চলমান কথা

গত ১১ মে, ২০২০ আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের অনলাইন পরীক্ষার শুভ উদ্বোধন করেন প্রকৌশলী এ এম এম সাজ্জাদুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এপিএসসিএল।

স্বপ্নের পদ্মা সেতু; স্বপ্ন হলো সত্যি। স্বপ্নের পদ্মা সেতুর সাথে স্বপ্ন যাবে বাড়ি।

Friday, September 4, 2020

সম্প্রতি সড়ক দুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়ার কারণ ও প্রতিকারের সুপারিশসহ একটি প্রতিবেদন রচনা কর। 

প্রতিবেদনের প্রকৃতি       : বিশেষ প্রতিবেদন/সংবাদ প্রতিবেদন

প্রতিবেদনের শিরোনাম   : সড়ক দুর্ঘটনার বৃদ্ধি: কারণ ও প্রতিকার

সরোজমিনে পরিদর্শন    : এই বিষয়ে সংশিষ্টদের সাক্ষাৎকার

প্রস্তুতের সময় ও তারিখ  : রাত ৯টা, ১৮ জুন, ২০১৮ 

প্রতিবেদকের নাম          : মুমতারিন মালিহা

সড়ক দুর্ঘটনার বৃদ্ধি: কারণ ও প্রতিকার 

অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার নামই দুর্ঘটনা। বিভিন্ন দুর্ঘটনার মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনা একটা নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার। সম্প্রতি দেশে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়ে গেছে। এক পরিসংখ্যানে জানা গেছে বাংলাদেশে প্রতিদিন গড়ে তিন জন করে এক হাজারের উপওে লোক সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করে। আর চিরতরে পঙ্গু হচ্ছে তার পাঁচ থেকে সাত গুণ লোক।সড়ক দুর্ঘটনা অত্যন্ত হৃদয়বিদারক ও মর্মান্তিক। সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বয়স ও পেশার লোক। সড়ক দুর্ঘটনা আমাদের কাছ থেকে আত্মীয়-স্বজন, মেধাবী লোক, প্রিয় ব্যক্তিত্বকে কেড়ে নিলেও আমরা কেউসড়ক দুর্ঘটনা রোধে সচেষ্ট নই। অপর দিকে সড়ক দুর্ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টদের কর্মকাণ্ড দেখে মনে হয় যে, সড়ক দুর্ঘটনা স্বাভাবিক ব্যাপার এবং এটা ঘটবেই। জন্মিলে মরতে হবে এটা চিরন্তন সত্য। কিন্তু দুর্ঘটনায় অকাল মৃত্যু বড়ই অস্বাভাবিক এবং বেদনাদায়ক। তাই এ অস্বাভাবিক মৃত্যুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়া প্রয়োজন। একটি সড়ক দুর্ঘটনা একটি পরিবারের সারা জীবনের কান্না। বাংলাদেশে এর মধ্যেই সড়ক দুর্ঘটনার বিরুদ্ধে ব্যাপক জনমত ও আন্দোলন গড়ে উঠেছে। সামাজিক সংগঠনগুলো ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ নামে আন্দোলন শুরু করেছে। সড়ক দুর্ঘটনার কারণগুলো নিম্নে তুলে ধরা হল: 

০১. চালকদের অসর্তকতা ও বেপরোয়া গাড়ি চালানো।

০২. বিভিন্ন যান্ত্রিক ত্রুটিযুক্ত গাড়ি রাস্তায় নামানো।

০৩. ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইকরা।

০৪. ত্রুটিপূর্ণ অপ্রশস্ত রাস্তাঘাট।

০৫. লাইসেন্সের কারচুপি করা।

০৬. অদক্ষ চালক দ্বারা গাড়ি চালানো।

০৭. গাড়ি চালানোর সময় মোবাইলে ও অন্যের সাথে কথা বলা।

০৮. নেশা গ্রহণ করা অবস্থায় গাড়ি চালানো।

০৯. গাড়ির গতি ঠিক না রাখা।

১০. ট্রাফিক আইন না মানা।

১১. সহকারী দিয়ে গাড়ি চালানো।

১২. সড়ক দুর্ঘটনা রোধে প্রয়োজনীয় আইন ও শাস্তির বিধান না থাকা। 

উপরে বর্ণিত বিষয়গুলোর প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখলে দুর্ঘটনার পরিমাণ অনেক কমতে পারে। তাই নিরাপদ সড়কের জন্য নিম্নোক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করছি:

০১. চালকদের কারিগরি শিক্ষার সাথে নৈতিক শিক্ষা দিতে হবে।

০২. সঠিক পদ্ধতিতে লাইসেন্সে প্রদান করতে হবে।

০৩. রাস্তায় ট্রাফিক ও পুলিশ প্রশাসনের অসাধুতা রোধ করতে হবে।

০৪. ত্রুটিমুক্ত যানবাহন, চলাচল উপযোগী রাস্তা নিশ্চিত করতে হবে।

০৫. দুর্ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে। 

০৬. অতিরিক্ত যাত্রী ও মাল বোঝাই বন্ধ করতে হবে। 

০৭. রাস্তা সোজা ও প্রশস্ততা বৃদ্ধি করতে হবে।

০৮. রাস্তা পারাপারের নিয়ম মানতে হবে।

০৯. রাস্তা চলাচলে জনগণকে সচেতন হতে হবে।

১০. বিজ্ঞাপন বা প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে সচেতনতা বাড়াতে হবে।

১১. জেব্রা ক্রসিং ব্যবহার কওে রাস্তা পার হওয়া।

১২. ফুটপাত দখলমুক্ত রাখতে হবে।

উল্লেখিত সুপারিশসমূহ কার্যকর করলে সড়ক দুর্ঘটনা অনেকাংশে হ্রাস পাবে। তাই এসব সুপারিশ কার্যকর করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।

প্রতিবেদক-

মুমতারিন মালিহা

উজরিপুর, বরশিাল।

 

প্রেরক, 

মুমতারিন মালিহা 

গ্রাম + পো: ডহরপাড়া 

উপজেলা: উজিরপুর 

জেলা: বরিশাল।

                         ডাক টিকিট

প্রাপক, 

সম্পাদক 

দৈনিক ইত্তেফাক, 

১, রামকৃষ্ণ মিশন রোড, 

ঢাকা-১২০৫।

No comments: