আমি
কবি,–সেই কবি
- জীবনানন্দ দাশ---ঝরা পালক
আমি
কবি,– সেই কবি–
আকাশে
কাতর আঁখি তুলি হেরি ঝরা পালকের ছবি!
আন্মনা
আমি চেয়ে থাকি দূর হিঙুল-মেঘের পানে!
মৌন
নীলের ইশারায় কোন্ কামনা জাগিছে প্রাণে!
বুকের
বাদল উথলি উঠিছে কোন্ কাজরীর গানে!
দাদুরী-কাঁদানো
শাঙন-দরিয়া হৃদয়ে উঠিছে দ্রবি!
স্বপন-সুরার
ঘোরে
আখের
ভুলিয়া আপনারে আমি রেখেছি দিওয়ানা ক’রে!
জন্ম
ভরিয়া সে কোন্ হেঁয়ালি হল না আমার সাধা,–
পায়
পায় নাচে জিঞ্জির হায়,-পথে পথে ধায় ধাঁধা!
-নিমেষে
পাসরি এই বসুধার নিয়তি-মানার বাধা
সারাটি
জীবন খেয়ালের খোশে পেয়ালা রেখেছি ভ’রে!
ভুঁয়ের
চাঁপাটি চুমি
শিশুর
মতন,- শিরীষের বুকে নীরবে পড়ি গো নুমি!
ঝাউয়ের
কাননে মিঠা মাঠে মাঠে মটরক্ষেতের শেষে
তোতার
মতন চকিতে কখন আমি আসিয়াছি ভেসে!
-ভাটিয়াল
সুর সাঁঝের আঁধারে দরিয়ার পারে মেশে,–
বালুর
ফরাশে ঢালু নদীটির জলে ধোঁয়া ওঠে ধূমি!
বিজন
তারার সাঁঝে
আমার
প্রিয়ের গজল-গানের রেওয়াজ বুঝি বা বাজে!
প’ড়ে আছে হেথা ছিন্ন নীবার, পাখির
নষ্ট নীড়!
হেথায়
বেদনা মা-হারা শিশুর, শুধু বিধবার ভিড়!
কোন্
যেন এক সুদূর আকাশ গোধূলিলোকের তীর
কাজের
বেলায় ডাকিছে আমারে, ডাকে অকাজের মাঝে!
No comments:
Post a Comment