পরের অনিষ্ট চিন্তা করে যেই জন/ নিজের অনিষ্ট বীজ করে সে বপন।
মূলভাব: পরের কুশল কামনাই মঙ্গলজনক। অন্যের অনিষ্ট চিন্তা শুধু পরের ক্ষতিই বয়ে আনে না; পরিণামে নিজেকেও বিপদে পড়তে হয়।
সম্প্রসারিত ভাব: পারস্পরিক শুভ কামনাই সামাজিক প্রশান্তির পূর্বশর্ত। আত্ম-স্বার্থ ও আত্মকেন্দ্রিকতাকে পরিহার করে মানুষ যদি প্রত্যেকের প্রতি সহানুভূতিশীল ও শুভার্থী হয় তাহলে পারস্পরিক হৃদ্যতার জন্ম হয়। সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির মেলবন্ধনে মানুষের জীবন সুন্দর ও কল্যানকামী চেতনায় সুশোভিত করার জন্য সকলেই পরশ্রীকাতর মনোবৃত্তি পরিহার করে চলতে হয়। পরোপকারী মানুষ শুধু অন্যের কল্যাণ সাধন করে না, পরোক্ষভাবে নিজের জীবনকেও নিরাপদ করে থাকে।পরোপকারী ও পরদুঃখকাতর মানুষের কোনো শত্রু খুঁজে পাওয়া যায় না। অন্যের উপকার করার সাথে সাথে নিজের শুভার্থীর সংখ্যা বাড়িয়ে তোলেন, যারা বিপদের মুহূর্তে তার পাশে দাঁড়ায়। অপরদিকে যারা হিংসুক ও পরশীকাতর তারা প্রতি মুহূর্তে অন্যের অনিষ্ট সাধনের কথা ভাবে। তার দ্বারা মানবতা উপকৃত হয় না। তারা অপরের কী করে সর্বনাশ করা যায় সেই চিন্তায় সব সময় মশগুল থাকে। তাদের অনিষ্ট আচরণে শুধু সেই নয়, সাথে ব্যক্তি ও সমাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যিনি বা যারা নিজের উপকার হবে বলে অন্যের ক্ষতি করার চেষ্টা চালায় মূলত সে নিজেই তার নিজের ক্ষতি করে। যাদের অনিষ্ট করে তারা সকলেই তার শত্রুতে পরিণত হয় এবং শত্রুরা সুযোগ পেলেই তার ক্ষতি সাধনে কর্পণ্য করে না। পরের অনিষ্ট করতে গিয়ে বহু লোক নিজেদের জীবনকেই ধ্বংস করেছে। এর বহু নজর ইতিহাসের পাতায় রয়েছে।
মন্তব্য: পরের অনিষ্ট চিন্তা করা কোনো বিবেকবান ও বুদ্ধিমান মানুষের কাজ নয়। নিজের কল্যাণ চাইলে, নিজের স্বার্থেই সকলকে অন্যের অনিষ্টা চিন্তা থেকে বিরত থাকতে হবে।
No comments:
Post a Comment