হে সূর্য! শতের সূর্য!
হিমশীতল সুদীর্ঘ রাত তোমার প্রতীক্ষায়
আমরা থাকি
যেমন প্রতীক্ষা করে থাকে কৃষকের চঞ্চল চোখ
ধানকাটার রোমাঞ্চকর দিনগুলির জন্যে।
হে সূর্য, তুমি তো জানো,
আমাদের গরম কাপড়ের কত অভাব!
সারারাত খড়কুঠো জ্বালিয়ে
এক টুকরো কাপড়ে কান ঢেকে,
কত কষ্টে আমরা শীত আটকাই!
সকালের এক টুকরো রোদ্দুরে-
এক টুকরো সোনার চেয়েও মনে হয় দামি।
সারমর্ম: সূর্যের শক্তিতে পৃথিবীর সব গাছপালা, মানুষ, প্রাণী জীবনধারন করে। আশ্রয়হীন, বস্ত্রহীন অসহায় মানুষ সূর্যের উত্তাপের জন্য সারারাত অপেক্ষা করে। সমাজের অবহেলিত ও সুবিধা-বঞ্চিত এসব মানুসের কাছে সূর্যের উত্তাপ সোনার চেয়েও দামি।
কোথায় স্বর্গ? কোথায় নরক? কে বলে তা বহুদূর?
মানুষের মাঝে স্বর্গ-নরক, মানুষেতেই সুরাসুর।
রিপুর তাড়নে যখনি মোদের বিবেক পায় গো লয়,
আত্মগ্লানির নরক অনলে তখনি পুড়িতে হয়।
প্রীতি ও প্রেমের পুণ্য বাঁধনে যবে মিলি পরস্পরে,
স্বর্গ আসিয়া দাঁড়ায় তখন আমাদেরই কুঁড়েঘরে।
সারমর্ম: স্বর্গ ও নরকের অবস্থান দূরে নয় বরং খুব কাছেই। মানুষের মধ্যেই স্বর্গ-নরক রয়েছে। রিপুর তাড়নায় মানুষ বিবেকহীন আচরণে নরকের যন্ত্রণা সৃষ্টি করে। অন্যদিকে প্রীতিমুগ্ধ এবং কল্যাণময় আচরণ দারিদ্র্যের কুঁড়েঘরে স্বর্গীয় সুখ নিয়ে আসে।
No comments:
Post a Comment