পরিবেশদূষণ
সভ্যতার বিবর্তনের মধ্য দিয়ে মানুষ প্রকৃতিকে ব্যবহার করে গড়ে তুলেছে নিজের পরিবেশ। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কল্যাণে মানুষ পেয়েছে অনেক সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য। কিছু জিনিসের অপব্যবহার ও জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে পরিবেশ ক্রমেই দূষিত হয়ে উঠছে। মানুষই প্রকৃতির পানি-মাটি-বাতাসকে করেছে দূষিত। পরিবেশদূষণ মূলত দুটি কারণে হয়ে থাকে। একটি হচ্ছে প্রকৃতিগত। যেমন: ঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, অগ্ন্যুত্পাত, ভূমিকম্প। দ্বিতীয়টি হচ্ছে মানুষের সৃষ্ট। যেমন: পানিদূষণ, বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ, মাটিদূষণ ইত্যাদি। কীটনাশক, গুঁড়া সাবান, ওষুধপত্র ও প্রসাধনসামগ্রী, প্লাস্টিকের ব্যবহারের ফলেও পরিবেশদূষণ হয়ে থাকে। এসব দূষণের কারণে আজ মানবসভ্যতার অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন। পরিবেশ সংরক্ষণে তাই বিশ্বের সচেতন মানুষ জেগে উঠেছে। গ্রিন হাউস গ্যাসের পরিমাণ কীভাবে কমানো যায়, জলবায়ু মোকাবিলায় করণীয় কী, বন্য প্রাণী ও বনজ সম্পদ রক্ষা, পানিদূষণ, বায়ুদূষণ রোধে মানুষ গ্রহণ করছে নানামুখী পরিকল্পনা। বিশ্বের পরিবেশবাদীদের প্রচেষ্টায় সাধারণ মানুষও আজ পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন। বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশের সংবিধানেও যুক্ত হয়েছে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন। তবে জনসংখ্যা বৃদ্ধি রোধ করা ও সাধারণ মানুষকে পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন করলে পরিবেশদূষণ রোধ করা সম্ভব।
No comments:
Post a Comment