চলমান কথা

গত ১১ মে, ২০২০ আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের অনলাইন পরীক্ষার শুভ উদ্বোধন করেন প্রকৌশলী এ এম এম সাজ্জাদুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এপিএসসিএল।

স্বপ্নের পদ্মা সেতু; স্বপ্ন হলো সত্যি। স্বপ্নের পদ্মা সেতুর সাথে স্বপ্ন যাবে বাড়ি।

Showing posts with label স্বাস্থ্যবিধি. Show all posts
Showing posts with label স্বাস্থ্যবিধি. Show all posts

Monday, August 10, 2020

 

কালো জিরা সব রোগের মহৌষধ

 

 

সব রোগের মোহা ঔষুধ হচ্ছে  কালো জিরা। আজকে কালো জিরার  কিছু উপকার সম্পর্কে আপনাদের জানাব। আসুন জেনে নেই কালি জিরার উপকার ও স্বাস্থ্যগুণ:

 ·         খাবারে অরুচি, শরীর ব্যথা, গলা ব্যথা, চুলপড়া, সর্দি, দাঁতের ব্যথা, মাইগ্রেন, কাশি, উদরাময়,  হাঁপানি নিরাময়ে কালো জিরা সাহায্য করে। ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসাবে কালো জিরা সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে।

·         মাথাব্যথা,  চুলপড়া, অনিদ্রা,  মুখশ্রী ও সৌন্দর্য রক্ষা, মাথা ঝিমঝিম করা, অবসন্নতা-দুর্বলতা, নিষ্কিয়তা ও অলসতা,  মস্তিষ্কশক্তি তথা স্মরণশক্তি বাড়াতেও কালো জিরা উপযোগী।

·         মাথা ব্যথায়: কপালে উভয় চিবুকে ও কানের পার্শ্ববর্তি স্থানে দৈনিক তিন চার বার কালোজিরা তেল মালিশ করলে উপকার পাওয়া যায়।

·         প্রতি দিন চায়ের সাথে নিয়মিত কালো জিরা মিশিয়ে অথবা এর তেল বা আরক মিশিয়ে পান করলে হৃদরোগে যেমন উপকার হয়, তেমনি মেদ ও বিগলিত হয়।

·         মধুসহ প্রতিদিন সকালে কালোজিরা সেবনে স্বাস্থ্য ভালো থাকে ও সকল রোগ মহামারী হতে রক্ষা পাওয়া যায়।

·         জ্বর, গায়ের ব্যথা, কফ  দূর করার জন্য কালো জিরা যথেষ্ট উপকারী বন্ধু। এতে রয়েছে ক্ষুধা বাড়ানোর উপাদান। পেটের যাবতীয় রোগ-জীবাণু ও গ্যাস দূর করে ক্ষুধা বাড়ায় কালো জিরা ।

·         সন্তান প্রসবের পর কাঁচা কালো জিরা পিষে খেলে শিশু দুধ খেতে পাবে বেশি পরিমাণে।

·         কালোজিরায় রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোরিয়াল­ এজেন্ট, অর্থাৎ শরীরের রোগ-জীবাণু ধ্বংসকারী উপাদান। এই উপাদানের জন্য শরীরে সহজে ঘা, ফোড়া, সংক্রামক রোগ (ছোঁয়াচে রোগ) হয় না।

·         কালো জিরা মেধার বিকাশের জন্য কাজ করে দ্বিগুণ হারে। কালিজিরা নিজেই একটি অ্যান্টিবায়োটিক বা অ্যান্টিসেপটিক।

·         দাঁতে ব্যথা হলে কুসুম গরম পানিতে কালো জিরা দিয়ে কুলি করলে ব্যথা কমে; জিহ্বা, তালু, দাঁতের মাড়ির জীবাণু মরে।

·         মস্তিস্কের রক্ত সঞ্চলন বৃদ্ধির মাধ্যমে স্মরণ শক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।

·         কালো জিরা কৃমি দূর করার জন্য কাজ করে।

·         দেহের কাটা-ছেঁড়া শুকানোর জন্য কাজ করে।

·         কালো জিরার যথাযথ ব্যবহারে দৈনন্দিন জীবনে বাড়তি শক্তি অজির্ত হয়। এর তেল ব্যবহারে রাতভর প্রশান্তিপর্ন নিদ্রা হয়।

·         প্রস্রাব বৃদ্ধির জন্য কালো জিরা খাওয়া হয়।

·         বহুমুত্র রোগীদের রক্তের শর্করার মাত্রা কমিয়ে দেয় এবং নিম্ন রক্তচাপকে বৃদ্ধি করে ও উচ্চ রক্তচাপকে হ্রাস করে।

·         মায়েদের বুকের দুধের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে প্রতিদিন রাত্রে শোবার আগে ৫-১০ গ্রাম কালোজিরা মিহি করে দুধের সঙ্গে খেতে থাকুন। ইনশাআল্লাহ্ মাত্র ১০-১৫ দিনে দুধের প্রবাহ বেড়ে যাবে। এছাড়া এ সমস্যা সমাধানে কালোজিরা-র ভর্তা করে ভাতের সঙ্গে খেতে পারেন। যারা জানেন না তাদের জন্য ভর্তা বানানোর প্রক্রিয়া পরে পোস্ট করা হবে।

·         নিয়মিত কালিজিরা খান। এটি মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বাড়িয়ে দেয়। যার দরুন স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পায়। এর সঙ্গে এটি প্রাণশক্তি বাড়ায় ও ক্লান্তি দূর করে।

 

কালো জিরার গুনাগুণ, ইসলাম ও বিজ্ঞান কী বলছে

বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) বলেছেন: “ তোমরা কালোজিরা ব্যবহার করবেকেননা এতে একমাত্র মৃত্যৃ ব্যতীত সর্বরোগের মুক্তি এতে রয়েছে

তিরমিযী,বুখারী,মুসলিম থেকে নেয়া

হযরত কাতাদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে, “প্রতিদিন ২১টি কালোজিরার ১টি পুটলি তৈরী করে পানিতে ভিজাবে এবং পুটলির পানির ফোঁটা এ নিয়মে নাশারন্দ্রে (নাশিকানাক) ব্যবহার করবে-প্রথমবার ডান নাকেরছিদ্রে ২ ফোঁটা এবং বাম নাকের ছিদ্রে ১ ফোঁটা। দ্বিতীয়বার বাম নাকের ছিদ্রে ২ ফোঁটা এবং ডান নাকের ছিদ্রে ১ ফোঁটা। তৃতীয়বার ডান নাকের ছিদ্রে ২ ফোঁটা ও বাম নাকের ছিদ্রে ১ ফোঁটা।

হযরত আনাস (রাঃ) বর্ণনা করেন, “নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেনযখন রোগ-যন্ত্রণা খুব বেশী কষ্টদায়ক হয় তখন এক চিমটি পরিমাণ কালোজিরা নিয়ে খাবে তারপর পানি ও মধু সেবন করবে।”– মুজামুল আওসাত: তাবরানী।

 

বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে কালো জিরার আরো কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা:

কালো জিরাকে সব রোগের ওষুধ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। অন্যান্য সব ভেষজের মতো কালিজিরা নিয়েও গবেষণা কম হয় নি। ১৯৬০ সালে মিসরের গবেষকরা নিশ্চিত হন যেকালো জিরায় বিদ্যমান নাইজেলনের কারণে হাঁপানি উপশম হয়। জার্মানি গবেষকরা বলেনকালো জিরার অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-মাইকোটিক প্রভাব রয়েছে। এটি বোনম্যারো ও প্রতিরক্ষা কোষগুলোকে উত্তেজিত করে এবং ইন্টারফেরন তৈরি বাড়িয়ে দেয়। আমেরিকার গবেষকরা প্রথম কালো জিরার টিউমারবিরোধী প্রভাব সম্পর্কে মতামত দেন। শরীরে ক্যান্সার উত্পািদনকারী ফ্রি-রেডিক্যাল অপসারিত করতে পারে কালিজিরা। মোটকথাকালো জিরা সব ধরনের রোগের বিরুদ্ধে তুলনাহীন। আসুন জেনে নিই কালিজিরার এমন কিছু ব্যবহারযেগুলো একেবারেই অপ্রচলিত।

·         স্মরণশক্তি বৃদ্ধিতে: কালো জিরা মস্তিষ্কে রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি করে স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। প্রতিদিন নিয়ম করে আধা চা চামচ কাঁচা কালিজিরা অথবা ১ চা চামচ কালিজিরার তেল খান।

·         চুল পড়া রোধে: কালোজিরা চুলের গোড়ায় পুষ্টি পৌঁছে দিয়ে চুল পড়া রোধ করে এবং চুল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল ও ১ চা চামচ কালিজিরার তেল একসাথে মিশিয়ে হালকা গরম করে নিন। চুলের গোড়ায় ভালো করে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট মাসাজ করুন। ১ ঘণ্টা পর চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।

·         ব্যথা কমাতে: যেকোনো ধরনের ব্যথা কমাতে কালো জিরার জুড়ি নেই। কালিজিরার তেল হালকা গরম করে নিয়ে ব্যথার জায়গায় মালিশ করুনব্যথা সেরে যাবে। বিশেষ করে বাতের ব্যথায় বেশ ভালো উপকার পাওয়া যায়।

·         ফোঁড়া সারাতে: ব্যথাযুক্ত ফোঁড়া সারাতে কালো জিরা সাহায্য করে। তিলের তেলের সাথে কালিজিরা বাটা বা কালিজিরার তেল মিশিয়ে ফোঁড়াতে লাগালে ব্যথা উপশম হয় ও ফোঁড়া সেরে যায়।

·         মেদ কমাতে: চায়ের সাথে কালো জিরার মিশিয়ে পান করলে তা বাড়তি মেদ ঝরে যেতে সাহায্য করে। একটি পাত্রে পানি নিয়ে চুলার ওপরে দিন। পানি ফুটে উঠলে চাপাতা ও সমপরিমাণ কালিজিরা পানিতে দিন। চায়ের রং হয়ে এলে নামিয়ে ছেঁকে নিয়ে সাধারণ চায়ের মতোই পান করুন।

·         দাঁতের ব্যথায়: দাঁত ব্যথা হলেমাঢ়ি ফুলে গেলে বা রক্ত পড়লে কালো জিরা তা উপশম করতে পারে। পানিতে কালিজিরা দিয়ে ফুটিয়ে নিন। এই পানির তাপমাত্রা কমে উষ্ণ অবস্থায় এলে তা দিয়ে কুলি করুন। এতে দাঁত ব্যথা কমে যাবেমাঢ়ির ফোলা বা রক্ত পড়া বন্ধ হবে। এছাড়া জিহ্বাতালু ও মুখের জীবাণু ধ্বংস হবে।

·         মাথা ব্যথায়: ঠাণ্ডাজনিত মাথাব্যথা দূর করতে কালো জিরা সাহায্য করে। একটি সুতি কাপড়ের টুকরায় খানিকটা কালিজিরা নিয়ে পুঁটুলি তৈরি করুন। এই পুঁটুলি নাকের কাছে নিয়ে শ্বাস টানতে থাকুন। কিছুক্ষণের মধ্যেই ব্যথা সেরে যাবে।

Thursday, July 16, 2020

আমলকি

আমলকির কত গুণ!
হজম শাক্তি বাড়াতে ও কোষ্ঠ্যকাঠিন্য থাকলে আমলকী অব্যর্থ ওষুধ, এই কথা এখন সবাই জানে। কিন্তু আমলকীর উপকার এখানেই থেমে নেই, এ এক মহৌষধি। দেখে নিন আমলকীর আর কী কী গুণ রয়েছে, যার জন্য আপনি আমলকি খেতে পারেন।

পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, আমলকিতে পেয়ারার চেয়ে ১০ গুণ ও কাগজি লেবুর চেয়ে ৩ গুণ বেশি ভিটামিন সি রয়েছে। এছাড়া আমলকিতে কমলার চেয়ে ১৫ থেকে ২০ গুণ বেশি, আপেলের চেয়ে ১২০ গুণ বেশি, আমের চেয়ে ২৪ গুণ এবং কলার চেয়ে ৬০ গুণ বেশি ভিটামিন সি রয়েছে। একজন বয়স্ক লোকের প্রতিদিন ৩০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি দরকার। এই পরিমাণ ভিটামিন সি  দিনে দুটো আমলকি খেলেই এসে যায়।

01.   হজম শক্তি বাড়াতে আমলকি দারুণ কাজ করে।
02.   যাদের বমি ভাব আছে তারা খেলে বমিভাব কেটে যাবে।
03.  আমলকি মাথার রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে কর্ম ক্ষমতা বাড়ায়।
04.   হৃদ ও ফুসফুসের  কার্যকারিতা বৃদ্দি করে। 
05.   রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণ করে ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে।
06.  কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে।
07.   আমলকিতে আছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট; যা ত্বকের লাবণ্য ধরে রেখে উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
08.   ভিটামিন সি, বি-১ ও বি-২ পূরণ করে।
09.   রক্ত পরিষ্কার রাখতে আমলকি খুব কাজ দেয়।
10.   সর্দিকাশি সারতে আমলকি খুব কাজ দেয়।
11.   যাদের হাঁপানি ও ব্রঙ্কাইটিস আছে তারা আমলকি খেলে খুব উপকার পাবেন।
12.   মুখের অরুচি দূর করে আমলকি।
13.  পেটের সমস্যা দূর হয় এই ফল খেলে।
14.   পাইসের সমস্যা দূর হয় এই ফল খেলে।
15.   আমলকি রক্তে লোহিত কণিকার সংখ্যা বাড়িয়ে রক্তশূন্যতা দূর করে।
16.  দাঁত ও নখ শক্ত করে।
17.   তারুণ্য ধরে রাখে।
18.   মেদ কমাতে কাজ করে।
19.   যৌন শক্তি বৃদ্ধি করে।
20.   চুলের নানারকম সমস্যা দূর করে।
21.   চুল অকারে পাকা বন্ধ করে।
22.  আমলকি চুলের গোড়া শক্ত করে এবং খুসকি দূর করে।
23.  আমলকি অনিদ্রা দূর করে।
24.   চোখের সমস্যা দূর করে। দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে।
25.  চোখে চুলকানি, ফুসকুড়ি, চোখ জলা এ সব সমস্যা দূর হয় আমলকি খেলে।
26.  মুখের দুর্গন্ধ দূর করে আমলকি।
27.  গর্ভবর্তী মায়েদের জন্য আমলকি খুব ভালো।
28.  রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় আমলকী।

Wednesday, July 15, 2020

কচু শাক

কচু শাক খেয়ে সুস্থ থাকুন

কচুশাকে পুষ্টিগুণ বা খাদ্যগুণ যাই বলুন তা যে পরিমাণ আছে আচ্ছা আচ্ছা খাবারে কিন্তু সেই পরিমাণ খাদ্যগুণ থাকে না। তাই আজ রইল কচুশাকের সাত কাহন।

প্রথমে জেনে নেওয়া যাক কচুশাকে কী কী খাদ্যগুণ থাকে –

কচুশাকে রয়েছে, প্রোটিন, ভিটামিন, শর্করা, কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট, আয়রণ, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম-সহ বিভিন্ন খনিজ ও ফাইবার।

দ্বিতীয়তে জানব ১০০ গ্রাম কচুশাকের মধ্যে কোন পুষ্টিগুণ কত পরিমাণ থাকে –



১০০ গ্রাম কচুশাকের মধ্যে থাকে

01.   ৩.৯ গ্রাম প্রোটিন,
02.   ০.২২ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-১ (থায়ামিন),
03.  ০.২৬ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-২ (রাইবোফ্লাবিন),
04.   ১২ মিলিগ্রাম ভিটামিন স,
05.   ৬.৮ গ্রাম শর্করা,
06.  ১০ মিলিগ্রাম লৌহ,
07.   ১.৫ গ্রাম চর্বি বা ফ্যাট,
08.   ২২৭ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম,
09.   ৫৬ কিলো ক্যালোরি খাদ্যগুণ।


এখন দেখব কচুশাক খেলে উপকার কী কী হয়?

01.   কচুশাকে প্রচুর পরিমাণে আঁশ জাতীয় বা ‘ফাইবার’ থাকে বলে এটি হজম শক্তি বাড়ায়। তাই কোষ্ঠকাঠিন্য যাঁদের আছে তাঁরা খেতে পারেন।
02.   কচুশাকে প্রচুর ‘আয়রন’ আছে। আছে ‘ফোলেট’। তাই রক্ত বাড়াতে সাহায্য করে। রক্তে অক্সিজেনের সরবরাহ বৃদ্ধি করে। যাঁরা রক্তাল্পতায় ভোগেন তাঁরা অবশ্যই কচুশাক খেতে পারেন।
03.   কচু শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’ থাকায় চোখের জন্য খুব উপকারী।
04.    কচু শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ থাকায় শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়তে সাহায্য করে।
05.    কচুশাকে ‘অ্যান্টিউফ্লামেটারি’ ও ‘অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল’ থাকায় যেকোনো প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
06.   এটি রক্তে শর্করা কমায় এবং ডায়াবেটিস কমায়।
07.   উচ্চরক্ত চাপ কমায় এবং হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস পায়।
08.   এ শাকের ভিটামিন ও খনিজ উপাদান গর্ভবতী মায়েদের জন্য খুব ভালো।
09.   এতে আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম ও খনিজ থাকায় হাড় ও দাঁত গঠনে খুব কাজ করে।
10.   এত আছে ভিটামিন ‘কে’ যা রক্তপাত সমস্যা রোধ করে।
11.   কচুশাক খেলে রক্তে কোলেস্টরেলের পরিমাণ কমে।
12.   এত প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ অনেক জটিল রোগ হতে রক্ষা করে।

Sunday, July 12, 2020

কেন মধু খাবেন?

কেন মধু খাবেন?


স্মিতা দাস : কথায় আছে, জন্মের পর প্রথম মুখে মধু দিলে মিষ্টি কথা বলা শেখে শিশুরা। এটা সত্যি নয়, কথার কথা। কিন্তু মধুর যে প্রকৃতই বিশেষ গুণ আছে, সে কথা স্বীকার করতেই হয়। হয়তো মিষ্টি কথা বলানোর গুণ নয়। শরীরের ক্ষেত্রে বিশেষ গুণ। সেই গুণ কিন্তু আবার একটি-দুইটি নয়। অসংখ্য। মধুর সুফল বা উপকারিতা যেমন স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে রয়েছে, তেমনই রয়েছে রূপচর্চা ও চুলের যত্নে। তবে প্রথম পর্বে আমরা জানব মধু সম্পর্কে বেশ কিছু অজানা কিন্তু জরুরি তথ্য।

প্রাচীন কাল থেকেই মধুর ব্যবহার দেশে ব্যাপক মাত্রায় হয়ে আসছে। তবে শুধু যে দেশে তাই নয়, বিদেশেও কিন্তু মধুর কদর প্রচুর। চিন-সহ এশিয়ার বহু দেশই সকাল শুরু করে মধুর হাত ধরে। অর্থাৎ প্রাতরাশের তালিকায় থাকে মধু। অনেকেই গরম জলে মধু, চায়ের সঙ্গে মধু ইত্যাদি নিয়মে নিয়মিত মধু খেয়ে থাকেন। তার উপকারিতা বা সুফলও পান পুরোদমে।



মধু খাওয়ার আগে জেনে নেয়া যেতে পারে খাদ্য গুণের কোন কোন উপাদান আছে। মধুতে ৪৫ টিরও বেশি খাদ্যগুণ রয়েছে।
মধুতে থাকে

01.   ২৫ থেকে ৩৭ শতাংশ গ্লুকোজ;
02.   34 থেকে 43 ফ্রুক্টোজ;
03.  ০.৫ থেকে ৩.০ শতাংশ সুক্রোজ;
04.    ৫ থেকে ১২ শতাংশ মন্টোজ;
05.   ২২ শতাংশ এ্যামাইনো এসিড;
06.   ২৮ শতাংশ খনিজ লবণ;
07.    ১১ শতাংশ এনকাইম;
08.   ১০০ গ্রাম মধুতে থাকে ২৮৮ ক্যালরি;
09.   ভিটামিন বি-১;
10.    ভিটামিন বি-২;
11.    ভিটামিন বি-৩;
12.   ভিটামিন বি-৫;
13.   ভিটামিন বি-৬;
14.    আয়োডিন;
15.   জিংক;
16.   কপার;
17.    অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান;
18.  অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান;
19.    চর্বি ও প্রোটিন নেই।

ওপরের তা মধুর খাদ্যগুণ। এখন বর্ণনা করব মধু নিয়মিত খেলে কী কী উপকার পাওয়া যায় তা।

01.    মধুতে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে দেহকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
02.   নিয়মিত মধু খেলে ওজন কমে।
03.  মধু খেলে অনিদ্রা দূর করে। রাতে ভালো গভীর ঘুম হয়।
04.    মধুতে রয়েছে ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর কের।
05.   যাদের আমশা বা পেট খারাপ তাদের জন্য খুব উপকারী মধু।
06.   যাদের অম্ল সমস্যা তারা ভোরবেলা মধু খেলে অনেক উপকার পাবেন।
07.   মধু হজম শক্তি বাড়াতে বেশ কাজ করে।
08.   হজম শক্তি বাড়িয়ে পাকিস্থলিকে সুস্থ রাখে।
09.   অরুচি দূর করে মধু।
10.    যাদের বমিবমি ভাব থাকে তারা খেলে উপকার পাবেন।
11.    মধু শিশুদের বাড়তে সাহায্য করে ও মস্তিষ্কেরে কাজ করার ক্ষমতা বাড়ায়।
12.   হৃদপেশিকে সুস্থ রাখে
13.   মধু রক্ত ও রক্তনালী পরিষ্কার রাখে।
14.    মধুর আয়রন রক্ত উৎপাদনে সাহায্য করে।
15.   মধু রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল কমিয়ে হার্টকে ভালো রাখে।
16.   শরীরের যেকোনো জায়গার ব্যথা কমাতে মধু ভূমিকা রাখে।
17.    মধুতে প্রাকৃতিক চিনি আছে। এই প্রাকৃতিক চিনি পেশিশক্তি বাড়াতে সক্ষম।
18.   শারীরিক দুর্বলতা কমায়।
19.    যৌন দুর্বলতা দূর করে শক্তি বৃদ্ধি করে। বিশেষ করে পুরুষেরা খুব উপকার পাবেন।
20.   হাঁপানি রোগের মহৌষধ মধু।
21.   যাদের গ্যাসট্রিক সমস্যা তারা মধু খেলে গ্যাসট্রিকের সমাধান পাবেন।
22.  মধুতে থাকা ক্যালসিয়াম হাড় ও দাঁত মজবুত করে।
23.  নখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
24.   মখের ঘা দূর করে।
25.  চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়।
26.  শিশুদের সর্দি কাশিতে খুব কাজে দেয় মধু।
27.   নিয়মিত মধু খেলে গলার স্বর মিষ্টি হয়।
28.  শরীরের তাপমাত্রা ঠিক রাখে।
29.   শরীরের পানির সমতা রক্ষা করে।
30.  ক্ষতস্থান সারাতে খুব কাজ দেয়।
31.   মধুতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে। এই অ্যান্টি অক্সিডেন্ট তারুণ্য ধরে রাখে।
32.  রূপচর্চায় মধু খুব কাজে দেয়। ত্বক টানটান রাখে।
33. চুল সুন্দর করে ।

Thursday, July 2, 2020

থানকুনি পাত

থানকুনি পাতা আমাদের দেশের খুব পরিচিত একটি ভেষজ গুণসম্পন্ন উদ্ভিদ। এর ল্যাটিন নাম centella aciatica। গ্রামাঞ্চলে থানকুনি পাতার ব্যবহার আদি আমল থেকেই চলে আসছে। ছোট্ট প্রায় গোলাকৃতি পাতার মধ্যে রয়েছে ওষুধি সব গুণ। থানকুনি পাতার রস রোগ নিরাময়ে অতুলনীয়।প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে বহু রোগের উপশম হয় এর ভেষজ গুণ থেকে। অঞ্চলভেদে থানকুনি পাতাকে আদামনি, তিতুরা, টেয়া, মানকি, থানকুনি, আদাগুনগুনি, ঢোলামাসনি, থুলকুড়ি, মানামানি, ধূলাবেগুন, টুনিমুনি নামে ডাকা হয়। তবে বর্তমানে থানকুনি বললে সবাই চেনে।

থানকুনি পাত

০১. নিয়মিত থানকুনি পাতা খেলে চুল পড়ার হার কমে যায়।
০২. ক্ষতিকর টক্সিক উপাদান শরীর থেরকে বের হয়ে যায়।
০৩. ক্ষতস্থান সারতে থানকুনি পাতার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে
০৪. থানকুনি পাতা হজম ক্ষমতারও উন্নতি করে।
০৫. থানকুনি পাতার রস খেলে ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায়।
০৬. খালিপেটে প্রতিদিন খেলে আমাশয় ভালো হয়ে যায়।
০৭. পেটের রোগের চিকিৎসায় কাজে আসে।
০৮. কাশির প্রকোপ কমে।
০৯. গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হয়।
১০. চামচ থানকুনির রস সামান্য চিনিসহ খেলে সঙ্গে সঙ্গে খুসখুসে কাশিতে উপকার পাওয়া যায়।
১১. কোথাও থেঁতলে গেলে থানকুনি গাছ বেটে অল্প গরম করে আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে প্রলেপ দিলে উপকার পাবেন।

তথ্য: উইকিপিডিয়া