চলমান কথা

গত ১১ মে, ২০২০ আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের অনলাইন পরীক্ষার শুভ উদ্বোধন করেন প্রকৌশলী এ এম এম সাজ্জাদুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এপিএসসিএল।

স্বপ্নের পদ্মা সেতু; স্বপ্ন হলো সত্যি। স্বপ্নের পদ্মা সেতুর সাথে স্বপ্ন যাবে বাড়ি।

Tuesday, May 4, 2021

ভাব-সম্প্রসারণ

  বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর।

 মূলভাব: মহান স্রষ্টা নারী ও পুরুষের মধ্য দিয়ে তার সষ্টিকর্মের পূর্ণতা দান করেছেন। রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজ, শিল্প, সাহিত্য ও বিজ্ঞান থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্ষেত্রেই সভ্যতার যে বিকাশ ঘটেছে, এর স্থপতি কেবল পুরুষই নয়, নারীও বটে।

সম্প্রসারিত ভাব: মানবসমাজ অধিকাংশই পুরুষশাসিত। বলতে গেলে সভ্যতার সূচনালগ্ন থেকেই পুরুষজাতি সমাজ শাসন করে আসছে। আর পুরুষশাসিত এ সমাজে নারীকে অন্তঃপুরে আবদ্ধ রাখা হয়। নারীর প্রতিভার কোনো মূল্যায়নই হয় না। নারীকে কেবল সৌন্দর্যের প্রতীক  হিসেবেই বিবেচনা করা হয়। কখনো কখনো তার মূল্যায়ন ভোগের সামগ্রীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ। ফলে নারীরা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। কেবল তৃতীয় বিশ্বেই নয়, উন্নত বিশ্বেও নারীরা নিরাপত্তাহীন এবং পুরুষশাসিত সমাজের জাঁতাকলে নিষ্পেষিত। কিন্তু বিচার-বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, নারীরা কর্ম ও মেধাশক্তিতে পুরুষের চেয়ে কোন অংশে  কম নয়। আর এর নজির ইতোমধ্যেই নারীরা রেখেছে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নারারী রাজনীতি, অর্থনীতিসহ সকল ক্ষেত্রে প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছে। তাই আজ নারীদের মধ্যে আমরা রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, সচিব, অর্থনীতিবিদ, পুলিশ কর্মকর্তা, সেনা কর্মকর্তা, পাইলট, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার প্রমুখকে দেখছি। স্ব-স্ব ক্ষেত্রে নারীরা যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছে। 

আজকের এই জ্ঞানবিজ্ঞানসমদ্ধ বিশ্ব নারী-পুরুষের মিলিত শ্রমের ফসল। আর এ বিষয়টি স্বীকার করে নেওয়ার মধ্যে পুরুষের কোনো ক্ষতি নেই, বরং লাভ আছে। আর এ বিষয়টি অস্বীকার করার মধ্যে পুরুষ-নারী তথা বিশ্ববাসী সকলেরই অকল্যাণ রয়েছে। আসলে নারীকে গৃহলক্ষ্মী আখ্যায়িত করে গৃহবন্দি করে রাখার যুগ শেষ হয়ে গেছে। আজকের আধুনিক বিশ্বে প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীরা পুরুষের পাশাপাশি সমান দক্ষতায় কাজ করে যাচ্ছে। যে পুরুষ নারীগর্ভে জন্ম নিয়েও নারীর অধিকারকে স্বীকার করে না, নারীর প্রতিভার স্বীকৃতি দেয় না, সে নিশ্চয়ই জ্ঞানহীন মূর্খ। প্রকৃতপক্ষে নারী-পুরুষের যৌথ উদ্যোগেই পৃথিবীর সমস্ত কল্যাণধারা প্রবহমান। তাই নারীকে কোনো রকম অবমূল্যায়ন না করে নারী-পুরুষ মিলে বিশ্বকে এগিয়ে নেওয়াই সময়ের দাবি। আর এ দাবি মেনে নিয়ে অগ্রসর হতে পারলেই বিশ্বকে সুন্দর করে গড়ে তােলা সম্ভব। আর এ ব্যাপারে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট সকলকে সচেতন হতে হবে।

মন্তব্য: সমাজ বিনির্মাণে নারী-পুরুষ উভয়েরই ভূমিকা রয়েছে। নারীকে বাদ দিয়ে সমাজ উন্নয়নের কথা চিন্তাও করা যায় না। তাই নারীকে অবজ্ঞা করার সুযোগ নেই। নারী-পুরুষ সম্মিলিতভাবেই সমাজকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে।

No comments: