চলমান কথা

গত ১১ মে, ২০২০ আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের অনলাইন পরীক্ষার শুভ উদ্বোধন করেন প্রকৌশলী এ এম এম সাজ্জাদুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এপিএসসিএল।

স্বপ্নের পদ্মা সেতু; স্বপ্ন হলো সত্যি। স্বপ্নের পদ্মা সেতুর সাথে স্বপ্ন যাবে বাড়ি।

Friday, July 3, 2020


# সূর্যের আলোতে রাতের অন্ধকার কেটে যায়।শিক্ষার আলো আমাদের অজ্ঞানতার অন্ধকার দূর করে। আমাদের দৃষ্টিতে চারপাশের জগৎ আরও সুন্দর হয়ে ওঠে। আমরা জীবনের  নতুন অর্থ খুঁজে পাই; শিক্ষার আলো পেয়ে আমাদের ভেতরের মানুষটি জেগে ওঠে। আমরা বড় হতে চাই, বড় হওয়ার জন্য চেষ্টা করি। আমরা সুন্দর করে বাঁচতে চাই, বাাঁচার মতো বাঁচতে চাই। আর সুন্দর করে বাঁচতে হলে চাই জ্ঞান। সেই জ্ঞান কাজেও লাগানো চাই। শিক্ষার ফলে আমাদেও ভেতর যে শক্তি লুকানো থাকে তা ধীরে ধীওে জেগে ওঠে।  আমরা মানুষ হয়ে উঠি।
সারাংশ: সূর্যের আলো যেমন অন্ধকার দূর করে, তেমনি শিক্ষার আলো মনের অন্ধকার দূর করে দেয়। প্রত্যেকের ভিতরে লুকানো শক্তি আছে; আর শিক্ষা এ শক্তিকে বিকশিত করে। শিক্ষার মাধ্যমে আমরা জ্ঞান ও দক্ষতা লাভ করে নিজের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে যথার্থ মানুষ হয়ে উঠি।

সময় ও স্রোত কাহারও জন্যে অপেক্ষা করে না, চিরকাল চলিতে থাকে। সময়ের নিকট অনুনয় কর, ইহাকে ভয় দেখাও ভ্রুক্ষেপও করিবে না; সময় চলিয়া যাইবে, আর ফিরিবে না। নষ্ট স্বাস্থ্য ও হারানো ধন পুনঃপ্রাপ্ত হওয়া য়ায়, কিন্তু সময় একবার গত হইয়া গেলে আর ফিরিয়া আসে না। গত সময়ের জন্য অনুশোচনা করা নিষ্ফল। যতই কাঁদ না, গত সময় আর কখনো ফিরিয়া আসিবে না।

সারাংশ: নদীর স্রোত নিয়ত প্রবহমান।সময় ও বহমান।দুটিই কারও জন্য অপেক্ষা করে না। তাই যে-সময় চলে গেল অমনোযোগ ও অবহেলায় তার জন্য অনুশোচনা করা নিরর্থক। তাই সময়র কাজ সময়ে করাটাই সর্বোত্তম।


# বাঙালি যেদিনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বলতে পারবে- ‘বাঙালির বাংলা’ সেদিন তারা অসাধ্য সাধন করবে। বাঙালির মতো জ্ঞান-শক্তি ও প্রেম-শক্তি এশিয়ায় কেন, বুঝি পৃথিবীতে কোনো জাতির নেই। কিš‘ কর্ম-শক্তি একেবারে নেই বলেই তাদের এই দিব্যশক্তি তমসা”ছন্ন হয়ে আছে। তাদের কর্ম-বিমুখতা, জড়তা, মৃত্যুভয়, আলস্য, তন্দ্রা, নিদ্রা, ব্যবসা-বাণিজ্যে অনি”ছার কারণ। তারা তামসিকতায় আ”ছন্ন হয়ে চেতনা-শক্তিকে হারিয়ে ফেলেছে। এই তমঃ এই তিমির, এই জড়তাই অবিদ্যা। অবিদ্যা কেবল অন্ধকার পথে ভ্রান্তির পথে নিয়ে যায়; দিব্যশক্তিকে নিস্তেজ, মৃতপ্রায় করে রাখে।

সারাংশ: বাঙালি তাদের সঠিক পরিচয় বিশ্বের সামনে তুলে ধরার জন্য কর্মে আত্মনিয়োগ করতে হবে। অলসতা আর কাজের প্রতি অনীহার জন্য তারা জগতের সবকিছু থেকে পিছিয়ে আছে। এই আলস্য ও কর্ম বিমুখতাকে উপেক্ষা করে বাঙালিকে জেগে উঠতে হবে। তবেই বাংলা প্রকৃত অর্থে বাঙালির হবে।

একজন মানুষ ভালো কি মন্দ, আমরা তা বুঝতে পারি তার ব্যবহার দিয়ে। সে ভদ্র কি অভদ্র তাও বুঝতে পারি তার ব্যবহার দিয়ে। ব্যবহার ভালো হলে লোকে তাকে ভালো বলে। তাকে পছন্দ করে। ব্যবহার খারাপ হলে লোকে তাকে খারাপ বলে। তাকে অপছন্দ করে। তার সঙ্গে মিশতে চায় না। তার সঙ্গে কাজ করতে চায় না। তাকে কাছে ডাকতে চায় না।   তোমার ব্যবহারই তোমার মনুষ্যত্বের পরিচয়।

সারাংশ: সুন্দও ব্যবহারের মধ্যেই মনুষ্যেত্বের পরিচয় নিহিত। মানুষের কথা-বার্তা, চিন্তা, মনোভাব ও আদব-কায়দারর মধ্য দিয়েই সুন্দর ব্যবহারের প্রকাশ ঘটে। ভালো ব্যবহার দিয়ে সহজে অপরের ভালোবাসা পাওয়া যায়। তাই সবাইকে ভালো ব্যবহারের অধিকারী হতে হবে।


সারাংশ

# কোথা থেকে এসেছে আমাদের বাংলা ভাষা? ভাষা কি জন্ম নেয় মানুষের মত? বা যেমন বীজ থেকে গাছ জন্মে তেমনভাবে জন্ম নেয় ভাষা? ইা, ভাষা মানুষ বা তরুর মতো জন্ম নেয় না। বাংলা ভাষাও মানুষ বা তরুর মতো জন্ম নেয়নি, কোনো কল্পিত স্বর্গ থেকেও আসেনি। এখন আমরা যে বাংলা ভাষা বলি এক হাজার বছর আগে তা ঠিক এমন ছিল না। সে-ভাষায় এ-দেশের মানুষ কথা বলত, গান গাইত, কবিতা বানাত। মানুষের মুখে মুখে বদলে যায় ভাষার ধ্বনি। রূপ বদলে যায় শব্দের, বদল ঘটে অর্থের। অনেক দিন কেটে গেলে মনে হয় ভাষাটি একটি নতুন ভাষা হয়ে উঠেছে। আর সে ভাষা বদল ঘটেই জন্ম হয়েছে বাংলা ভাষার।

সারাংশ: ভাষার ধর্মই হচ্ছে বদলে যাওয়া। সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে মানুষের মুখে মুখে ব্যবহারের মাধ্যমে বদলে যায় ভাষা; বদলে যায় ধ্বনির ও অর্থের। হাজার বছরের পরিবর্তনের ধারাবাহিকতায় এমনি ভাবেই আমাদের বাংলা বাষার জন্ম হয়েছে।

# আনন্দ প্রকাশ জীবনীশক্তির প্রবলতারই প্রকাশ। আনন্দকে আমরা বুঝি রূপ-রস-শব্দ-গন্ধ ইত্যাদির সাহায্যে, ইন্দ্রিয়ের সাহায্যে। মানুষ যখন আনন্দ পায় তখন সে তার মনকে প্রকাশ করতে চায়-নানা রূপে। তাই সৃষ্টি হলো চিত্রশিল্পী, নৃত্যশিল্পী, সংগীতশিল্পী, কবি, সাহিত্যিক। পুরাকালের গুহা মানুষ থেকে শুরু করে বর্তমান যুগ পর্যন্ত মানুষ নিজের পাওয়া আনন্দকে সুন্দরকে অন্য মানুষের মধ্যে বিস্তার করতে চেয়েছে। তাই সৃষ্টি হয়েছে নানান আঙ্গিকের শিল্পকলা।

সারাংশ: মানুষের জীবনীশক্তির প্রকাশ ঘটে আনন্দে। মানুষ সমস্ত ইদ্রিয়কে দিয়ে আনন্দ উপলব্ধি করে। আর সে আনন্দ সাবর কাছে জানাতে চায়। তাই ছবি, গান, কবিতা, নাচ, ভাস্কর্য ইত্যাদি শিল্পকলার মাধ্যমে মানুষ তার আনন্দকে প্রকাশ করে। এই আনন্দ ও সুন্দর বোধ মানুষের মনকে তৃপ্ত করে।  

Thursday, July 2, 2020

থানকুনি পাত

থানকুনি পাতা আমাদের দেশের খুব পরিচিত একটি ভেষজ গুণসম্পন্ন উদ্ভিদ। এর ল্যাটিন নাম centella aciatica। গ্রামাঞ্চলে থানকুনি পাতার ব্যবহার আদি আমল থেকেই চলে আসছে। ছোট্ট প্রায় গোলাকৃতি পাতার মধ্যে রয়েছে ওষুধি সব গুণ। থানকুনি পাতার রস রোগ নিরাময়ে অতুলনীয়।প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে বহু রোগের উপশম হয় এর ভেষজ গুণ থেকে। অঞ্চলভেদে থানকুনি পাতাকে আদামনি, তিতুরা, টেয়া, মানকি, থানকুনি, আদাগুনগুনি, ঢোলামাসনি, থুলকুড়ি, মানামানি, ধূলাবেগুন, টুনিমুনি নামে ডাকা হয়। তবে বর্তমানে থানকুনি বললে সবাই চেনে।

থানকুনি পাত

০১. নিয়মিত থানকুনি পাতা খেলে চুল পড়ার হার কমে যায়।
০২. ক্ষতিকর টক্সিক উপাদান শরীর থেরকে বের হয়ে যায়।
০৩. ক্ষতস্থান সারতে থানকুনি পাতার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে
০৪. থানকুনি পাতা হজম ক্ষমতারও উন্নতি করে।
০৫. থানকুনি পাতার রস খেলে ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায়।
০৬. খালিপেটে প্রতিদিন খেলে আমাশয় ভালো হয়ে যায়।
০৭. পেটের রোগের চিকিৎসায় কাজে আসে।
০৮. কাশির প্রকোপ কমে।
০৯. গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হয়।
১০. চামচ থানকুনির রস সামান্য চিনিসহ খেলে সঙ্গে সঙ্গে খুসখুসে কাশিতে উপকার পাওয়া যায়।
১১. কোথাও থেঁতলে গেলে থানকুনি গাছ বেটে অল্প গরম করে আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে প্রলেপ দিলে উপকার পাবেন।

তথ্য: উইকিপিডিয়া
পুদিনা পাতার বিস্ময়কর দশ গুণাগু

পুদিনা পাতা আমাদের দেশে খুব সহজলভ্য একটি ঔষধি পাতার বহুল ব্যবহার প্রাচীনকাল থেকেই। ভেষজ উদ্ভিদ পুদিনা পাতার গুণাবলি নিয়ে আজ  আলোচনা করব।

পুদিনা পাতার বিস্ময়কর দশ গুণাগুণ

০১
রোদে পোড়া ত্বকের সুরক্ষায় পুদিনা পাতার রস কার্যকর।
০২
বিজ্ঞানীদের দাবি, পুদিনা পাতা ক্যান্সার প্রতিরোধের ক্ষমতা রাখে। পুদিনা পাতার রসের একটি উপাদান দেহে ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধিতে বাধা প্রদান করে।
০৩
ব্রণ ও ত্বকের তেলতেলে ভাব কমা\তে তাজা পুদিনা পাতা বেটে রাতে ত্বকে লাগালে ব্রণ ও ত্বকের তেলতেলে ভাব উধাও হয়ে যাবে।
০৪
সপ্তাহে দুই বার পুদিনার শেকড়ের রস চুলে লাগালে চুল উকুনমুক্ত হবে।  
০৫
পুদিনা পাতার রস খান বা গরম পানিতে ফুটিয়ে ভাপ নিলে শ্বাস-কষ্ট থেকে মুক্তি পাবেন।
০৬
গোলাপ, পুদিনা, আমলা, বাঁধাকপি ও শশার রস একত্রে মিশিয়ে ত্বকে লাগালে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে।
০৭
পুদিনা পাতার রস হজমে সাহায্য করে।পুদিনা পাতার চা করে খেতে পারেন।
০৮
পুদিনা পাতার রস গরম কালে শরীর ঠাণ্ডা রাখে।
০৯
পুদিনা পাতার রস ত্বকের যেকোনো সংক্রমণ ঠেকাতে কাজ করে।
১০
তাৎক্ষণিক ব্যথা কমাতে পুদিনা পাতার প্রলেপ দিতে পারেন।


তথ্য সূত্র: উইকিপিডিয়া।

Wednesday, July 1, 2020

আম আঁটির ভেঁপু

১. নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দা।
শ্রাবণের শেষের একদিন। হাওয়া-শূন্য স্তব্ধতায় বিস্তৃত ধানক্ষেত নিথর। কোথাও একটু কম্পন নেই। আকাশে মেঘ নেই। এমন দিনে লোকেরা ধানক্ষেতে নৌকা নিয়ে বেরোয়। ধানক্ষেতে নিঃশব্দতা, কোথাও একটা কাক আর্তনাদ করে উঠলে মনে হয় আকাশটা বুঝি চটের মতো চিরে গেল।

ক. হরিহর কার বাড়িতে গোমস্তার কাজ করে? 
খ. দুর্গার পা টিপে টিপে বাড়িতে প্রবেশের কারণ কী?  
গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘আম আঁটির ভেঁপু’ গল্পের বৈসার্দশ্য নির্ণয় কর
ঘ. বিষয় বসতুগত বিশ্লেষণে প্রকৃতিই উদ্দীপক ও ‘আম আঁটির ভেঁপু’ গল্পের মূল প্রেরণা-মন্তব্যটি মূল্যায়ন কর।  

২. নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দা।   
মাজেদ গ্রামের একজন গরিব কৃষক। নিজের অল্প কিছু চাষের জমি আছে। সেই জমি আর বাড়ির আঙ্গিনায় ফসল, শাক, সবজি ও ফলমূল চাষ করে। জমিতে যে পরিমাণ ধান হয় তাতে কোনোরকমে দিন চলে যায়। ভাগ্যের উন্নতির জন্য মাঝে মধ্যে অন্যের বাড়িতে কামলা খেটে বাড়তি আয় করে।  

ক. দুর্গা আঁচলের খুঁট খুলে কী বের করল?
 খ. আমার কথা বলতেই অপুকে দুর্গা থামিয়ে দিল কেন?   
গ. উদ্দীপকে ‘আম আঁটি ভেঁপু’ গল্পের কোন দিকটি তুলে ধরা হয়েছে ব্যাখ্যা কর।   
ঘ. উদ্দীপকটিতে ‘আম আঁটি ভেঁপু’ গল্পের মূলভাবকে কতটুকু ধারণ করে? যুক্তিসহ বুঝিয়ে লেখ।  

৩. নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দা।   
ছোট ছেলেটার কয়দিন থেকে ভীষণ জ্বর। বিধাব ফুলবাসু হাঁসের কয়েকটা ডিম বেচে ছেলের চিকিৎসা করালেও এখন আর সে সামর্থ্যও নেই। প্রতিবেশি জরিনার কাছে ধার নিবে কেমন করে-আগের ধারটাই যে শোধ হয়নি।

ক. আজকাল লক্ষ্মী কোথায় বাঁধা পড়েছে?
 খ. ‘তখুনি কি রাজি হতে আছে’-ব্যাখ্যা কর।   
গ. উদ্দীপকে ‘আম আঁটি ভেঁপু’ গল্পের কোন দিকটি তুলে ধরা হয়েছে ব্যাখ্যা কর।   
ঘ. উদ্দীপকের ফুলবানু কি ‘আম-আঁটি ভেঁপু’ গল্পের সর্বজয়ার প্রতিচ্ছবি? তোমার মতামত উপস্থাপন কর।  

পাছে লোকে কিছু বলে

১. নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
    সংকোচের বিহ্বলতা নিজেরই অপমান 
    সঙ্কটের কল্পনাতে হয়ো না মিয়মান 
    মুক্ত করো ভয় 
    আপনা মাঝে শক্তি নিজেরে করো জয়। 

ক. শক্তি কিসের কবলে মরে?
খ. ‘একটি স্নেহের কথা প্রশমিতে পারে ব্যথা’- ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের মূলভাবে কি ‘পাছে লোকে কিছু বলে’ কবিতার বিপরীতার্থক? তোমার উত্তরের স্বপক্ষে যুক্তি দাও। 
ঘ. “উদ্দীপকের মূলসুর সকল সমালোচনাকে উপেক্ষা করে সামনে এগিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা জোগায়।” উক্তিটি ‘পাছে লোকে কিছু বলে’  কবিতার আলোকে বিশ্লেষণ কর। 
      
২. নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী মুমিন। ক্লাস চলাকালে সে চুপচাপ শুনে থাকে। তার মনে অনেক প্রশ্ন জাগে, কিন্তু সে কোনো প্রশ্ন করে না, লজ্জা পায়। সব সময় ভয়ে তটস্থ থাকে এবং যেকোনো কাজে নিজেকে গুটিয়ে রাখে। অপরদিকে, সোহেল শিক্ষকের পাঠদানের ফাঁকে প্রয়োজনীয় প্রশ্ন করে বিষয়টি ভালোভাবে বুঝতে চেষ্টা করে। 

ক. হৃদয়ে বুদবুদের মতো কি ওঠে?
খ. ‘আড়ালে আড়ালে থাকি, নীরবে আপনা ঢাকি’ কেন?
গ. উদ্দীপকের মুমিনের মধ্যে ‘পাছে লোকে কিছু বলে’ কবিতার যে দিকটি ফুটে উঠেছে, তা ব্যাখ্যা কর।  
ঘ. “উদ্দীপকের সোহেলই ‘পাছে লোকে কিছু বলে’  কবিতার কবির প্রত্যাশিত ব্যক্তি।’’-মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।

পড়ে পাওয়া

১. নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
সাজ অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সে সকালে স্কুলে ঢুকতে গিয়ে গেটের কাছে কতগুলো টাকা পেল। টাকাগুলো নিয়ে সে কী করবে তা ভেবে পেল না। সহপাঠীদের আলোচনা করল তবুও কোনো সিদ্ধান্ত ঠিক করতে পারল না। সহপাঠী শানুর পরামর্শে শ্রেণি শিক্ষকের সহযোগিতায় টাকার প্রকৃত মালিককে ফিরিয়ে দিতে পেরে সবাই খুব খুশি। 

ক. পত্রপাঠ বিদায় কী?                                                           
খ. ‘অর্ধ করা হবে না’ - কেন?                                                                                              
গ. উদ্দীপকে টাকা পাওয়ার ঘটনায় ‘পড়ে পাওয়া’ গল্পের যে দিকটি ফুটে উঠেছে, তা ব্যাখ্যা কর।  
ঘ. “উদ্দীপকে ‘পড়ে পাওয়া’ গল্পের সম্পূর্ণ দিক প্রকাশ পায় নি।”-মন্তব্যটির যথার্থতা বিশ্লেষণ কর।                                                                                                        
২.  নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
গ্রামের চৌকিদার হাশেম দায়িত্ব পালন শেষে বাড়ি ফেরার পথে একটি হাত ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখে। অনেক ভেবে ব্যাগটি নিয়ে বাড়ি যায়। স্ত্রীর সাথে পরামর্শ করে কীভাবে ব্যাগটি ফেরত দেওয়া যায়। স্ত্রীর পরামর্শে স্থানীয় প্রশাসনের সাহায্যে সত্যিকার মালিককে খুঁজে পেয়ে হাশেম ও তার স্ত্রী চিন্তামুক্ত হয়।

ক. বালকদের মধ্যে সবচেয়ে বিজ্ঞ কে?
খ. ‘আপনারা মানুষ না দেবতা’-উক্তিটি কাপালি কেন করেছিল? ব্যাখ্যা কর।                                  
গ. উদ্দীপকের ঘটনার সাথে ‘পড়ে পাওয়া’ গল্পের  সাদৃশ্যপূর্ণ ঘটনাটি বর্ণনা কর।  
ঘ. “উদ্দীপকের হাশেম ও তার স্ত্রীর মনোভাব এবং ‘পড়ে পাওয়া’ গল্পের বালকদের চেতনা এক ও অভিন্ন।’’-মন্তব্যটি যাচাই কর।                                                      

৩.  নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
হরিণ শিকারে এসে আশ্রমে থাকা পিতৃ-মাতৃহীন অসহায় শকুন্তলাকে বিয়ে করে রাজা দুষ্মন্ত। বিয়ের সময় সে শকুন্তলাকে একটি হীরার আংটি উপহার দেয়। কয়েকদিন পর রাজ্য পরিচালনার জন্য রাজা দুষ্মন্ত তার রাজ্যে চলে যায়। কিন্তু আর ফিরে আসে না। এদিকে শকুন্তলা উপায়ান্তর না দেখে শিশুপুত্রকে নিয়ে রাজার উদ্দেশে রওনা দেয়। কিন্তু আংটিটি নদীতে পড়ে যায় ঋষির অভিশাপে। জেলে মাছের পেটে আংটিটি কুড়িয়ে পেয়ে রাজার কাছে জমা দেয়।

ক. বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
খ. ‘ঠাকুরমশাই, আপনারা মানুষ না দেবতা?’ কাপালি এ কথা কেন বলেছে?
গ. শকুন্তলার সাথে ‘পড়ে পাওয়া’ গল্পের কোন চরিত্রের সাদৃশ্য রয়েছে-ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের জেলেকে বিধু চরিত্রের প্রতিরূপ বলা যায় কি? তোমার মতের সপক্ষে যুক্তি দাও।

আমার দেশের কৃষক 
-মো: সবুজ হাওলাদার
১ মার্চ, রবিবার, ২০২০

আমার দেশে আছে যত কৃষক রাজে
অসাধ্য তারা করে সাধন দধীচি সাজে
তারা-ই মোদের অন্ন তুলে দেয় মুখে
তুচ্ছ তবু থাকে যেন তারা সদা সুখে।
করে না মোদের কেহ অন্নের সমাধান
আছে যত জ্ঞানী-গুণী আর পূণ্যবান।
রোদে পুরে, জলে ভিজে করে সারাদিন কাজ
তবু ঘোচে না তাদের কখনো কপালের ভাজ।

দুঃখ তাদের নিত্য সঙ্গী; সে চিরচেনা আপন
রোগ শোক আর ক্ষুধা-দারিদ্র্যের সাথে দিন যাপন।
ঘরেতে অভাব ঘোর অন্ধকার মহাকাল নিজের জীবন
অন্যের মুখে অন্ন তুলে দিতে করে না কাল ক্ষেপণ।
সবাইকে বাঁচাতে সকলের তরে বিপন্ন করে নিজ প্রাণ
আশা মনে খাসা কখনো যদি আসে শুভক্ষণ।

অন্ধকারের পর আলো আসে জানি
সকল পাপ তাপ ধুয়ে মুছে নিতে
সকলকে সুখের সাগরে ভাসিয়ে দিতে
তুমিই লড়াকু সেনা;
জানে না কোনো হার মানা।
কৃষক দেশের আশার আলো
বাসতে হবে তাদের ভালো
দীর্ঘ রাতের অবসান হবে;
আলোয় আলোয় ভরে রবে
সকলের এ আশা কৃষককে ভালোবাসা 
মাটি কর্ষণ করে গহীন অন্ধকারে
জাগাতে হবে প্রাণের জাগরণ
ধরার বুকে শস্যের স্ফূরণ।

ঘরেতে অন্ন বস্ত্র নেই খাবার
ঘাটে মাঠে বাটে আছে যাবার
যেতে হবে ফসলের মাঠে
চাষ করতে জমি দিনে রাতে
সারাদিনের হাড়-ভাঙা খাটুনি
এক বেলা পেট ভরা খাবার জোটেনি।
চিন্তার খাঁজ মোছে না ভাঁজ
নেই কোনো জীবনে সুখের খবর 
আসে না কখনো চাঁদের বাসর
নেই আয়োজন জীবন সাজাবার
তবুও অপেক্ষা আনন্দ আসরের।

 তারাই কৃষক, তারাই মানুষ বাসতে হবে ভালো
নিত্য আমাদের জীবনে ছড়ায় যারা আলো।

জাতির পিতা
-মো: সবুজ হাওলাদার
২৫ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার, ২০২০

মুজিব তুমি মোদের জাতির পিতা
তাইতো তুমি সবার নেতা।
উনিশ শত বিশে মুজিব জন্ম নিলে বঙ্গদেশে
তোমার জন্ম না হলে হতো না স্বাধীন দেশ।
তুমি খোকা থেকে হলে নেতা
এনে দিলে বাঙালি জাতির স্বাধীনতা।

মুজিব তুমি মোদের জাতির পিতা
তাইতো তুমি সবার নেতা।
তোমার নামে দিকে দিকে
ছড়ায় আলো রাতে-দিনে চারদিকে।
সেই আলোতে ভাসাতে মানুষের প্রাণ 
করলে বরণ জেল-জীবন জেনে মরণ।

শিশুকালে ফুটালে যে ফুল 
তার রঙে রাঙাবে বলে
মানুষেরে আপন করে নিলে খেলার ছলে।
মানবতার বীজ করে বপন 
সবারে করলে তুমি আপন।
ভাষা আন্দোলন, কিংবা অধিকার আদায়
রাখিতে পারে নি দাবায়ে তোমায়
তোমায় নিল জেলে বাংলা নিবে কেড়ে
অবশেষে কী দেখা গেল?
একুশ হলো চেতনা; জন্ম নিল জাতীয়তা
এক হলো জনতা; আনতে হবে স্বাধীনতা।

নির্বাচন কিংবা স্বৈরশাসন
পথ হারা জনতাকে দিলে তুমি নির্দেশন।
তোমার আলোয় আলোকিত হয়ে
দেশ থেকে কেটে গেল সকল দুঃশাসন।
বাষট্টির গণশিক্ষা আন্দোলন 
বাঙালিকে করেছিল জাগরণ।
ছিষট্টির ছয় দফা রচনা করেছিল বাঙালির আশা।
জেগে উঠেছিল বীর বাঙালি
অস্ত্র হাতে নিল তুলি।
মুখরিত মিছিলে নগর, গ্রাম
চলছে সর্বদা দুর্বার সংগ্রাম।

ঊনসত্তরের গণ অভ্যুত্থান
সাধারণ জনতার মহা জাগরণ।
শাসকবর্গের ভীত কেঁপে ওঠে
হিমালয় হতে সমুদ্র তটে।
সাত মার্চের ভাষণ; বিশ্বকে তুমি করলে শাসন।
এ ভাষণ শুধু ভাষণ নয় কবির মর্ম ছেড়া ক্রন্দন
কেঁদে ওঠে বাঙালির মন
ঘোষণা করলে শাসকবর্গের মৃত্যু শমন।
কবি, তোমার ভাষণে
সমুদ্রের উত্তাল জোয়ার যেমন
তেমন উদ্বেলিত হয়েছে জনতার মন।

কামার, কুমার জেলে যত
নারী-পুরুষ, ছেলে বুড়ো
অস্ত্র হাতে তোমার কথায়
মোরা যুদ্ধ করি শত্রু যেথায়।

পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে
সেখান থেকে স্বাধীনতাকে আনতে।
যুদ্ধ করেছি মরণ পণ
রাখতে হবে তোমার মান
মৃত্রুকে তুচ্ছ করে হয়েছি আগুয়ান।
আকাশ বাতাস পাতাল ফেরে 
এসেছে বিজয় মহা রণে
চিরকাল তোমায় রাখি যেন মনে। 
মুজিব তুমি মোদের জাতির পিতা
তাইতো তুমি সবার নেতা।