চলমান কথা

গত ১১ মে, ২০২০ আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের অনলাইন পরীক্ষার শুভ উদ্বোধন করেন প্রকৌশলী এ এম এম সাজ্জাদুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এপিএসসিএল।

স্বপ্নের পদ্মা সেতু; স্বপ্ন হলো সত্যি। স্বপ্নের পদ্মা সেতুর সাথে স্বপ্ন যাবে বাড়ি।

Wednesday, June 24, 2020

ইদ ২০২০ এ তোলা ছবি

 মুমতারিন মালিহা
মুমতারিন সামিহা

জীবন-সঙ্গীত
১. নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দা।
মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। মানব জীবন নাতিদীর্ঘ। মানুষের স্বীয় কর্মের জন্য সাফল্য ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। ভোগ, লোভ-লালসার চিন্তায় মানুষ ব্যর্থতা অর্জন করে। পক্ষান্তরে ত্যাগ, ধৈর্য ও সহিষ্ণু তার মাধ্যমে মানুষ সফল তা অর্জন করে।  

ক. ‘দারা’ শব্দের অর্থ কী? 
খ. কীভাবে ‘ভবের’ উন্নতি হয়?  
গ. ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় কবি ব্যর্থতার যে বর্ণনা দিয়েছেন তা উদ্দীপকের আলোকে ব্যাখ্যা কর।     
ঘ. “সাফল্য অর্জনে চাই- ত্যাগ, ধৈর্য ও সহিষ্ণুতা” উদ্দীপক ও ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতা অবলম্বনে উক্তিটি বিশ্লেষণ কর। 
                                                    
২. নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দা।
সময় গেলে সাধন হবে না
দিন থাকিতে দ্বীনের সাধন কেন জানলে না
জানে না মন থালে বিলে 
থাকে না মীন জল শুকালে
কী হবে আর বাধা দিলে।

ক. কবি আয়ুকে কীসের সঙ্গে তুলনা করেছেন?     
খ. কবি মানবকে ভয়ে ভীত না হওয়ার কথা বলেছেন কেন?     
গ. উদ্দীপকটিতে ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার কোন বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।  
ঘ. উদ্দীপকে উল্লেখিত বিষয়টি ছাড়াও ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় উঠে এসেছে জীবনকে সমৃদ্ধ করার একাধিক পরামর্শ।- উক্তিটি বিশ্লেষণ কর। 

৩. নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দা।
নানামুখী প্রতিকূলতার জন্য পাঁচবার বিএ পরীক্ষায় অবতীর্ণ হতে পারেনি কাশেম। বন্ধু-বান্ধব ও পরিবারের সদস্যদের তিরস্কাওে কাশেম কিছুটা বিচলিত হয়। এমন পরিস্থিতিতে কাশেম তার গ্রামের একজন বিজ্ঞ ব্যক্তির পরামর্শ নিয়ে ষষ্ঠ বারের মতো দৃঢ় মনোবলসহকাওে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সফলভাবে কৃতকার্য হয়।

ক. জীবনের উদ্দেশ্য কী নয়?     
খ. আমাদের জীবন নিছক স্বপ্ন নয় কেন? ব্যাখ্যা কর।   
গ. উদ্দীপকে ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার কোন দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।  
ঘ. “উদ্দীপকটি ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার সমগ্র ভাব ধারণ করেণি।”- উক্তিটির যথার্থতা বিশ্লেষণ কর। 

অভাগীর স্বর্গ

১. নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দা।
দেখিনু সেদিন রেলে,
কলি বলে এক বাবুসাব তারে ঠেলে দিল নিচে ফেলে
চোখ ফেটে এল জল,
এমনি করে কি জগৎজুরিয়া মার খাবে দুর্বল।

ক. জমিদারের গোমস্তার নাম কী?
খ. ‘রসিক হত বুদ্ধির মতো দাঁড়াইয়া রহিল’-কেন? 
গ. ‘এমনি করে কি জগৎজুরিয়া মার খাবে দুর্বল’-চরণাট ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের কোন দিকটি নির্দেশ করে? ব্যাখ্যা কর।                                                                                       
ঘ. উদ্দীপকে উল্লেখিত নিচু শ্রেণির মানুষের নির্যাতন ও লাঞ্ছনা ভোগ করার চিত্র ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে শরৎচন্দ্র দরদী ভাষায় উপস্থাপন করেছেন। উক্তিটি বিশ্লেষণ কর।   

২. নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দা।
রহিম চৌধুরী কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক হয়েও সাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত। কিছুদিন পূর্বে তাঁ বড় মেয়ের বিয়েতে এলাকার সকলকে দাওয়াত দেন। তিনি ধনী-গরীবের মধ্যে কোনো পার্থক্য করেননি। তাঁর এ আচরণে এলাকার দরিদ্র জনগণ খুবই সন্তুষ্ট। 

ক. গ্রামে নাড়ি দেখতে জানত কে?
খ. মাকে বিশ্বাস করাই কাঙালীর অভ্যাস কেন? 
গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের বৈসাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “অভাগীর আশা পূর্ণতা পাওয়ার জন্য রহিম চৌধুরীদের মতো মানুষ প্রয়োজন।”-বক্তব্যটির যথার্থতা বিচার কর।   

৩. নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দা।
শুধু বিঘে দুই মোর ভুঁই আর সবই গেছে ঋণে।
বাবু বলিলেন, বুঝেছ উপেন, এ জমি লইব কিনে।
কহিলাম আমি, তুমি ভূস্বামী, ভূমির অন্ত নাই। 
চেয়ে দেখ মোর আছে বড়ো-জোর মরিবার মেতা ঠাঁই।

ক. অভাগীকে নদীর চড়ায় মাটি দিতে বলেছিল কে?
খ. কাঙালীর অসহায়ত্বের কারণ কী? 
গ. উদ্দীপক ও ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের মধ্যকার সম্পর্ক ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের সমাজের বাবু শ্রেণির মানুষের প্রতিনিধি ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের অধর রায়-বিশ্লেষণ কর।   

কপোতাক্ষ নদ

১. নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দা। 
 i. দেশি ভাষা বিদ্যা যার মনে ন জুরায়।
    নিজ দেশ তিয়াগী কেন বিদেশ ন যায়।।
ii. কিন্তু  এ স্নেহের তৃষ্ণা মিটে কার জলে?
     দুগ্ধ-স্রোতরূপী তুমি জন্মভূমি-স্তনে।

ক. দ্বিতীয় স্তবকটি কোন কবির লেখা?  
খ. কপোতাক্ষ নদের কথা কবির সব সময়  মনে পরে কেন?   
গ. স্তবক দুটির অন্তর্নিহিত ভাবের সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য কী?     
ঘ. স্তবক দুটির অন্তর্নিহিত তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর।   

২. নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দা।                                         
বাংলার নদী কি শোভা শালিনী
কি মধুর তার কুল কুল ধ্বনি
দু ‘ধারে তাহার বিটপীর শ্রেণি
হেরিলে জুরায় হিয়া।

ক. অষ্টককে ইংরেজিতে কী বলা হয়?  
খ. ‘দুগ্ধ-স্রোতরূপী’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?    
গ. ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার মূলভাবের সাথে উদ্দীপকের মূলভাবের সাদৃশ্য বর্ণনা কর।   
ঘ. ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার পরিণতির দিকটি উদ্দীপকে অনুপস্থিত-বিশ্লেষণ কর।  
         
৩. নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দা।                                         
কবি আল মাহমুদের প্রিয় নদী তিতাস। এ নদী কবির শৈশবের নদী। নদীর বিক্ষুব্ধ তরঙ্গমালাকে উদাস করেছিল। নির্মল বাতাস, নদীর শুভ্র তনুশ্যী জয় করে নিয়েছে কবির মন। তাই তো কবি বলেছেন- 
“নীরব তৃপ্তির জন্য আনমনে বসে থেকে ঘাসে
ডনর্মল বাতাস টেনে বহুক্ষণে ভরেছি এক বুক।”
কর্মজীবনে নানা স্থানে তিনি ঘুরেছেন কিন্তু শৈশবের প্রিয় এ নদী স্মৃতিতে জাগরূক।

ক. মাইকেল মধুসূদন দত্তের অমর সৃষ্টি কী? 
খ. ‘আর কি হে হবে দেখা’ কবির এরূপ মনে হওয়ার কারণ কী? 
গ. উদ্দীপকে ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার কোন দিকটি অনুপস্থিত? বর্ণনা কর। 
ঘ. “কবি আল মাহমুদের অনুভূতি ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার ষটকের ভাব ফুটে উঠেছে”-বিশ্লেষণ কর।  

বইপড়া

১. নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দা।
গ্রামের ডান পিটে ও দুষ্ট ছেলেদের দেখে একজন শিক্ষক তাদের একটি গাঠাগার গড়ার পরামর্শ দিলেন। অল্প দিনের মধ্যে স্কুলে একটি পাঠাগার গড়ে উঠল। ঐসব ছেলেদের মাটির বাংকে জমানো টাকায় পাঠাগারটি নতুন বইয়ে ভরে উঠল। ধীরে ধীরে অনেকেই বই পড়ায় আগ্রহী হয়ে উঠল।

ক. সাহিত্যচর্চার সুফল সন্বন্ধে অনেকেই কী?
খ. ‘লাইব্রেরি হচ্ছে একরকম মনের হাসপাতাল’-বুঝিয়ে লিখ। 
গ. শিক্ষকের চেতনাবোধ ‘বইপড়া’ প্রবন্ধের কোন চেতনাকে সমর্থন করে? ব্যাখ্যা কর। 
ঘ. গ্রামের ছেলেদের মানসিক পরিবর্তনের দিকটি ‘বইপড়া’ প্রবন্ধের আলোকে বিশ্লেষণ কর।

২. নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দা।   
বইয়ের পাতা স্বপ্ন বলে।
যে বই জুড়ে সূর্য ওঠে
পাতায় পাতায় গোলাপ ফোটে
সে বই তুমি পড়বে।

ক. কেতাবি কারা? 
খ. ‘মনের দাবি রক্ষা না করলে আত্মা বাঁচে না’ - বুঝিয়ে লিখ।
গ. উদ্দীপকে ‘বইপড়া’ প্রবন্ধের যে দিকটি ফুটে ওঠেছে - তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. তুমি কি মনে করো উদ্দীপকটি ‘বইপড়া’ প্রবন্ধের যথার্থ প্রতিচ্ছবি? তোমার উত্তরের স্বপক্ষে যুক্তি দাও।

৩. নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দা।
ফজর আলী একজন কৃষক। অবসর সময় নাতি-নাতনিদের বই পড়ে। তার পড়ার আগ্রহ দেখে তার নাতি সানা বলে, দাদু তুমি আমাদের পড়ার লাইব্রেরিতে গেলে অনেকে বই পড়তে পারবে। ফজর আলী একদিন লাইব্রেরিতে গিয়ে কৃষি বিষয়ক অনেক বই দেখে সে তাজ্জব বনে যায়। এরপর সে নিয়মিত লাইব্রেরিতে যায় এবং বইয়ের প্রতি তার একটা অন্যরকম প্রীতি জেগে ওঠে। তার মতে বই শুধু জ্ঞান পরিবেশন করে না, মনের খোরাকও যোগায়।

ক. কাব্যামৃতে আমাদের অরুচি ধরেছে কেন? 
খ. সাহিত্যচর্চাকে শিক্ষার সর্বপ্রধান অঙ্গ বলা হয়েছে কেন?
গ. উদ্দীপকে ফজর আলীর মধ্যে ‘বইপড়া’ প্রবন্ধের যে দিকটি ফুটে ওঠেছে -তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “বই শুধু জ্ঞান পরিবেশন করে না, মনের খোরাকও যোগায়।”-উক্তিটি উদ্দীপক ও ‘বইপড়া’ প্রবন্ধের আলোকে মূল্যায়ন কর।

বঙ্গবাণী

১. নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দা।      
মোদের গরব, মোদের আশা, আ-মরি বাংলা ভাষা!
মাগো তোমার কোলে, তোমার বোলে, কতই শান্তি ভালবাসা!

ক. ‘আব্দুল হাকিম’ কোন শতকের কবি? 
খ. হিন্দুর অক্ষর বলতে কী বুঝানো হয়েছে?    
গ. ‘বঙ্গবাণী’ কবিতার কোন বিষয়টি উদ্দীপকে প্রকাশিত হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। 
ঘ. মিল থাকলেও ‘বঙ্গবাণী’ কবিতার কবির বক্তব্য এখানে সম্পূর্ণ উন্মোচিত হয় নি।-মূল্যায়ন কর।  

২. নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দা।                                        
সাহিদ ও জাহিদ দুই বন্ধুবিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। সাহিদ বাংলা ভাষাকে খুব ভালোবাসে। অন্যদিকে জাহিদের বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি পছন্দ নয়। সে ইংরেজি জানা নিয়ে গর্ব করে। সাহিদ ক্ষুব্ধ হয়ে জাহিদকে বলে, “আমরা বাঙালি, বাংলা ভাষা আমাদের অহংকার।”

ক. কারা হিন্দুর অক্ষরকে হিংসা করে? 
খ. ‘আরবি ফারসি শাস্ত্রে নাই কোন রাগ’ ব্যাখ্যা কর।    
গ. উদ্দীপকের জাহিদের মতো মানুষদের প্রতি কবি আবদুল হাকিম কী মনোভাব পোষণ করেন? ব্যাখ্যা কর। 
ঘ. “উদ্দীপকের সাহিদ ও ‘বঙ্গবাণী’ কবিতার কবির বক্তব্য একই চেতনা থেকে উৎসারিত”-মূল্যায়ন কর।

৩. নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দা।                                        
কিন্তু যে সাধেনি কভু জন্মভূমির হিত
স্বজাতির সেবা যেবা করেনি কিঞ্চিৎ
জানাও সে নরাধম জানাও সত্বর
অতীব ঘৃণিত সেই পাষÐ বর্বর।

ক. ‘মারফত’ শব্দের অর্থ কী? 
খ. মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষায় মানুষের ভাগ্য কীভাবে সুপ্রসন্ন হয়? ব্যাখ্যা কর।    
গ. উদ্দীপকটি ‘বঙ্গবাণী’ কবিতার সঙ্গে কীভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর। 
ঘ. “উদ্দীপকের মূলভাব এবং ‘বঙ্গবাণী’ কবিতার মূলভাব পুরোপুরি এক নয়”-মন্তব্যটি মূল্যায়ন কর।

সুভা

১. নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দা।
আনু নবম শ্রেণিতে পড়ে। ক্লাসের অন্য সব ছেলে-মেয়ের মত সেও প্রাণবন্ত। খেলাধুলা করে, বন্ধুদের সাথে মেলামেশা করে। হঠাৎ করেই ঘটল দুর্ঘটনা। সড়ক দুর্ঘটনায় আনু একটা পা হারায়। এখনও সে ক্লাসে আসে, শিক্ষকের পড়াবলে। কিন্তু আগের মতো সেই প্রাণবন্ত পরিবেশ পায় না। ক্লাসের বন্ধুরা তার সাথে মেশে না, কথাও বলতে চায় না। ফলে সে ধীরে ধীরে নিশ্চুপ হয়ে যায়।

ক. বাণীকণ্ঠের ঘর কয় চালা?
খ. প্রতাপের প্রতি তার মা-বাবা নিরাশ হওয়ার কারণ কী?
গ. উদ্দীপকটি ‘সুভা’ গল্পের কোন ভাবকে নির্দেশ করে? লেখ।
ঘ. “শারীরিক ত্রæটির কারণেই উদ্দীপকের আনু আর ‘সুভা’ গল্পের সুভা সামাজিক বৈষম্যের শিকার।”-মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ কর।

২. দুই পা আছে কিন্তু উঠে দাঁড়াবার শক্তি নেই। তাতে কী? আত্মবিশ্বাস তো আছে। তাই তো জীবনযুদ্ধে দমে যাননি আলমগীর হোসেন। ছোটবেলায় টাইফয়েট জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেন তিনি। তারপর থেকে হাঁটা-চলা ও কাজকর্ম করার কথা কখনো চিন্তা করতে পারেননি আলমগীর। কিন্তু শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী হলেও জীবিকার তাগিদে রিকশাকে বেছে নিয়েছেন হাতিয়ার হিসেবে।

ক. সুভা জলকুমারী হলে কী করত?
খ. কেন বাণীকণ্ঠকে লোকে নিন্দা করতে শুরু করে?
গ. উদ্দীপকটি আলমগীর হোসেনের সাথে ‘সুভা’ গল্পের সুভার সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “ উদ্দীপকটি আলমগীর হোসেনের পরিস্থিতি ও পরিণতি সুভার পরিণতির থেকে ভিন্ন।”-মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ কর।

৩. নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দা।
                             
যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে,
বাইব না মোর খেয়া তরী এই ঘাটে
চুকিয়ে দেব বেচা কেনা, মিটিয়ে দেব লেনা দেনা
বন্ধ হবে আনাগোনা এই বাটে;
তখন আমায় নাইবা মনে রাখলে।

ক. প্রতাপ কাদের ছেলে?
খ. ‘তাহার মর্ম তাহার ভাষার অপেক্ষা সহজে বুঝিত’-কথাটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপকটিতে ‘সুভা’ গল্পের দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “ উদ্দীপকের কবিতাংশে ‘সভা’ গল্পের বোবা মেয়েটির ব্যথিত হৃদয়ের আর্তিই যেন ভাষারূপ পেয়েছে।”-মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ কর।

বঙ্গভূমির প্রতি


১।   নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দা।                                             
বাংলার তরু বাংলার ফল
বাংলার পুষ্প বাংলার কমল
মাঠে ঘাটে পথে তটিনি সৈকতে
যে দেখে সে আপন হারা।
বাংলার কুলি বাংলার চাষি
বাংলার মাটি কত ভালবাসি।

ক. নরকুলে ধন্য কে?
খ. কবি মৃত্যুকেও ভয় পান না কেন?   
গ. উদ্দীপকের সাথে ‘বঙ্গভূমির প্রতি’ কবিতাটির বৈসাদৃশ্যটুকু তুলে ধর?
ঘ. “উদ্দীপক ও ‘বঙ্গভূমির প্রতি’ কবিতাটি রচনার পেছনে একই চেতনা কাজ করেছে।”-মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।                                                                                                        

২। নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দা।
স্বদেশ ভালোবাসা
প্রত্যাশা
স্মৃতি

ক. কবি দেশকে মা হিসেবে কল্পনা করেছেন? 
খ. কবি কেন অমর হতে পারবেন না বলে মনে করেন? 
গ. উদ্দীপকের আলোকে ‘বঙ্গভূমির প্রতি’ কবিতায় কবির স্বদেশের প্রতি ভালোবাসার যে বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে, ব্যাখ্যা কর। 
ঘ. “উদ্দীপকে ও ‘বঙ্গভূমির প্রতি’ কবিতার সামগ্রিক চিত্র ফুটে ওঠেনি”-মন্তব্যটি যাচাই কর। 

৩। মবিন দীর্ঘ কয়েক বছর পর দেশে ফিরেছে। তার কাছে সব কিছু অচেনা মনে হচ্ছে। কিন্তু গ্রামে পা দিতেই অন্য রকম এক অনুভূতিতে মন ভরে উঠল। অনেক বড় বড় শহরে ঘুরেও তার এতটা ভাল লাগেনি যতটা ভাল লেগেছে গ্রামে পা দিয়ে।
ক. মাইকেল মধুসূদন দত্তের রচিত মহা কাব্যের নাম কী? 
খ. জীবন-নদের নীর স্থির নয় কেন? 
গ. ‘বঙ্গভূমির প্রতি’ কবিতা এবং উদ্দীপকের মধ্যে সাদৃশ্য তুলে ধর। 
ঘ. “সাদৃশ্য থাকলেও উদ্দীপক এবং ‘বঙ্গভূমির প্রতি’ কবিতার প্রেক্ষাপট ভিন্ন”- মূল্যায়ন কর।                    

৪। নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দা।
আমি অকৃতি অধম
     বলেও তো কিছু কম করে মোরে দাও নি;
     যা দিয়েছ, তারি অযোগ্য ভাবিয়া
     কেড়েও তো কিছু নাও নি।

ক. কোন নদের নীর চিরস্থির নয়?
খ. কবি নিজেকে দাস বলেছেন কেন?
গ. ‘বঙ্গভূমির প্রতি’ কবিতার কোন ভাবানুভূতি উদ্দীপকে খুঁজে পাওয়া যায়?
ঘ. “কবিতাংশটি ‘বঙ্গভূমির প্রতি’ কবিতার সামগ্রিকভাবেকে প্রকাশ করে নি।”-বিশ্লেষণ কর।

 ভাব ও কাজ

১। পলান সরকার মানুষকে বিনামূল্যে বই বিতরন করেন। যাতে সবাই বই পড়তে উৎসাহিত হয়। তাঁর কাছে জানতে চাইলে তিনি  জানালেন-কাজটি তিনি আত্মার টানে করেন।তিনি কাজের ক্ষেত্রে আত্মার গুরুত্বকে আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন।

ক. মানুষকে মাতিয়ে তোলা যায় কী দিয়ে?                       
খ. মানুষকে কোমল জায়গায় ছোঁয়া দেওয়া আবশ্যক কেন?
গ. উদ্দীপকের পলান সরকার ‘ভাব ও কাজ’ প্রবন্ধের কোন ভাবাবেগে তাড়িত? ব্যাখ্যা কর?
ঘ. ‘পলান সরকারের তাড়নাই কার্যসিদ্ধির পূর্বশর্ত’ ‘ভাব ও কাজ’ প্রবন্ধের আলোকে উক্তিটি বিশ্লেষণ কর।                     

২। ভাবহীন কাজ আর সৌরভবিহীন পুষ্প একই। ভাবকে কাজে পরিণত করতে না পারলে সেই ভাবনা ব্যর্থ হয়। যিনি ভাবের বাঁশি বাজিয়ে জনসাধারণকে নাচাবেন, তাকে নিঃস্বার্থ ত্যাগী হতে হবে।
ক. ‘ভাব ও কাজ’ কোন ধরনের রচনা?                         
খ. সোনার কাঠি বলতে কী বোঝানো হয়েছে?                                                                                       
গ. উদ্দীপকটি ‘ভাব ও কাজ’ প্রবন্ধের যে দিকটি নির্দেশ করে তা ব্যাখ্যা কর।           
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত বিষয়াবলি ‘ভাব ও কাজ’ প্রবন্ধের সম্পূর্ণ ভাবকে ধারন করে কি মূল্যায়ন কর।                                               

৩। মানুষ বড় হয় তার কর্মের মাধ্যমে। সঠিক কর্মের মাধ্যমে মানুষ কাঙ্খিত সাফল্য লাভ করতে পারে। কর্ম ও নিজস্ব চিন্তা মানুষকে সঠিক পথে পরিচালিত করে। তাই চিন্তা যদি পরিচ্ছন্ন না হয় তবে মানুষকে ভাবের সাগরে হাবুডুবু খেতে হয়, যা তাকে প্রকৃত মানুষ হওয়া থেকে বিরত রাখে।
ক. কুম্ভকর্ণ কে?                                                                       
খ. সত্যের সাধনা বলতে লেখক কী বুঝিয়েছেন?                                                                                   
গ. উদ্দীপকে ‘ভাব ও কাজ’ প্রবন্ধের কোন দিকটি বর্ণিত হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।         
ঘ. ‘চিন্তা যদি পরিচ্ছন্ন না হয় তবে মানুষকে ভাবের সাগরে হাবুডুবু খেতে হয়।’-মন্তব্যটি ‘ভাব ও কাজ’ প্রবন্ধের আলোকে বিশ্লেষণ কর।                                                                             


সাহিত্যের কিছু মৌলিক বিষয়


সাহিত্য বিষয়টি বিশাল; এর পরিধিও ব্যাপক ও বিস্তৃত। সাহিত্যের বিভিন্ন শাখার মৌলিক বিষয় সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের ধারনা থাকার জরুরী। তাই আমার এ ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।

সাহিত্য কাকে বলে?

# মানবজীবনের সাথে সম্পর্ক আছে এমন বিষয়ের রসঘন ও শৈপ্লিক প্রকাশকে সাহিত্য বলে।
# নিজের কথা, পরের কথা বা বাহ্যজগতের কথা সাহিত্যিকের মনোবীণায় যে-সুরে ধ্বনিত হয়, তার শিল্পসঙ্গত প্রকাশকে সাহিত্য বলে।
# মানাব মনের ভাবনা, কল্পনা যখন অপরিহার্য শব্দের সমন্বয়ে সুবিন্যস্ত ও ছন্দবদ্ধভাবে প্রকাশিত হয়, তখন তাকে কবিতা বলে।
# ইন্দ্রিয় দ্বারা জাগতিক বা মহাজাগতিক চিন্তা-চেতনা, অনিুভূতি, সৌন্দর্য ও শিল্পের লিখিত বা লেখকের বাস্তবজীবনের অনুভূতি হচ্ছে সাহিত্য।
# মোটকথা: বিশ্বপ্রকৃতি, স্রষ্টা, মানব ও জীবজগৎ যখন সাহিত্যিকের কল্পনারঞ্জিত হয়ে আত্মপ্রকাশ করেÑভাবে নয়, ভাবময় রূপে, তখন তাকে সাহিত্য বলে।

কবিতা কাকে বলে?

# কবিতা হচ্ছে শ্রুতিনান্দনিক শব্দের সমন্বয়ে তালে ও প্রায়শঃ ছন্দে বিন্যস্ত আবেগঘন বিশেষ অর্থপ্রকাশক কথন বা লেখন।
# মানবমনের ভাবনা-কল্পনা যখন অনুভূতিরঞ্জিত যথার্থ শব্দসম্ভারে বাস্তব সুষমামণ্ডিত চিত্রাত্মক ও ছন্দোময় রূপ লাভ করে, তখন তাকে কবিতা বলে।
# উৎকৃষ্ট শব্দের সর্বোত্তম বিন্যাসকে কবিতা বলে।
# শব্দাথৌ সহিতো কাব্যং।
# Best words in the best order—Coleridge.
# Poetry is the spontaneous overflow of powerful feelings—Wordsworth.

প্রবন্ধ কাকে বলে?

# নাতিদীর্ঘ সুবিন্যস্ত গদ্য রচনাকে প্রবন্ধ বলে।
# কল্পনা শক্তি ও বুদ্ধিবৃত্তিকে কাজে লাগিয়ে লেখক যে নাতিদীর্ঘ সাহিত্য রূপ সৃষ্টি করেন তাই প্রবন্ধ।
# কল্পনা শক্তি ও বুদ্ধিবৃত্তিকে আশ্রয় করে লেখক কোন বিষয়বস্তু সম্বন্ধে যে আত্মসচেতন নাতিদীর্ঘ সাহিত্য রূপ সৃষ্টি করেন, তাই প্রবন্ধ।

নাটক কাকে বলে?

# দৃশ্য ও শ্রব্যকাব্যের সমনবয়ে রঙ্গমঞ্চের সাহায্যে গতিমান মানবজীবনের প্রতিচ্ছবি আমাদের সম্মুখে মূর্ত করে তোলে, তাকে নাটক বলে।
# ত্রিমাত্রিক আয়তনে দর্শকদের সামনে পাত্র-পাত্রীদের মাধ্যমে মানবজীবনের বাস্তব ঘটনা তুলে ধরাকে নাটক বলে।
# কাব্যেষু নাটকং রম্যম।
# Drama is the creation and representation of life in terms of the theatre-Elizabeth Drew.

প্রহসন কাকে বলে?

# মানুষের চারিত্রিক ও সামাজিক অসঙ্গতি হাস্যরসাত্মক নাট্যরূপকে প্রহসন বলে।

উপন্যাস কাকে বলে?

# মানবজীবনের কোনো বাস্তব ঘটনার বিবরণমূলক শিল্পকর্মকে উপন্যাস বলে।
# লেখকের ব্যক্তিগত জীবন-দর্শন ও জীবনানভূতি কোনো বাস্তব কাহিনী অবলম্বন করে যে বর্ণনাত্মক শিল্পকর্মে রূপায়িত হয়, তাকে উপন্যাস বলে।

তথ্যসূত্র: সাহিত্য-সন্দর্শন ও উইকিপিডিয়া।