কচু শাক
খেয়ে সুস্থ থাকুন
কচুশাকে পুষ্টিগুণ বা খাদ্যগুণ যাই
বলুন তা যে পরিমাণ আছে আচ্ছা আচ্ছা খাবারে কিন্তু সেই পরিমাণ খাদ্যগুণ থাকে না। তাই
আজ রইল কচুশাকের সাত কাহন।
প্রথমে জেনে নেওয়া যাক কচুশাকে কী
কী খাদ্যগুণ থাকে –
কচুশাকে রয়েছে, প্রোটিন, ভিটামিন,
শর্করা, কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট, আয়রণ, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম-সহ
বিভিন্ন খনিজ ও ফাইবার।
দ্বিতীয়তে জানব ১০০ গ্রাম কচুশাকের
মধ্যে কোন পুষ্টিগুণ কত পরিমাণ থাকে –
১০০ গ্রাম কচুশাকের মধ্যে থাকে
01.
৩.৯
গ্রাম প্রোটিন,
02.
০.২২
মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-১ (থায়ামিন),
03. ০.২৬ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-২ (রাইবোফ্লাবিন),
04.
১২
মিলিগ্রাম ভিটামিন স,
05.
৬.৮
গ্রাম শর্করা,
06. ১০ মিলিগ্রাম লৌহ,
07.
১.৫
গ্রাম চর্বি বা ফ্যাট,
08.
২২৭
মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম,
09.
৫৬
কিলো ক্যালোরি খাদ্যগুণ।
এখন দেখব কচুশাক খেলে উপকার কী কী
হয়?
01.
কচুশাকে
প্রচুর পরিমাণে আঁশ জাতীয় বা ‘ফাইবার’ থাকে বলে এটি হজম শক্তি বাড়ায়। তাই কোষ্ঠকাঠিন্য
যাঁদের আছে তাঁরা খেতে পারেন।
02.
কচুশাকে
প্রচুর ‘আয়রন’ আছে। আছে ‘ফোলেট’। তাই রক্ত বাড়াতে সাহায্য করে। রক্তে অক্সিজেনের
সরবরাহ বৃদ্ধি করে। যাঁরা রক্তাল্পতায় ভোগেন তাঁরা অবশ্যই কচুশাক খেতে পারেন।
03. কচু শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’ থাকায় চোখের
জন্য খুব উপকারী।
04.
কচু শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ থাকায় শিশুদের
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়তে সাহায্য করে।
05.
কচুশাকে ‘অ্যান্টিউফ্লামেটারি’ ও ‘অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল’
থাকায় যেকোনো প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
06. এটি রক্তে শর্করা কমায় এবং ডায়াবেটিস কমায়।
07.
উচ্চরক্ত
চাপ কমায় এবং হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস পায়।
08.
এ
শাকের ভিটামিন ও খনিজ উপাদান গর্ভবতী মায়েদের জন্য খুব ভালো।
09.
এতে
আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম ও খনিজ থাকায় হাড় ও দাঁত গঠনে
খুব কাজ করে।
10.
এত
আছে ভিটামিন ‘কে’ যা রক্তপাত সমস্যা রোধ করে।
11.
কচুশাক
খেলে রক্তে কোলেস্টরেলের পরিমাণ কমে।
No comments:
Post a Comment