চলমান কথা

গত ১১ মে, ২০২০ আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের অনলাইন পরীক্ষার শুভ উদ্বোধন করেন প্রকৌশলী এ এম এম সাজ্জাদুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এপিএসসিএল।

স্বপ্নের পদ্মা সেতু; স্বপ্ন হলো সত্যি। স্বপ্নের পদ্মা সেতুর সাথে স্বপ্ন যাবে বাড়ি।

Tuesday, May 4, 2021

অনুচ্ছেদ

 মাদকাসক্তি

বিশ্বমাঝারে নানান আসক্তির মধ্যে মাদকাসক্তি অন্যতম। যেসব খাদ্য, পানীয় বস্তু সুস্থ মস্তিষ্কে বিকৃতি ঘটায়, জ্ঞান-বুদ্ধি লোপ করে এবং নেশা সৃষ্টি করে সেগুলোকে আমরা মাদকদ্রব্য বলে থাকি। মাদক জাতীয় উপাদান ও ওষুধের ব্যবহারের প্রবণতাই মাদকাসক্তি।


মাদকাসক্তি বর্তমান বিশ্বের মারাত্মক সমস্যা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, মাদকাসক্তি হচ্ছে চিকিৎসা বিজ্ঞানে গ্রহণযোগ্য নয় এমন দ্রব্য অতিরিক্ত পরিমাণ গ্রহণ করা ও তার উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়া। বিভিন্ন কারণে মানুষ মাদকাসক্ত হয়। এর মধ্যে সঙ্গদোষ, কৌতূহল, পারিবারিক কলহ, ধর্মীয় মূল্যবোধের বিচ্যুতি ও মাদকদ্রব্যের সহজলভ্যতা উল্লেখযোগ্য। বিশেষ করে যুবসমাজই মাদকাসক্তিতে সবচেয়ে বেশি আচ্ছন্ন। বিশ্বে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য চালু আছে। মদ, ভাং, গাঁজা, আফিম ইত্যাদি নেশা বহু প্রাচীনকালের। বর্তমানে মাদকদ্রব্য হিসাবে হেরোইন, মারিজুয়ানা, এলএসডি, প্যাথেড্রিন, কোকেন, হাসিস, মরফিন ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। মাদকাসক্তির কারণে মানসিক ও শারীরিক শক্তি লোপ পেলে ব্যক্তির সামাজিক আচরণে কিছু বিকার দেখা যায়। মানুষের কর্মশক্তি লোপ পায়, আয়ু কমে যায়। মাদকাসক্তির প্রভাবে যুবক শ্রেণির নৈতিক অধঃপতন ঘটছে। নেশাগ্রস্তদের মধ্যে অপরাধপ্রবণতা বাড়ছে। তারা স্বাভাবিক সুখ স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবনকে বিসর্জন দিচ্ছে। গবেষণায় দেখা গেছে মাদকদ্রব্য গ্রহণ ও অসামাজিক কাজে লিপ্ত হওয়ার মধ্যে একটি সম্পর্ক রয়েছে। মাদকাসক্তির ব্যক্তিগত দিক ছাড়াও এর আরও একটি ব্যবসায়িক দিক রয়েছে, যা বিশাল অপরাধ জগতের সাথে সম্পর্কিত। মধ্যপ্রাচ্য, রাশিয়া, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা প্রভৃতি দেশ মাদকদ্রব্যের চোরাচালানের ট্রানজিট পয়েন্ট হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। আমাদের দেশের ১৭ ভাগ মানুষ মাদকদ্রব্য ব্যবহার করে। এর বিরুদ্ধে সচেতনতার পাশাপাশি এখনই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উদ্যোগে আগামী প্রজন্মকে উপহার দিতে হবে একটি মাদকমুক্ত সমাজ।

No comments: