চলমান কথা

গত ১১ মে, ২০২০ আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের অনলাইন পরীক্ষার শুভ উদ্বোধন করেন প্রকৌশলী এ এম এম সাজ্জাদুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এপিএসসিএল।

স্বপ্নের পদ্মা সেতু; স্বপ্ন হলো সত্যি। স্বপ্নের পদ্মা সেতুর সাথে স্বপ্ন যাবে বাড়ি।

Friday, July 10, 2020

অর্থালঙ্কার

০৫. গূঢ়ার্থপ্রতীতিমূলক অলঙ্কার:  অর্থান্তরন্যাস , অপ্রস্তুতশংসাআক্ষেপউদাত্তব্যাজস্তুতিব্যাজোক্তি,  পর্যায়োক্তপরিকরভাবিক
স্বভাবোক্তিসূক্ষ।







তথ্যসূত্র: অলঙ্কার-অন্বেষা: নরেন বিশ্বাস।

Wednesday, July 8, 2020

রূপাই

১। নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
কৃষিভিত্তিক বাংলাদেশের উন্নয়নে কৃষকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তারা আক্লান্ত পরিশ্রম দ্বারা শস্য উৎপাদন করে আমাদের খাদ্যের চাহিদা পূরণ করছেন। এমন সেবাধর্মী কাজের জন্য আমরা কৃষকদের প্রতি কৃতজ্ঞ।

ক. চাষির ছেলের ‘গা-খানি দেখতে কেমন?
খ. ‘জারির গানে তাহার গলা ওঠে সবার আগে’-বর্ণনা কর।
গ. কৃষকদের প্রতি উদ্দীপকে প্রকাশিত দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে ‘রূপাই’ কবিতার দৃষ্টিভঙ্গির তুলনা কর।
ঘ. ‘কৃষকদের প্রতি আমাদের সকলের শ্রদ্ধাশীল দৃষ্টিভঙ্গি থাকা উচিৎ।’- উদ্দীপক ও ‘রূপাই’ কবিতার আলোকে মন্তব্যটির যথার্থতা বিশ্লেষণ কর।

২। নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
হরিপদ কাপালী স্বশিক্ষিত কৃষক। তিনি নতুন জাতের একটি ধান উদ্ভাবন করেন। এই জাতের ধানে অধিক ফসল উৎপাদন হয়। প্রথমে আশেপাশের গ্রামের লোকেরা এই ধান উৎপাদনে এগিয়ে আসে। এ ধানের সুনাম শুনে পার্শ্ববর্তী জেলার কৃষকরাও উৎপাদনে এগিয়ে আসে। দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে যায় হরি ধান। হরিপদ কাপালী কৃষকদের গর্ব।

ক. কবি মরণকে কোন রঙের সাথে তুলনা করেছেন?
খ. ‘কালো চোখের তারা দিয়ে সকল ধরা দেখি’-বর্ণনা কর।
গ. উদ্দীপকের হরিপদ কাপালীর সঙ্গে ‘রূপাই’ কবিতার রূপাইয়ের সাদৃশ্য নির্ণয় কর।
ঘ. ‘উদ্দীপকের সাদৃশ্যই ‘রূপাই’ কবিতার একমাত্র বিষয় নয়’-মন্তব্যটির যথার্থতা বিশ্লেষণ কর।

৩। নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
উইকিপিডিয়া
ক. রূপাইয়ের কচি মুখের মায়াকে কীসের সাথে তুলনা করেছেন?
খ. কালোয় যে-জন আলো বানায়, ভুলায় সবার মন-বলতে কবি কী বুঝাতে চেয়েছেন? গ.
গ. উদ্দীপকটি ‘রূপাই’ কবিতার  সাথে কীভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ.  ‘উদ্দীপক ও ‘রূপাই’ কবিতা একই সূত্রে গাঁথা-মূল্যায়ন কর।  


# একটি ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শনের বর্ণনা দিয়ে বন্ধুর নিকট একটি পত্র লেখ।

১২ জুলাই, ২০১৮ খ্রি.
উজিরপুর, বরিশাল।

প্রিয় মামুন,
প্রথমে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা নিও। গতকাল তোমার যে চিঠিখানা পেয়েছি তার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ।গতকাল তোমার চিঠি পেয়ে জানতে পারলাম তুমি ভালো আছ। আমিও তোমাদের দোয়ায় ভালো আছি।গত কাল গিয়েছিলাম জাতীয় স্মৃতিসৌধ দর্শন করতে। এ সৌধের সৌন্দর্য তোমকে না জানাতে পারলে ভাল লাহছে না।

রাজধানী ঢাকা থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে নির্মিত হয়েছে এই জাতীয় স্মৃতিসৌধ।১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ভিত্তিপ্রস্তর করেছিলেন। এই স্মৃতিসৌধের নকশা তৈরি করেছিলেন স্থপতি সৈয়দ মইনুল হোসেন। এর উচ্চতা ১০০ ফুট। স্মৃতিসৌধের ফলক সংখ্যা ৭। এই ৭ সংখ্যাটি বিভিন্ন দৃষ্টিকোন থেকে অত্যন্ত তাৎপর্যময় ও অর্থবহ। এই নকশার স্থপতি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সাতটি পর্যায়কে ত্রিভুজাকৃতি মিনারের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধে শহিদ সাতজন বীরশ্রেষ্টের স্মৃতি এতে স্মরণকরা হয়েছে। সাত সংখ্যার সাথে মিল রেখে স্মৃতিসৌধটির সাতটি ফলক গড়ে উঠেছেঅপূর্ব শিল্পকর্ম। স্মৃতিসৌধের মিনারপ্রাঙ্গণের আয়তন ১৩০Í১৩০ ফুট। এ স্মৃতিসৌধটির নির্মাণ কাজ মোটামুটি শেষ হয়েছে ১৯৮২ সালের জুন মাসে। তবে এর মূল ভবনের কাজ শেষ হলেও চারপাশের সম্প্রসারণের কাজ এখনো অব্যাহত রয়েছে। এর পুরো আঙ্গিনায় রয়েছে অসংখ্য বিচিত্র বর্ণের ফুলের গাছ আর ডানপাশেই রয়েছে একচি সুন্দর লেক। এক কথায় এর সৌন্দর্য নয়ন মুগ্ধ করে।

আজ আর না। তুমি ঢাকা এলে অবশ্যই স্মৃতিসৌধ দেখে যাবে। সময় পেলেই আমাকে চিঠি লেখো। ভালো থেকো। তোমার পিতা-মাতাকে শ্রদ্ধা ও ছোট ভাই-বোনদেরকে স্নেহ জানাবে।তোমার সার্বিক মঙ্গল কামনা করি।

ইতি
তোমার প্রিয়,
মুমতারিন মালিহা


প্রেরক,
দিপা/দীপন
গ্রা:+পো: ডহড়পাড়া
উপজেলা: উজিরপুর
জেলা: বরিশাল।     ডাক টিকিট
                                          ডাক টিকিট
প্রাপক,                                
আবির/কাবির
গ্রাম+পো: ধামসর,
উপজেলা: উজিরপুর           
জেলা: বরিশাল।    

# তোমার দেখা একটি বিজ্ঞান মেলার বর্ণনা করে প্রবাসী বন্ধুর কাছে একখানা চিঠি লেখ।

১২ জুলাই, ২০১৮ খ্রি.
উজিরপুর, বরিশাল।

প্রিয় মামুন,
প্রথমে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা নিও। গতকাল তোমার যে চিঠিখানা পেয়েছি তার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ।গতকাল তোমার চিঠি পেয়ে জানতে পারলাম তুমি ভালো আছ। আমিও তোমাদের দোয়ায় ভালো আছি।তোমাকে একটি আনন্দের খবর দেয়ার জন্য মনটা খুব উৎসুক ছিল। এটাই বড় কথা যে, শেষ পর্যন্ত তোমাকে লিখতে পারছি।

গত ২৫ মে, ২০১৮ তারিখে আমাদের বিদ্যালয় মাঠে বিজ্ঞান মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এ দিনটি আমার কাছে একটি আনন্দ ও গৌরবের দিন। দিনটি আমার জীবনে স্মৃতি হয়ে থাকবে। আমরা এ আনন্দঘন দিনটির একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ তোমার কাছে তুলে ধরছি।

বিজ্ঞান মেলার শোভাবর্ধনের জন্য স্কুল মাঠটি নান রকম সাজে সজ্জিত করা হয়েছিল। স্কুলের প্রবেশ দ্বারটি নানা রকম ফুল দিয়ে খুবই সুন্দরভাবে সাজানো হয়। সকাল দশটা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত ঐ অনুষ্ঠান চলছিল। নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী বিভিন্ন স্কুলের প্রতিযোগীগণ তাদের তৈরি প্রদর্শনী ব¯ নিয়ে নিজ নিজ স্টলে বসে পড়ে। আমাদের স্কুলও উক্ত মেলায় অংশগ্রহণ করেছিল। আমরা সরু তারদিয়ে টিলিফোন বানিয়েছিলাম এবং ইঁদুর মারার কল বানিয়েছিলাম। দুটো প্রদর্শনী সবার কাছে সমাদৃত হয়েছিল। এছাড়া দর্শকবৃন্দ অত্যন্ত আগ্রহের সাথে প্রত্যেকটি স্টল ঘুরে দেখেন। বিজ্ঞানের কৃতিত্ব দেখে আনন্দ লাভ করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এপিএসসিএল এর ব্যব্যস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলৗ এএমএম সাজ্জাদুর রহমান। তিনি সবগুলো স্টল ঘুরে দেখেন এবং আমাদেরকে উৎসাহিত করেন। মেলা শেষে ফলাফল ঘোষণা করেন আমাদের প্রধান শিক্ষক মহোদয়। আমাদের টিলিফোন যন্ত্রটি ২য় হয়ে ৫০০০ হাজার টাকার সম্মান বয়ে আনে।

আজ আর না। সময় পেলেই আমাকে চিঠি লেখো। ভালো থেকো। তোমার পিতা-মাতাকে শ্রদ্ধা ও ছোট ভাই-বোনদেরকে স্নেহ জানাবে।

ইতি
তোমার প্রিয়,
মুমতারিন মালিহা

প্রেরক,
দিপা/দীপন
গ্রা:+পো: ডহড়পাড়া
উপজেলা: উজিরপুর
জেলা: বরিশাল।     ডাক টিকিট
                                         ডাক টিকিট
প্রাপক,                                
আবির/কাবির
গ্রাম+পো: ধামসর,
উপজেলা: উজিরপুর           
জেলা: বরিশাল।    

# ছাত্রজীবনে শিক্ষামূলক সফরের গুরুত্ব বর্ণনা করে বন্ধুর কাছে একখানা চিঠি লেখ।

১২ জুলাই, ২০১৮ খ্রি.
উজিরপুর, বরিশাল।

প্রিয় মামুন,
প্রথমে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা নিও। গতকাল তোমার যে চিঠিখানা পেয়েছি তার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ।গতকাল তোমার চিঠি পেয়ে জানতে পারলাম তুমি ভালো আছ। আমিও তোমাদের দোয়ায় ভালো আছি।

আজ আমি তোমাকে আমার জীবনের একটি চমৎকার অভিজ্ঞতার কথা বলছি। একথা তোমার অজানা নয় যে, ছাত্রজীবন শিক্ষা লাভের সময়। তবে এ শিক্ষা লাভ শুধু পাঠ্যপুস্তকগত নয়। এর বাইরেও অনেক কিছু জানার আছে। কবি বলেছেন, গ্রন্থগত বিদ্যা আর পর হস্তে ধন, নহে বিদ্যা নহে ধন হলে প্রয়োজন। এজন্য ছাত্রজীবনে শিক্ষামূলক ভ্রমণ খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটি আমাদের ধরা-বাঁধা একগুঁয়ে ঝীবনকে একটি নতুন মাত্রা দান করে শিক্ষামূলক ভ্রমণের মাধ্যমে আমরা বিাভন্ন ঐতিহাসিক স্থান অথবা কােনো  প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত স্থানে ঘুরে দেখার সুযোগ পাই। এসব স্থান সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য ও তত্ত¡ জানতে পারি। এ ভ্রমণ আমাদেও জ্ঞানের ভাণ্ডারকে আরও সম্প্রসারিত করে। আমরা বাইরের জগৎ সম্পর্কে প্রায়োগিক জ্ঞান অর্জন করতে পারি। এটা আমাদের জ্ঞান-পিপাসা মেটাতে সহায়তা করে। সেই সঙ্গে ভূগোলের জ্ঞানলাভসহ দেশের ভূপ্রকৃতি, সম্পদ, মানুষ ও জীবনযাপন প্রণালির ছবি কত সহজে দেখা যায়। বইয়ের পাতায় তা কোনোদিন খুঁজে পাওয়া যায় না। আর ভ্রমণে আছে দেশ এবং তার মানুষকে জানার সুযোগ। তাই ছাত্রজীবনে শিক্ষামূলক ভ্রমণের উপকারিতা অনস্বীকার্য।

আজ আর না। সময় পেলেই আমাকে চিঠি লেখো। ভালো থেকো। তোমার পিতা-মাতাকে শ্রদ্ধা ও ছোট ভাই-বোনদেরকে স্নেহ জানাবে।

ইতি
তোমার প্রিয়,
মুমতারিন মালিহা


প্রেরক,
দিপা/দীপন
গ্রা:+পো: ডহড়পাড়া
উপজেলা: উজিরপুর
জেলা: বরিশাল।     ডাক টিকিট
                                          ডাক টিকিট
প্রাপক,                                
আবির/কাবির
গ্রাম+পো: ধামসর,
উপজেলা: উজিরপুর           
জেলা: বরিশাল।    

# একটি বই মেলার বর্ণনা দিয়ে তোমার প্রবাসী বন্ধুর কাছে একটি পত্র লেখ।

১২ জুলাই, ২০১৮খ্রি.
উজিরপুর, বরিশাল।

প্রিয় মামুন,
প্রথমে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা নিও। গতকাল তোমার যে চিঠিখানা পেয়েছি তার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ।গতকাল তোমার চিঠি পেয়ে জানতে পারলাম তুমি ভালো আছ। আমিও তোমার দোয়ায় ভালো আছি। 

আনন্দের ভাষায় অনুভূতি ব্যক্ত করতে না পারলেও এবারের একুশে বইমেলায় আমার যে অনুভূতি তো তোমাকে না জানালে যে আমি স্বস্তি পাচ্ছি না। প্রতিবছর মতো যথারীতি ১ ফেব্রুয়ারি বিকালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনী ভাষণের মাধ্যমে মেলার কার্যক্রম শুরু হয়েছে এক ঝাঁক সাদা কবুতর উড়িয়ে তিনি বইমেলার উদ্বোধন করলেন।

উদ্বোধন শেষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রধান প্রধান কিছু স্টল ঘুরে দেখলেন। প্রথম দিনে মেলা তেমন জমে ওঠে নি। দ্বিতীয় দিন থেকে মেলায় প্রচুর লোক আসতে থাকে। এবারের মেলায় প্রায় সাড়ে তিনশ স্টল ছিল। প্রত্যেকই কিছু কিছু নতুন বহিঃ প্রকাশ করেছে। শিশু ও কিশোরদের বই ও সিডির কয়েকটি স্টল ছিল। সব স্টলেই মোটামুটি বিক্রি হয়েছে।

প্রতি বছরের মতো এবারও বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ মেলা চত্বরে বিকালে বাংলা সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ভাষাভিত্তিক আলোচনা অনুষ্ঠান এবং সন্ধায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন রেখেছিল। মেলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল খুবই সুশৃঙ্খল। র‌্যাব সমস্যদের তৎপরতা ছিল প্রষংসনীয়। তবে গেটে লাইন ধওে লোক প্রবেশের ফলে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অনেক সময় লেগেছে মেলার ভিতরে ঢুকতে। অনেকে ধৈর্য হারিয়ে ফিরে গেছে। তারপরেও বলা যায়, সার্বিকভাবে এবারের একুশে বইমেলা বেশ প্রাণবন্ত ও উৎসবমুখর হয়ে উঠেছিল লেখক, পাঠক, দর্শকের সমাগম। প্রতিদিন নতুন বাই এসেছে মেলায়। প্রতিদিনই কোনো না কোনো টিভি চ্যানেল থেকে সংবাদ প্রতিনিধি এসেছে। মেলার অনেক স্টল ঘুরে আমি বেশকিছু নতুন বই কিনেছি। তোমার জন্যও একটা নতুন বই কিনেছি। একরাশ আনন্দ নিয়ে চলে এসেছি বাসায।

আজ আর না। সময় পেলেই আমাকে চিঠি লেখো। ভালো থেকো।

ইতি
তোমার প্রিয়,
মুমতারিন সামিহা

প্রেরক,
দিপা/দীপন
গ্রা:+পো: ডহড়পাড়া
উপজেলা: উজিরপুর
জেলা: বরিশাল।     ডাক টিকিট
                                          ডাক টিকিট
প্রাপক,                                
আবির/কাবির
গ্রাম+পো: ধামসর,
উপজেলা: উজিরপুর           
জেলা: বরিশাল।    

# তোমার জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার প্রস্তুতি জানিয়ে পিতা/ মাতার নিকট পত্র লেখ।

২২. ১০. ২০১৮
উজিরপুর, বরিশাল।

শ্রদ্ধেয় বাবা,
প্রথমে আমার সালাম রইল। গতকাল তোমার চিঠি পেয়ে জানতে পারলাম তুমি ভালো আছ। আমিও তোমার দোয়ায় ভালো আছি।

আমার জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছ। আমার পরীক্ষা প্রায় সমাগত। পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া প্রায় শেষ। তবুও পরীক্ষা যত কাছে আসছে পরীক্ষাভীতি ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ের পাঠ চুড়ান্ত হয়ে গেছে। বিজ্ঞানসহ অন্যান্য বিষয়ের প্রস্তুতিও প্রায় শেষ। গণিতের প্রস্তুতিও সমাধা হয়েছে, তবে পুরো নম্ভর পাওয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণও যথেষ্ট সাহায্য-সহযোগিতা করছেন। এবার আল্লাহর রহমত ও তোমাদের আর্শীবাদই সহায়ক। তবে আমি বিশ্বাস করি পরীক্ষায় আমি ভালো ফলাফল করতে পারব।

বিশেষ আর কী লিখব। মার কাছে আমার সালাম জানাবে। আমার জন্য দোয়া করিও। আমি যাতে সুস্থ ও ভালোমনে পরীক্ষা দিতে পারি।

ইতি
আপনার আদরের
মুনিরা


প্রেরক,
দিপা/দীপন
গ্রা:+পো: ডহড়পাড়া
উপজেলা: উজিরপুর
জেলা: বরিশাল।     ডাক টিকিট
                                        ডাক টিকিট
প্রাপক,                                
আবির/কাবির
গ্রাম+পো: ধামসর,
উপজেলা: উজিরপুর           
জেলা: বরিশাল।    
# জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার পর অবসর সময় কীভাবে কাটাবে তা জানিয়ে বন্ধুর নিকট পত্র লেখ।

২২. ১০. ২০১৮
উজিরপুর, বরিশাল।

প্রিয় মামুন,
প্রথমে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা নিও। গতকাল তোমার যে চিঠিখানা পেয়েছি তার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ।গতকাল তোমার চিঠি পেয়ে জানতে পারলাম তুমি ভালো আছ। আমিও তোমার দোয়ায় ভালো আছি।

জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার পর আমি কীভাবে সময় কাটাব তা তুমি জানতে চেয়েছ। সে বিষয়ে আমি তোমাকে সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিচ্ছি। আগামী মাসে আমাদের পরীক্ষা শেষ হবে। পরীক্ষা শেষে আমি থাকব সম্পূর্ণ মুক্ত। আমার চাচা থাকেন চাঁদপুর। তিনি আমাকে সেখানে গিয়ে কিছুদিন কাটানোর জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তাদের বাড়ির পাশে আছে একটি নদী। আমরা সারাদিন ঐ নদীতে মাছ ধরব, সাঁতার কাটব। সাঁতার কাটা আমার পছন্দের খেলাগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি। এই খেলার জন্য অনেক পুরস্কারও পেয়েছি আমি। তারপর বিকেল বেলায় ঘুরে বেড়াব মেঘনা নদীর তীরে। নদীর প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করে আমি আনন্দ লাভ করব। এরপর আমি আমার গ্রামের বাড়ি চলে যাব এবং পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পূর্ব পর্যন্ত থাকব।

আমি ভালই আছি। তুমি কীভাবে তোমার পরীক্ষার পর সময় কাটাতে চাও তা অনুগ্রহ করে জানাবে। তোমার পিতা-মাতাকে শ্রদ্ধা ও ছোট ভাই-বোনদেরকে স্নেহ জানাবে।

ইতি
তোমার প্রিয়,
মোহায়মিন

প্রেরক,
দিপা/দীপন
গ্রা:+পো: ডহড়পাড়া
উপজেলা: উজিরপুর
জেলা: বরিশাল।     ডাক টিকিট
                                         ডাক টিকিট
প্রাপক,                                
আবির/কাবির
গ্রাম+পো: ধামসর,
উপজেলা: উজিরপুর           
জেলা: বরিশাল।    

# কম্পিউটার শিক্ষার গুরুত্ব বর্ণনা করে তোমার ছোট বোন বনানীকে একটি চিঠি লেখ।
অথবা, তোমার নাম মালিহা। তোমার বোন সামিহা ঢাকায় থাকে। কম্পিউটার শিক্ষার গুরুত্ব বর্ণনা করে তোমার ছোট বোন বনানীকে একটি চিঠি লেখ।

২২. ১০. ২০১৮
উজিরপুর, বরিশাল।

প্রিয় সামিহা,
প্রথমে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা নিও। গতকাল তোমার যে চিঠিখানা পেয়েছি তার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ।গতকাল তোমার চিঠি পেয়ে জানতে পারলাম তুমি ভালো আছ।আমিও তোমার দোয়ায় ভালো আছি।তোমার চিঠিতে জানতে পারলাম যে, পড়াশুনার পাশাপাশি তুমি কম্পিউটার শিখছ।


বাবা আমাকে একটি কম্পিউটার কিনে দিয়েছেন। বর্তমান যুগ হচ্ছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগ। মানবকল্যাণে বিজ্ঞানের যেসব বিস্ময়কর অবদান রয়েছে তার মধ্যে কম্পিউটার অন্যতম। আসলে এটা যে কত বড় অবদান তা কম্পিউটার ব্যবহার করে বুঝতে পারলাম। আর এখন আমার মনে হচ্ছে কম্পিউটর শিক্ষা আমাদের সবার জন্য জরুরি। কম্পিউটার জানা থাকলে তুমি সবকিছু সহজেই সমাধান করতে পারবে। এটি তথ্য গহণ, নির্দেশ পালন ও সংরক্ষণ করে অতি অল্প সময়ের মধ্যে অগণিত সমস্যার সমাধান দিতে পারে। এ ছাড়া ই-মেইলের মাধ্যমে বিশ্বেও যেকোনো সময়ে চিঠি পাঠানো সম্ভব।

তাই বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় কম্পিউটার শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। আমাদের প্রত্যেকেরও উচিৎ অন্যান্য বিষয়ের সাথে কম্পিউটার শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া। আগামী দিনের পৃথিবী হবে সম্পূর্ন রূপে কম্পিউটারের অধীন।
আজ আর না। ভালো থেকো। বাবা ও মাকে আমার সালাম জানিও।
ইতি
তোমার প্রিয়,
মালিহা

প্রেরক,
দিপা/দীপন
গ্রা:+পো: ডহড়পাড়া
উপজেলা: উজিরপুর
জেলা: বরিশাল।     ডাক টিকিট
                                         ডাক টিকিট
প্রাপক,                                
আবির/কাবির
গ্রাম+পো: ধামসর,
উপজেলা: উজিরপুর           
জেলা: বরিশাল।    

# মনে করো, তোমার ছোট ভাই মুগ্ধ ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন ব্যক্তি তথা জাতির জন্য হুমকিস্বরূপ এই মর্মে একখানা চিঠি লেখ।

১২ জুলাই, ২০১৮ খ্রি.
উজিরপুর, বরিশাল।

প্রিয় মুগ্ধ,
আমার আন্তরিক সমবেদনা আর শুভকামনা তোমাকে। অনেক দিন ধরে ভাবছিলাম তোমাকে চিঠি লিখবো। চিঠি লেখার আগেই তোমার চিঠি পেলাম। তুমি ও বাড়ির সবাই ভালো আছ জেনে খুশি হলাম।

চিঠিতে জানতে পারলাম আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে তোমার পরীক্ষা শুরু হবে। তোমার পড়াশুনা নিশ্চয়ই ভালোভাবে চলছে? মনোযোগ দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলো পড়ো এবং বারবার লেখো। নিজের ভুলগুলো নিজেই সংশোধন কর। এতে তোমার হাতের লেখা যেমন সুন্দর হবে, তেমনি লেখায় বানান ভুলও কমে যাবে। ফলে পরীক্ষার খাতায় বেশি নস্বর পাবে।

আজকাল অনেক শিক্ষার্থীই ক্লাসে মনোযোগ দিয়ে শিক্ষকদের কথা শোনে না। বাড়িতেও ঠিকমত পড়ালেখা করে না। প্রতিদিনের পড়া ও বাড়ির কাজ নিয়মিত পড়ে না। নিয়মিত লেখার অনুশীলন করে না। তারা পরীক্ষার হলে গিয়ে নকল করে। কেউ কেউ নকল করে ভালোভাবে পাসও করে যায়। কিš প্রকৃত শিক্ষা তাদের হয় না। ছাত্ররা দেশ ও জাতির আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। আগামীতে তারাই দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেবে। তাই পরিশ্রম ও সাধনার মাধ্যমে তাদের নিজেকে সব দিক দিয়ে উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে হবে। পরীক্ষায় নকল করা একটি সামাজিক ব্যাধি। এই ব্যাধি জাতিকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়। নকলের মতো অন্যায় ও দুর্নীতি বা পাপের ওপর ভিত্তি করে জীবনে কখনোই সাফল্য লাভ করা যায় না।

আশা করি, তুমি শিক্ষকদের উপদেশ মতো পড়াশুনার প্রতি গভীর মনংসংযোগ করবে। মানুষের মতো মানুষ হয়ে আমাদের পরিবার ও দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে। তোমার কৃতিত্ব ও গৌরব কামনা করি। ভালো থেকো। বাবা ও মাকে আমার সালাম জানিও।


প্রেরক,
দিপা/দীপন
গ্রা:+পো: ডহড়পাড়া
উপজেলা: উজিরপুর
জেলা: বরিশাল।     ডাক টিকিট
                                         ডাক টিকিট
প্রাপক,                                
আবির/কাবির
গ্রাম+পো: ধামসর,
উপজেলা: উজিরপুর           
জেলা: বরিশাল।