চলমান কথা

গত ১১ মে, ২০২০ আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের অনলাইন পরীক্ষার শুভ উদ্বোধন করেন প্রকৌশলী এ এম এম সাজ্জাদুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এপিএসসিএল।

স্বপ্নের পদ্মা সেতু; স্বপ্ন হলো সত্যি। স্বপ্নের পদ্মা সেতুর সাথে স্বপ্ন যাবে বাড়ি।

Wednesday, September 9, 2020

একটি বর্ষণমুখর দিন 

একটি বর্ষণমুখর দিন বলতে আমরা বর্ষাকালের একটি অবিরাম বর্ষণমুখর দিনকে বুঝে থাকি। বাংলা সন অনুযায়ী আষাঢ় ও শ্রাবণ এই দুই মাস বর্ষাকাল। এই দুই মাসের মধ্যে বিশেষ করে শ্রাবণ মাসে প্রচুর বৃষ্টি হয়। কখনও কখনও সারাদিন থেমে থেমে বৃষ্টি হয়। আবার কখনো মুষলধারে বৃষ্টি হয়। শিশু-কিশোর ও বৃদ্ধলোকজন ঘরে আশ্রয় নেয় ।গ্রামাঞ্চলের মানুষরা ঘরের টিনের চালে বৃষ্টির শব্দ শুনতে পায়। বর্ষণমুখর দিনে ধরণীতে কলো মেঘের জন্য চারদিক অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায় । বর্ষণমুখর দিনে হঠ্যৎ প্রকৃতিতে পরিবর্তন আসে,চারদিকে নেমে আসে অন্ধকার। প্রকৃতির এ হঠাৎ পরিবর্তন মানুষ ও জীব-জন্তুর উপরও প্রভাব পড়ে । পাখিরা নিজেদের বৃষ্টি থেকে রক্ষা করতে আশ্রয় নেয় গাছের ওপর । চারদিকে বৃষ্টি হচ্ছে, কখনও মুষলধারে ; কখনও থেমে থেমে। গাছের পাতায় পাতায় টুপটাপ ফোটা পড়ছে। থেমে থেমে ঝি ঝি পােকা ডাকছে। একটি বর্ষণমুখর দিনে পথিকের কষ্টের সীমা থাকে না। গ্রামের মেঠোপথ বৃষ্টিতে ভিজে পিচ্ছিল হয়ে যায়। পথের বিভিন্ন জায়গায় কাদা-পানি জমে থাকে। পথিক কাপড় গুটিয়ে এবং তা মাথায় দিয়ে পথ চলতে থাকে অতি সাবধানে। শহর এলাকায় একটি বর্ষণমুখর দিন ভিন্ন চিত্র উপস্থাপন করে। তবে এ সময় মানুষ ঘরে বসে থাকলেও হকারগণ রাস্তায় বের হয়ে পড়ে। রাজ্যের যত গান, যত সুর, যত কথা, যত স্মৃতি সবই বর্ষণমূখর দিনে মনের কোণে ভেসে উঠে , তা মানুষকে বিষন্ন করে তােলে আবার কারো কারো মন রোমাঞ্চ করে তোলে । শহর বা গ্রাম সবখানেই বর্ষণমূখর দিনে কর্মচঞ্চলতা থেমে যায়,স্বাভাবিক জীবনে সাময়িক ছেদ ঘটে।দিনমজুরদের কারো অর্ধাহারে বা অনাহারে দিন কাটাতে হয় । বর্ষণমুখর দিনের অভিজ্ঞতা একেক জনের একে রকম ।


No comments: