চলমান কথা

গত ১১ মে, ২০২০ আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের অনলাইন পরীক্ষার শুভ উদ্বোধন করেন প্রকৌশলী এ এম এম সাজ্জাদুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এপিএসসিএল।

স্বপ্নের পদ্মা সেতু; স্বপ্ন হলো সত্যি। স্বপ্নের পদ্মা সেতুর সাথে স্বপ্ন যাবে বাড়ি।

Wednesday, July 15, 2020


# এ জগতে হায় সেই বেশি চায় আছে যার ভূরি ভূরি/রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙ্গারের ধন চুরি।

মূলভাব: পৃথিবীতে সম্পদশালীর সম্পদের প্রতি তৃষ্ণা প্রবল ও অসীম। তাদের অতৃপ্ত এ তৃষ্ণাকে চরিতার্থ করার প্রয়াসে তারা নিরন্ন মানুষের সম্পদ কেড়ে নিতে কুণ্ঠা বোধ করে না।

সম্প্রসারিত ভাব: ধনীদের অসীম সম্পদ-ক্ষুধা কোনোদিনই পরিতৃপ্ত হয় না। তারা ক্রমাগত ধন-সম্পদ সঞ্চয় করতে থাকে। সমাজের দুর্বল অংশকে শোষণ করেই দিনের পর দিন তাদের সম্পদ পাহাড় সমান হয়ে ওঠে।  অন্যদিকে, বিশ্বেও বিত্তহীনরা ধনীদের শোষণে সর্বস্বান্ত হয়ে পরিণত হয় ভিক্ষুকে। বিত্তবানের এই অতিরিক্ত বিত্ত সংগ্রহের কারণে সমাজে দেখা দেয় অন্যায় ও অনিয়ম। অনিবার্য হয়ে ওঠে নানা অশান্তি, সংঘাত এবং সংগ্রাম। পৃথিবীতে যারা পর্যাপ্ত সম্পদের মালিক, তাদের সম্পদ তৃষ্ণা কোনোদিনই পরিতৃপ্ত হয় না। তারা যত পায়, তত চায়। বিবেকহীন, হৃদয়হীন এসব মানুষেরা নানাভাবে অপরের সম্পদ অপহরণ
করে নিজেদের স্ফীত করে তোলে। প্রবল সম্পদ তৃষ্ণার কারণে অসহায়, দরিদ্র্যদের সামান্য ঘরবাড়ি ছিনিয়ে নিতে তারা হয়ে ওঠে বিবেকহীন। ফলে দরিদ্র্য মানুষেরা সব কিছু হারিয়ে পথে বসে যায়। সামাজিক নিরাপত্তার জন্য ধনীদের উচিৎ অতিরিক্ত ধন-সম্পদ সঞ্চয় করা থেকে বিরত থাকা। বিশ্বের সকল শান্তিকামী মানুষের সাধনা হল শোষণ আর সামাজিক অবিচার দূর করে সম্পদের সমবণ্টনের মাধ্যমে এক শান্তির পৃথিবী সৃষ্টি করা। কিন্তু তা সুদূর ভবিষ্যৎ বলে আমার কাছে মনে হয়।

মন্তব্য: ধনীর যত ধন বাড়ুক তার প্রত্যাশা থাকে আরো ধন অর্জনের। তাই ধনীরা গরিবদের মাঝে ধন বিতরণ করে সমাজে সমতা প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।


# জন্মিলে মরিতে হবে অমর কে কোথা কবে/চিরস্থীর কবে নীর হায়রে জীবন নদে।

মূলভাব: প্রাণী মাত্রই মরণশীল। প্রত্যেক প্রাণীকেই অনিবার্য মৃত্যুর মুখোমুখি হতে হয়। প্রাণী হিসেবে মানুষের মৃত্যুও অনিবার্য। মানুষের ক্ষণস্থায়ী জীবনকে স্মরণী রাখতে পারে কেবল তার সৃষ্টিশীল কর্ম।

সম্প্রসারিত ভাব: মৃত্যুকে কেউ এড়িয়ে যেতে পারে না। মৃত্যুকে ঠেকানোর ক্ষমতা কারো নেই। তাই অযথা মৃত্যুভয়ে ভীত না হয়ে এই সত্যকে সহজভাবে মেনে নিতে হবে। প্রত্যেকের মহৎকাজে আত্মনিয়োগ করা উচিৎ। কেননা মহৎকর্মই মানুষকে পৃথিবীতে স্মরণীয় করে রাখে। পৃথিবীতে স্মরনীয় ব্যক্তিগণ তাঁদের কাজের মাধ্যমেই মানুষের হৃদযে স্মরণী হয়ে আছেন। যারা কোনো কাজ করে না, তাদের জীবন অর্থহীন। এসব অলস, কর্মবিমুখ, স্বার্থপর মানুষেরা মৃত্যুর সাথে সাথে পৃথিবীতে থেকে হারিয়ে যায়। প্রত্যেক মানুষ স্মরণীয় হয়ে থাকতে চায়। মানুষের এ আশা পূরণ করার একমাত্র উপায় মহৎকর্ম। তাই সর্বদা আমাদের মহৎকর্ম করা উচিৎ।

মন্তব্য: মানুষ মরে যাবে তা নিয়তি। কাজেই মহিমাময় কর্মই মানুষকে চিরজীবী করে তোলে।

No comments: