# একটি বই মেলার বর্ণনা দিয়ে তোমার প্রবাসী বন্ধুর
কাছে একটি পত্র লেখ।
১২ জুলাই, ২০১৮খ্রি.
উজিরপুর, বরিশাল।
প্রিয় মামুন,
প্রথমে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা নিও। গতকাল তোমার যে
চিঠিখানা পেয়েছি তার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ।গতকাল তোমার চিঠি পেয়ে জানতে পারলাম তুমি
ভালো আছ। আমিও তোমার দোয়ায় ভালো আছি।
আনন্দের ভাষায় অনুভূতি ব্যক্ত করতে না পারলেও এবারের
একুশে বইমেলায় আমার যে অনুভূতি তো তোমাকে না জানালে যে আমি স্বস্তি পাচ্ছি না। প্রতিবছর মতো যথারীতি ১ ফেব্রুয়ারি বিকালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর
উদ্বোধনী ভাষণের মাধ্যমে মেলার কার্যক্রম শুরু হয়েছে এক ঝাঁক সাদা কবুতর উড়িয়ে তিনি
বইমেলার উদ্বোধন করলেন।
উদ্বোধন শেষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রধান প্রধান
কিছু স্টল ঘুরে দেখলেন। প্রথম দিনে মেলা তেমন জমে ওঠে নি। দ্বিতীয় দিন থেকে মেলায় প্রচুর
লোক আসতে থাকে। এবারের মেলায় প্রায় সাড়ে তিনশ স্টল ছিল। প্রত্যেকই কিছু কিছু নতুন বহিঃ প্রকাশ করেছে। শিশু ও কিশোরদের বই ও সিডির কয়েকটি স্টল ছিল। সব স্টলেই মোটামুটি বিক্রি
হয়েছে।
প্রতি বছরের মতো এবারও বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ মেলা
চত্বরে বিকালে বাংলা সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ভাষাভিত্তিক আলোচনা অনুষ্ঠান এবং সন্ধায় সাংস্কৃতিক
অনুষ্ঠানের আয়োজন রেখেছিল। মেলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল
খুবই সুশৃঙ্খল। র্যাব সমস্যদের তৎপরতা ছিল প্রষংসনীয়। তবে গেটে লাইন ধওে লোক প্রবেশের
ফলে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অনেক সময় লেগেছে মেলার ভিতরে ঢুকতে। অনেকে ধৈর্য হারিয়ে ফিরে
গেছে। তারপরেও বলা যায়, সার্বিকভাবে এবারের একুশে বইমেলা বেশ প্রাণবন্ত ও উৎসবমুখর
হয়ে উঠেছিল লেখক, পাঠক, দর্শকের সমাগম। প্রতিদিন নতুন বাই এসেছে মেলায়। প্রতিদিনই কোনো
না কোনো টিভি চ্যানেল থেকে সংবাদ প্রতিনিধি এসেছে। মেলার অনেক স্টল ঘুরে আমি বেশকিছু
নতুন বই কিনেছি। তোমার জন্যও একটা নতুন বই কিনেছি। একরাশ আনন্দ নিয়ে চলে এসেছি বাসায।
আজ আর না। সময় পেলেই আমাকে চিঠি লেখো। ভালো থেকো।
ইতি
তোমার প্রিয়,
মুমতারিন সামিহা
প্রেরক,
দিপা/দীপন
গ্রা:+পো: ডহড়পাড়া
উপজেলা: উজিরপুর
জেলা: বরিশাল। ডাক টিকিট
|
ডাক টিকিট
প্রাপক,
আবির/কাবির
গ্রাম+পো: ধামসর,
উপজেলা: উজিরপুর
জেলা: বরিশাল।
|
No comments:
Post a Comment