫ বছর পরেও বাংলাদেশের অর্থনীতি ও মানুষের জীবনযাত্রার মান অনুন্নত রয়ে গেছে। স্বাধীনতার সত্যিকারের সাধ পাওয়া হয়ে ওঠে নি।


দুর্নীতির স্বরূপ:

০১. অধিকাংশ সরকারি অফিস-আদালত দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে। ঘুষ ব্যতীত কোথাও কোনো কর্মকাণ্ড সম্পন্ন হয় না। মাসের পর মাস ফাইল আটকা রাখা হয় ঘুষের আশায়।

০২. উন্নত বিশ্বে পুলিশ জনগণের বন্ধু হলেও এদেশে পুলিশ ঘুষদাতা, দুর্নীতিবাজ শয়তানের বন্ধু ও আশ্রয়দাতা। প্রভাবশালী ব্যক্তিরা পুলিশকে ঘুষ দিয়ে নানা ধরণের আইনবিরোধী, অসামাজিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে দেশকে হুমকির মুখে ঠেলে দেয়।

০৩. খাদ্যে ভিজাল মেশানোর মাধ্যমেও চরম দুর্নীতিগ্রস্ত বাংলাদেশ। দুধের সাথে মেশানো হয় পানি, মেলামাইন; চাল-ডালের সাথে মেশানো হয় নিম্নমানের চাল-ডাল, পাথরের গুড়া; ভোজ্য তেলের সাথে মেশানো হয় পোড়া মবিল।

০৪. সরকারি সেবা সংস্থাগুলোতে দুর্নীতি ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। ঘুষ ব্যতীত টেলিফোন, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির সংযোগ পাওয়া যায় না। আবার অনেক বিল খেলাপি কর্মচারি কর্মকর্তাদের ঘুষ প্রদান করে বহাল তবিয়তে সরকারি সেবা গ্রহণ করছে।

০৫. দুর্নীতির করাল গ্রাস থেকে দেশে শিক্ষাব্যবস্থাও মুক্ত নয়। কিছু দুর্নীতিবাজ অসাধু শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে ভালোভাবে না পড়িয়ে তার কাছে প্রাইভেট পড়াতে বাধ্য করেন। শিক্ষাব্যবস্থা সাথে সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরাও আর্থিক দুর্নীতি করে চলেছে।

০৬. অবৈধ ব্যবসায়ী পণ্য মজুত করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে দেয়। ফলে সাধারণ মানুষের ভোকান্তির শেষ থাকে না।

৭. রাজনীতির ছত্র ছায়ায় এবং তাদের আশ্রয়-প্রশ্রায়ে পেশি শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ব্যাপক দুর্নীতি করছে কতিপয় লোক।

৮. আইন আছে কিন্তু তার প্রয়োগ নেই। তাই দুর্নীতি করেও কোনো শাস্তি হচ্ছে না বিধায় দুর্নীতি বেড়ে চলেছে।

৯. বিচারব্যবস্থা স্বাধীন না হওয়ায় প্রভাব খাটিয়ে অনেকে দুর্নীতি করে রেহাই পেয়ে যাচ্ছে।

উপরে বর্ণিত বিষয়গুলোর প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখলে দুর্নীতির পরিমাণ অনেক কমতে পারে। তাই দুর্নীতির প্রতিকারেরর জন্য নিম্নলিখিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে:

০১. বিচার বিভাগের স্বাধীনতা অক্ষুন্ন রাখতে হবে।

০২. দুর্নীতি দমন কমিশনকে সরকারি প্রভাব মুক্ত রাখতে হবে।

০৩. বাজার তদারকির সার্বক্ষণিক ব্যবস্থা রাখতে হবে।

০৪. শ্রেনিকক্ষে পাঠদান নিশ্চিত করতে হবে।

০৫. সঠিক আয় অনুযায়ী কর প্রদান করতে হবে।

০৬. ঋণখেলাপিদরে বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

০৭. দুর্নীতি প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

০৮. প্রত্যেকের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

০৯. প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে র্দুনীতি প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করতে হবে।

১০. দুর্নীতিবাজদের চিহ্নিত করে প্রচলিত আইনে শাস্তির বিধান করতে হবে।

উল্লেখিত সুপারিশসমূহ কার্যকর করলে দুর্নীতি অনেকাংশে হ্রাস পাবে। তাই এসব সুপারিশ কার্যকর করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।

প্রতিবেদক-

মুমতারিন মালিহা

উজিরপুর, বরিশাল।

 

প্রেরক, 

মুমতারিন মালিহা 

গ্রাম + পো: ডহরপাড়া 

উপজেলা: উজিরপুর 

জেলা: বরিশাল।

                         ডাক টিকিট

প্রাপক, 

সম্পাদক 

দৈনিক ইত্তেফাক, 

১, রামকৃষ্ণ মিশন রোড, 

ঢাকা-১২০৫।

সম্প্রতি সড়ক দুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়ার কারণ ও প্রতিকারের সুপারিশসহ একটি প্রতিবেদন রচনা কর। 

প্রতিবেদনের প্রকৃতি       : বিশেষ প্রতিবেদন/সংবাদ প্রতিবেদন

প্রতিবেদনের শিরোনাম   : সড়ক দুর্ঘটনার বৃদ্ধি: কারণ ও প্রতিকার

সরোজমিনে পরিদর্শন    : এই বিষয়ে সংশিষ্টদের সাক্ষাৎকার

প্রস্তুতের সময় ও তারিখ  : রাত ৯টা, ১৮ জুন, ২০১৮ 

প্রতিবেদকের নাম          : মুমতারিন মালিহা

সড়ক দুর্ঘটনার বৃদ্ধি: কারণ ও প্রতিকার 

অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার নামই দুর্ঘটনা। বিভিন্ন দুর্ঘটনার মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনা একটা নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার। সম্প্রতি দেশে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়ে গেছে। এক পরিসংখ্যানে জানা গেছে বাংলাদেশে প্রতিদিন গড়ে তিন জন করে এক হাজারের উপওে লোক সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করে। আর চিরতরে পঙ্গু হচ্ছে তার পাঁচ থেকে সাত গুণ লোক।সড়ক দুর্ঘটনা অত্যন্ত হৃদয়বিদারক ও মর্মান্তিক। সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বয়স ও পেশার লোক। সড়ক দুর্ঘটনা আমাদের কাছ থেকে আত্মীয়-স্বজন, মেধাবী লোক, প্রিয় ব্যক্তিত্বকে কেড়ে নিলেও আমরা কেউসড়ক দুর্ঘটনা রোধে সচেষ্ট নই। অপর দিকে সড়ক দুর্ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টদের কর্মকাণ্ড দেখে মনে হয় যে, সড়ক দুর্ঘটনা স্বাভাবিক ব্যাপার এবং এটা ঘটবেই। জন্মিলে মরতে হবে এটা চিরন্তন সত্য। কিন্তু দুর্ঘটনায় অকাল মৃত্যু বড়ই অস্বাভাবিক এবং বেদনাদায়ক। তাই এ অস্বাভাবিক মৃত্যুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়া প্রয়োজন। একটি সড়ক দুর্ঘটনা একটি পরিবারের সারা জীবনের কান্না। বাংলাদেশে এর মধ্যেই সড়ক দুর্ঘটনার বিরুদ্ধে ব্যাপক জনমত ও আন্দোলন গড়ে উঠেছে। সামাজিক সংগঠনগুলো ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ নামে আন্দোলন শুরু করেছে। সড়ক দুর্ঘটনার কারণগুলো নিম্নে তুলে ধরা হল: 

০১. চালকদের অসর্তকতা ও বেপরোয়া গাড়ি চালানো।

০২. বিভিন্ন যান্ত্রিক ত্রুটিযুক্ত গাড়ি রাস্তায় নামানো।

০৩. ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইকরা।

০৪. ত্রুটিপূর্ণ অপ্রশস্ত রাস্তাঘাট।

০৫. লাইসেন্সের কারচুপি করা।

০৬. অদক্ষ চালক দ্বারা গাড়ি চালানো।

০৭. গাড়ি চালানোর সময় মোবাইলে ও অন্যের সাথে কথা বলা।

০৮. নেশা গ্রহণ করা অবস্থায় গাড়ি চালানো।

০৯. গাড়ির গতি ঠিক না রাখা।

১০. ট্রাফিক আইন না মানা।

১১. সহকারী দিয়ে গাড়ি চালানো।

১২. সড়ক দুর্ঘটনা রোধে প্রয়োজনীয় আইন ও শাস্তির বিধান না থাকা। 

উপরে বর্ণিত বিষয়গুলোর প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখলে দুর্ঘটনার পরিমাণ অনেক কমতে পারে। তাই নিরাপদ সড়কের জন্য নিম্নোক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করছি:

০১. চালকদের কারিগরি শিক্ষার সাথে নৈতিক শিক্ষা দিতে হবে।

০২. সঠিক পদ্ধতিতে লাইসেন্সে প্রদান করতে হবে।

০৩. রাস্তায় ট্রাফিক ও পুলিশ প্রশাসনের অসাধুতা রোধ করতে হবে।

০৪. ত্রুটিমুক্ত যানবাহন, চলাচল উপযোগী রাস্তা নিশ্চিত করতে হবে।

০৫. দুর্ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে। 

০৬. অতিরিক্ত যাত্রী ও মাল বোঝাই বন্ধ করতে হবে। 

০৭. রাস্তা সোজা ও প্রশস্ততা বৃদ্ধি করতে হবে।

০৮. রাস্তা পারাপারের নিয়ম মানতে হবে।

০৯. রাস্তা চলাচলে জনগণকে সচেতন হতে হবে।

১০. বিজ্ঞাপন বা প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে সচেতনতা বাড়াতে হবে।

১১. জেব্রা ক্রসিং ব্যবহার কওে রাস্তা পার হওয়া।

১২. ফুটপাত দখলমুক্ত রাখতে হবে।

উল্লেখিত সুপারিশসমূহ কার্যকর করলে সড়ক দুর্ঘটনা অনেকাংশে হ্রাস পাবে। তাই এসব সুপারিশ কার্যকর করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।

প্রতিবেদক-

মুমতারিন মালিহা

উজরিপুর, বরশিাল।

 

প্রেরক, 

মুমতারিন মালিহা 

গ্রাম + পো: ডহরপাড়া 

উপজেলা: উজিরপুর 

জেলা: বরিশাল।

                         ডাক টিকিট

প্রাপক, 

সম্পাদক 

দৈনিক ইত্তেফাক, 

১, রামকৃষ্ণ মিশন রোড, 

ঢাকা-১২০৫।

Sunday, July 26, 2020

# তোমার বিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার বিবরণ দিয়ে একটি প্রতিবেদন রচনা কর।

২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ খ্রি.
প্রধান শিক্ষক, 
আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়,
আশুগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

বিষয়: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্যাপন সম্পর্কিত প্রতিবেদন।
সূত্র: আতাবিকেউবি/২০১৮/১৪১

জনাব,
আতাবিকেউবি/২০১৮/১৪১ নম্বর স্মারক অনুযায়ী আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্যাপনের ওপর প্রতিবেদন তৈরির জন্যে আদিষ্ট হয়ে নিচের প্রতিবেদনটি আপনার সমীপে পেশ করলাম।

আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্যাপিত

১. গত ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ তারিখে আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।

২. আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন বাংলা বিভাগের একজন শিক্ষক।

৩. রাত ১২টা ০১মিনিটে শহিদ মিনারে পুষ্প অর্পণের মধ্য দিয়ে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। 

৪. বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সবাই উপস্থিত ছিল। সমবেত কণ্ঠে গাওয়া হয়েছিল একুশের গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রæয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি।’ 

৫. সকাল ১০টায় শুরু হয়েছিল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। একুশ নিয়ে রচিত কবিতা আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতা, দেশাত্মবোধক গানের প্রতিযোগিতা শেষে আলোচনা সভা। 

৬. আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করে কয়েকজন ছাত্রছাত্রী। কবিতা আবৃত্তির পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে ছাত্র-শিক্ষক।

 ৭. সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পর ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্য’ বিষয়ক আলোচনায় অংশগ্রহণ করে ছাত্র, শিক্ষক। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এপিএসসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলৗ এএমএম সাজ্জাদুর রহমান।

৮. আলোচনার পর বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার হিসেবে মূল্যবান বই তুলে দেন মাননীয় প্রধান অতিথি।

পরিশেষে বলা যায়, অত্যন্ত ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠামালা শেষ হয়।

প্রতিবেদক-
মুমতারিন মালিহা
উজরিপুর, বরশিাল।
# তোমার বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিতব্য বিজ্ঞান মেলার উপর একটি প্রতিবেদন রচনা কর।

১৮ জুন, ২০১৮ খ্রি.
প্রধান শিক্ষক, 
আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়,
আশুগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

বিষয়: বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিতব্য বিজ্ঞান মেলার বিবরণ দিয়ে প্রতিবেদন।
সূত্র: আতাবিকেউবি/২০১৮/১৫২

জনাব,
আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিতব্য বিজ্ঞান মেলা সম্পর্কিত প্রতিবেদন তৈরির জন্যে আতাবিকেউবি/২০১৮/১৫২ নম্বর স্মারক অনুযায়ী আদিষ্ট হয়ে নিচের প্রতিবেদনটি আপনার সমীপে পেশ করলাম।

আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান মেলা অনুষ্ঠিত

১. গত ১৮ জুন, ২০১৮ তারিখে আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে দিনব্যাপী এক বিজ্ঞান মেলার আয়োজন করা হয়। সকাল ১০ টায় এপিএসসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলৗ এএমএম সাজ্জাদুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে মেলার উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। এ দিনটি আমার কাছে একটি আনন্দ ও গৌরবের দিন। দিনটি আমার জীবনে স্মৃতি হয়ে থাকবে। 

২. বিজ্ঞান মেলার শোভাবর্ধনের জন্য স্কুল মাঠটি নান রকম সাজে সজ্জিত করা হয়েছিল। স্কুলের প্রবেশ দ্বারটি নানা রকম ফুল দিয়ে খুবই সুন্দরভাবে সাজানো হয়। সকাল দশটা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত ঐ অনুষ্ঠান চলছিল। 

৩. শরীর চর্চা শিক্ষকের নের্তৃত্বে স্কাউট দল মেলার সার্বিক দায়িত্ব পালন করে। নির্দিষ্ট কর্মসূচি অনুযায়ী উদ্বোধনের পর বিভিন্ন স্কুলের প্রতিযোগীগণ তাদের তৈরি প্রদর্শনী বস্তু নিয়ে নিজ নিজ স্টলে বসে পড়ে। আমাদের স্কুলও উক্ত মেলায় অংশগ্রহণ করেছিল। স্টলের সংখ্যা ছিল ১৫ টি। 

৪. আগত অতিথিরা, শিক্ষার্থীরা এবং দর্শকবৃন্দ অত্যন্ত আগ্রহের সাথে প্রত্যেকটি স্টল ঘুরে দেখেন। বিজ্ঞানের কৃতিত্ব দেখে আনন্দ লাভ করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এপিএসসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলৗ এএমএম সাজ্জাদুর রহমান। তিনি সবগুলো স্টল ঘুরে দেখেন এবং আমাদেরকে উৎসাহিত করেন। আমাদের উদ্ভাবনী শক্তি দেখে সবাই বেশ প্রশংসা করেন। বিভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেন প্রধান অতিথিসহ অনেকে।

৫. দশম শ্রেণির একটি দল সরু তারদিয়ে টিলিফোন বানিয়েছিলাম এবং ইঁদুর মারার কল বানিয়েছিলাম। দুটো প্রদর্শনী সবার কাছে সমাদৃত হয়েছিল। আর ষষ্ঠ শ্রেণির একটি দল দেখায় পরিত্যক্ত কলম ও বাল্ব দ্বারা পেপারওয়েট বানানো যায়।

৬. মেলা বিকাল চারটা পর্যন্ত চলে। প্রতিটি শ্রেণির একটি দলকে মেলা শেষে ৫০০০ হাজার টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা করেন মামনীয় প্রধান অতিথি। সভাপতি মেলার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

বিজ্ঞান মেলায় শিক্ষার্থীদের উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখার মতো ছিল। অনেক শিক্ষার্থী এ ধরণের কাজে আগ্রহ দেখিয়েছে। অঅএব, বিজ্ঞান মেলার আয়োজন সার্থক হয়েছে এক কথায় বলা যায়।

প্রতিবেদক-
মুমতারিন মালিহা
উজরিপুর, বরশিাল।
# বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণ ও এর প্রতিকার সম্বন্ধে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন রচনা কর।

প্রতিবেদনের প্রকৃতি : বিশেষ প্রতিবেদন/সংবাদ প্রতিবেদন
প্রতিবেদনের শিরোনাম : বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণ ও তার প্রতিকার
পতিবেদনের লক্ষ্য : বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণ খঁজে বের করা ও এর প্রতিকার
সরোজমিনে পরিদর্শন : এই বিষয়ে সংশিষ্টদের সাক্ষাৎকার
প্রস্তুতের সময় ও তারিখ  : রাত ৯টা, ১৮ জুন, ২০১৮ 
প্রতিবেদকের নাম : মুমতারিন মালিহা

বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণ ও তার প্রতিকার

বর্তমান সভ্যতা সর্বতোভাবে বিদ্যুৎনির্ভর হলেও বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সংকট অত্যন্ত প্রকট। এ তীব্র বিদ্যুৎ ঘাটতি এদেশের জনজীবনকে বিষিয়ে তুলেছে। প্রাত্যহিক জীবনযাপন থেকে শুরু করে শিল্পায়ন, কৃষি উৎপাদন, শিক্ষা প্রভৃতি ক্ষেত্রেই মানুষ দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দিনে ও রাতে একাধিরবার দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে। বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের মাত্রা এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে, বিদ্যুৎ সংযোগ যে আছে মাঝে মাঝে সেকথা ভুলে যেতে হয়। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণ নির্ণয় করে তার আশু সমাধান করা জরুরী হয়ে পড়েছে। 

অনুসন্ধানে বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের নিম্নলিখিত কারণগুলো ধরা পড়েছে-

১. দেশের বর্তমান চাহিদা অনুযায়ী বিদুৎ উৎপাদন প্রয়োজন প্রায় ৯০০০ মেগাওয়াট, কিন্তু গড়ে উৎপাদিত হচ্ছে মাত্র ৬০০০ মেগাওয়াট।

২. বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ার আনুপাতিক হারে যোগান বাড়ে নি গত পঁচিশ বছরে।
৩. আমলাতান্ত্রিক ও অস্থিতিশীল রাজনৈতিক কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোর কোনো সংস্কার হয় নি।
৪. বিদ্যুৎ উৎপাদনের ঘাটতি সারাদেশে সমভাবে বণ্টন করলে বিদ্যুৎ-বিভ্রাট কিছুটা হলেও কম হতো।
৫. জলবিদ্যুৎ ও তাপবিদ্যুৎ উৎপাদনে পর্যাপ্ত পরিমাণে কাঁচামালের যোগান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
৬. নতুন উৎপাদন কেন্দ্রস্থাপনের অর্থ, প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতির অভাব।
৭. সরকারের পরনির্ভরশীল মনোভাব।
৮. অবৈধ সংযোগ, সিস্টেম লস ও কৃচ্ছতার অভাব।
৯. রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও প্রশাসনিক জটিলতা।
১০. বৃহৎ বিদ্যুৎ কেন্দ্রস্থাপন না করা।
১১. অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিদ্যুৎ কেন্দ্রস্থাপন না করা।

বিদ্যুতের উৎপাদন বৃদ্ধি করে বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের পরিমাণ কমিয়ে আনা একটি সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের প্রতিকারকল্পে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করলে বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের পরিমাণ পর্যায়ক্রমে কমে আসবে বলে অনেকে মনে করেন।

১. প্রয়্রোজনীয় বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রস্থাপন ও পুরনো বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র সংস্কার করা।
২. অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা ও কৃচ্ছতা সাধনের মাধ্যমে অপচয় রোধ করা।
৩. উৎপাদিত বিদ্যুৎ সুষমভাবে বণ্টনের ব্যবস্থা করা।
৪. সেচ পাম্পগুলো দিনের বেলায় বন্ধ রেখে রাতের বেলায় চালানো।
৫. মার্কেট ও বিপনিবিতানগুলোতে আলোকসজ্জা কমিয়ে আনা।
৬. সৌর বিদ্যুৎখাতে সরকারি ভর্তুকি বাড়িয়ে দিয়ে এর ব্যবহার জনপ্রিয় করা।
৭. বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এনার্জি সেভিংস বাল্ব কম মূল্যে সাধারণ জনগণের মাঝে সরবরাহ করা।
৮. রাতের বেলা দোকানপাট ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা।
৯. বায়োগ্যাসের মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরকারি ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
১০. বৃহৎ বিদ্যুৎ কেন্দ্রস্থাপন করা।
১১. অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিদ্যুৎ কেন্দ্রস্থাপন করা।

উপর্যুক্ত ব্যবস্থাগুলো গ্রহণ করলে বিদ্যুৎ-বিভ্রাট অনেকাংশে কমে আসবে। গ্রাহকদের ভোগান্তি কমবে। কৃষিজ ও শিল্পজ উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। ফলে সামগ্রিকভাবে দেশ এগিয়ে যাবে আলোকিত ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে।

প্রতিবেদক-
মুমতারিন মালিহা
উজিরপুর, বরিশাল।

  
প্রেরক, 
মুমতারিন মালিহা 
গ্রাম + পো: ডহরপাড়া 
উপজেলা: উজিরপুর 
জেলা: বরিশাল।
 ডাক টিকিট
প্রাপক, 
সম্পাদক 
দৈনিক ইত্তেফাক, 
১, রামকৃষ্ণ মিশন রোড, 
ঢাকা-১২০৫।

Friday, July 24, 2020

যানজট একটি ভয়াবহ সমস্যা এই শিরোনামে একটি প্রতিবেদন রচনা কর।


প্রতিবেদনের প্রকৃতি : বিশেষ প্রতিবেদন/সংবাদ প্রতিবেদন

প্রতিবেদনের শিরোনাম : ঢাকা শহরে যানজট: কারণ ও সমাধান

সরোজমিনে পরিদর্শন : এই বিষয়ে সংশিষ্টদের সাক্ষাৎকার

প্রস্তুতের সময় ও তারিখ : রাত ৯টা, ১৮ জুন, ২০১৮

প্রতিবেদকের নাম : মুমতারিন মালিহা


ঢাকা শহরে যানজট: কারণ ও সমাধান


ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী এবং বর্তমানে এটি বিশ্ব পরিচিত একটি শহর। কিন্তু তা সত্ত্বেও ঢাকা শহরে সবচাইতে বড় সমস্যা হচ্ছে যানজট সমস্যা। যানজট সমস্যা বর্তমানে এতই প্রকট যে, তাতে ঢাকা শহরে স্বাভাবিক জীবন যাপন কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। ভয়াবহ যানজটের কারণে অফিসের কর্মকর্তা, কর্মচারী, শিক্ষক, শিক্ষাথী, ব্যবসায়ী, হকার, মজুর, দোকানদার কারো পক্ষেই সময়মতো নির্ধারিত কর্মসূচী পালন করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে সবার মূল্যবান সময় প্রতিনিয়ত নষ্ট হচ্ছে। বর্তমানের এ অস্বাভাবিক যানজটের কারণসমূহ নিম্নরূপ:


০১. প্রায় সব রাস্তাঘাট অপ্রশস্ত।

০২. বিভিন্ন সংস্থা কর্তৃক রাস্তা খোড়াখুড়ি করা।

০৩. ট্রাক ও অন্যান্য ভারী যানবাহনের ছোট রাস্তার ভিতরে প্রবেশ।

০৪. হকারসহ অন্যান্য দোকানদারদের ফুটপাত দখল।

০৫. রাস্তার পাশে যেখানে সেখানে নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রাখা।

০৬. ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার শৈথিল্য।

০৭. চালকদের ট্রাফিক আইন না মানার প্রবণতা।

০৮. রিকশাসহ অন্যান্য যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি।

০৯. লাইসেন্সবিহীন রিকশার বেপরোয়া চলাচল।

১০. সুনির্দিষ্ট নীতিমালার অভাব।

১১. রাস্তা পারাপারে জনগণের ভীড় বেশি থাকা।

১২. পর্যাপ্ত পরিমাণে ওভার ব্রীজের অভাব থাকা। ইত্যাদি।

১৩. ওভার ব্রীজ ব্যবহার না করার মানসিকতা।

১৪. জেব্রা ক্রসিং এ রাস্তা পারাপার না হওয়া ইত্যাদি।


উল্লিখিত কারণগুলো দূরীকরণের উপয়সমূহ-


০১. রাস্তা প্রশস্ত করার জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পণা গ্রহণ করতে হবে।

০২. ট্রাফিক আইন পুরোপুরি প্রয়োগ করতে হবে।

০৩. লাইসেন্সবিহীন রিকশা চালাতে না দেওয়া।

০৪. ম্যাক্সি জাতীয় গাড়ি সকল রোডে চালু করা।

০৫. ট্রাক চলাচলের সময় নির্ধারণ করে দেওয়া।

০৬. অবৈধ দখল থেকে ফুটপাত মুক্ত করা।

০৭. রিকশার মতো যানবাহন তুলে দিয়ে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

০৮. বড় বড় মোড়গুলোতে ওভার ব্রীজ তৈরি করা।

০৯. যানজট দূরীকরণে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করা।

১০. জেব্রা ক্রসিং ব্যবহারে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।

১১. রাস্তা ওয়ান ওয়ে করতে হবে।

১২. প্রাইভেটকারের আধিক্য কমাতে হবে।

১৩. রাস্তার পাশে যেখানে সেখানে নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রাখা বন্ধ করতে হবে।

১৪. মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন, ওয়াদা, বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ, ডি.আই.টি. ট্রাফিক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর সকলের কর্মকাণ্ডের সমন্বয় সাধন করা ইত্যাদি।


সরকার যত তাড়াতাড়ি ঢাকা শহরের যানজট দূরীকরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে, ততই জনগণের মঙ্গল হবে। অন্যথায় রাজধানীর জনজীবন সার্বিকভাবে স্থবির হয়ে আসবে।


প্রতিবেদক-

মুমতারিন মালিহা

উজিরপুর, বরিশাল।


প্রেরক, 

মুমতারিন মালিহা 

গ্রাম + পো: ডহরপাড়া 

উপজেলা: উজিরপুর 

জেলা: বরিশাল।

                        ডাক টকিটি

প্রাপক, 

সম্পাদক 

দৈনিক ইত্তেফাক, 

১, রামকৃষ্ণ মিশন রোড, 

ঢাকা-১২০৫।